যিয়ারত

পবিত্র শব-ই-বরাতে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর বিশেষ যিয়ারত।

ইমাম জয়নুল আবেদীন  ও ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) থেকে ১৫ই শাবানে ইমাম হুসাইন (আঃ) এর যিয়ারতটি বর্ণিত হয়েছে।যেই ব্যাক্তি পবিত্র শব-ই-বরাতে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর যিয়ারত পাঠ করবে আল্লাহ তায়ালা তার গুনাহসমূহকে ক্ষমা করে দিবেন।আবু হামযা সোমালী (রহ.) বলেছেনঃ ইমাম জয়নুল আবেদীন (আঃ) বলেছেনঃ কেউ যদি ১২৪০০০ নবীদের সাথে করমর্দন করতে চায় তাহলে সে যেন ১৪ই শাবান দিবাগত রাতে ইমাম হুসাইন (আঃ)’র রওজা মোবারক যিয়ারত করে। কেননা এই রাতে ফেরেশতা, রূহ এবং নবীগণ আল্লাহর কাছে ইমাম হুসাইন (আঃ)’র রওজা মোবারক যিয়ারত করার অনুমতি চায় এবং আল্লাহও তাদেরকে যিয়ারতের অনুমতি দেন। সৌভাগ্যবান ব্যাক্তি হচ্ছে সেই যে, তাঁদের সাথে করমর্দন করতে পারে যাঁদের মধ্যে উলুল আযম নবীগণ রয়েছেন।

মাবিয়া বিন ওহাব বর্ণনা করেছেন যে, ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) বলেছেনঃ যারা প্রথম শাবানে কারবালাতে ইমাম হুসাইন (আঃ)এর যিয়ারতের জন্য এসেছ তারা ১৫ই শাবানকে হাত ছাড়া করো না। কারণ তোমরা যদি জানতে যে, সেই দিনের যিয়ারতের কি ফযিলত রয়েছে তাহলে তা কখনও বাদ দিতে না বরং আগামী বছর পর্যন্ত ইমাম হুসাইন (আঃ)এর রওজা মোবারকের কাছে এই রাতটির জন্য অপেক্ষা করতে।

সূত্রঃ ইক্ববালুল আমাল, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৯১৯, ৯২০।

 ইমাম হুসাইন(আঃ) এর রওজা মোবারক এর কাছে দাড়িয়ে যিয়ারতটি পাঠ করতে হবে। যিয়ারতটি নিন্মরূপঃ

الْحَمْدُ لِلَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ وَ أَلسَّلاَمُعَلَيْكَ أَيُّهَا الْعَبْدُ الصَّالِحُ الزَّكِيُّ أُودِعُكَ شَهَادَةً مِنِّي لَكَ تُقَرِّبُنِي إِلَيْكَ فِي يَوْمِ شَفَاعَتِكَ أَشْهَدُ أَنَّكَ قُتِلْتَ وَ لَمْ تَمُتْ بَلْ بِرَجَاءِ حَيَاتِكَ حَيَّتقُلُوبُ شِيعَتِكَ وَ بِضِيَاءِ نُورِكَ اهْتَدَى الطَّالِبُونَ إِلَيْكَ وَ أَشْهَدُ أَنَّكَ نُورُ اللَّهِ الَّذِي لَمْ يُطْفَأْ وَ لا يُطْفَأُ أَبَداً وَ أَنَّكَ وَجْهُ اللَّهِ الَّذِي لَمْ يَهْلِكْ وَ لا يُهْلَكُ أَبَداً وَ أَشْهَدُ أَنَّ هَذِهِ التُّرْبَةَ تُرْبَتُكَ وَ هَذَا الْحَرَمَ حَرَمُكَ وَ هَذَا الْمَصْرَعَ مَصْرَعُ بَدَنِكَ لا ذَلِيلَ وَ اللَّهِ مُعِزُّكَ وَ لا مَغْلُوبَ وَ اللَّهِ نَاصِرُكَ هَذِهِ شَهَادَةٌ لِي عِنْدَكَ إِلَى يَوْمِ قَبْضِ رُوحِي بِحَضْرَتِكَ وَ أَلسَّلاَمُعَلَيْكَ وَ رَحْمَةُ اللَّهِ وَ بَرَكَاتُهُ


উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাহিল আলীয়িল আযিম ওয়াস সালামু আলাইকা আইয়্যুহাল আব্দুস সালেহুয যাকিইউ উদিয়্যুকা শাহাদাতাম মিন্নি লাকা তুকাররিবুনী ইলাইকা ফি ইয়াওমি শাফাআতিকা আশহাদু আন্নাকা কুতিলাত ওয়া লাম তামুত বাল বিরাজায়ি হায়াতিকা হাইয়্যাত কুলুবু শিয়াতিকা ওয়া বিযায়ায়ি নূরিকাহ তাদাত তালিবুনা ইলাইকা ওয়া আশহাদু আন্নাকা নূরুল্লাহিল্লাযি লাম ইউতফা ওয়া লা ইউতফাউ আবাদাও ওয়া আন্নাকা ওয়াজহুল্লাহিল্লাযি লাম ইয়াহলিক ওয়া লা ইউহলাকু আবাদাও ওয়া আশহাদু আন্না হাযিহিত তুরবাতা তুরবাতুকা ওয়া হাযাল হারামা হারামুকা ওয়া হাযাল মাসরাআ মাসরাউ বাদানিকা লা যালিলা ওয়াল্লাহি মুয়েযযুকা ওয়ালা মাগলুবা ওয়াল্লাহি নাসিরুকা হাযিহি শাহাদাতু লি ইন্দাকা ইলা ইয়াউমিল কাবযি রূহি বিহাযরাতিকা ওয়াস সালামু আলাইকা ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।


সিপাহসালার ইনস্টিটিউশন | এপ্রিল ২০২১এস এইচ হক

About the author

Syed Hossain ul Haque

সৈয়দ হোসাইন উল হক তরফ ও শ্রীহট্ট বিজয়ী মহান মনিষী সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন (রহঃ)এর অধস্থন পুরুষ ‘নবী বংশ পরিচিতি ও মহান কোরবানি’ গ্রন্থের লেখক, হবিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সুরাবই সাহেব বাড়ীর সিংহপুরুষ সৈয়দ মোঃ ইসহাক আল হুসাইনী (রহঃ)সাহেবের মেঝ ছেলের ঘরের বড় নাতি।মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাজ্য গমন অতঃপর ইউনিভার্সিটি অফ সান্ডারল্যান্ড থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্টে অনার্স এবং কুইন মেরী ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এন্ড পলিটিক্সের উপর এম এস সি। তারপর ২০১৮ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ইসলামিক স্টাডিজ এন্ড হিস্টোরি’তে এম-ফিল। শিক্ষানবিশ কালে সেই সকল বিশ্ববিদ্যালয় সমুহের বিভিন্ন ছাত্র সংঘটনের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।বর্তমানে লন্ডনে স্থায়ী ভাবে বসবাস করছেন পাশাপাশি লন্ডনের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজারের দায়িত্বরত।তাছাড়াও যুক্তরাজ্যে একটি ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটর লেকচারার ও গবেষনা কেন্দ্রে অবিরাম বিভিন্ন বিষয়ে গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছেন।আল-কোরআন ও হাদীসের আলোকে “যবহে আজিম এবং জিকিরে শাহাদাত”শীর্ষক গ্রন্থখানা তার দীর্ঘ গবেষনা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল।

1 Comment

মতামত দিন