আজ হতে ১৪৪৫ চন্দ্র‑বছর আগে এই দিনে (১০ই রমজান, হিজরতের তিন বছর আগে) ইন্তিকাল করেছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)‘র প্রথম স্ত্রী উম্মুল মু‘মিনিন হযরত খাদীজাতুল কুবরা সালামুল্লাহি আলাইহা। রাসূলুল্লাহ্র (সা:) জীবনে হযরত খাদীজাতুল কুবরা সালামুল্লাহি আলাইহা ছিলেন আল্লাহ তা’আলার এক বিশেষ নেয়ামত স্বরূপ। দীর্ঘ পঁচিশ বছর যাবত আল্লাহ্র নবীকে (সা:) সাহচর্য দিয়ে, সেবা-যত্ন দিয়ে, বিপদাপদে সাহস ও শক্তি যুগিয়ে, অভাব‑অনটনে সম্পদ দিয়ে, প্রয়োজন মত প্রেরণা ও পরামর্শ দিয়ে শিশু ইসলামের লালন‑পালনের ক্ষেত্রে তিনি যে অসামান্য অবদান রেখেছেন ইসলামের ইতিহাসে তা তুলনাহীন। হযরত খাদীজাতুল কুবরা সালামুল্লাহি আলাইহা‘র পবিত্র স্মৃতি যখনই স্মরণে আসত বিশ্বনবী (সা.)‘র পবিত্র দু চোখ বেয়ে ঝরে পড়ত অশ্রুধারা। অন্য কোনো স্ত্রীই হযরত খাদিজা (সা.আ.)‘র সমকক্ষ নন বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
একবার বিশ্বনবী (সা.)’র কোনো এক স্ত্রী নিজেকে হযরত খাদিজা (সা.আ.)’র চেয়ে উত্তম বলে দাবি করলে আল্লাহর রাসূল (সা:) তাকে তিরস্কার করে বলেনঃ “আল্লাহর কসম, মহান আল্লাহ আমাকে তাঁর চেয়ে কোনো উত্তম স্ত্রী দান করেননি।যে সময় লোকেরা আমাকে মিথ্যাবাদী বলেছিল তখন তিনিই আমাকে সত্য বলে মেনে নিয়েছিলেন, যখন অপরেরা আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল, তখন তিনিই আমার উপর আস্থা স্থাপন করেছিলেন, যখন অন্যেরা আমাকে বঞ্চিত করেছিল, তখন তিনি আমাকে তাঁর সম্পদে অংশীদার করেছিলেন এবং আল্লাহ আমার অন্য সব স্ত্রীর মাধ্যমে আমাকে কোন সন্তান দেননি। কিন্তু তাঁরই মাধ্যমে আমাকে সন্তান দ্বারা অনুগৃহীত করেছিলেন”।
সূত্রঃ প্রাগুক্ত পৃঃ ২২৬; মুসনাদে আহমদ ৬ষ্ঠ খণ্ড পৃঃ ১১৮, বুখারি শরিফ।
উম্মুল মু‘মিনিন হযরত খাদীজাতুল কুবরা (সালামুল্লাহি আলাইহা) ছিলেন সর্বপ্রথম মুসলমান। ইসলামের শুরুতে যখন হযরত মুহাম্মাদ (সা.)এর কোন সাথী ছিল না এবং সকলে তাঁকে শত্রুর চোখে দেখত, ঠিক তখনই তিনি তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন এবং তার জীবনে অর্জিত অঢেল অর্থ ও সম্পদ ইসলামের জন্য বিলিয়ে দেন।দরিদ্র আর নির্যাতিত নও‑মুসলিমদের খাবার দেয়া, কাপড় ও পোশাক দেয়া ও তাদের আশ্রয় দেয়ার কাছে নিজের সব সম্পদ বিলিয়ে দেন হযরত খাদিজা।বরোধের বছরগুলোতে হজরত খাদিজা (রা.) ঈমানদারদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে সব সম্পদ ব্যয় করেছিলেন। ফলে মৃত্যুর সময় তার কাছে ছিল না কোনো বস্তুগত সম্পদ। একমাত্র সন্তান ফাতিমার জন্যও তাই রেখে যাননি একটি মুদ্রাও।এমনকি তার মৃত্যুর পর কাফনের কাপড় কেনার অর্থও তার ঘরে ছিল না।প্রিয় স্বামীর আলখাল্লা তথা আবাটি তার কাফনের কাপড় হিসেবে ব্যবহৃত হয়।তার একটি দৃষ্টান্ত এখানে তুলে ধরলামঃ-
