সৈয়দ মােহাম্মদ মদরিস আলী (রহঃ)ওরফে সৈয়দ লাল মিয়া সাহেবের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত -(১৮৯০-১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ)।
শ্রীহট্ট ও তরফ বিজয়ী সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দীন (রহঃ)- এর বংশে বেশ ক’জন আরেফে ইরফান, আলীম‑উলামা, মরমী কবি ও সাহিত্যিক‑গবেষকের জন্ম হয়েছে। সৈয়দ মদরিস আলী (রহঃ) ওরফে সৈয়দ লাল মিয়া সাহেব তাদের মধ্যে অন্যতম স্মরনীয় ব্যক্তি।আরেফে ইরফানিয়াত মশহুর পীর সৈয়দ মদরিস আলী বৃহত্তম সিলেট জেলার বর্তমান হবিগঞ্জ জেলার অন্তর্গত বাহুবল থানার ঐতিহাসিক চন্দ্রচুড়ি সাহেব বাড়ীতে ১৮৯০ ইং সালে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি বংশকৌলীন্য,উঁচুমানের ব্যক্তিত্ব, সততা-নৈতিকতার বিচারে সর্বোপরি একজন ঈর্ষণীয় ‘আইকন’ ছিলেন। সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দীন (রহঃ)- থেকে সৈয়দ মদরিস আলী (রঃ) পর্যন্ত বংশক্রমঃ সৈয়দ নাসির উদ্দীন (রহঃ)> সৈয়দ সিরাজ উদ্দীন (রহঃ)>সৈয়দ মুসাফির (রহঃ)>সৈয়দ খোদাওন্দ (রহঃ)>সৈয়দ ইসরাইল বন্দেগী শাহ (রহঃ)>সৈয়দ ইসমাইল (রহঃ)>সৈয়দ শাহজালাল (রহঃ)>সৈয়দ আহমদ (রহঃ)>সৈয়দ মাইনুদ্দিন (রহঃ)>সৈয়দ নাজিম উদ্দিন (রহঃ)>সৈয়দ সানাঊল্লাহ (রহঃ)>সৈয়দ নাদির হোসেন (রহঃ)>সৈয়দ মোহাম্মদ নাদে আলী (রহঃ)[গোকর্ণ থেকে চন্দ্রচুড়ী]>সৈয়দ মােহাম্মদ ইদ্রিস (রহঃ)>সৈয়দ মােহাম্মদ মদরিস আলী (রহঃ) ওরফে সৈয়দ লাল মিয়া।
তার পিতা হযরত সৈয়দ মােহাম্মদ ইদ্রীস আলী (রহঃ)একজন প্রখ্যাত আলেম ও আরেফে ইরফানিয়াত মশহুর পীর ও পাকপাঞ্জাতনের প্রতি খুবই উদ্ৰগীব, উৎসাহিত প্রাণ ছিলেন।উল্লেখ্য যে, হযরত সৈয়দ মােহাম্মদ ইদ্রীস আলী (রহঃ) যিনি আজ থেকে প্রায় ১৫০ বছর পূর্বেই পায়ে হেঁটে হজ্বের আনুষ্ঠানিকতা পালন শেষে ইরাকের নাজাফে হযরত ইমাম আলী (আ.) এর মাজার জিয়ারত, অতঃপর কারবালায় হযরত ইমাম হুসাইন (আ.) এর মাজার জিয়ারত করতঃ সেই দুঃখ‑স্মৃতি বিজরীত ঐতিহাসিক কারবালা থেকে এক মুষ্ঠি মাটি নিজ হাতে নিয়ে এসে চন্দ্রচুড়ী‘র মাটির সাথে মিশিয়ে ঐ স্থানটিতে হোসেইনী মোকাম (ইমামবাড়া) স্থাপন করেন।যেনো পাক‑পাঞ্জাতনের মহান আদর্শের ভাব মূৰ্ত্তি জনসমাজে জাগ্রত রাখার উদ্দেশ্যে আশেকানগন একটি নির্দিষ্ট স্থানে একত্রিত হয়ে শহীদগনের মহব্বতে এবং তাদের আত্মত্যাগের স্মরনার্থে আনুষ্ঠানিক শোক প্রকাশ করতে পারেন। যার দরুন পুনরায় ঐ অঞ্চলের সাধারন লোকজন যেনো পাক পান্জাতন/আহলে বাইতে রাসূল (সা.) সম্পর্কীত প্রকৃত জ্ঞান এবং ধর্মের সঠিক ধারা ও ইতিহাস বুঝতে সক্ষম হয়।