প্রবন্ধ

একদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, অন্যদিকে মামুনুলের দ্বিতীয় বউ,দ্বিতীয়তে ভাসছে সোনার বাংলাদেশ।

গতকাল সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে হেফাজতের নেতা মামুনুল হক যুবতী নারী‘সহ আটক শীর্ষক ঘটনা নিয়ে বরাবরের মতই গঠনমূলক সমালোচনা করে একটা পোস্ট করার পর বিভিন্ন জনের কমেন্ট ও ফেইসবুকে এর পক্ষে ও বিপক্ষে পোস্ট দেখে নিজেকে আর দু কথা লেখা থেকে বিরত রাখতে পারলাম না। আমার পোস্টে মন্তব্যকারীদের উদ্দেশ্য করে বলচি, কেউ যদি তার উচ্চতার কারনে আমার মাথা ছুতে না পারে তার কাছে মনে হতেই পারে যে আমার মাথা নেই। আপনাদের মত সাধারণ মানুষ যখন অসাধারণ মন্তব্য করে বসেন তখন উত্তর কুরআন শরীফের সূরা ইউনুছের ৪২,৪৩,৪৪ নং আয়াত দ্বারা স্মরণ করিয়ে দিতে চাইঃ “—তুমি বধিরদেরকে কি শোনাবে যদি তাদের বিবেক‑বুদ্ধি না থাকে। আবার তাদের মধ্যে কেউ কেউ তোমাদের প্রতি দৃষ্টিনিবদ্ধ রাখে; তুমি অন্ধদেরকে কি পথ দেখাবে যদি তারা মোটেও দেখতে না পারে। আল্লাহ জুলুম করেন না মানুষের উপর, বরং মানুষ নিজেই নিজের উপর জুলুম করে—”। আফসোসের কথা কি, কানাকে যে পথ দিয়েই নিয়ে যাওয়া হোকনা কেন সে সেই পথের মূল্যায়ন করতে পারে না।কোরআন ও হাদিসের আক্ষরিক অর্থ অনুসরণে মুসলিম জাতি আজ পথভ্রষ্ট। রূপক কোরানের আক্ষরিক অর্থ আসল অর্থ হিসেবে সমাজে প্রচারিত হওয়ায় মুসলিম জাতি পথভ্রষ্ট এবং জ্ঞানহারা হয়েছে। আক্ষরিক অংশ সাদৃশ্যপূর্ণ রূপক আবরণ যা কোরআন হাদিসের অর্থ নয়, আর তা প্রকৃত অর্থ হিসেবে সমাজে চালু থাকায় ভুল স্রোতে জাতীয় সত্ত্বা হারিয়ে যাওয়ার ছিল, এবং হারিয়ে গেছেও!
মুসলিম জাতির অধঃপতন এজিদী মাদ্রাসার শিক্ষার কারণে। মুনাফিক মুয়াবিয়া এজিদের চক্রান্তে মুসলিম জাতি ভুল পথেরই যাত্রী।কোরআন ও হাদিসের গূঢ়ার্থ, ধর্মের বাস্তবতা বুঝতে অক্ষম এজিদরা রূপক কাঠামোকে মনে করলো প্রকৃত ইসলাম। তারা মাদ্রাসা গড়ে তুললো, রূপক কাঠামো (তাশাবাহা) শিক্ষা দিতে লাগলো কোরান‑হাদিস শিক্ষার নামে। সত্য বাদ দিয়ে যারা রূপক তাশাবাহা অনুসরণ করে তারা আল্লাহর বিদ্রোহী- এটা মোল্লারা বুঝতে পারে নি। তাই এজিদী-কুফরী শিক্ষা মাদ্রাসায় চলছে। মাদ্রাসা শিক্ষা কোরআন শিক্ষা নয়। বরং কেউ যাতে কখনও জ্ঞানগর্ভ কোরআন জানতে না পারে তার উপর পাথর চাপা দেওয়ার শিক্ষা হচ্ছে- এই এজিদী মাদ্রাসা শিক্ষা। মাদ্রাসার কুশিক্ষার কারণেই জ্ঞানীলোকেরা নিঃশঙ্ক চিত্তে কথা বলতে পারেন না। এ দেশের উচ্চ শিক্ষিত লোকেরা মনে করেন, আরবি বিদ্বান‑মাওলানারা কোরআন বুঝে, কিয়ামত বুঝে- এ ভুল ধারণায় তাদের শিক্ষার মান তারা রাখতে পারে নি। তারা মৌলবাদকে উৎসাহিত করে জাতির অপূরণীয় ক্ষতি করে চলেছে। জ্ঞানের কথা প্রকাশ করলে আন্দোলনের নামে সত্যের বিরুদ্ধে কেন মিছিল হয়!? সরকারও কেন তখন নিষ্ক্রিয় থাকে?! দুর্লভ মানবজীবন যেন বরবাদ না হয় তার রক্ষাকবচ হিসেবে কোরানের হাকিকত রহস্য তুলে ধরলে এ দেশে জ্ঞানের গ্রন্থ বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। এটা দুঃখজনক হলেও সত্য। সত্য প্রকাশের অনুকূল পরিবেশ কোথায় ?! মুসলমানের দেশেই কোরান‑জ্ঞান বলা যায় না!
