দু’আ/যিকির/ওযিফা/আমল

পবিত্র শব-ই-বরাত (লাইলাতুল বরাতের) রাত ও দিনের আমল সমূহ।

হিজরী চন্দ্র বর্ষের অষ্টম মাস হলো ‘শাবান’। এই মাসটি বিশেষ মর্যাদা ও ফজিলতপূর্ণ। রাসুলুল্লাহ (সা.) এই মাসে সবচেয়ে বেশী মুস্তাহাব নামাজ, ইবাদত এবং রোজা রাখতেন। এই শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত অর্থাৎ ১৫ তারিখের রাতকে ‘পবিত্র শব-ই-বরাত’ বলা হয়। শবে বরাত কথাটি ফার্সী ভাষা থেকে এসেছে। শব মানে রাত বা রজনী আর বরাত অর্থ ভাগ্য। সুতরাং শবে বরাত অর্থ হলো ভাগ্য নির্ধারণের রাত। ‘পবিত্র শব-ই-বরাত’ এর আরবী হলো ‘লাইলাতুল বারাত’, তথা ভাগ্য নির্ধারণের রজনী। হাদীস শরীফে যাকে ‘নিসফ শাবান’ বা শাবান মাসের মধ্য দিবসের রজনী বলা হয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশ, সহ পৃথিবীর অনেক দেশের ফার্সী, উর্দু, বাংলা, হিন্দি সহ নানা ভাষাভাষী মানুষের কাছে এটি ‘শবে বরাত’ নামেই সমধিক পরিচিত। উক্ত তারিখে বেশ কিছু আমল বর্ণিত হয়েছে যেমনঃ রেওয়ায়েতে ১৫ই শাবান তারিখে রাত্রি জাগরণের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এই রাতের বিশেষ বৈশিষ্ট হচ্ছে এই রাতে ইমাম মাহদী (আ.)-এর জন্মগ্রহণ করেন। আল্লাহ এই রাতটিকে রকতময় বা ভাগ্যরজনী হিসাবে ঘোষনা করেছেন। আজকের এই পবিত্র রাতে মহান আল্লাহ ওনার রহমতের সকল দরজা খুলে দেন ঐসব মুসলমানদের জন্য , যারা এই রাতে বিনয়চিওে ওনার কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চায় । আর আল্লাহও কাউকেই খালি হাতে ফেরান না।

নবী কারীম (সাঃ) বললেনঃ ১৪ শাবান দিবাগত রাতে আল্লাহ প্রথম আকাশে অবতরণ করেন এবং বনু কালব গোত্রের পালিত ছাগলপালের শরীরের পশমের চেয়েও অধিক সংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। সূত্র — তিরমিজী শরীফ‑হাদীস নং-৭৩৬ / ইবনে মাজাহ হাদীস নং ১৩৮৫ ।
আমিরুল মোমেনিন আলী ইবনে আবু তালিব(আঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ(সা) বলেছেনঃ যখন ১৫ ই শাবানের রাত আসবে, তখন তোমরা এ রাতে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে এবং এ দিনে সিয়াম পালন করবে। কেননা সূর্য অস্তমিত হয়ার পর আল্লাহ পৃথিবীর নিকটস্থ আসমানে অবতরণ করেন। তারপর তিনি বলেনঃ আমার কাছে কেউ ক্ষমাপ্রারথী আছে কি ? আমি তাকে ক্ষমা করে দেবো।কোন জীবিকার প্রার্থী আছে কি ? আমি তাকে রিযিক দিবো। কোন রোগগ্রস্ত আছে কি, আমি তাকে শিফা দান করবো। এভাবে তিনি বলতে থাকেন,অবশেষে ফজরের সময় হয়ে যায়।
সূত্রঃ-সুনানু ইবনে মাজা ‚১ম খন্ড/১৩৮৮,১৩৮৯,১৩৯০,ইসমালিক ফাউনডেশন বাংলাদেশ হতে প্রকাশিত, মিশকাত শরীফ‑পৃঃ ১১৫ /বায়হাক্বী শো’আবুল ঈমান হাদিস নং.৩৮২২ / আত তারগীব ওয়াত তাওহীব ২/২৪২ ।
ইমাম জাফর সাদিক্ব (আ.) বলেছেনঃ ইমাম বাকের (আ.) কে এই রাত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তরে বলেন, ১৫ই শাবানের রাত শবে ক্বদরের পরে সবচেয়ে ফযিলতপূর্ণ রাত। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর অপার দয়ায় বান্দাদের চাহিদাকে পূর্ণ এবং তাদের কৃত গুনাহসমূহকে ক্ষমা করেন। সুতরাং তোমরা আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করো। কেননা এই রাত সম্পর্কে আল্লাহ শপথ করে বলেছেন: কোন ব্যাক্তি যদি এই রাতে দোয়া করে তার দোয়া কবুল হবে। তোমরা এই রাতে আল্লাহর কাছে এমনভাবে চাও যেন তোমাদের দোয়া কবুল হয়। এই রাতটি লাইলাতুল ক্বদরের ন্যায় আরেকটি মহিমান্বিত রাত যা আমাদেরকে দান করা হয়েছে। কেউ যদি এই রাতে অবৈধ কিছু না চায় তাহলে আল্লাহ তার দোয়াসমূহকে কবুল করবেন।
১৫ই শাবানের রাতটি এমন এক রাত যা আল্লাহ তার বান্দাদেরকে দান করেছেন। এই রাতটি শবে ক্বদরের ন্যায় ফযিলতপূর্ণ একটি রাত। সুতরাং তোমরা এ রাতে আল্লাহর ইবাদত কর এবং নিজেদের জন্য দোয়া কর। এছাড়াও উক্ত রাতে বিশেষ কিছু আমল বর্ণিত হয়েছে যেমনঃ
১. গোসল করাঃ এই রাতে গোসল করলে আল্লাহ তাঁর বান্দার গুনাহসমূহকে ক্ষমা করে দেন।
২.রাত্রি জাগরণ করাঃ এই রাতে নামাজ, দোয়া এবং ইস্তিগফারের মাধ্যমে অতিবাহিত করা উত্তম। কেননা ইমাম জয়নুল আবেদীন (আ.) বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি এই রাতকে ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করবে, কেয়ামতে যেদিন সকলের অন্তর মারা যাবে সেদিন আল্লাহ এই ব্যাক্তির অন্তরকে জীবিত রাখবেন। সূত্রঃ মাফাতিহুল জিনান, দ্বিতীয় অধ্যায়, পৃষ্ঠা ২৬৭।

৩.যিয়ারত পাঠ করাঃ

ক. ইমাম হুসাইন (আ.)-এর যিয়ারত পাঠ করাইমাম জয়নুল আবেদীন ও ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) থেকে ১৫ই শাবানে ইমাম হুসাইন (আঃ) এর যিয়ারতটি বর্ণিত হয়েছে। যেই ব্যাক্তি এই রাতে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর যিয়ারত পাঠ করবে আল্লাহ তায়ালা তার গুনাহসমূহকে ক্ষমা করে দিবেন।আবু হামযা সোমালী (রহ.) বলেছেন: ইমাম জয়নুল আবেদীন (আঃ) বলেছেন: কেউ যদি ১২৪০০০ নবীদের সাথে করমর্দন করতে চায় তাহলে সে যেন ১৪ই শাবান দিবাগত রাতে ইমাম হুসাইন (আঃ)’র কবর যিয়ারত করে। কেননা এই রাতে ফেরেশতা, রূহ এবং নবীগণ আল্লাহর কাছে ইমাম হুসাইন (আঃ)’র কবর যিয়ারত করার অনুমতি চায় এবং আল্লাহও তাদেরকে যিয়ারতের অনুমতি দেন। সৌভাগ্যবান ব্যাক্তি হচ্ছে সেই যে, তাঁদের সাথে করমর্দন করতে পারে যাঁদের মধ্যে উলুল আযম নবীগণ রয়েছেন।

মাবিয়া বিন ওহাব বর্ণনা করেছেন যেইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃবলেছেনঃ যারা প্রথম শাবানে কারবালাতে ইমাম হুসাইন (আঃ) এর যিয়ারতের জন্য এসেছ তারা ১৫ই শাবানকে হাত ছাড়া করো না। কারণ তোমরা যদি জানতে যেসেই দিনের যিয়ারতের কি ফযিলত রয়েছে তাহলে তা কখনও বাদ দিতে না বরং আগামী বছর পর্যন্ত ইমাম হুসাইন (আঃ)এর রওজা মোবারকের কাছে এই রাতটির জন্য অপেক্ষা করতে। সূত্রঃ ইক্ববালুল আমালখন্ড ২পৃষ্ঠা ৯১৯৯২০।