“উম্মুল মু‘মিনিন হযরত খাদীজাতুল কুবরা সালামুল্লাহি আলাইহা মৃত্যুর প্রাক্কালে তাঁর আশপাশের অনেকেই তাঁকে কাঁদতে দেখেন। এ সময় তাঁর পাঁচ বছরের কন্যা হযরত ফাতিমা (সা. আ.) কান্নার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেনঃ তোমার বাবার কাছে আমার একটা অনুরোধ আছে, কিন্তু তা চাইতে আমার লজ্জা হচ্ছে। আর এই অনুরোধটা হল, আমি এমন অবস্থায় দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছি যে আমার কোনো কাফনের কাপড়ও নেই। প্রিয় ফাতিমা! তুমি তোমার বাবাজানকে বল, যদি সম্ভব হয় তাহলে তিনি যেন তাঁর জামার ওপরের ঢিলেঢালা আলখাল্লা তথা আবাটি আমাকে যেন কাফন হিসেবে দান করেন,যা তিনি নামাজের সময় ব্যবহার করেন।যা পরে তিনি হেরা গুহায় যেতেন এবং ওই আবা পরা অবস্থায় তাঁর ওপর ওহি নাজেল হয়েছিল।মহানবীর (সাঃ) কাছে যখন তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীর এই আর্জি পৌঁছল, তখন তাঁর চোখ বেয়ে ঝরে পড়ল অশ্রু। তিনি বললেনঃ আমাদের ওপর খাদিজার হক এর চেয়েও বেশি। এরপর তিনি নিজের আবাকে খাদিজা (আঃ)’র কাফন হিসেবে ব্যবহার করতে দিলেন। আর এমন সময় জিবরাইল (আঃ) নাজিল হন। তিনি বললেনঃ হে আল্লাহর রাসুল! মহান আল্লাহ আপনার কাছে সালাম পাঠিয়েছেন এবং তিনি বলেছেন যে, যেহেতু খাদিজা তার সব সম্পদ আমার রাস্তায় ব্যয় করেছে তাই আমি নিজেই তার কাফনের ব্যবস্থা করার জন্য বেশি উপযুক্ত। ফলে তাঁর জন্যই পাঠানো হয় প্রথম আসমানি কাফন যা আর কারো জন্য এর আগে করা হয়নি। মহানবীও (সাঃ) প্রথমে নিজের আবা দিয়ে ও পরে তার ওপরেই মহান আল্লাহর পাঠানো উপহারের কাপড় তথা বেহেশতি কাপড় দিয়ে হযরত খাদিজাকে কাফন দেন। মহানবী (সাঃ) নিজেই খাদিজার (আঃ) লাশকে গোসল করিয়েছিলেন।
সূত্রঃ শাজারে তুবা, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা-২২।
বলা হয়ে থাকে বিশ্বনবী (সা.)‘র চারিত্রিক সুষমা ও মহানুভবতা, হযরত আলী (আ.)‘র তরবারি এবং হযরত খাদিজা (সা. আ.)‘র অঢেল সম্পদ ছাড়া ইসলাম কখনও এতটা বিকশিত হতে পারত না।তার একটি উদাহরণ এখানে আমার প্রিয় শ্রদ্ধেয় জনাব জাহিদ আহমেদ ভাইয়ের টাইমলাইন থেকে তুলে ধরলামঃ-