এবার আসি মামুনুল হকের প্রসঙ্গেঃ-
একদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, অন্যদিকে মামুনুলের দ্বিতীয় বউ,দ্বিতীয়তে ভাসছে সোনার বাংলাদেশ। সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে হেফাজতের নেতা মামুনুল হক যুবতী নারী‘সহ আটক। মামুনুল হক দাবি করেছেন মেয়েটি উনার দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রায় দুই বছর পূর্বে তিনি মহিলাটির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে এতদিন দ্বিতীয় স্ত্রী কোথায় ছিলেন? ধরা খাওয়া পর পরই দ্বিতীয় স্ত্রীর আবিষ্কার হয়ে গেল?! সত্যি পারেনও আপনারা ! যদিও (ফোনালাপ ফাঁস) রিসোর্ট থেকে মুক্তি পেয়ে প্রথম স্ত্রী কে ফোনে মামুনুল হক বলেন “পুরো বিষয় বাসায় এসে বলব মহিলা জাফর শহীদুল ইসলাম ভাইয়ের স্ত্রী!” এদিকে ফাঁস হওয়া ফোনালাপকে এডিট প্রমান করতে আপনাদের ভণ্ডামি দেখে আমি বিরক্ত, আপনাদের চেহারা দেখলে ঘেন্না লাগে। যারা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা আর না জেনে নির্বোধের মত কথা বলা এ যেন আপনাদের নিত্তনৈমিত্তিক পেশা। শুনুন একটা জিনিস নিশ্চিত কোন ফোন রেকর্ডই ফেইক না। সবই আসল! মামুনুল হকের ফোন রেকর্ড টা আসল, তার বোনের রেকর্ডও আসল। মামুনুলের প্রথম স্ত্রী জানেই না তার হাজব্যান্ড দুইবছর আগে বিয়ে করেছে। সে জানছে ফেসবুকে, লাইভ ভিডিও দেখে। এ কেমন মানবিক বিয়ের গল্প ? আরেকজনের ডিভোর্স হওয়া বৌকে মানবতা দেখাইলেন অথচ নিজের ঘরের বৌ এর জন্য মানবতা কই গেলো !? উনার স্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপ শুনেই বুঝা যাচ্ছে তিনি বিয়ে করলেও প্রথম বউয়ের অনুমতি নেয়নি! মামুনুল হক দ্বিতীয় বিয়ে করতেই পারে, এইজন্য কি প্রথম স্ত্রীর অনুমতি প্রয়োজন নেই!? ধরে নিলাম অনুমতি নেয়নি কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ে করার পর প্রথম বৌ তো জানার অধিকার রাখেনাকি !? মামুনুল হকের স্ট্যাটাস অনুযায়ী এরমাঝে দুইবছর চলে গেছে। তো এই দুইবছরে উনি উনার প্র‍থমে স্ত্রীকে জানানোর প্রয়োজন মনে করে নাই !? উনার বোন জানে,ভাগ্নে জানে, দলের নেতাকর্মী জানে, ফেসবুকের ডিফেন্ড করতে আসা সব পোলাপানও নাকি জানে মামুনুল বিবাহিত!অথচ বৌ জানে না!? মারাত্মক মানবতার বিয়ের গল্প ভাই! ইসলামের হেফাজত করবে আর আল্লাহ তার হেফাজত করবে না এটা কি হয়!! 
দেখুন কত বড় বেইমান, ধান্দাবাজ ! মামুনুল হক যখন তার বৌকে ঘটনা ফোনে বলে — সেখানেও বলে নাই যে মেয়েটাকে সে বিয়ে করেছে! সে বলেছে — সে শহীদুল ভাইয়ের স্ত্রী! কিন্তু সে আবার সাংবাদিকদের আল্লাহর কসম কেটে বলেছে, এই নারী নাকি তার ২য় স্ত্রী! এরপর বৌকে বললেন কেউ যদি তাকে কিছু বলে তাহলে সে যাতে বলে সব জানে! কেনো? কেনো বলবে সব জানে। হুজুর কেনো তার বৌকে মিথ্যা বলার ছবক দিবে? মিথ্যা বলা তো মহাপাপ!  যে লোক নিজের বৌকে মিথ্যা কথা বলার জন্য প্ররোচিত করতে পারে সে গতকাল কট খেয়ে আজকে মানবিক বিয়ের গল্পের নামে মিথ্যা গল্প বানায় নি তার নিশ্চয়তা কি? এরাই নাকি আপনাদের ধর্মীয় নেতা !?ওয়াক থু।
