বাংলাদেশের যে সব যুগ শ্রেষ্ঠ আউলিয়াগণ ভাষা, ধর্ম, স্থান, কাল, পাত্র নির্বিশেষ প্রাধান্য বিস্তার করে ধন্য হয়েছেন তন্মধ্যে হযরত সৈয়দ শাহ আবদুল করিম আল হোসাইনী (রঃ) উরফে সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেব ছিলেন অন্যতম। তিনি আল্লাহ প্রেমে মুগ্ধ হয়ে স্বীয় সর্বস্ব গরীব দুঃখীদের মাঝে অকাতরে বিলিয়ে দিয়ে চিরস্মরণীয় অবদান রেখেছেন এবং আল্লাহ পাকের সান্নিধ্য অর্জনে ধন্য হয়েছেন। বাংলা ১২১৪ সালে হবিগঞ্জ জেলার ইতিহাস প্রসিদ্ধ সুলতানেশী হাবিলীর সৈয়দ পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। হযরত সৈয়দ শাহ ছাবের (রঃ) ছিলেন তাঁর সুযোগ্য পিতা। তিনি ছিলেন সিলেটের হযরত শাহ জালাল (রঃ) এর প্রধান সহচর সিপাহ সালার হযরত সৈয়দ নাছির উদ্দিন (রঃ) এর বংশধর। আর সিপাহ সালার হযরত সৈয়দ নাছির উদ্দিন (রঃ) হযরত ইমাম হােসেন (আ.) এর আওলাদ।
সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেব সিলেট শহরে লেখা পড়া করেন। ঐ সময় থেকেই তার অলৌকিক গুণ কেরামত প্রকাশ পেতে থাকে। মুরুব্বিদের মুখে এবং বিভিন্ন জনশ্রতিতে জানা যায় তিনি অন্যের আকৃতি ধারণ করে অবাধে বিচরন করতে অভ্যস্থ ছিলেন। তিনি আরবী, ফার্সি ও উর্দু ভাষায় বুৎপত্তিগত সুপন্ডিত ছিলেন। সিলেটে অধ্যয়ণ শেষ করে তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রামের ইতিহাস প্রসিদ্ধ হাবিলীতে অর্থাৎ নানার বাড়ীতে চলে আসেন। অষ্টগ্রামের হাবিলী ছিল তৎকালিন দেওয়ান সাহেবদের বাসস্থান। আর দেওয়ান সাহেবগণ ছিলেন জোয়ান সাহী পরগণার মালিক তথা উনিষ কোষা-জমিদারীর উত্তরাধিকারী। এক সময়ে কোন অজ্ঞাত কারণে তাদের মধ্যে মতদ্বৈত দেখা দিলে তারা আত্ম কলহে লিপ্ত হয়ে পড়েন। ফলে ১৭৯২খ্রী উক্ত জমিদারী দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে, এক ভাগ আট আনা পৌনে পনর গণ্ডা অংশ পেয়ে দশ কোষা এবং অন্যভাগ সাত আনা সারেপাচ গণ্ডা অংশ পেয়ে নয় কোষা জমিদারী নামে অভিহিত হয়। ১ম ভাগ দশ কোষা নামের হিস্যা নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানায় বসতি স্থাপন করেন। আজো ইটনা থানার সেই স্থান দেওয়ান বাড়ি নামে খ্যাত। অন্য ভাগ নয় কোষা হিস্যা নিয়ে উক্ত জমিদারীর মালিক হয়ে অষ্টগ্রামেই থেকে যান। তাদের বাসস্থান অষ্টগ্রাম হাবিলী বাড়ী নামে এখনো বিখ্যাত হয়ে আছে। একে নয়কোষা জমিদার বাড়ি বলা হয়। এই নয় কোষ জমিদারীর দেওয়ানদের শেষের দিকের জমিদার ছিলেন চান বিবি। উক্ত চান বিবির এক মাত্র কন্যা ভিন্নত চান বিবিকে সুলতানসী হাবিলীর