জনাবে তাহেরা (সা. আ.) ছিলেন সেই স্বত্তা যার সম্পদের বিনিময়ে শুরু হয়েছে ইসলামের সুত্রপাত! ইসলাম প্রচারের সূচনালগ্নে মাওলা মুহাম্মদ যখন দ্বীনের দাওয়াত দিতেন তখন সবাই মুখ ফিরিয়ে চলে যাচ্ছিলেন, কেউ মাওলার কথা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না বা কেউই তার বাপ দাদার ধর্ম থেকে সরে আসতে আগ্রহ পাচ্ছিলেন না। সেই সময়ে এগিয়ে আসেন জনাবে তাহেরা মা খাদিজা, বাসার সামনে চাদর বিছিয়ে তাতে মুদ্রা আর স্বর্নালংকারের স্তুপ করে সবাইকে ডাকতে থাকেনঃ “এসো মুহাম্মদের কলেমা পড়ো, আর যার যা লাগে নিয়ে যাও, দুনিয়াতেও খুশি থাকো আর আখেরাতেও খুশী থাকো।“ অনেকেই দান গ্রহন করে কলেমা পড়ে মুসলিম হয়, আবার কেউ কেউ ভাব দেখায় আমার সম্পত্তি লাগবেনা বলে! তাদেরকে বিবি বলেনঃ “তাহলে আমার কর্জ ফেরত দাও, আর না হয় মুহাম্মদের কলেমা পড়, কর্জ মাফ!” এত লোভনীয় সুযোগ হাতছাড়া করেনি তারা, তাদেরই কেউ কেউ আজ গনী নামে পরিচিত। দিন শেষে যখন মা খাদিজা খালি চাদর থেকে ধুলি ঝাড়তেন তখন আমার মাওলা হেসে বলতেনঃ “বিবি তোমার সব সম্পদ তো শেষ হয়ে যাচ্ছে!” আমার মা ও হেসে বলতেনঃ “ইয়া মাওলা! এগুলি আপনার হাসির সদকা! এ তো কিছুই নয়, আপনার হাসির জন্য এই কানিজের জানও কোরবান!”
রেওয়ায়েতে আছে একবার হযরত জিবরাঈল (আ.) মহানবী (সা.)-কে বলেনঃ জনাবে খাদিজা (সা.আ.) বাটিতে করে কিছু একটা নিয়ে আসছেন। আপনি তাঁকে আল্লাহর এবং আমার সালাম পৌঁছাবেন। আর একবার মহানবী (সা.)-এর কাছে যখন হযরত জিবরাঈল (আ.) ছিলেন, সে সময়ে জনাবে তাহেরা (সা. আ.)-ও চলে এসেছিলেন। হযরত জিবরাঈল (আ.) তখন বলেন, তাঁকে জান্নাতে মণিমুক্তা খচিত এক গৃহের সু-সংবাদ জানিয়ে দিন। ইমাম মুহাম্মদ বিন আলী আল বাকের (আ.) হতে বর্ণিত হয়েছেঃ “হযরত মুহাম্মাদ (সা.) মিরাজ থেকে ফিরে আসার পথে হযরত জিবরাইলকে (আ.) বললেন, আপনার কোন ইচ্ছা আছে? হযরত জিবরাইল (আ.) উত্তরে বললেনঃ আমার ইচ্ছা আপনি আমার এবং মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে হযরত খাদিজা (সা. আ.)কে সালাম পৌঁছে দেবেন।” এসব কল্যাণময় উক্তির উৎস নিঃসন্দেহে আল্লাহর ওহী এবং এই হচ্ছে হযরত খাদিজা (রা.)-এর মহান চরিত্রের ঐশী উল্লেখ। কেননা, হযরত ইমাম মাহদী (আ.) এর মতে ইসলামী বেহেশত, এই জগতের ঈমান এবং কর্মের এক প্রতিচ্ছবি।
সূত্রঃ জামেয়াতুল মগীর উল সিউতী, খন্ড‑২, পৃষ্ঠা ২ / উমুদুল গাবা, খন্ড‑৫, পৃ. ৪৩৮ ৩. ইসলামী নীতিদর্শন, পৃ. ৭২।