মামুনুল হকের স্ত্রী হোক, অন্য নারী হোক।এটা নিয়া আপনার মাথাব্যাথা না থাকলেও আমার অবশ্য মাথাব্যাথ্যা আছে।কে কার সঙ্গে কোথায় গেল, কোথায় সময় কাটাবে, তা ব্যক্তিগত ব্যাপার হতে পারে; কিন্তু কোনো সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তিরা যা করেন, সেটিকে ব্যক্তিগত বিষয় বলে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। আলেমদের সর্বক্ষে‌ত্রে তা‌দের দা‌য়িত্বশীলতার প‌রিচয় দেওয়া প্রয়োজন। মামুনুল হক দোষী না নির্দোষ সেটা জানার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে তবে সে যে মুখোশধারী ভন্ড প্রতারক এবং ন্যূনতম যোগ্য নেতা নয় সেটা এই ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গেল!
মামুনুল হক সাহেব কি ব্যাচেলর? দেশের এ পরিস্থিতিতে একজন এতবড় হেফাজত বুজুর্গ ব্যক্তি ২য় স্ত্রী নিয়ে লুকাই লুকাই হোটেলে যাবে কেন? ১৮ জনের লাশ পড়লো অথচ সে নাকি রিফ্রেশমেন্ট খুঁজছে রয়েল রিসোর্টে ! তরতাজা মানুষের মৃত্যুর কবরের ভেজা মাটি না শুকাতেই মামুনুল হ‌কের অবকাশ যাপ‌নের জন‌্য কি খুবই প্রয়োজন ছিল রিসোর্টে যাওয়া !? এই হুজুররা নবী (সাঃ) এর পেটে পাথর বেঁধে ক্ষুধা নিবারণের ওয়াজ করে রাতভর মানুষকে কাঁদাবেন আর ব্যক্তিগত জীবনে সুযোগ পেলেই এভাবে রিসোর্টে ঘুরে বেড়ান। চলমান পরিস্থিতিতে, যেখানে হেফাজতের ১৮ জন কর্মী নিহত এবং শত শত কর্মী আহত সেই পরিস্থিতিতে তার অবকাশ যাপনের মানসিকতা হয় কি করে !? এটাই ভণ্ডদের চরিত্র সাধারণের মধ্যে ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে নিজে রিফ্রেশমেন্টে থাকা ওই ১৮টি পরিবারের কথা কি একবার ভেবে দেখেছেন আপনারা!? একবার জন্য কি খোঁজ নিয়ে দেখেছেন ওই পরিবারগুলো কিভাবে দিন অবিবাহিত করছে !? আপনাদের যখন ঐ পরিবারগুলোর পাশে থাকার কথা ছিল নাকি রিফ্রেশমেন্ট খুঁজতে রয়েল রিসোর্টে!? এ নিয়ে তারা রাষ্ট্র‑সরকারকে প্রশ্ন করে না। তাদের রিফ্রেশমেন্ট চাই! এখানে ভণ্ডদের শ্রেণীচরিত্র খুবই স্পষ্ট যে সময়ে শোক করার কথা, সে সময়ে তারা এলিট রিসোর্টে কথিত রিফ্রেশমেন্টে! ধিক্কার এমন আলেমরুপী জালেম নাপাক কুলাঙ্গার দুর্গন্ধময় নর্দমার কীটগুলোর প্রতি যে কিনা তার অনুসারীদের বিয়োগান্তক ব্যাথায় অশ্রুপাত না করে, অট্টহাসি দিয়ে রিফ্রেশমেন্ট খুঁজতে যায় রয়েল রিসোর্টে! তারপরও নির্বোধ মানুষগুলো মনে করে যে, শান্তি বিনষ্টকারী বদমাইশ এই মোল্লারাই ইসলামের রক্ষক ও ধারক বাহক। আর যারা বলছেন উনাকে ফাঁসনো হয়েছে,আমার প্রশ্ন উনি ফাসবেন কেন? যদি কেউ ফাঁদ পাতে, তা থেকে দূরে থাকতে পারলেন না কেন? আপনার ভাষ্যমতে আপনাকে ফাসানো হতে পারে কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বর্তমান সরকারের হেফাজতের যেরকম অবস্থান তাতে কি তার বোঝার কথা নয় তার যেকোনো সময় সমস্যা কিংবা ষড়যন্ত্র হতে পারে? এত বড় তেজী গলার আলেম! কেউ ফাসাবে, আর অমনি ফেঁসে যাবেন!? হাস্যকর!সত্যি হাস্যকর!
এবার আসি মামুনুল হকের ভক্তদের প্রসঙ্গেঃ-