যিয়ারতটি নিন্মরূপঃ

الْحَمْدُ لِلَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ وَ أَلسَّلاَمُعَلَيْكَ أَيُّهَا الْعَبْدُ الصَّالِحُ الزَّكِيُّ أُودِعُكَ شَهَادَةً مِنِّي لَكَ تُقَرِّبُنِي إِلَيْكَ فِي يَوْمِ شَفَاعَتِكَ أَشْهَدُ أَنَّكَ قُتِلْتَ وَ لَمْ تَمُتْ بَلْ بِرَجَاءِ حَيَاتِكَ حَيَّت‏ قُلُوبُ شِيعَتِكَ وَ بِضِيَاءِ نُورِكَ اهْتَدَى الطَّالِبُونَ إِلَيْكَ وَ أَشْهَدُ أَنَّكَ نُورُ اللَّهِ الَّذِي لَمْ يُطْفَأْ وَ لا يُطْفَأُ أَبَداً وَ أَنَّكَ وَجْهُ اللَّهِ الَّذِي لَمْ يَهْلِكْ وَ لا يُهْلَكُ أَبَداً وَ أَشْهَدُ أَنَّ هَذِهِ التُّرْبَةَ تُرْبَتُكَ وَ هَذَا الْحَرَمَ حَرَمُكَ وَ هَذَا الْمَصْرَعَ مَصْرَعُ بَدَنِكَ لا ذَلِيلَ وَ اللَّهِ مُعِزُّكَ وَ لا مَغْلُوبَ وَ اللَّهِ نَاصِرُكَ هَذِهِ شَهَادَةٌ لِي عِنْدَكَ إِلَى يَوْمِ قَبْضِ رُوحِي بِحَضْرَتِكَ وَ أَلسَّلاَمُعَلَيْكَ وَ رَحْمَةُ اللَّهِ وَ بَرَكَاتُهُ

উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাহিল আলীয়িল আযিম ওয়াস সালামু আলাইকা আইয়্যুহাল আব্দুস সালেহুয যাকিইউ উদিয়্যুকা শাহাদাতাম মিন্নি লাকা তুকাররিবুনী ইলাইকা ফি ইয়াওমি শাফাআতিকা আশহাদু আন্নাকা কুতিলাত ওয়া লাম তামুত বাল বিরাজায়ি হায়াতিকা হাইয়্যাত কুলুবু শিয়াতিকা ওয়া বিযায়ায়ি নূরিকাহ তাদাত তালিবুনা ইলাইকা ওয়া আশহাদু আন্নাকা নূরুল্লাহিল্লাযি লাম ইউতফা ওয়া লা ইউতফাউ আবাদাও ওয়া আন্নাকা ওয়াজহুল্লাহিল্লাযি লাম ইয়াহলিক ওয়া লা ইউহলাকু আবাদাও ওয়া আশহাদু আন্না হাযিহিত তুরবাতা তুরবাতুকা ওয়া হাযাল হারামা হারামুকা ওয়া হাযাল মাসরাআ মাসরাউ বাদানিকা লা যালিলা ওয়াল্লাহি মুয়েযযুকা ওয়ালা মাগলুবা ওয়াল্লাহি নাসিরুকা হাযিহি শাহাদাতু লি ইন্দাকা ইলা ইয়াউমিল কাবযি রূহি বিহাযরাতিকা ওয়াস সালামু আলাইকা ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।

খ. ইমামে জামানা (আ.ফা.)-এর যিয়ারত পাঠ করা।



৪.নামাজ পড়াঃ বিভিন্ন রেওয়ায়েতের বর্ণনা অনুযায়ি এই রাতে বিভিন্ন নামাজ বর্ণিত হয়েছে।

ক. রাসুল (সা.) বলেছেন: ১৪ই শাবান দিবাগত রাতে ১০০ রাকাত নামাজ পড়তে হবে। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ১০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। অবশিষ্ট নামাজগুলো উল্লেখিত পদ্ধতিতে আদায় করতে হবে। কেউ যদি এই নামাজটি পড়ে তাহলে আল্লাহ তার প্রতি ৭০ বার রহমতের দৃষ্টিতে দেখবেন, তার ৭০টি আশাকে পূর্ণ করবেন।

সূত্রঃ-ইক্ববালুল আমাল, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ২৯৫, ২৯৬।


খ. রাসুল (সা.) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, কেউ যদি মাগরিব ও এশার নামাজের পরে ৪ রাকাত নামাজ পড়ে তাহলে আল্লাহ তার দোয়াকে কবুল করবেন, তার ইহকাল ও পরকালের আশাকে পূরণ করবেন, কেয়ামতে তার আমলনামাকে তার ডান হাতে দিবেন এবং আগামী বছর পর্যন্ত সে নিরাপদে থাকবে। নামাজটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ১০বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে এবং দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে।
নামাজান্তে ১০ বার বলতে হবে: “يَا رَبِّ اغْفِرْ لَنَا”
১০ বার বলতে হবে: “ يَا رَبِّ ارْحَمْنَا”
১০ বার বলতে হবে: “يَا رَبِّ تُبْ عَلَيْنَا”
২১ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে
১০ বার বলতে হবে: “سُبْحَانَ الَّذِي يُحْيِي الْمَوْتَى وَ يُمِيتُ الْأَحْيَاءَ وَ هُوَ عَلى‏ كُلِّ شَيْ‏ءٍ قَدِيرٌ”
তারপরে দোয়া করতে হবে।

সূত্রঃ-ইক্ববালুল আমাল, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৮৮৬।


 গ. আবু ইয়াহিয়া সানআনি এবং আরো ত্রিশজন বিশস্ত ব্যাক্তিত্ববর্গ ইমাম মুহাম্মাদ বাকির (আ.) এবং ইমাম জাফর সাদিক্ব (আ.) হতে বর্ণনা করেছেন: ১৪ই শাবান দিবাগত রাতে ৪ রাকাত নামাজ পড়তে হবে। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ১০০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। নামাজান্তে নিন্মোক্ত দোয়াটি পাঠ করতে হবেঃ
اَللَّهُمَّ إِنِّي إلَيْكَ فَقِيرٌ وَ مِنْ عَذَابِكَ خَائِفٌ مُسْتَجِيرٌ اَللَّهُمَّ لاَ تُبَدِّلْ اسْمِي وَ لاَ تُغَيرْ جِسْمِي وَ لاَ تَجْهَدْ بَلاَئِي وَ لاَ تُشْمِتْ بِي أَعْدَائِي أَعُوذُ بِعَفْوِكَ مِنْ عِقَابِكَ وَ أَعُوذُ بِرَحْمَتِكَ مِنْ عَذَابِكَ وَ أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ وَ أَعُوذُ بِكَ مِنْكَ جَلَّ ثَنَاؤُكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيتَ عَلَى‏ نَفْسِكَ وَ فَوْقَ مَا يقُولُ الْقَائِلُونَ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি ইলাইকা ফাকিরু ওয়া মিন আযাবিহা খায়িফুম মুসতাজিরু। আল্লাহুম্মা লা তুবাদ দিলিসমি ওয়া লা তু গ্বাইয়ের জিসমী ওয়া লা তুজহিদ বালায়ী ওয়া লা তুশমিত বি আদায়ী আউয়ুযু বিআফওয়িকা মিন এক্বাবিকা ওয়া আউয়ুযু বিরাহমাতিকা মিন আযাবিকা ওয়া আউয়ুযু বিরেযাকা মিন সাখাতিকা ওয়া আউয়ুযু বিকা মিনকা জাল্লা সানায়ুকা আনতা কামা আসনাইতা আলা নাফসিকা ওয়া ফাওকা মা ইয়াকুলুল কায়েলুন।
উক্ত রাতে নিন্মে উল্লেখিত যিকর সমূহপাঠ করলে আল্লাহ তার গুনাহসমূহকে ক্ষমা করে দিবেন এবং দোয়াসমূহকে কবুল করবেন।
  • সুবহান আল্লাহ — ১০০ বার।
  • আল হামদু লিল্লাহ- ১০০ বার।
  • আল্লাহু আকবার – ১০০ বার।
  • লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ – ১০০ বার।
সূত্রঃ-মাফাতিহুল জিনান, দ্বিতীয় অধ্যায় শাবান মাস, পৃষ্ঠা ২৭৫।