সৈয়দ পরিবারে সৈয়দ শাহ ছাবের (রঃ) সাহেবের সঙ্গে বিয়ে দেন। জিনাত চান বিবির গর্ভে সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেব, সৈয়দ মলাই মিয়া সাহেব ও সৈয়দ জালাই মিয়া সাহেব ভ্রাতৃত্রয় জন্ম গ্রহণ করেন। জমিদারীর মালিক চান বিবির এক মাত্র পুত্র সন্তান দেওয়ান করম রেজা সাহেব অবিবাহিত অবস্থায়ই মৃত্যু বরণ করেন। জমিদার চান বিবির অন্য কোন পুত্র সন্তান না থাকায় তিনি তার দৌহিত্র আলাই মিয়া সাহেবের হস্থে জমিদারীর সকল কর্মভার ও জমিদারী অর্পন করে অবশেষে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইত্যবসরে সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেব জমিদারীর মালিকানা প্রাপ্ত হয়ে তিনি তারই অনুজ সৈয়দ জলাই মিয়া সাহেব কে নিয়ে জমিদারীর সকল কার্যাদি পরিচালনা করতে থাকেন। সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেব খোদা প্রেমে এমন মশগুল ছিলেন যে, আধ্যাত্মিক জ্ঞান অন্বেষনে তিনি সদা নিমগ্ন থাকতেন।জমিদারীর প্রতি তার আসক্তি খুব কম থাকা বিধায়,জমিদারীর আয় উন্নতি ও রক্ষনা বেক্ষনে তিনি ছিলেন খুবই উদাসীন। এমত অন্যমনস্কতার কারণে জমিদারীর প্রতি বেখেয়াল হয়ে বিশেষ কোন কাজের খবরই রাখতে না পারায় ১৮৩৬ খৃষ্টাব্দে জামিদারির অনাদায়ী খাজনার দায়ে নিলাম হয়ে যায়। এক সঙ্গে ঐ নিলামিয় জমিদারী খরিদে কেও অগ্রসর না হওয়ায়, ময়মনসিংহ জেলার কালেকটর সাহেব সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেবকে পূঃন অভিহিত করেন যে, তিনি যদি অনাদায়ী খাজনা আদায় করে দেন, তাহলে হৃত জমিদারী আবার তাকেই ফেরৎ দেওয়া হবে। জবাবে তিনি জমিদারীর প্রতি অনিহা প্রকাশ করে বলেন- আল্লাহপাক আমাকে জমিদারীর সকল প্রকার ঝামেলা থেকে মুক্ত করে দিয়েছেন। সেই ঝামেলায় আমি পূঃনরায় জড়াতে মোটেই আগ্রহী নই। তাঁর প্রধান বাক্যোক্তি ছিলো, “ত্যাগের ভিতর খোদা প্রাপ্তি হয়, ভোগের ভিতর নয়”। এ প্রকার মনোভাবের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সকল প্রকার কার্য খচিত মূল্যবান ইমারত, ঘড়, দরজা এবং বাস্তভিটা ও সকল আসবাব পত্রের মোহ কাটিয়ে বাড়ির অনতি দূরে একটি জির্নশীর্ণ কুটিরে আস্তানা করে বসবাস করতে থাকেন। কালক্রমে জমিদারীর সব কিছু বিনষ্ট হয়ে যায়। জমিদারীর ঐ ধ্বংশাবশেষের প্রতি তিনি কখনও ফিরে তাকাননি।
সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেবের দুই পুত্র ও এক কন্যা ছিল। এক পুত্র ও কন্যাটি বাল্য কালে পরলোক গমন করে। অপর পুত্র সৈয়দ আবুল হাশিম ওরফে লাল মিয়া সাহেবকে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানাধীন ভাগলপুর দেওয়ান বাড়িতে দেওয়ান আহমদ রেজা সাহেবের কন্যা আকিকুন্নেছাকে বিবাহ করান। পাগলা দেওয়ান বলেই তিনি সনামধন্য ও দেশে বিদেশে সুপরিচিত ছিলেন। তিনিও একজন বিশিষ্ট কামেল বুজুর্গ ছিলেন। তার কণ্যা ছিলেন দেওয়ান পরিবারের অর্ধেক জমিদারীর মালিক। সে প্রসঙ্গে উক্ত জমিদারী পরিচালনার নিমিত্তে সৈয়দ লাল মিয়া সাহেব ভাগলপুর দেওয়ান বাড়িতে চলে যান। সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেব জীবিত থাকা কালিনই পুত্র লাল মিয়া সাহেব তার একমাত্র পুত্র সৈয়দ আব্বাছ মিয়া সাহেবকে (ভাগলেুর) জীবিত রেখে ইন্তেকাল করেন। সৈয়দ আলাই মিয়াসাহেব ঐ জীর্নশীর্ণ কুটিরেই আল্লাহ পাক ব্রতে কঠোর সাধনায় মগ্ন থেকে অধিকাংশ সময় কাটাতেন। তখন থেকেই তার গুণ কেরামত অলৌকিক বৈশিষ্ট সমুহ প্রকাশ পেতে থাকে। তার নামধাম দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। আধ্যাত্মিক জ্ঞান অন্বেষনের ‘অদম্য চেতনা ও বাসনা তাকে কামেল ওলী বুজুর্ণ রূপেই ধন্য করেছে। সমকালিন বিভিন্ন এলাকা থেকে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে তার জিয়ারত প্রাপ্তির আশায়, দোয়া গ্রহনের জন্য ভীর জমায় শত শত শিক্ষিত অশিক্ষিত খান্দানী অখান্দানী হিন্দু মুসলমান তথা সকল সম্প্রদায়ের লোকজন তার মহৎ আদর্শ গুনের সংসর্গলাভে মুগ্ধ হয়ে তারই কাছে বাইয়াত তথা শিষ্যত্ব গ্রহন করে ধন্য হতেন।
আপামর জনগণের প্রতি তার ভালবাসা ছিল প্রগাঢ়। তাদের দুঃখ কষ্ট সদা-সর্বদাই তার প্রাণে সাড়া জাগাত এবং তিনি তাদের দুঃখ কষ্ট মোচনে পরম করুণাময় আল্লাহ পাকের নিকট বিগলিত কণ্ঠে আকুল আবেদন জানাতেন। জমিদারী নিলামের পরে তিনি তার অবশিষ্ট সকল সম্পদ গরীব দুঃখীদের মাঝে অকাতরে বিলিয়ে দেন। সকল ধর্মের সকল শ্রেণীর জনগুষ্ঠিকেই তিনি ভালবাসতেন। তিনি বলতেন, “অন্য ধর্মের লোকের প্রতি যারা বিদ্বেষ ভাব পোষণ করে, তারা প্রকৃত ধার্মিক নয়”।
সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেব পাকপাঞ্জাতনের প্রতি খুবই উদ্ৰগীব, উৎসাহিত প্রাণ ছিলেন। পাক পাঞ্জাতনের মহান আদর্শের ভাব মূৰ্ত্তি জনসমাজে জাগ্রত রাখার উদ্দেশ্যে তিনি মহরম শরীফের অনুষ্ঠানাদি পালন করতেন। তিনি বলতেন, “ধর্মকে অক্ষত, সজীব এবং সে আদর্শের মানবীয় গুণাবলী রক্ষাকল্পে ইমাম হোসেন (আ) তার প্রাণ প্রিয় সঙ্গিগন সহ কারবালার মরু প্রান্তরে স্বহাস্যে প্রাণ দিয়েছেন। কারবালার মর্মান্তিক শোকাবহুল ঘটলবলী জাগ্রত থাকলে ধর্মীয় প্রেরণা, শহীদি চেতনা ও মানবীয় গুণাবলী