হযরত খাদিজা (সা. আ.) জন্মের পূর্বে, ঐশী গ্রন্থ ইঞ্জিল যা হযরত ঈসার (সা.) উপর অবতীর্ণ হয়েছিল তাতে “বরকতময় নারী ও বেহেশতে হযরত মরিয়মের (আ.) সাথী” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমনঃ যেখানে হযরত ঈসাকে (আ.) উদ্দেশ্য করে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ তার বংশধর বরকতময় থেকে যিনি বেহেশতে তোমার মাতা হযরত মরিয়মের (আ.) সাথী। হযরত খাদিজা সালামুল্লাহি আলাইহা‘র পদমর্যাদা এত বেশি মূল্যবান ছিল যে, আল্লাহ তাঁর আসমানী কিতাব তাওরাত যা হযরত মুসা (আ.) এর উপর নাজিল হয়েছিল, তাতে উল্লেখ করেছেন যেঃ “হযরত খাদিজার (সা. আ.) উপমা ঐ নদীর পানির সাথে যে পানি আবে হায়াত নামে প্রসিদ্ধ এবং যে নদীর দুই ধারে জীবন বৃক্ষ আছে, যে বৃক্ষের বারোটি ফল আছে আর ঐ বৃক্ষের পাতাগুলো হচ্ছে উম্মতের জন্য নিরাময় স্বরূপ।” যদিও অন্ধকার যুগে সচ্চরিত্র নারী খুবই কম ছিল ও অনেক নারীই সে যুগে অসৎ কর্মে লিপ্ত ছিল কিন্তু হযরত খাদিজা (সা. আ.) সে যুগেও তার সর্বদিক থেকে পবিত্রতার জন্য “তাহেরাহ” অর্থাৎ পবিত্রা উপাধি অর্জন করেছিলেন।তার ব্যক্তিত্ব সে যুগেও এত বেশী উচ্চ পর্যায়ে ও সম্মানের পাত্র ছিল যে, তাকে সবাই “সায়্যেদাতুন নেসাওয়ান” বা নারীদের সর্দারিনী বলে ডাকতেন।সংক্ষিপ্তাকারে বলতে হয় যে, অন্ধকার যুগের নরীদেও মধ্যে হযরত খাদিজার (সা. আ.) অবস্থান এতটাই প্রিয়ভাজন ও সম্মানিত ছিল যে, পূর্ণতা ও উচ্চ মর্যাদার ক্ষেত্রে ছিলেন অনুপম। সে কারণেই বিবাহের পর রাসূল (সা.) তাকে “কুবরা” বা পরিপূর্ণ ও উচ্চাসন উপাধি দিয়েছিলেন। ইমাম হাসান (আ.) যার সৌন্দর্য্য বনী হাসিমের সবার নিকট উপমা হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। তিনি স্বয়ং এক বক্তব্যে বলেছেনঃ “যখন আল্লাহ তায়ালা সবার চিত্রাঙ্কন করছিলেন আমিই সবচেয়ে বেশী তার সাথে অর্থাৎ হযরত খাদিজার (সা. আ.) সাথে সদৃশ্য ছিলাম”।
অপর একটি রেওয়ায়তে বর্ণিত আছে যে, মক্কার কাফির মুশরিকগণ যখন রাসুল (সাঃ) ও তার সমস্ত সমর্থনকারী দের কে মক্কা হতে বহিস্কার করে তখন হযরত আবু তালিব (আঃ) একটি স্থানে রাসুল ও তার অনুসারী দের কে নিয়ে আশ্রয় নেন যার নাম শোয়াব‑এ-আবু তালিব, এই অঞ্চলে কাফিরগন সকল পানি ও খাদ্য সরবরাহ অবরোধ করে দেয় যার ফলে উম্মুল মু‘মিনিন হযরত খাদীজাতুল কুবরা সালামুল্লাহি আলাইহা খাদ্যহীনতায় গুরুতর দূর্বল ও অসুস্থ হয়ে পড়েন কিন্তু তবুও নিজের বাবার বাড়িতে যেতে চাননি, তার মুখে শুধু রাসুলুল্লাহর ভালবাসা ও ঈমানের সাক্ষ্য