ঐতিহ্যবাহী খান্দুরা হাবেলীর সাধকপুরুষ সৈয়দ শামছুল আব্দাল হামিদ বখত, হরফে ডুমন মিয়া সাহেব ১৯১৯ সালের ১৫ই জুলাই রবি বার সুবেহসাদিকের সময় জন্ম গ্রহন করেন। সিপাহসালার(রহঃ)এর ষষ্ট অধস্থন পুরুষ সৈয়দ সালেহ মুহাম্মদ মিয়া খন্দকার(রঃ) থেকে সৈয়দ হামিদ বখত (রঃ)এর পিতা সৈয়দ সায়িদ বখত (রঃ) পর্যন্ত বংশক্রম নিম্নরূপঃ সৈয়দ সালেহ মুহাম্মদ> সৈয়দ ইব্রাহীম> সৈয়দ সোলেমান> সৈয়দ গোলাম জাফর> সৈয়দ আব্দাল> সৈয়দ শাহ কামাল> সৈয়দ আফজাল> সৈয়দ সায়িদ বখত।
কুমিল্লা হুসামিয়া মাদ্রাসার তুখুর ছাত্র, সিপাহসালার সৈয়দ নাসিরুদ্দীন রহঃএর ১৭ তম অধস্থনপুরুষ হযরত ডুমন মিয়া রহঃ সাহেবের শিক্ষা-দীক্ষা রিয়াযত‑রিয়াছত সব কিছুই সাধিত হয় তাঁর পিতা আরেক খ্যাতিমান আলেমে দ্বীন ও আধ্যাত্নিকপুরুষ সৈয়দ সায়্যিদ বখত রহঃ সাহেবের একান্ত তত্বাবধানে। সুকঠিন রিয়াযতের মাধ্যমে আধ্যাত্নিক সাধনায় সার্থক এই মনিষীর সবচেয়ে উল্যেখযুগ্য বৈশিষ্ট হচ্ছে, তিনি দান খয়রাতে অত্র এলাকায় একজন সিদ্ধপুরুষ বলে খ্যাত ছিলেন। বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও খানকা নির্মাণে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। বাড়ীর পাশেই তাঁর অছিয়তে নির্মিত অবৈতনিক বা দাতব্য মাদ্রাসা থেকে প্রতি বছর সমুদয় ছাত্ররা বিনা বেতনে বিনা খরচে শিক্ষা লাভ সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে স্বস্ব স্থানে ফিরে যাচ্ছে। কাশফ‑কারামত প্রদর্শনকারী এই সাধক প্রত্যেক সপ্তাহের বিশেষ তিন দিন, রমজানের সারা মাস, মহরমের প্রথম দশ দিন, জিলহজ্বের প্রথম দশ দিন এবং রবিউল আউয়াল মাসের মিলাদুন্নবী সঃ পর্যন্ত নিয়মিত ওজিফা পেশ, কোরান তালাওয়াত ও মিলাদ মাহফিলের প্রচলন করেছিলেন, যে ধারা অধ্যাবধি চলমান। তাঁর লিখিত পাণ্ডুলিপি সমুহের মধ্যে প্রকাশিত একটি পুস্তকের নাম ‘মুজমুয়া এ অজিফায়ে চিশত’।
খান্দুরা সৈয়দ পরিবারের এই সুযুগ্য সন্তান ৬৩ বছর বয়সে ১৯৭৯ সালের মে মাসের ২ তারিখে ইহলীলা ত্যাগ করেন।
দাদা