আপনি যদি হেফাজত কর্মী হোন, অথবা হেফাজত সমর্থক হোন অথবা মামুনুল হকের ভক্ত; তার এই অসময়ে আপনি তাকে ডিফেন্ড করবেন, নানা যুক্তি দিবেন তার পক্ষে,তাতেও কোন সমস্যা নাই। আপনি আপনার নেতার পাশে দাড়াবেন খুবই স্বাভাবিক  কিন্তু মাঝখান থেকে ইসলাম ধর্মকে টেনে নিয়ে আসবেন না। মামুনুল হক মানেই ইসলাম না; হেফাজত মানেই ইসলামের ধারক বাহক না। তারা পলিটিশিয়ান! পলিটিক্স করতে গেলে অনেক কাহিনী থাকবে এটাও স্বাভাবিক।কেউই ধোয়া তুলসী পাতা না। সবার মধ্যেই ভেজাল আছে। কিন্তু ইসলামে কোন ভেজাল নাই। আপনি যখন ভেজাল মানুষকে ইসলাম দিয়ে ডিফেন্ড করতে যাবেন তখন আপনি ইসলামকেও ভেজাল বানাচ্ছেন।আপনি আপনার নেতাকে ডিফেন্ড করেন যেভাবে ইচ্ছ কিন্তু প্লিজ ইসলামকে টাইনেন না। সূরা আল-আ’রাফ এর ১৭৯ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেনঃ- “—আর অবশ্যই আমি সৃষ্টি করেছি জাহান্নামের জন্য বহু জিন ও মানুষকে। তাদের রয়েছে অন্তর, তা দ্বারা তারা বুঝে না; তাদের রয়েছে চোখ, তা দ্বারা তারা দেখে না এবং তাদের রয়েছে কান, তা দ্বারা তারা শুনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তারা অধিক পথভ্রষ্ট। তারাই হচ্ছে গাফেল—”। অতঃপর পুনরায় সূরা আনফালের ২২ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেনঃ- “—আল্লাহর নিকট নিকৃষ্টতম জীব সেই মূক ও বধির যারা কিছুই বোঝে না—”। মানুষের সঙ্গে অন্যান্য জীব‑জন্তুর পার্থক্য হচ্ছে মানুষের বুদ্ধি ও চিন্তাশক্তি আছে, আর অন্যান্য জীবজন্তুর তা নেই। কাজেই মানুষ যদি কাজে-কর্মে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তার চিন্তাশক্তি বা বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগায়, চিন্তা-ভাবনা বা যাচাই‑বাছাই ছাড়াই অন্যের কথায় চলতে থাকে বা অন্যকে অন্ধভাবে অনুসরণ করতে থাকে তাহলে এই মানুষ আর পশুর মধ্যে পার্থক্য কী থাকে? কাজেই যারা বিবেক‑বুদ্ধি এবং চিন্তাশক্তিকে কাজে লাগায় না, অন্যের অন্ধ অনুসরণ বা অনুকরণ করতে থাকে, নিজেও যখন কোনো কথা বলে তাতেও চিন্তা বা জ্ঞান বুদ্ধির কোনো ছাপ থাকেনা এ ধরনের মানুষকে এই আয়াতে পশুর চেয়েও অধম বলা হয়েছে। কারণ পশুর বুদ্ধিবৃত্তি বা চিন্তাশক্তিই নেই, তাই পশুর কাছ থেকে তা আশা করা যায় না। আর মানুষকে আল্লাহতালা এই শক্তি দিয়েছেন। তারপরও যারা এর মর্ম বুঝে না তারা পশুর চেয়ে নিকৃষ্টের পর্যায়ে পড়ে যায়।