রক্ষা, অনুসুচনা এবং তার উৎকর্ষ সাধনের প্রেরণা অতি সহজে লাভ করা যায়। সেই সঙ্গে শহীদি গনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের সহজ উপায়ও মিলে। শহীদগণের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অর্থ হচ্ছে ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া”। সে জন্যই মহরম শরিফের আনুষ্ঠানিকতা পূর্ণ শোকাতুর অনুষ্ঠান করা তিনি অতী প্রয়োজনীয় মনে করতেন। সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেব বলতেন, “যে সকল কর্ম দ্বারা ধর্মীয় অনুপ্রেরণা জাগ্রত হয়, প্রতিদানে নির্মল চারিত্রিক গুণাবলীর উদ্রেক হয়, তা কখনো হারাম বা নাজায়েজ হতে পারেনা, যদি পবিত্র কোৱান ও হাদিসে সরাসরি নিষেধ না থাকে”। সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেব অশ্রু সিক্ত নয়নে বলতেন, “ইমাম হোসাইনের (আঃ) শাহাদাতের ঘটনাবলীর স্বরণে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সুচ্চার হতে মানব মনে অনুপ্রেরণা যোগায়। ইয়াজিদি অনুসারীগণ ধর্মের প্রকৃত চেহারা পালটিয়ে দেওয়ার ষঢ়যন্ত্র করছিল। ইমাম হুসাইন (আ.) তাঁর নানাজান অর্থাৎ রাসুলে পাক (দঃ) এর আদর্শ তথা প্রকৃত ইসলামকে রক্ষার জন্যই এ চরম আত্মত্যাগ করেছেন। ইমাম সর্ব কালের জন্য আদর্শ রেখে গেছেন। যে আর্দশ হচ্ছে জালিমের জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ। সেই প্রতিরোধ যুদ্ধে প্রয়োজনে আত্মোৎসর্গই আদর্শ। সে আদর্শ জীবনে বাস্তবায়িত করতে হলে ও তাগুতি শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হলে কারবালার শহিদী প্রেরণা প্রয়োজন। কারবালার শহিদী প্রেরণা লাভ করতে হলে মহরম শরীফের আনুষ্ঠানিকতা আবশ্যক।পবিত্র আশুরা হচ্ছে একদিকে যেমন শোকাবহ, অন্যদিকে আমাদের জন্য স্বর্গীয় অনুপ্রেরণার উৎস। কারবলার ঘটনাবলী পৃথিবীর বুকে যে আলোড়ন সৃষ্ঠি করেছে, কোন ঘটনাই এরুপ আলরন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়নি। এতে মহান আল্লাহ তায়ালার কুদরতি শক্তি নিহিত রয়েছে। কারবালার ঘটনাবলীর দ্বারাই ঈমানদার ও মুনাফিকের পরিচয় হয়েছে। অতএব কারবালার ঘটনাবলী মোমেন ও মুনাফিকের পরিচয়ের চাবি-কাটি বলা যায়”।
সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেব ইমাম হুসাইনের (আঃ) শাহাদতের স্মরণে কারবালার স্মৃতি ও বৈশিষ্ট রক্ষার্থে,শহীদানদের প্রতি সম্মান দেখাতে, জালিমের জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে, কারবালার ঘটনা জাগ্রত রাখার উদ্দেশ্যে, ইমামের প্রতি ভক্তি ভালবাসা সৃষ্টি ও বৃদ্ধির বাসনায়, তাঁর ভালবাসার নিদর্শন ও পরিচয় প্রদর্শনের ইচ্ছায় জারিগান,মরসিয়া, মাহফিল, মজলিশ, গাস্ত, তাজিয়া মিসিল, ফাতেহা পাঠ অনুষ্ঠান ও রোজা (ফাকা) ইত্যাদি পালন করতেন।