ঘ. আরো একটি রোওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে, ১৫ই শাবান রাতে [১৪ই শাবান দিবাগত রাতে] ১০ রাকাত নামাজ পড়তে হবে। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ১০ বার সুরা ইখলাস পাঠ পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। অবশিষ্ট নামাজগুলো উল্লেখিত পদ্ধতিতে পড়তে হবে। তারপর সেজদায় যেয়ে এই দোয়াটি পাঠ করতে হবে। দোয়াটি নিন্মরূপঃ

اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدَ سَوَادِي وَ خَيَالِي وَ بَيَاضِي يَا عَظِيمَ كُلِّ عَظِيمٍ اغْفِرْ لِي ذَنْبِيَ الْعَظِيمَ فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُهُ غَيْرُك‏ يَا عَظِيمَ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা লাকা সাজাদা সাওয়াদী ওয়া জানানী ওয়া বায়াযি ইয়া আযিমা কুল্লি আযিম ইগফির যাম্বিয়াল আযিম ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াগফিরু গ্বায়রুকা ইয়া আযিম।


ঙ. ১৪ই শাবান দিবাগত রাতে ৪ রাকাত নামাজ পড়তে হবে। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ৫০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে এবং দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপভাবে পড়তে হবে। নামাজান্তে উপরের উল্লেখিত দোয়াটি পাঠ করতে হবেঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي إِلَيْكَ فَقِيرٌ وَ مِنْ عَذَابِكَ خَائِفٌ وَ بِكَ مُسْتَجِيرٌ رَبِّ لَا تُبَدِّلِ اسْمِي وَ لَا تُغَيِّرْ جِسْمِي رَبِّ لَا تُجْهِدْ بَلَائِي اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِعَفْوِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ وَ أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ وَ أَعُوذُ بِرَحْمَتِكَ مِنْ عَذَابِكَ وَ أَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ جَلَّ ثَنَاؤُكَ وَ لَا أُحْصِي مِدْحَتَكَ وَ لَا الثَّنَاءَ عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ وَ فَوْقَ مَا يَقُولُ الْقَائِلُونَ رَبِّ أَنْتَ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّد.
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি ইলাইকা ফাকিরু ওয়া মিন আযাবিহা খায়িফুম মুসতাজিরু। আল্লাহুম্মা লা তুবাদ দিলিসমি ওয়া লা তু গ্বাইয়ের জিসমী ওয়া লা তুজহিদ বালায়ী ওয়া লা তুশমিত বি আদায়ী আউয়ুযু বিআফওয়িকা মিন এক্বাবিকা ওয়া আউয়ুযু বিরাহমাতিকা মিন আযাবিকা ওয়া আউয়ুযু বিরেযাকা মিন সাখাতিকা ওয়া আউয়ুযু বিকা মিনকা জাল্লা সানায়ুকা আনতা কামা আসনাইতা আলা নাফসিকা ওয়া ফাওকা মা ইয়াকুলুল কায়েলুন রাব্বি আন্তা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া আলি মুহাম্মাদ।

