সৈয়দ জিয়াউল হাসান আসাদ সিপাহসালার সৈয়দ নাসিরুদ্দীন রহঃএর অষ্টম অধস্থন পুরুষ নরপতি হাবেলীর সৈয়দ গদা হাসান রঃ এর বংশের এক নিভৃতচারী অধস্থন। সৈয়দ গদা হাসান থেকে বংশক্রম তার পিতা সৈয়দ আবুল হাসান(নুহ মিয়া) সাহেব পর্যন্ত নিম্নরুপঃ সৈয়দ গদা হাসান> সৈয়দ শরফুদ্দীন হাসান> সৈয়দ বদরুদ্দীন হাসান> সৈয়দ গওসুল হাসান> সৈয়দ সুলেমান হাসান> সৈয়দ সিরাজুল হাসান> সৈয়দ আবুল হাসান (নুহ মিয়া)।
হবিগঞ্জ জেলা শহরের শায়েস্তানগর আবাসিক এলাকার পৈত্রিক বাসস্থানে স্বাধীনতার ঠিক পরপরই আসাদ সাহেবের জন্ম। শহরে সদ্য প্রতিষ্ঠিত সর্বপ্রথম কিন্ডারগার্টেন ‘দি রোজেস’ স্কুলে পড়ালেখায় হাতেখড়ি। মাত্র আট বছরে পা রাখতে না রাখতেই ধর্মানুরাগী পিতামাতা সন্তানের আধুনিক ইসলামী শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে শিশু আসাদকে পাঠিয়ে দেন সিলেট শহরে। শহরের সুনামখ্যাত শাহজালাল জামেয়া স্কুলে শিশু আসাদের আধুনিক ইসলামী শিক্ষায় ঘটে বীরদর্প অভিষেক। কিন্তু হলে কি হবে? বাপ‑মায়ের স্নেহের আঁচল এর চেয়ে ফেলনা কিছু! একবছর যেতে না যেতেই আসাদ আবার বীরদর্পে প্রত্যাবর্তন করেন পিতামাতার কোলে। ভর্তি হন শহরের জে,কে এন্ড এইচ,কে স্কুলে। একসময় প্রেষণে(মানে স্কুল বদল করে) ভর্তি হন হবিগঞ্জ হাই স্কুলে অতঃপর হবিগঞ্জ গভর্নমেন্ট স্কুলে। এখান থেকে অষ্টম শ্রেণি সমাপ্ত করে চলে যান দেশের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ ঢাকার বাদশা ফয়সল ইনষ্টিটিউট। সেখান থেকে কৃতিত্বের সাথেই এস,এস,সি পাশ করেন, কিন্তু পারিবারিক কারনে তাকে আবার ফিরে আসতে হলো জন্মস্থান হবিগঞ্জে। ভর্তি হন ঐতিহ্যবাহী বৃন্দাবন কলেজে। বৃন্দাবন থেকে গ্রেজুয়েশন লাভ করে পলিটিকাল সায়েন্সে মাস্টার্স করেন ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। মাস্টার্সে অধ্যয়নকালীন সময়েই ল‑কলেজের ক্লাসও চালিয়ে যান সমান তালে। ল‑কলেজে অধ্যয়নকালীন সময়েই গঠন করেন সিলেট বিভাগীয় আইন ছাত্র পরিষদ। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসাবে এই সংগঠনটিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য কঠিন পরিশ্রম ও অগ্রনী ভুমিকা তিনি পালন করেছিলেন।
পড়ালেখা শেষ করে সৈয়দ জিয়াউল হাসান পেশাজীবনে প্রথমে প্রবেশ করেন একটি রপ্তানিমুখি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে। দুই বছর কাজ করে পাড়ি জমান বিলাত। বর্তমানে সেখানখার ‘হলি ডে ইন’ নামীয় একটা তারকা খচিত হোটেলে সুনামের সাথে কর্মরত আছেন। ইংল্যান্ডে অবস্থান করেও তিনি এদেশে ট্যুরিজম ব্যবসা ও কয়েকটা সি,এন,জি ষ্টেশন ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন।
সৈয়দ আসাদ স্কুলজীবন থেকেই শিক্ষা ও সেবামুলক সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় পারদর্শী ছিলেন। বর্তমানেও তিনি ইংল্যান্ড ও আমেরিকার একাধিক সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জরিত আছেন। তা ছাড়াও তিনি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইংল্যান্ডে হবিগঞ্জের কিছু মেধাবী তরুন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, আইঞ্জিবি ও প্রকৌশলীদেরকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন Unity of Habiganj নামে একটা সেবামুলক ফ্ল্যাটফর্ম। প্রতি বছর এই সংগঠন হবিগঞ্জের বেশ কিছু অসহায় ও দরিদ্রদেরকে শীতবস্ত্র বিতরণ এবং আর্থিক ভাবে দারিদ্র ছাত্র‑ছাত্রীদেরকে শিক্ষাবৃত্তি ও শিক্ষা সমাপনি বৃত্তি প্রদানের ব্যাবস্থা করে। সৈয়দ সাহেব ২০০২ সালে ওমরাহ্ এবং ২০১১ সালে হজ্ব ভ্রত সম্পাদন করেন।
সিপাহসালার সৈয়দ নাসিরুদ্দীন রহঃ ইন্সটিটিউশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসচিব জনাব সৈয়দ জিয়াউল হাসান আসাদ সাহেব সিপাহসালার রঃএর বংশধারার এ প্রজন্মের আউলাদগনের নৈতিক শিক্ষা ও সামাজিক অগ্রগতির লক্ষ্যে কাজ করে যেতে বদ্ধপরিকর।
Your humor added a lot to this topic! For additional info, click here: FIND OUT MORE. What do you think?
what is priligy tablets Composition 1 gel is a hereditary genesis, and future consultations