তিনি ইমাম হুসাইনের (আঃ) শাহাদতের স্মরণে কারবালার স্মৃতি ও বৈশিষ্ট রক্ষার্থে,শহীদানদের প্রতি সম্মান দেখাতে, জালিমের জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে, কারবালার ঘটনা জাগ্রত রাখার উদ্দেশ্যে, ইমামের প্রতি ভক্তি ভালবাসা সৃষ্টি ও বৃদ্ধির বাসনায়, তাঁর ভালবাসার নিদর্শন ও পরিচয় প্রদর্শনের ইচ্ছায় জারি-মার্সিয়া, মাহফিল‑মজলিশ, গাস্ত, তাজিয়া মিছিল, ফাতেহা পাঠ অনুষ্ঠান ও রোজা (ফাকা) ইত্যাদি পালন করতেন।এ বিষয়টিকে পরবর্তীতে আরো সমৃদ্ধ ও প্রসারীত করেছিলেন তারই সূযোগ্য সন্তান হযরত সৈয়দ মদরিস আলী (রহঃ)।সেই ধারা অধ্যাবধি ব্যাপকভাবে চলমান। হযরত সৈয়দ মােহাম্মদ ইদ্রীস (রহঃ) অনেক কেরামতির কথা এলাকার প্রধান লােকের মুখে আজো শােনা যায় ।ইলমী জগতের এ মহান প্রদীপের মাজার শরীফ চন্দ্রচুড়ীতে অবস্থিত।
ইলমী জগতের ভাবগাম্ভীর্য্যপূর্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী সৈয়দ মদরিস আলী (রহঃ) তার পিতৃপুরুষগনের ধারাবাহিকতায় শিশুকাল থেকেই আধ্যাত্বিক জ্ঞান‑গুনে সমৃদ্ধ ছিলেন।শিক্ষা-দীক্ষা রিয়াযত‑রিয়াছত সব কিছুই সাধিত হয় খ্যাতিমান আলেমে দ্বীন ও আধ্যাত্নিক পুরুষ পিতা হযরত সৈয়দ মোঃ ইদ্রীস আলী (রহ:) সাহেবের একান্ত তত্বাবধানে।অতঃপর প্রথমে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এবং পরবর্তীতে দিল্লী থেকে তৎকালীন সময় উপযুক্ত ধর্মীয় শিক্ষায় হয়েছিলেন উচ্চ শিক্ষিত। তিনি আরবী, ফার্সি ও উর্দু ভাষায় বুৎপত্তিগত সুপন্ডিত ছিলেন। ফলে এ সব শহরের দ্বীনী জ্ঞান চর্চাকারীদের মহলে তিনি সুপরিচিত ও খ্যাতির অধিকারী হয়ে ওঠেন এবং দ্বীনী ইলম চর্চার যে কোনো মজলিসে ব্যক্তিগতভাবে স্থানলাভ করেন।মহান সাধক হযরত সৈয়দ মদরিস আলী (রহঃ) তার পিতা পীরে কামেল সৈয়দ ইদ্রীস আলী (রহ.)-এর নিকট বায়েত হন এবং তিনি একজন সাধক পুরুষ হিসেবে নিজেকে মারেফত চর্চায় মনোনিবেশ করেন।পরবর্তিতে বাবার থেকে তরীকতের খেলাফত প্রাপ্ত হয়ে সিলসিলার এই মহান দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত হন।
সৈয়দ মদরিস আলী ওরফে সৈয়দ লাল মিয়া সাহেব অত্যন্ত সুন্দর ও দুধে-আলতা মিশ্রিত রক্তিম আভাযুক্ত চেহারা ছিলো বলে ছোটোবেলায় তার শ্রদ্ধেয় পিতা তাকে আদর করে “লাল” বলে ডাকতেন।পরবর্তীতে তাই তিনি “লাল মিয়া সাহেব” নামেই অধিক পরিচিত ছিলেন।প্রথম জীবনে উনি বৃহত্তম কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত বি,বাড়িয়া তারই পূর্বপুরুষদের আদি নিবাস গােকর্ণ সাহেব বাড়ীর স্ব‑বংশীয় হয়রত সৈয়দ শাহ আলী আসগর দুলা মিয়া সাহেবের কন্যাকে বিবাহ করেন। ছােট ছােট সন্তান রেখে কয়েক বৎসর পর ১ম স্ত্রী ওফাতের পর নাসির নগর থানার অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী খান্দুরা হাবেলীর সৈয়দ সৈয়দ বশিরুল বাবরু মিয়া সাহেবের দ্বিতীয় কন্যা সৈয়দা বদরুন্নেছা খাতুনকে বিবাহ করেন।সংসার জীবনে ছিলেন ৪ পুত্র এবং ৪ কন্যা সন্তানের জনক।