এসব কর্মকাণ্ড কারবালার ঘটনাবলী জাগ্রত রাখার সুস্পষ্ট ব্যবস্থা বটে। এসবকে জড় পুজা বলে আখ্যায়িত করা অজ্ঞানতা বা হটকারিতার পরিচয়। এসব দেখলেই ইমাম হােসেনের স্বপরিবারে শহীদ হওয়ার কথা স্মরণ হয় ও তাঁদের শাহাদসতের চিত্র চোখে ভেসে উঠে, তখন তার ভালবাসায় বিগলিত হয়ে চোখ থেকে পানি আসতে থাকে এবং জালিমের জুলুমের প্রতি অন্তরে ঘৃণার জন্ম নেয় এবং ইয়াজিদ পক্ষীয়দের ধর্মবিরোধী কাৰ্য্যের কি ফল তা জেনে বুঝে সংশোধনের অনুভুতি অর্জন করা যায়। সাধারণ লোকের জন্য কান্না এবং শহীদানের জন্য কান্নার অর্থ এক নয়। শহীদানের জন্য কান্নার অর্থ হচ্ছে শহীদানের প্রতি শ্রদ্ধাপ্রদর্শন এবং জালিমের জুলুমের প্রতি ঘৃণা জ্ঞাপন।
তিনি তাঁর তরিকার কাজের আঞ্জাম দিতে অনুজ সৈয়দ জলাই মিয়া সাহেবের কনিষ্ঠ পূত্র মাওলানা সৈয়দ আব্দুল হেকীম আল হোসাইনী রহ. (ভাতিজা)কে সুলতানশী হতে অষ্টগ্রাম নিয়ে আসেন এবং তরিকতের তালিম দিয়ে উনার স্থলাভিষিক্ত করেন।অদ্যাবধি সৈয়দ হেকীম সাহেবের আওলাদগন পর্যায়ক্রমে এই দায়ীত্ব শুনামের সহিত পালন করে আসছেন।
সৈয়দ আব্দুল করিম আলহোসাইনী উরফে সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেব বাংলা ১৩০৯ সালে ১৮ই বৈশাখ মোতাবেক ২২ শে মহরম পরলোক গমন করেন। অষ্টগ্রাম হাবিলী বাড়ির আঙ্গিনায় সুদৃশ্য অট্টালিকার ভিতরে হযরত সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেবের মাজার শরীফ বিদ্যমান রয়েছে। দেশ বিদেশের সকল শ্রেণীর মানুষ মুরিদ ও ভক্ত আশেকান মকছুদ পূরণের উদ্দেশ্যে বিশেষ উছিলা হিসেবে ২২ মহরম বাৎসরিক ওরস শরীফ ছাড়াও তাঁর মাজার শরীফ জিয়ারত করতে প্রতিনিয়ত ভির জমে।
ভোগে নয় ত্যাগেই খোদা প্রাপ্তি হয়„„ বাবা আলাই মিয়া র
ত্যাগ ছারা মুক্তি নাই
118.আলাই মিয়া আওলিয়া নয়ন মনি
ভিখারী আইসাছি বাবা কর মেহেরবাণী
১.মত্ত হয়ে সাধনাতে পাইলা জুতি আকাশ হতে
সেই জুতিতে কলব মোদের কর রৌশনি
২.খোদার প্রেমে মজিলা, জমিদারী ছেড়ে দিলা
আটকাইতে না পারল তোমায় কাঞ্চন কামিনি
৩.তুমি বাবা অশেষ দয়াল, দীন ভিখারী আমি কাংগাল
চার তরিকার দিয়া নিয়ামত দূর কর পেরেশানী
৪.আসছি বহু দূর হইতে বাবা তোমার চরণ দেখতে
চরণধূলি দিয়া মোরে সার্থক কর জিন্দেগানী
গুরু শিষ্য লােভী কামী, উভয় নরকগামী।
:-হযরত সৈয়দ শাহ আব্দুল করিম (রা) উঃ সৈয়দ আলাই মিয়া (রা)
118.