পাওয়া যেত । তিনি অন্তিম মূহুর্তে অসিয়ত করেনঃ তার ৬ বছরের কন্যা ফাতিমা (সাঃআঃ) কে উদ্দেশ্য করে, এই কন্যা যেন উম্মত থেকে কখনও কষ্ট না পায় কারন এই উম্মতের যত অর্থ ও সহযোগিতা প্রয়োজন ছিল তার সবই তিনি দান করে দিয়েছেন। মওলা মুহাম্মদ (সাঃ) কাদতে কাদতে বলেনঃ“হে খাদিজা! আপনাকে আমি কোনো সুখ দিতে পারলাম শুধু কঠিন ও ধৈর্য্যের সময়গুলো আপনি নিজের জীবনে পেয়েছেন!” উম্মুল মু‘মিনিন হযরত খাদীজাতুল কুবরা সালামুল্লাহি আলাইহা’র এর দেহ খাদ্যহীনতার প্রভাবে প্রচুর দূর্বল ও অসুস্থ ছিলো এবং তার দেহের বিভিন্ন অংশ হাড়ের সাথে মিশে গিয়েছিলো।তবুও তিনি আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং বলেনঃ “আল্লাহর রাসুলের উপর যারা এভাবে অবরোধ দিয়ে তাকে কষ্ট দিচ্ছে তারা কতইনা যালিম, আমি তাদের জন্য আল্লাহর ন্যায়বিচার কামনা করি । ” রাসুল(সাঃ) অনুরোধ করে বলেনঃ “হে খাদিজা! আপনি আমার নিকট কিছু চান, আমি আপনাকে দিব। ” হযরত খাদিজা (সাঃআঃ) বলেনঃ “আমি ক্ষুদার্ত আছি তবে খাবার নয় কিন্তু আপনি যদি অনুমতি দেন তাহলে আমি আপনার পবিত্র জামা কে নিজের কাফন রুপে নিতে চাই। ” রাসুলুল্লাহ(সাঃ) অবশেষে প্রিয় স্ত্রীর এই চাওয়া কে পূর্ণ করেন।বিদায় নেন রাসুলুল্লাহর ব্যথিত মন কে যিনি শান্তি দিতেন, প্রিয়নবীর হাতে হাত রেখে যিনি তার প্রত্যেক কদমে সহায়তা করেছেন, সেই প্রিয়তমা।
উম্মুল মু‘মিনিন হযরত খাদীজাতুল কুবরা সালামুল্লাহি আলাইহা‘র নবুয়্যত ঘোষণার দশম বছরে ১০ই রমজান মক্কাতে ইন্তেকাল করেন।প্রকৃতার্থে তিনি শেবে আবু তালিবে (আবু তালিব উপত্যকাতে) ৩ বছর বন্দী অবস্থায় তার উপর যে অত্যাচার ও নির্যাতন করা হয়েছিল সে কারণে বলা যেতে পারে তিনি শাহাদত বরণ করেছেন মৃত্যুকালীন বয়স ৬৫ বছর। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) উনার পবিত্র দেহকে নিজের জামার সাথে মাটির মধ্যে দাফন করেন এবং খুব কান্না করেন।মা কে হারিয়ে ৬ বছর বয়সী কন্যা ফাতিমা যাহরা (সাঃআঃ) ও কান্নায় লিপ্ত হোন। শিশু কন্যা ফাতিমা (সা. আ.)’কে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে নির্বাক হয়ে পড়েন মহানবী (সা) যখন ফাতিমা (সা. আ.) প্রশ্ন করেনঃ বাবা! আমার মা কোথায় গেছেন? এ সময় ওহির ফেরেশতা জিব্রাইল (আ) নেমে এসে মহানবীকে বলেনঃ আপনার প্রভু আপনাকে নির্দেশ দিয়েছেন ফাতিমাকে এটা বলতে যে তিনি (মহান আল্লাহ) ফাতিমার কাছে সালাম বা দরুদ পাঠিয়েছেন এবং বলেছেন, তোমার মা রয়েছেন (খাদিজা) রয়েছে কিংখাব বা বুটিদার রেশমি কাপড়ের এমন একটি ঘরে যার প্রান্ত বা দেয়ালগুলো সোনার নির্মিত ও খুঁটিগুলো চুনি বা রুবি পাথরের তৈরি। ঘরটি রয়েছে আসিয়া বিনতে মুজাহিম (জালিম ফেরাউনের মুমিন স্ত্রী) এবং মারিয়াম বিনতে ইমরানের তথা হযরত ইসার মায়ের ঘরের মাঝখানে।