প্রথম স্ত্রীর গর্ভজাত সন্তান সন্ততিগন যথাক্রমেঃ
১. মরহুম সৈয়দ আনিসুল হক, তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা,চিকিৎসক ও আধ্যাত্বিক জ্ঞান‑গুনে সমৃদ্ধ ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
২. মরহুমা সৈয়দা জমুই ।
৩. মরহুমা সৈয়দা আমুই।
অতঃপর স্ত্রীর গর্ভজাত সন্তান সন্ততিগন যথাক্রমেঃ-
১.মরহুম সৈয়দ এহিয়া বখ্ত (রহঃ), একাধারে সাংবাদিক,সাহিত্যিক‑গবেষক ও আরেফে ইরফানিয়াত মশহুর পীর ছিলেন।তাছাড়া তিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।সৈয়দ এহিয়া বখ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে পেশাগত জীবনে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।সূচনালগ্ন থেকেই দৈনিক ইত্তেফাক, সাথে জড়িত ছিলেন।তাছাড়া দৈনিক পূর্বদেশ, দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় তিনি গুরুত্বপূর্ন পদে বিভিন্ন সময় দায়িত্ব পালন করেছেন।পরিশেষে দৈনিক ইত্তেফাকের “বার্তা সম্পাদক” পদে দীর্ঘদিন দায়িত্বরত থেকে সাংবাদিকতা জীবনের ৫০ বছর পূর্ন করে ২০১৮ সালে ৭৫ বছর বয়সে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে এবং আত্মীয়‑স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও গুণগ্রাহী রেখে ইহজগত থেকে পর্দা করে তার পরম প্রভূর নিকট প্রত্যাবর্তন করেছেন।পেশাগত জীবনে তিনি সাংবাদিক হলেও এক্ষেত্রে নিজেকে অতটা ফোকাস না করে, সুন্দর ব্যক্তিত্ব আর জ্ঞানে-গুনে অসাধারন মুক্তচিন্তার এই মানুষটি মৌলিক ধর্মবিশ্বাস এবং পূর্বপুরুষদের লালিত আদর্শের ধারাবাহিকতার দায়িত্ব পালনেই মূলত আজীবন সচেষ্ট ছিলেন।তার মাজার শরীফ চন্দ্রচুড়ীতে অবস্থিত।
২. সৈয়দ খালেদ বখ্ত, এক সময়কার বিপ্লবী ছাত্র নেতা,একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পেশাগত জীবনে ছিলেন একজন ফার্মাসিস্ট।তিনি পূর্ব পাকিস্থানে বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা /১১ দফা সহ প্রতিটি ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেছেন।সৈয়দ খালেদ বখ্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে পরবর্তীতে তৎকালীন গভর্নম্যান্ট ইনষ্টিটিউট অব হেলথ্ টেকনোলজি, ঢাকা থেকে ফার্মেসী বিভাগে পড়াশোনা করে ৪ বছর মেয়াদী ডি. ফার্ম. কোর্স সম্পন্ন করেন।অত্র সরকারী মেডিক্যাল ইনষ্টিটিউটে পড়াকালীন সময়ে (১৯৬৮/৬৯ ইং) তিনি অত্র মেডিক্যালের ছাত্র সংসদের ভি.