তারপরে মনের আশা পূরণের জন্য দোয়া চাইতে হবে।


চ. শেখ আবু জাফর তুসী (রহ.) তার মেসবাহ নামক গ্রন্থে হযরত আবু ইয়াহিয়া (রহ.) হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি ইমাম জাফর সাদিক্ব (আ.) কে জিজ্ঞাসা করেন ১৫ই শাবান রাতে সবচেয়ে উত্তম আমল কোনটি? তিনি বলেন: এশার নামাজের পরে দুই রাকাত নামাজ পড়বে। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে সুরা কাফিরুন ১ বার এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহার পর সুরা ইখলাস ১ বার পাঠ করবে। নামাজান্তে ৩৩ বার সুবহান আল্লাহ, ৩৩ বার আল হামদুলিল্লাহ, ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পাঠ করবে, তারপর বলবেঃ-
يَا مَنْ إِلَيْهِ مَلْجَأُ الْعِبَادِ [يَلْجَأُ الْعِبَادُ] فِي الْمُهِمَّاتِ وَ إِلَيْهِ يَفْزَعُ الْخَلْقُ فِي الْمُلِمَّاتِ يَا عَالِمَ الْجَهْرِ وَ الْخَفِيَّاتِ يَا مَنْ لا تَخْفَى عَلَيْهِ خَوَاطِرُ الْأَوْهَامِ وَ تَصَرُّفُ الْخَطَرَاتِ يَا رَبَّ الْخَلائِقِ وَ الْبَرِيَّاتِ يَا مَنْ بِيَدِهِ مَلَكُوتُ الْأَرَضِينَ وَ السَّمَاوَاتِ أَنْتَ اللَّهُ لا إِلَهَ إِلا أَنْتَ أَمُتُّ إِلَيْكَ بِلا إِلَهَ إِلّا أَنْتَ فَيَا لا إِلَهَ إِلّا أَنْتَ اجْعَلْنِي فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ مِمَّنْ نَظَرْتَ إِلَيْهِ فَرَحِمْتَهُ وَ سَمِعْتَ دُعَاءَهُ فَأَجَبْتَهُ وَ عَلِمْتَ اسْتِقَالَتَهُ فَأَقَلْتَهُ وَ تَجَاوَزْتَ عَنْ سَالِفِ خَطِيئَتِهِ وَ عَظِيمِ جَرِيرَتِهِ فَقَدِ اسْتَجَرْتُ بِكَ مِنْ ذُنُوبِي وَ لَجَأْتُ إِلَيْكَ فِي سَتْرِ عُيُوبِي اللَّهُمَّ فَجُدْ عَلَيَّ بِكَرَمِكَ وَ احْطُطْ خَطَايَايَ بِحِلْمِكَ وَ عَفْوِكَ وَ تَغَمَّدْنِي فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ بِسَابِغِ كَرَامَتِكَ وَ اجْعَلْنِي فِيهَا مِنْ أَوْلِيَائِكَ الَّذِينَ اجْتَبَيْتَهُمْ لِطَاعَتِكَ وَ اخْتَرْتَهُمْ لِعِبَادَتِكَ وَ جَعَلْتَهُمْ خَالِصَتَكَ وَ صَفْوَتَكَ. اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِمَّنْ سَعَدَ جَدُّهُ وَ تَوَفَّرَ مِنَ الْخَيْرَاتِ حَظُّهُ وَ اجْعَلْنِي مِمَّنْ سَلِمَ فَنَعِمَ وَ فَازَ فَغَنِمَ وَ اكْفِنِي شَرَّ مَا أَسْلَفْتُ وَ اعْصِمْنِي مِنَ الازْدِيَادِ فِي مَعْصِيَتِكَ وَ حَبِّبْ إِلَيَّ طَاعَتَكَ وَ مَا يُقَرِّبُنِي مِنْكَ وَ يُزْلِفُنِي عِنْدَكَ سَيِّدِي إِلَيْكَ يَلْجَأُ الْهَارِبُ وَ مِنْكَ يَلْتَمِسُ الطَّالِبُ وَ عَلَى كَرَمِكَ يُعَوِّلُ الْمُسْتَقِيلُ التَّائِبُ أَدَّبْتَ عِبَادَكَ بِالتَّكَرُّمِ وَ أَنْتَ أَكْرَمُ الْأَكْرَمِينَ وَ أَمَرْتَ بِالْعَفْوِ عِبَادَكَ وَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ اللَّهُمَّ فَلا تَحْرِمْنِي مَا رَجَوْتُ مِنْ كَرَمِكَ وَ لا تُؤْيِسْنِي مِنْ سَابِغِ نِعَمِكَ وَ لا تُخَيِّبْنِي مِنْ جَزِيلِ قِسَمِكَ فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ لِأَهْلِ طَاعَتِكَ وَ اجْعَلْنِي فِي جُنَّةٍ مِنْ شِرَارِ بَرِيَّتِكَ رَبِّ إِنْ لَمْ أَكُنْ مِنْ أَهْلِ ذَلِكَ فَأَنْتَ أَهْلُ الْكَرَمِ وَ الْعَفْوِ وَ الْمَغْفِرَةِ، وَ جُدْ عَلَيَّ بِمَا أَنْتَ أَهْلُهُ لا بِمَا أَسْتَحِقُّهُ فَقَدْ حَسُنَ ظَنِّي بِكَ وَ تَحَقَّقَ رَجَائِي لَكَ وَ عَلِقَتْ نَفْسِي بِكَرَمِكَ فَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ وَ أَكْرَمُ الْأَكْرَمِينَ اللَّهُمَّ وَ اخْصُصْنِي مِنْ كَرَمِكَ بِجَزِيلِ قِسَمِكَ وَ أَعُوذُ بِعَفْوِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ وَ اغْفِرْ لِيَ الذَّنْبَ الَّذِي يَحْبِسُ عَلَيَّ الْخُلُقَ وَ يُضَيِّقُ عَلَيَّ الرِّزْقَ حَتَّى أَقُومَ بِصَالِحِ رِضَاكَ وَ أَنْعَمَ بِجَزِيلِ عَطَائِكَ وَ أَسْعَدَ بِسَابِغِ نَعْمَائِكَ فَقَدْ لُذْتُ بِحَرَمِكَ وَ تَعَرَّضْتُ لِكَرَمِكَ وَ اسْتَعَذْتُ بِعَفْوِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ وَ بِحِلْمِكَ مِنْ غَضَبِكَ فَجُدْ بِمَا سَأَلْتُكَ وَ أَنِلْ مَا الْتَمَسْتُ مِنْكَ أَسْأَلُكَ بِكَ لا بِشَيْ ءٍ هُوَ أَعْظَمُ مِنْكَ 
উচ্চারণঃ ইয়া মান ইলাইহী মুলজাউল ইবাদী ইয়াল জাউল ইবাদী ফিল মুহেম্মাতি ওয়া ইলাইহী ইয়াফযায়ুল খালক্বু ফিল মুলিম্মাতি ইয়া আলিমাল জাহরী ওয়াল খাফিয়্যাতি ওয়া ইয়া মান লা তাকফা আলাইহী খাওয়াতীরুল আউহামী ওয়া তাতাসুররুল খাতারাতি ইয়া রাব্বাল খালায়িক্বি ওয়াল বারিয়্যাতি ইয়া মান বিইয়াদিহি মালাকুতুল আরাযিনা ওয়াস সামাওয়াতি আনতাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আনতা আমুত্তু ইলাইকা বিলা ইলাহা ইল্লা আনতা ফা ইয়া লা ইলাহা ইল্লা আনতাজ আলনী ফি হাযিহিল লাইলাতি মিম্মান নাযারতা ইলাইহি ফারাহিমতাহু ওয়া সামীঅতা দুয়াআহু ফাআজাবতাহু ওয়া আলিমতাস তিক্বলাতাহু ফা আকালতাহু ওয়া তাজাওয়াযতা আন সালিফি খাতিয়াতিহি ওয়া আযিমি জারিরাতিহি ফাকাদিস তাজারতু বিকা মিন যুনুবি ওয়া লাজাঅতু ইলাইকা ফি সাতরী উয়ুবি। আল্লাহুম্মা ফাজুদ আলাইয়া বিকারামিকা ওয়াহতুত খাতায়ায়া বিহিলমিকা ওয়া আফওয়িকা ওয়া তুগাম্মাদনী ফি হাযিহিল লাইলাতি বিসাবিগ্বি কারামাতিকা ওয়াজ আলনী ফিহা মিন আউলিয়ায়ি কাল্লাযিনাজ তাবাইতাহুম লিত্বআতিকা ওয়াখতারতাহুম লিইবাদাতিকা ওয়াজআলতাহুম খালিসাতাকা ওয়া সাফওয়াতাকা। আল্লাহুম্মাজ আলনী মিম্মান সাআদা জাদ্দুহু ওয়া তাওয়াফফারা মিনাল খাইরাতি হাযযুহু ওয়াজআলনী মিম্মান সালিমা ফানায়ীমা ওয়অ ফাযা ফাগানিমা ওয়াকফিনি সাররাম মা আসলাফতু ওয়াসিমনি মিনাল ইযদীইয়াদী ফি মাঅসীয়াতিকা ওয়া হাববীব ইলাইয়া ত্বআতাকা ওয়া মা ইউকাররিবুনী মিনকা ইউযলিফুনী ইন্দাকা সাইয়্যিদি ইলাইকা ইয়ালজায়ুল হারিবু ওয়া মিনকা ইয়ালতামিসুত তালিবু ওয়া আলা কারামিকা ইয়াউলুল মুসতাকিলুত তায়িবু আদ্দাবতা ইবাদিকা বিততাকাররুমী ওয়া আনতা আকরামুল আকরামিন ওয়া আমারতা বিল আফওয়ি ইবাদাকা ওয়া আনতাল গাফুরুর রাহিম। আল্লাহুম্মা ফালা তাহরিমনী মা রাজাওতু মিন কারামিকা ওয়া লা তুইসনী মিন সাবিগ্বি নিয়ামিকা ওয়া লা তুখাইয়িবনী মিন জাযিলি কাসমিকা ফি হাযিহিল লাইলাতি লি আহলী ত্বআতিকা ওয়াজআলনী ফি জুন্নাতী মিন সিরারী বারিইয়্যাতিকা রাব্বি ইলঁ লাম আকুন মিন আহলি যালিকা ফাআনতা আহলুল কারামি ওয়াল আফওয়ি ওয়াল মাগফিরাতি ওয়া জুদ আলাইয়া বিমা আনতা আহলুহু লা বিমা আসতাহিক্ককুহু ফাক্বাদ হাসুনা যান্নি বিকা ওয়াতাহাক্কাকা রাজায়ি লাকা ওয়া আলিকাত নাফসী বি কারামিকা ফা আনতা আরহামুর রাহিমিন ওয়া আকরামুল আকরামিন। আল্লাহুম্মা ওয়াখ সুসনী মিন কারামিকা বিজাযিলি ক্বাসমিকা ওয়া আউযু বিআফওয়িকা মিন উকুবাতিকা ওয়াগফিরলিয যাম্বাল্লাযি ইয়াহবিসু আলাইয়াল খালকা ওয়া ইউযাইয়্যেকু আলাইয়ার রিযকা হাত্তা আকুমা বিসালিহি রিযাকা ওয়া আনআমা বিজাযিলি আতায়্যিকা ওয়া আসআদা বিসাবিগ্বি নাঅমায়্যিকা ফাকাদ যুলতু বিহারামিকা ওয়াতা আররাযতু লিকারামিকা ওয়াসতাআযতু বিআফওয়িকা মিন উকুবাতিকা ওয়া বিহিলমিকা মিন গ্বাযাবিকা ফাজুদ বিমা সাআলতুকা ওয়া আনিল মাল তামাসতু মিনকা আসআলুকা বিকা লা বি শাইয়্যিন হুওয়া আযামু মিনকা।
তারপর সিজদারত অবস্থায়ঃ
২০ বার বলবে: (يَا رَبِّ)
৭ বার বলতে হবে: (يَا اللَّهُ)
৭ বার বলতে হবে: (لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ اِلاَّ بِاللَّهِ)
৭ বার বলতে হবে: ( مَا شآءَ اللَّهُ)
১০ বার দুরুদ শরীফ পাঠ করতে হবে
তারপরে বলতে হবে: (لاَ قُوّةَ اِلاَّ بِاللَّهِ)।
তারপর দোয়া করতে হবে।এই আমলকারীর চাহিদা যদি বৃষ্টির ফোটার ন্যায় অগণিত হয় তাহলেও আল্লাহ তার চাহিদাকে পূর্ণ করবেন।