 

সূরা আনফালের ২৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছেঃ “—আল্লাহ যদি তাদের মধ্যে ভালো কিছু দেখতেন তবে তিনি তাদেরকেও শোনাতেন, কিন্তু তিনি তাদের শোনালেও তারা উপেক্ষা করে মুখ ফেরাত—”।আগের আয়াতে বলা হয়েছিল, অনেকের কান থাকা সত্ত্বেও সত্যের আহ্বান শুনতে পায় না এবং বাকশক্তি থাকা সত্ত্বেও সত্য প্রকাশের সময় বোবা হয়ে যায়। আর এ আয়াতে বলা হচ্ছে, মহান আল্লাহ এ ধরনের লোকদের অন্তরকে পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখা সত্ত্বেও তারা তাদের নিকৃষ্ট ও হীন কাজ‑কর্মের মাধ্যমে সত্যকে গ্রহণ করার মন‑মানসিকতা হারিয়ে বসেছে। যার ফলে তাদের মধ্যে ভালো কোন প্রবণতা অবশিষ্ট নেই। তাছাড়া, এ ধরনের লোকেরা মনে মনে সত্যকে উপলব্ধি করলেও সেটা প্রকাশ করতে মেনে নিতে চায় না। ইয়া রাব্বুল ইজ্জত! মুসলমানদের মাথায় জ্ঞান‑বুদ্ধি দাও,প্রজ্ঞা দাও। সত্য ও মিথ্যা, হক ও বাতিল মধ্যে পার্থক্য করার মত সামর্থ দাও।

About the author

Syed Hossain ul Haque

সৈয়দ হোসাইন উল হক তরফ ও শ্রীহট্ট বিজয়ী মহান মনিষী সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন (রহঃ)এর অধস্থন পুরুষ ‘নবী বংশ পরিচিতি ও মহান কোরবানি’ গ্রন্থের লেখক, হবিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সুরাবই সাহেব বাড়ীর সিংহপুরুষ সৈয়দ মোঃ ইসহাক আল হুসাইনী (রহঃ)সাহেবের মেঝ ছেলের ঘরের বড় নাতি।মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাজ্য গমন অতঃপর ইউনিভার্সিটি অফ সান্ডারল্যান্ড থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্টে অনার্স এবং কুইন মেরী ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এন্ড পলিটিক্সের উপর এম এস সি। তারপর ২০১৮ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ইসলামিক স্টাডিজ এন্ড হিস্টোরি’তে এম-ফিল। শিক্ষানবিশ কালে সেই সকল বিশ্ববিদ্যালয় সমুহের বিভিন্ন ছাত্র সংঘটনের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।বর্তমানে লন্ডনে স্থায়ী ভাবে বসবাস করছেন পাশাপাশি লন্ডনের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজারের দায়িত্বরত।তাছাড়াও যুক্তরাজ্যে একটি ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটর লেকচারার ও গবেষনা কেন্দ্রে অবিরাম বিভিন্ন বিষয়ে গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছেন।আল-কোরআন ও হাদীসের আলোকে “যবহে আজিম এবং জিকিরে শাহাদাত”শীর্ষক গ্রন্থখানা তার দীর্ঘ গবেষনা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল।

মন্তব্য

  • It is actu­al­ly a great and use­ful piece of info. I’m hap­py that you sim­ply shared this help­ful info with us. Please keep us informed like this. Thanks for sharing.

মতামত দিন