পি. নির্বাচিত হন।নেতৃত্ব দিয়েছেন বিভিন্ন সামজিক ও রাজনৈতীক কর্মকান্ডে। তিনি আগরতলা হতে গেরিলা প্রশিক্ষন নিয়ে নিজ এলাকায় এসে স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেন এবং স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষন প্রদান করেন।অত:পর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আর কোনো রাজনৈতীক কর্মকান্ডে জড়িত না হয়ে নিজ পেশা এবং পূর্ব পুরুষদের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে পীর মুরিদির দায়িত্ব পালনে রত আছেন।দেশে বিদেশে তাঁর অসংখ্য ভক্ত মুরিদান রয়েছে।
৩. মরহুম সৈয়দ আওয়াল বখ্ত,তিনি একজন সঙ্গীত অনুরাগী ছিলেন। নিজেও ভাল গাইতেন। প্রায় সময়ই তিনি এ সব বাদ্যযন্ত্রে মনােযােগ দিয়ে সঙ্গীতের মাধ্যমে ঐশী প্রেমে বিভাের হয়ে যেতেন।নিজের মতো করে নিরিবিলি ও নির্ঝন্জাট সময় কাটাতেন, আমৃত্যু বাহিরের জগতের সাথে তার তেমন সম্পৃক্ততা ছিলনা।
৪. সৈয়দা হায়াতুন্নেসা।
৫. সৈয়দা খায়রুন্নেসা হুর।
সৈয়দ মদরিস আলী ওরফে সৈয়দ লাল মিয়া সাহেব একজন পীরে কামেল ও উচ্চ পর্যায়ের শক্তিশালী মহান আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টির রহস্যের আধারে পরিচিতি লাভের অন্বেষণকরী ছিলেন এবং পাক পাঞ্জাতনের আদর্শ প্রতিষ্ঠার সাধক ছিলেন।মূলত মুহাম্মদী নুব্যুয়তের গৃহ থেকে যে ধর্ম,জ্ঞান ও শিক্ষা বিস্তৃতি লাভ করেছিলো পবিত্র আহলে বাইতের ইমামগনের মাধ্যমে, তারই ধারাবাহিকতায় সেই ধর্মীয় জ্ঞান এবং শিক্ষার প্রচার, প্রসার এবং অনুসরনই ছিলো ওনার মূল জীবনাদর্শ ও চেতনা। আজীবন আল্লাহর রাসূল (সা.) ও তার আহলে বাইত (আ.)গনের আদর্শের চেতনায় মানুষকে উজ্জীবিত ও অনুপ্রানীত করতে সচেষ্ট ছিলেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে মানুষ তার হাতে বায়াতে রাসূল গ্রহন করেন।দেশ‑বিদেশের অসংখ্য মুরিদান,ভক্তবৃন্দ ও গুনগ্রাহীদের মধ্যে এখনো বেচেঁ আছেন এমন অনেকের মুখে আজো শোনা যায় তাঁর জীবনের অসংখ্য আধ্যাত্নিক অলৌকিকতা ও কারামতের কথা। অনেকে বলে থাকেন, তার গম্ভীর ব্যক্তিত্বপূর্ন উজ্জল চেহারার দিকে তাকালেই শ্রদ্ধায় মস্তক অবনত হতো। স্বীয় আধ্যাত্নিকতার প্রাবল্যে অসংখ্য ভক্ত‑অনুরাগীকে তিনি মানবিকতার উন্নত স্থরে পৌঁছিয়েছেন।
সৈয়দ মদরিস আলী (রহঃ) ৩৬০ আউলিয়ার মধ্যে অনেক শক্তিশালী আউলিয়াগণের দরবার শরীফের এবং উরস অনুষ্ঠানের সভাপতি ও সেক্রেটারী ছিলেন ।তরফ পরগণার ৩৬০ আউলিয়ার প্রধান সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দীন (রঃ), সৈয়দ ইসরাইল বন্দেগী শাহ (রহঃ), সৈয়দ কুতুবুল আউলিয়া (রঃ) সহ মূড়ারবন্দের ১২০ আউলিয়া মাজার শরীফ, হযরত ফতেহ গাজী (রঃ),খরমপুর সৈয়দ শাহ্ গেছু দারাজ (রঃ) ওরফে কেল্লা শহীদের দরবার শরীফের সভাপতি ছিলেন।তিনি বাংলাদেশের বহু জেলায় পাক পান্জাতন মোকাম প্রতিষ্টা করেছেন।শহীদী কারবালার শানে বহু জারীও লিখেছেন এবং তিনি অত্যন্ত মধুর সূরে নিজেও জারী গেয়েছেন।