আলাই মিয়া আওলিয়া নয়ন মনি
ভিখারী আইসাছি বাবা কর মেহেরবাণী
১.মও হয়ে সাধনাতে পাইলা জুতি আকাশ হতে
সেই জুতিতে কলব মোদের কর রৌশনি
২.খোদার প্রেমে মজিলা, জমিদারী ছেড়ে দিলা
আটকাইতে না পারল তোমায় কাঞ্চন কামিনি
৩.তুমি বাবা অশেষ দয়াল, দীন ভিখারী আমি কাংগাল
চার তরিকার দিয়া নিয়ামত দূর কর পেরেশানী
৪.আসছি বহু দূর হইতে বাবা তোমার চরণ দেখতে
চরণধূলি দিয়া মোরে সার্থক কর জিন্দেগানী
121.জিন্দা পীর আলাই মিয়া অসহায়ের সহায়
তার মাজারের ধূলি মাখলে তাপিত প্রাণ জুড়ায়
১.তুমি বাবা আওলাদে রাসুল
মদিনার বাগানের একটি গোলাপ ফুল
তোমার গন্ধ ছড়িয়ে দেও আশেকের ছিনায়
২.তোমান নজর পড়ে বাবা যাহার উপরে
নূরের আলো জ্বলে উঠে তাহার অন্তরে
কত আশেক ঘুরে বেড়ায় তোমার আশায়
৩.তোমার রৌজার ধূলি বালি ভক্তগণ মাখে সদায় সুরমা বলি
প্রেমের আগুন জ্বালিয়ে দাও আমার অন্তরায়।
ভোগে নয় ত্যাগেই
খোদা প্রাপ্তি হয়„,
Vatir oli
বাবা আলাই মিয়া আওলিয়া নয়ন মণি
[…] অষ্টগ্রাম হাবেলীতে স্থানান্তর করেন। সৈয়দ শাহ আবদুল করিম আল হোসাইনী (রঃ) উরফে সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেবের […]
Fantastic perspective! The points you made are thought-provoking. For more information, I found this resource useful: FIND OUT MORE. What do others think about this?
hey there and thank you for your information – I’ve definitely picked
up something new from right here. I did however expertise some technical points using this site,
as I experienced to reload the site many times previous to I could get it to load correctly.
I had been wondering if your web host is OK? Not that I am
complaining, but slow loading instances times will sometimes affect
your placement in google and can damage your quality score if ads and marketing with Adwords.
Anyway I am adding this RSS to my email and can look out for
much more of your respective exciting content.
Ensure that you update this again soon.. Lista escape roomów
Real superb information can be found on weblog.!
When I initially left a comment I seem to have clicked on the ‑Notify me when new comments are added- checkbox and now whenever a comment is added I recieve 4 emails with the exact same comment. Is there an easy method you are able to remove me from that service? Cheers.
You’re so cool! I don’t suppose I’ve read a single thing like this before. So nice to discover another person with some original thoughts on this issue. Seriously.. many thanks for starting this up. This web site is something that is required on the web, someone with some originality.
Pretty! This has been a really wonderful post. Thank you for supplying this info.
Everything is very open with a precise explanation of the issues. It was really informative. Your website is very helpful. Thanks for sharing.
Everything is very open with a really clear description of the challenges. It was definitely informative. Your site is very helpful. Thank you for sharing!
After looking at a number of the articles on your web page, I honestly like your technique of writing a blog. I saved as a favorite it to my bookmark website list and will be checking back in the near future. Please check out my web site as well and let me know what you think.
After looking at a number of the blog articles on your blog, I really like your way of writing a blog. I book marked it to my bookmark website list and will be checking back soon. Please visit my website too and tell me how you feel.
Excellent post! We will be linking to this great post on our site. Keep up the good writing.
It’s difficult to find experienced people on this subject, but you sound like you know what you’re talking about! Thanks
Next time I read a blog, I hope that it does not disappoint me as much as this one. After all, Yes, it was my choice to read through, however I genuinely thought you’d have something helpful to say. All I hear is a bunch of moaning about something you could possibly fix if you were not too busy seeking attention.
Everything is very open with a precise description of the issues. It was truly informative. Your site is useful. Thank you for sharing.
I blog quite often and I really appreciate your content. Your article has truly peaked my interest. I am going to take a note of your blog and keep checking for new details about once a week. I subscribed to your RSS feed as well.
Howdy! I could have sworn I’ve visited this website before but after browsing through a few of the posts I realized it’s new to me. Anyhow, I’m certainly happy I found it and I’ll be book-marking it and checking back often!
I blog quite often and I genuinely appreciate your content. The article has truly peaked my interest. I am going to bookmark your blog and keep checking for new details about once a week. I subscribed to your Feed too.
Aw, this was an extremely nice post. Spending some time and actual effort to produce a great article… but what can I say… I put things off a whole lot and never seem to get anything done.
soft tab cialis Chang, USA 2022 05 04 20 55 35