সূত্রঃ-মাফাতিহুল জিনান, দ্বিতীয় অধ্যায় শাবান মাস, পৃষ্ঠা ২৭০- ২৭৩।


ছ. নামাজ‑এ জাফরে তাইয়ার পড়া। এই নামাজটি শেখ ইমাম রেযা (আ.) হতে বর্ণনা করেছেন। হযরত জাফর তৈয়ার (রা.) সম্পর্কিত বিশেষ মুস্তাহাব নামাজটি ৪ রাকাত। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে সুরা যিলযাল পাঠ করতে হবে তারপর ১৫ বার তসবিহে আরবাআ [سُبْحَانَ اللَّهِ وَ الْحَمْدُ لِلَّهِ وَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَ اللَّهُ أَكْبَرُ ] পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে সুরা আদিয়াত পাঠ করতে হবে তারপর ১৫ বার তসবিহে আরবাআ পাঠ করতে হবে। তারপর রুকু অবস্থায় ১০ বার তসবিহে আরবাআ পাঠ করতে হবে। রুকু থেকে দাড়িয়ে ১০ বার তসবিহে আরবাআ পাঠ করতে হবে। প্রথম সিজদাতে ১০ বার তসবিহে আরবাআ পাঠ করতে হবে। প্রথম সিজদা থেকে উঠে বসার পরে ১০ বার তসবিহে আরবাআ পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় সিজদাতে ১০ বার তসবিহে আরবাআ পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় সিজদা থেকে উঠে বসার পরে ১০ বার তসবিহে আরবাআ পাঠ করতে হবে।
তসবিহে আরবাআঃ
سُبْحَانَ اللَّهِ وَ الْحَمْدُ لِلَّهِ وَ لاَ إِلَهَ اِلاَّ اللَّهُ وَ اللَّهُ أَكبَرُ
উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।
সূরা যিলযাল আরবি উচ্চারণঃ
إِذَا زُلْزِلَتِ ٱلْأَرْضُ زِلْزَالَهَا وَأَخْرَجَتِ ٱلْأَرْضُ أَثْقَالَهَا وَقَالَ ٱلْإِنسَٰنُ مَا لَهَا يَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ أَخْبَارَهَا بِأَنَّ رَبَّكَ أَوْحَىٰ لَهَا يَوْمَئِذٍ يَصْدُرُ ٱلنَّاسُ أَشْتَاتًا لِّيُرَوْا أَعْمَٰلَهُمْ فَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُۥ وَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُۥ
উচ্চারণঃ ইযা-যুলযিলাতিল আরদুযিলযা-লাহা-। ওয়া আখরাজাতিল আরদুআসকা-লাহা-। ওয়া কা-লাল ইনসা-নুমা-লাহা-। ইয়াওমাইযিন তুহাদ্দিছু আখবা-রাহা-। বিআন্না রাব্বাকা আওহা-লাহা-। ইয়াওমাইযিইঁ ইয়াসদুরুন্না-সুআশতা-তাল লিউউরাও আ‘মা-লাহুম। ফামাইঁ ইয়া‘মাল মিসকা-লা যাররাতিন খাইরাইঁ ইয়ারাহ। ওয়া মাইঁ ইয়া‘মাল মিসকা-লা যাররাতিন শাররাইঁ ইয়ারাহ।
সূরা আল-আদিয়াত আরবি উচ্চারণঃ
وَٱلْعَٰدِيَٰتِ ضَبْحًا. فَٱلْمُورِيَٰتِ قَدْحًا. فَٱلْمُغِيرَٰتِ صُبْحًا. فَأَثَرْنَ بِهِۦ نَقْعًا. فَوَسَطْنَ بِهِۦ جَمْعًا.إِنَّ ٱلْإِنسَٰنَ لِرَبِّهِۦ لَكَنُودٌ. وَإِنَّهُۥ عَلَىٰ ذَٰلِكَ لَشَهِيدٌ. وَإِنَّهُۥ لِحُبِّ ٱلْخَيْرِ لَشَدِيدٌ. أَفَلَا يَعْلَمُ إِذَا بُعْثِرَ مَا فِى ٱلْقُبُورِ. وَحُصِّلَ مَا فِى ٱلصُّدُورِ. إِنَّ رَبَّهُم بِهِمْ يَوْمَئِذٍ لَّخَبِيرٌ
উচ্চারণঃ ওয়াল ‘আ‑দিয়া-তি দাবহা-। ফাল মূরিয়া-তি কাদহা-। ফাল মুগীরা-তি সুবহা-। ফাআসারনা বিহী নাক‘আ-। ফাওয়াসাতানা বিহী জাম‘আ-। ইন্নাল ইনসা-না লিরাব্বিহী লাকানূদ। ওয়া ইন্নাহূ‘আলা-যা-লিকা লাশাহীদ। ওয়া ইন্নাহূলিহুব্বিল খাইরি লাশাদীদ। আফালা-ইয়া‘লামুইযা-বু‘সিরা মা-ফিল কুবূর। ওয়া হুসসিলা মা-ফিসসুদূর, ইন্না রাব্বাহুম বিহিম ইয়াওমাইযিল্লাখাবীর।

প্রত্যেক রাকাতে নামাজ উল্লেখিত পদ্ধতিতে পড়তে হবে। পরবর্তি দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে সুরা ফাতহ এবং ১৫ বার তসবিহে আরবাআ পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। তারপর উল্লেখিত পদ্ধতিতে রুকু, সিজদা পাঠের মাধ্যমে নামাজকে শেষ করতে হবে।


জ. নামাজ এ নিমায়ে শাবানঃ নামাজটি ১০ রাকাত যা দুই রাকাত করে পড়তে হবে। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ১০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। ১০ রাকাত নামাজান্তে সেজদাতে যেয়ে বলতে হবেঃ
اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدَ سَوَادِي وَ جَنَانِي وَ بَيَاضِي يَا عَظِيمَ كُلِّ عَظِيمٍ اغْفِرْ ذَنْبِيَ الْعَظِيمَ وَ إِنَّهُ لَا يَغْفِرُ غَيْرُكَ يَا عَظِيم‏

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা লাকা সাজাদা সাওয়াদী ওয়া জানানী ওয়া বায়াযি ইয়া আযিমা কুল্লি আযিম ইগফির যাম্বিয়াল আযিম ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াগফিরু গ্বায়রুকা ইয়া আযিম।



৫.সিজদারত অবস্থায় দোয়াঃ

ক. শেখ আবু জাফর তুসী (রহ.) বর্ণনা করেছেন যে, উপরে উল্লেখিত সিজদার পরে নিন্মোক্ত দোয়াটি পাঠ করা উত্তম:
إِلَهِي تَعَرَّضَ لَكَ فِي هَذَا اللَّيْلِ الْمُتَعَرِّضُونَ وَ قَصَدَكَ الْقَاصِدُونَ وَ أَمَّلَ فَضْلَكَ وَ مَعْرُوفَكَ الطَّالِبُونَ وَ لَكَ فِي هَذَا اللَّيْلِ نَفَحَاتٌ وَ جَوَائِزُ وَ عَطَايَا وَ مَوَاهِبُ تَمُنُّ بِهَا عَلَى مَنْ تَشَاءُ مِنْ عِبَادِكَ وَ تَمْنَعُهَا مَنْ لَمْ تَسْبِقْ لَهُ الْعِنَايَةُ مِنْكَ وَ هَا أَنَا ذَا عُبَيْدُكَ الْفَقِيرُ إِلَيْكَ الْمُؤَمِّلُ فَضْلَكَ وَ مَعْرُوفَكَ فَإِنْ كُنْتَ يَا مَوْلايَ تَفَضَّلْتَ فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ عَلَى أَحَدٍ مِنْ خَلْقِكَ وَ عُدْتَ عَلَيْهِ بِعَائِدَةٍ مِنْ عَطْفِكَ فَصَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ الطَّيِّبِينَ الطَّاهِرِينَ الْخَيِّرِينَ الْفَاضِلِينَ وَ جُدْ عَلَيَّ بِطَوْلِكَ وَ مَعْرُوفِكَ يَا رَبَّ الْعَالَمِينَ وَ صَلَّى اللَّهُ عَلَى مُحَمَّدٍ خَاتَمِ النَّبِيِّينَ وَ آلِهِ الطَّاهِرِينَ وَ سَلَّمَ تَسْلِيماً إِنَّ اللَّهَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ اللَّهُمَّ إِنِّي أَدْعُوكَ كَمَا أَمَرْتَ فَاسْتَجِبْ لِي كَمَا وَعَدْتَ إِنَّكَ لا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ
উচ্চারণঃ ইলাহী তাআররাযা লাকা ফি হাযাল লাইলিল মুতাআররিযুনা ওয়া কাসাদাকাল কাসীদুনা ওয়া আম্মালা ফাযলাকা ওয়া মারুফাকাত তালিবুনা ওয়া লাকা ফি হাযাল লাইলি নাফাহাতু ওয়া জাওয়ায়েযু ওয়া আতায়া ওয়া মাওয়াহিবু তামুন্নু বিহা আলা মান তাশায়ু মিন ইবাদিকা ওয়া তামনাউহা মান লাম তাসবিক্ব লাহুল ইনায়াতু মিনকা ওয়া হা আনা যা উবাইদুকাল ফাকিরু ইলাইকাল মুআম্মেলু ফাযলাকা ওয়া মাঅরুফাকা ফাইন কুনতা ইয়া মাওলায়া তাফাযযালতা ফি হাযিহিল লাইলাতি আলা আহাদিম মিন খালকিকা ওয়া উদতা আলাইহি বিআয়িদাতিম মিন আতফিকা ফাসাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলি মুহাম্মাদিত তাইয়্যিবিনাত তাহিরিনাল খাইয়্যিরিনাল ফাযিলিন ওয়া জুদ আলাইয়া বিতাউলিকা ওয়া মারুফিকা ইয়া রাব্বাল আলামীন ওয়া সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মাদিন খাতিমিন নাবিয়্যিনা ওয়া আলিহিত তাহিরিনা ওয়া সাল্লামা তাসলিমা ইন্নাল্লাহা হামিদুম মাজিদ। আল্লাহুম্মা ইন্নি আদউকা কামা আমারতা ফাসতাজিব লি কামা ওয়াআদতা ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিআদ।