ইলমী জগতের এ মহান প্রদীপ ২০শে জুলাই ১৯৭৪ সাল, ৫ই শ্রাবন, ১লা রজব তারিখে নির্বাপিত হয়ে হায়াতে জিন্দেগী থেকে পর্দা করে মহান আল্লাহর দিদারে চলেযান। তিনি যখন যাকে যে কথা বলেছেন তা অক্ষরে অক্ষরে ফলেছে। তিনি মৃত্যুর কিছু দিন পূর্ব থেকেই তাঁর ওফাতের দিন তারিখ বলে ইন্তেকাল করেছেন।তার নিজ বাড়ীর সামনেই চন্দ্ৰচুড়িতে অবস্থিত হোসাইনী মোকামের পার্শ্বে আল্লাহর এই ওলী শুয়ে আছেন।প্রতি বছর ৫ই শ্রাবন বাংলা তারিখে তাঁর উরস শরীফ পালিত হয়।লাখ লাখ ভক্তবৃন্দের সুগমনে অনেক সুন্দর,সুষ্ঠ, নিরাপদ ও পবিত্রতার মধ্যদিয়ে অনুষ্টিত হয় পবিত্র বাৎসরিক ওরশ মোবারক।
ধন্যবাদ আপনাকে। সৈয়দ এহিয়া বকত সাহেবের জীবন চরিতামৃত পড়লাম। একটি অংশ ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত বুঝলাম না। তাঁর জীবনের বিরাট একটি অংশ জুড়ে আছে কবি শাহ্ মুফাখখারুল ইসলাম আলাভী সাহেবের অধীনে। আমি তার জীবন্ত স্বাক্ষী। বকত সাহেব তাঁর থেকে পীরালির সনদও নিয়েছিলেন। তার প্রতি সহানুভুতি দেখিয়ে কবি সাহেবের “আদি তরিকায়” লাল মিয়া রহঃ সাহেবের জীবনালোচনাও করে ছেন। মনে হয় নিজ খান্দানের কথা ভেবেই কবি শাহ্ মুফাখখারুল ইসলাম আলাভী রহঃ সাহেবকে অন্ধকারে রেখেছেন, এহিয়া বকত সাহেবের জীবন থেকে।
সালামুন আলাইকুম।আপনার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি,এখানে আপনি হাস্যকর ও উদ্ভট একটি বিষয় অবতরন করেছেন। তিনি নিজেই যেখানে পীরের নাতী, পীরের ছেলে, সর্বোপরি সৈয়দ খান্দান ও পীর বংশীয়, সেক্ষেত্রে অনেক পীর ফকিরদের সাথেই তার চলা ফেরা উঠা বসা ছিলো, তার মানে এই না যে তিনি নিজ বংশ কৌলিন্য, এবং তার পিতা একজন কামেল ওলী, তাকে বাদ দিয়ে অন্য কোন পীরের ভক্ত হয়ে যাবেন!আধ্যাত্নিক চিন্তা চেতনার মানুষগন জ্ঞান পিপাসু হন বিধায় তারা সকল মতামর্শের মানুষের সাথেই উঠা বসা করেন।এর উদ্দেশ্য মূলত চিন্তা-চেতনায় জ্ঞানতত্ত্ব, ধ্যানধারণা বিকশিত করা।ওনি কোন্ বংশের কিংবা এনার পিতৃপুরুষের ঐতিহ্য সম্পর্কে এদেশের মানুষ অবগত, তাই “পীরালীর সনদ” ওনাকে অন্য কারো থেকে নিতে হবে এই কথাটি নিতান্তই ভিত্তিহীন ও হাস্যকর।
This was both informative and hilarious! For further reading, check out: LEARN MORE. Any thoughts?
Very interesting info!Perfect just what I was searching for!Blog monry