উম্মুল মু‘মিনিন হযরত খাদীজাতুল কুবরা সালামুল্লাহি আলাইহা‘র পবিত্র মাজার শরীফ মোয়াল্লা নামক কবরস্থানে যার অপর নাম আবু তালিবের কবরস্থান।যে বছর হযরত খাদিজা (সা. আ.) ইন্তিকাল করেন সেই বছর ইন্তিকাল করেন রাসূল (সা.)‘র প্রিয় চাচা ও অভিভাবক হযরত আবু তালিব(রা.)। তাই এ বছরটিকে ইসলামের ইতিহাসে ‘আমুল হোজন’ বা ‘দুঃখের বছর’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। আপনার প্রতি সালাম,যিনি জীবনে অর্জিত অঢেল অর্থ ও সম্পদ ইসলামের জন্য বিলিয়ে দিয়ে হেসে বলতেন “ইয়া মাওলা! এগুলি আপনার হাসির সদকা! এ তো কিছুই নয়, আপনার হাসির জন্য এই কানিজের জানও কোরবান!
আজ ১০ রমজান উম্মুল মু‘মিনিন হযরত খাদীজাতুল কুবরা সালামুল্লাহি আলাইহা‘র পবিত্র ওফাত দিবসে সবাইকে জানাচ্ছি গভীর শোক ও সমবেদনা এবং এই মহান সত্তার শানে পেশ করছি অসংখ্য দুরুদ ও সালাম।
সংকলন সংযোজন সম্পাদনা
This was both informative and hilarious! For further reading, check out: LEARN MORE. Any thoughts?
I9BET duoc menh danh la mot trong nhung san choi cung cap cac dich vu giai tri chuyen nghiep va uy tin. Tham gia tai i9bet, cong dong game thu se duoc trai nghiem mot khong gian giai tri dat chuan dang cap quoc te. Hon the nua nguoi choi co the vua giai tri vua co the san thuong cuc lon tai day.
Website: https://i9bet-vn.net/
Comparative effects of raloxifene, tamoxifen and estradiol on human osteoblasts in vitro Estrogen receptor dependent or independent pathways of raloxifene cronadyn vs priligy There is no compelling legal, moral, or ethical argument against keeping your hormones wherever you want them, and anyone who tries to tell you otherwise does not have your best interests at heart
Whats up very cool web site!! Guy .. Excellent .. Wonderful .. I’ll bookmark your blog and take the feeds additionally…I’m happy to seek out a lot of useful information here in the post, we want develop more techniques on this regard, thanks for sharing.