সূত্রঃ-ইক্ববালুল আমাল, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৮৯১।


খ. রাসুল (সা.) হতে বর্ণিত সিজদার যিকির এবং দোয়াসমূহ পাঠ করতে হবে। শেখ (রহ.) হাম্মাদ বিন ঈসা ও আবান বিন তাগলুব হতে রেওয়ায়েত বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন: ইমাম জাফর সাদিক্ব (আ.) বলেছেন: ১৪ই শাবানের দিবাগত রাতে রাসুল (সা.) হযরত আয়েশা-এর ঘরে ছিলেন। রাত্রি হলে তিনি ইবাদতের জন্য জাগ্রত হন। যখন হযরত আয়েশা ঘুম থেকে জাগ্রত হন তখন দিনি দেখেন যে, রাসুল (সা.) তাঁর ঘরে নেই। তিনি ধারণা করেন যে, তিনি (সা.) হয়তো অন্য কোন স্ত্রীর ঘরে গেছেন। এ চিন্তায় তিনি চাদর পরিধান করে রাসুল (সা.)-এর অন্যান্য স্ত্রীদের ঘরে তাঁকে খোঁজার জন্য যান। এমতাবস্থায় হঠাৎ তিনি দেখতে পান যে, রাসুল (সা.) সিজদাবনত অবস্থায় রয়েছেন। তিনি রাসুল (সা.)এর নিকটবর্তি হলে শুনতে পান যে, তিনি সিজদারত অবস্থায় বলছিলেনঃ-
سَجَدَ لَكَ سَوَادِي وَ جِنَانِي وَ آمَنَ بِكَ فُؤَادِي وَ هَذِهِ يَدَايَ وَ مَا جَنَيْتُ بِهِمَا عَلَى نَفْسِي يَا عَظِيمُ يُرْجَى لِكُلِّ عَظِيمٍ اغْفِرْ لِيَ الذَّنْبَ الْعَظِيمَ فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذَّنْبَ الْعَظِيمَ إِلَّا الْعَظِيم‏
উচ্চারণঃ সাজাদা লাকা সাওয়াদী ওয়া খায়ালী ওয়া আমানা বিকা ফুওয়াদি হাযিহি ইয়াদায়া ওয়া মা জানাইতু বিহিমা আলা নাফসি ইয়া আযিমু ইউরজা লিকুল্লি আযিম ইগ্বফিরলিয়ায যাম্বাল আযিম ফাইন্নাহু লা ইয়াগ্বফিরুয যাম্বাল আযিমা ইল্লা আযিম।
তারপর তিনি সিজদা থেকে মাথাকে উত্তোলন করেন এবং পুণরায় সিজদাতে যেয়ে বলেনঃ
أَعُوذُ بِنُورِ وَجْهِكَ الَّذِي أَضَاءَتْ لَهُ السَّمَاوَاتُ وَ الْأَرَضُونَ وَ انْكَشَفَتْ لَهُ الظُّلُمَاتُ وَ صَلَحَ عَلَيْهِ أَمْرُ الْأَوَّلِينَ وَ الْآخِرِينَ مِنْ فُجْأَةِ نَقِمَتِكَ وَ مِنْ تَحْوِيلِ عَافِيَتِكَ وَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ اللَّهُمَّ ارْزُقْنِي قَلْباً تَقِيّاً نَقِيّاً وَ مِنَ الشِّرْكِ بَرِيئا لا كَافِراً وَ لا شَقِيّاً.
উচ্চারণঃ আউযু বিনূরী ওয়াজহিকাল্লাযি আযাআত লাহুস সামাওয়াতু ওয়াল আরাযুনা ওয়ান কাশাফাত লাহুয যুলুমাতু ওয়া সালাহা আলাইহি আমরুল আওয়ালিনা ওয়াল আখিরিনা মিন ফুজাআতি নাকিমাতিকা ওয়া মিন তাহওয়িলি আফিয়াতিকা ওয়া মিন যাওয়ালি নেয়মাতিকা আল্লাহুম্মার যুকনি কালবান তাকিয়ান নাকিয়ান ওয়া মিনাশ শিরকি বারিয়ান লা কাফিরাও ওয়া লা শাকিয়া।
তারপর তিনি তাঁর গন্ডদেশকে মাটিতে উপরে রেখে বলেনঃ
عَفَّرْتُ وَجْهِي فِي التُّرَابِ وَ حُقَّ لِي أَنْ أَسْجُدَ لَكَ.
উচ্চারণঃ গাফারতু ওয়াজহি ফিত তুরাবি ওয়া হুক্কা লি আন আসজুদা লাকা।
আমলটি করার পরে যখন রাসুল (সা.) বাড়ি ফেরার জন্য প্রস্তুতি নেন তখন হযরত আয়েশা তাড়াতাড়ি তাঁর বিছানায় শুয়ে পড়েন। যখন রাসুল (সা.) হযরত আয়েশার ঘরে এসে দেখেন যে, তিনি দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়ে ঘুমাচ্ছেন। তিনি তাঁকে ঘুম থেকে জাগ্রত করে বলেন: তুমি কি এই রাত্রির ফযিলত সম্পর্কে অবগত না? রাসুল (সা.) বলেন: আজকে রাতে রুজি এবং মৃত্যুর ক্ষণ নির্ধারণ করা হয়, এই বছরে যে হজ্বে যাবে তার নামকে লিপিবদ্ধ করা হয়, এই রাতে আল্লাহ তায়াল বণি কেলাম গোত্রের পশুর শরীরে পশমের সমপরিমাণ বান্দাদেরকে ক্ষমা করে দেন এবং এই রাতে আল্লাহ তার ফেরেশতাদেরকে মক্কা ও পৃথিবীর উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেন।

সূত্রঃ-মাফাতিহুল জিনান, দ্বিতীয় অধ্যায় শাবান মাস, পৃষ্ঠা ২৭৪, ২৭৫।



৬. দোয়া পাঠ করাঃ

ক. হযরত মুহাম্মাদ (সা.) ১৫ই শাবান রাতে [১৪ই শাবান দিবাগত রাতে] এই দোয়াটি পাঠ করতেনঃ
اللَّهُمَّ اقْسِمْ لَنَا مِنْ خَشْيَتِكَ مَا يَحُولُ بَيْنَنَا وَ بَيْنَ مَعْصِيَتِكَ وَ مِنْ طَاعَتِكَ مَا تُبَلِّغُنَا بِهِ رِضْوَانَكَ و مِنَ الْيَقِينِ مَا يَهُونُ عَلَيْنَا بِهِ مُصِيبَاتُ الدُّنْيَا اللَّهُمَّ أَمْتِعْنَا بِأَسْمَاعِنَا وَ أَبْصَارِنَا وَ قُوَّتِنَا مَا أَحْيَيْتَنَا وَ اجْعَلْهُ الْوَارِثَ مِنَّا وَ اجْعَلْ ثَارَنَا عَلَى مَنْ ظَلَمَنَا وَ انْصُرْنَا عَلَى مَنْ عَادَانَا وَ لا تَجْعَلْ مُصِيبَتَنَا فِي دِينِنَا وَ لا تَجْعَلِ الدُّنْيَا أَكْبَرَ هَمِّنَا وَ لا مَبْلَغَ عِلْمِنَا وَ لا تُسَلِّطْ عَلَيْنَا مَنْ لا يَرْحَمُنَا بِرَحْمَتِكَ يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাক সিম লানা মিন খাশিয়াতিকা মা ইয়াহুলু বাইনানা ওয়া বাইনা মাঅসিয়াতিকা ওয়া মিন ত্বআতিকা মা তুবাল্লিগুনা বিহি রিযওয়ানাকা ওয়া মিনাল ইয়াক্বিনী মা ইয়াহুনু আলাইনা বিহি মুসিবাতুদ দুনইয়া। আল্লাহুম্মা আতিঅনা বিআসমায়ীনা ওয়া আবসারীনা ওয়া কুওয়াতিনা মা আহইয়াইতানা ওয়াজআলহুল ওয়ারিসা মিন্না ওয়াজআল সারানা আলা মান যালামানা ওয়ানসুরনা আলা মান আদানা ওয়া লা তাজআল মুসিবাতানা ফি দীনানা ওয়া লা তাজআলিদ দুনিয়া আকবারা হাম্মিনা ওয়া লা মাবলাগ্বা ইলমিনা ওয়া লা তুসাল্লিত আলাইনা মান লা ইয়ারহামুনা বি রাহমাতিকা ইয়া আর হামার রাহিমিন।
সূত্রঃ-মাফাতিহুল জিনান, দ্বিতীয় অধ্যায় শাবান মাস, পৃষ্ঠা ২৭০।
খ. এই রাতে ইমাম মাহদী আঃ এর বিশেষ দোয়া পাঠ করাঃ শেখ কাফআমি এবং সৈয়দ ইবনে তাউস (রহ.) উভয়েই তাদের স্বীয় গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, তারা বলেছেন: ১৫ই শাবানের রাতে নিন্মোক্ত দোয়াটি পাঠ করলে ইমাম মাহদী (আ.)-এর যিয়ারতের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যাবেঃ
اللَّهُمَّ بِحَقِّ لَيْلَتِنَا وَ مَوْلُودِهَا وَ حُجَّتِكَ* وَ مَوْعُودِهَا الَّتِي قَرَنْتَ إِلَى فَضْلِهَا فَضْلَكَ فَتَمَّتْ كَلِمَتُكَ صِدْقاً وَ عَدْلًا لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِكَ وَ لَا مُعَقِّبَ لِآيَاتِكَ نُورُكَ الْمُتَأَلِّقُ وَ ضِيَاؤُكَ الْمُشْرِقُ وَ الْعَلَمُ النُّورُ فِي طَخْيَاءِ الدَّيْجُورِ الْغَائِبِ الْمَسْتُورِ جَلَّ مَوْلِدُهُ وَ كَرُمَ مَحْتِدُهُ وَ الْمَلَائِكَةُ شُهَّدُهُ وَ اللَّهُ نَاصِرُهُ وَ مُؤَيِّدُهُ إِذَا آنَ مِيعَادُهُ‏ وَ الْمَلَائِكَةُ أَمْدَادُهُ سَيْفُ اللَّهِ الَّذِي لَا يَنْبُو وَ نُورُهُ الَّذِي لَا يَخْبُو وَ ذُو الْحِلْمِ الَّذِي لَا يَصْبُو مَدَارُ الدَّهْرِ وَ نَوَامِيسُ الْعَصْرِ وَ وُلَاةُ الْأَمْرِ وَ الْمُنْزَلِ عَلَيْهِمْ مَا يَتَنَزَّلُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَ أَصْحَابُ الْحَشْرِ وَ النَّشْرِ تَرَاجِمَةُ وَحْيِهِ وَ وُلَاةُ أَمْرِهِ وَ نَهْيِهِ اللَّهُمَّ فَصَلِّ عَلَى خَاتَمِهِمْ وَ قَائِمِهِمْ الْمَسْتُورِ عَنْ عَوَالِمِهِمْ وَ أَدْرِكْ بِنَا أَيَّامَهُ وَ ظُهُورَهُ وَ قِيَامَهُ وَ اجْعَلْنَا مِنْ أَنْصَارِهِ وَ اقْرُنْ ثَارَنَا بِثَارِهِ وَ اكْتُبْنَا فِي أَعْوَانِهِ وَ خُلَصَائِهِ وَ أَحْيِنَا فِي دَوْلَتِهِ نَاعِمِينَ وَ بِصُحْبَتِهِ غَانِمِينَ وَ بِحَقِّهِ قَائِمِينَ وَ مِنَ السُّوءِ سَالِمِينَ يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ وَ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعالَمِينَ وَ صَلَّى اللَّهُ عَلَى مُحَمَّدٍ خَاتَمِ النَّبِيِّينَ وَ الْمُرْسَلِينَ وَ عَلَى أَهْلِ بَيْتِهِ الصَّادِقِينَ وَ عِتْرَتِهِ النَّاطِقِينَ وَ الْعَنْ جَمِيعَ الظَّالِمِينَ وَ احْكُمْ بَيْنَنَا وَ بَيْنَهُمْ يَا أَحْكَمَ الْحَاكِمِينَ.
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা বি হাক্কি লাইলাতিনা ওয়া মাউলুদিহা ওয়া হুজ্জাতিকা ওয়া মাউদিহাল্লাতি কারানতা ইলা ফাযলিহা ফাযলাকা ফাতাম্মাত কালিমাতুকা সিদকাও ওয়া আদলাল লা মুবাদ্দিলা লিকালিমাতিকা ওয়া লা মুআক্কিবা লি আয়াতিকা নুরুকাল মাতাআল্লিকু ওয়া যিয়াউকাল মুশরিকু ওয়াল আলামুন নুরু ফি খাতইয়ায়িদ দাইজুরিল গায়িবীল মাসতুরী হাল্লা মাউলিদুহু ওয়া কারুমা মাহতিদুহু ওয়াল মালায়িকাতু শুহহাদুহু ওয়াল্লাহু নাসিরুহু ওয়া মুআইয়িদুহু ইযা আনা মিআদুহু ওয়াল মালায়িকাতু আমদাদুহু সাইফুল্লা হিল্লাযি লা ইয়াম্বু ওয়া নুরুহুল্লাযি লা ইয়াখবু ওয়া যুল হিলমিল্লাযি লা ইয়াসবু মাদারুদ দাহরী ওয়া নাওয়ামিসুল আসরী ওয়া উলাতুল আমরী ওয়াল মুনযালি আলাইহিম মা ইয়াতানাযযালু ফি লাইলাতিল কাদরী ওয়া আসহাবুল হাশরী ওয়ান নাসরী তারজিমাতু ওয়াহয়িহি ওয়া উলাতু আমরীহি ওয়া নাহয়িহি আল্লাহুম্মা ফাসাল্লি আলা খাতামিহিম ওয়া কায়িমিহিল মাসতুর আন আওয়ালিমিহিম ওয়া আদরিক বিনা আইয়ামাহু ওয়া যুহুরাহু ওয়া কিয়ামাহু ওয়াজআলনা মিন আনসারিহি ওয়াক্বরুন সারানা বিসারিহি ওয়াকতুবনা ফি আওয়ানিহি ওয়া খুলাসায়িহি ওয়া আহয়িনা ফি দাউলাতিহি নায়িমিনা ওয়া বিসুহবাতিহি গানিমিনা ওয়া বি হাক্কিহি কায়িমিনা ওয়া মিনাস সুয়ী সালিমিনা ইয়া আরহামার রাহিমিন ওয়াল হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন ওয়া সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মাদিন খাতিমিন নাবিয়্যিনা ওয়াল মুরসালিনা ওয়া আলা আহলে বাইতিহিস সাদিকিনা ওয়া ইতরাতিহিন নাতিক্বিনা ওয়াল আন জামিআয যালিমিনা ওয়াহকুম বাইনানা ওয়া বাইনাহুম ইয়া আহকামাল হাকিমিন।
গ. হযরত ইসমাইল বিন ফাযল হাশেমী (রহঃ) বলেনঃ ইমাম সাদিক্ব (আ.) আমাকে এই দোয়াটির শিক্ষা দেন এবং যেন আমি ১৫ই শাবান রাতে [১৪ই শাবান দিবাগত রাতে] নিন্মোক্ত দোয়াটি পাঠ করিঃ
اللَّهُمَّ‏ أَنْتَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ الْخَالِقُ الرَّازِقُ الْمُحْيِي الْمُمِيتُ الْبَدِي ءُ الْبَدِيعُ لَكَ الْجَلالُ وَ لَكَ الْفَضْلُ وَ لَكَ الْحَمْدُ وَ لَكَ الْمَنُّ وَ لَكَ الْجُودُ وَ لَكَ الْكَرَمُ وَ لَكَ الْأَمْرُ وَ لَكَ الْمَجْدُ وَ لَكَ الشُّكْرُ وَحْدَكَ لا شَرِيكَ لَكَ يَا وَاحِدُ يَا أَحَدُ يَا صَمَدُ يَا مَنْ لَمْ يَلِدْ وَ لَمْ يُولَدْ وَ لَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُواً أَحَدٌ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ وَ اغْفِرْ لِي وَ ارْحَمْنِي وَ اكْفِنِي مَا أَهَمَّنِي وَ اقْضِ دَيْنِي وَ وَسِّعْ عَلَيَّ فِي رِزْقِي فَإِنَّكَ فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ كُلَّ أَمْرٍ حَكِيمٍ تَفْرُقُ وَ مَنْ تَشَاءُ مِنْ خَلْقِكَ تَرْزُقُ فَارْزُقْنِي وَ أَنْتَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ فَإِنَّكَ قُلْتَ وَ أَنْتَ خَيْرُ الْقَائِلِينَ النَّاطِقِينَ وَ اسْئَلُوا اللَّهَ مِنْ فَضْلِهِ فَمِنْ فَضْلِكَ أَسْأَلُ وَ إِيَّاكَ قَصَدْتُ وَ ابْنَ نَبِيِّكَ اعْتَمَدْتُ وَ لَكَ رَجَوْتُ فَارْحَمْنِي يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ.
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আনতাল হাইয়্যুল কাইয়্যুমুল আলীউল আযিম খঅলিকুর রাযিকুল মুহয়্যিল মুমিতুল বাদিয়্যুল বাদিয়্যু লাকাল জালালু ওয়া লাকাল ফাযলু ওয়া লাকাল হামদু ওয়া লাকাল মান্নু ওয়া লাকাল জুদু ওয়া লাকাল কারামু ওয়া লাকাল আমরু ওয়া লাকাল মাজদু ওয়া লাকাশ শুকরু ওয়াহদাকা লা শারীকা লাকা ইয়া ওয়াহিদু ইয়া আহাদু ইয়া সামাদু ইয়া মান লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইয়ুলাদ ওয়া লাম ইয়া কুনলাহু কুফুওয়ান আহাদ সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলি মুহাম্মাদ ওয়াগফির লি ওয়ারহামনী ওয়াকফিনী মা আহাম্মানী ওয়াক্বযি দিনী ওয়া ওয়াসসে আলাইয়া ফি রিযক্বি ফা ইন্নাকা কুলতা ওয়া আনতা খাইরুল কায়িলিনান নাতিকিনা ওয়াসআলুল্লাহা মিন ফাযলিহি ফামিন ফাযলিকা আসআলু ওয়া ইয়য়াকা কাসাদতু ওয়াবনা নাবিয়্যিকা তামাদতু ওয়া লাকা রাজাওতু ফারহামনী ইয়া আরহামার রাহিমিন।
সূত্রঃ-মাফাতিহুল জিনান, দ্বিতীয় অধ্যায় শাবান মাস, পৃষ্ঠা ২৬৯, ২৭০।
ঘ.দোয়া-এ যহুরে ইমামে জামান (আঃ) দোয়া-এ হজ্জাত পাঠঃ
দোয়া-এ হজ্জাত উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা কুর্ন লি ওয়ালিয়্যিকাল আর্ল হুজ্জাতিবনি হাসানিল আ’সকারী সালওয়াতুকা আ’লাইহি ওয়া আ’লা আবায়িহি ফি হাযিহিস সায়াতি ওয়া ফি কুল্লি সায়াতি ওয়ালীয়ান ওয়া হাফিযান ওয়া ক্বায়িদান ওয়া নাসিরান ওয়া দালিলান ওয়া আইনান হাত তুসকিনাহু ও আরযাকা ত্বাওয়ান ওয়াতু মাততিয়া’হু ফিহা ত্বাওয়িলা।আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলে মোহাম্মাদ ওয়া আ’জজীল ফারজাহুম।

ঙ. দোয়া-এ কুমাইল পাঠ করাঃ ইমাম আলী (আ.) উক্ত দোয়াটি সিজদাতে পাঠ করেতেন। মওলা বলেছেনঃ ১৫ই শাবান রাতে [১৪ই শাবান দিবাগত রাতে] সকল বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করা হয়। এ রাতে দোয়া-এ কুমাইল পাঠ করলে তার দোয়া কবুল হয়। (ইকবালুল আমাল, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৮৮৫- ৯০২,আল মোরাকেবাত, পৃষ্ঠা ১৯২)



৭.সালাওয়াত পাঠঃ

শাবান মাসে প্রত্যেকদিন যাওয়ালের সময় এবং বিশেষত ১৫ই শাবানের রাতে [১৪ই শাবান দিবাগত রাতে] এই সালাওয়াতটি পাঠ করার বিশেষ ফযিলত বর্ণিত হয়েছে।
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى‏ مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ شَجَرَةِ النُّبُوَّةِ وَ مَوْضِعِ الرِّسَالَةِ وَ مُخْتَلَفِ الْمَلاَئِكَةِ وَ مَعْدِنِ الْعِلْمِ وَ أَهْلِ بَيْتِ الْوَحْيِ اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى‏ مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ الْفُلْكِ الْجَارِيَةِ فِي اللُّجَجِ الْغَامِرَةِ يَامَنُ مَنْ رَكِبَهَا وَ يَغْرَقُ مَنْ تَرَكَهَا الْمُتَقَدِّمُ لَهُمْ مَارِقٌ وَ الْمُتَأَخِّرُ عَنْهُمْ زَاهِقٌ وَ اللاَزِمُ لَهُمْ لاَحِقٌ اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى‏ مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ الْكَهْفِ الْحَصِينِ وَ غِيَاثِ الْمُضْطَرِّ الْمُسْتَكِينِ وَ مَلْجَإِ الْهَارِبِينَ وَ عِصْمَةِ الْمُعْتَصِمِينَ اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى‏ مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ صَلاَةً كَثِيرَةً تَكُونُ لَهُمْ رِضًي‏ وَ لِحَقِّ مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ أَدَاءً وَ قَضَاءً بِحَوْلٍ مِنْكَ وَ قُوَّةٍ يَا رَبَّ الْعَالَمِيْنَ اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى‏ مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ الطَّيِّبِيْنَ الاَبْرَارِ اِلاَّخْيَارِ الَّذِينَ أَوْجَبْتَ حُقُوقَهُمْ وَ فَرَضْتَ طَاعَتَهُمْ وَ وِلاَيَتَهُمْ اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى‏ مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ وَ اعْمُرْ قَلْبِي بِطَاعَتِكَ وَ لاَ تُخْزِنِي بِمَعْصِيَتِكَ وَ ارْزُقْنِي مُوَاسَاةَ مَنْ قَتَّرْتَ عَلَيْهِ مِنْ رِزْقِكَ، ،بِمَا وَسَّعْتَ عَلَى مِنْ فَضْلِكَ وَ نَشَرْتَ عَلَى مِنْ عَدْلِكَ وَ أَحْيَيْتَنِي تَحْتَ ظِلِّكَ وَ هَذَا شَهْرُ نَبِيِّكَ سَيِّدِ رُسُلِكَ شَعْبَانُ الَّذِي حَفَفْتَهُ مِنْكَ بِالرَّحْمَةِ وَ الرِّضْوَانِ الَّذِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّه‏عَلَيْهِ وَ آلِهِ وَ [سَلَّمَ‏] يَدْأَبُ فِي صِيَامِهِ وَ قِيَامِهِ فِي لَيَآلِيهِ وَ أَيَامِهِ بُخُوعا لَكَ فِي إِكْرَامِهِ وَ إِعْظَامِهِ إلَى‏ مَحَلِّ حِمَامِهِ اَللَّهُمَّ فَأَعِنَّا عَلَى‏ اِلاَّسْتِنَانِ بِسُنَّتِهِ فِيْهِ وَ نَيْلِ الشَّفَاعَةِ لَدَيْهِ اَللَّهُمَّ وَ اجْعَلْهُ لِي شَفِيعا مُشَفَّعا وَ طَرِيقا إلَيْكَ مَهْيَعا وَ اجْعَلْنِي لَهُ مُتَّبِعا حَتَّي‏ أَلْقَاكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَنِّي رَاضِيَا وَ عَنْ ذُنُوبِي غَاضِيَا قَدْ أَوْجَبْتَ لِي مِنْكَ الرَّحْمَةَ وَ الرِّضْوَانَ وَ أَنْزَلْتَنِي دَارَ الْقَرَارِ وَ مَحَلَّ اِلاَّخْيَارِ.

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া আলি মুহাম্মাদ শাজারাতিন নাবুওয়াতি ওয়া মাউযিয়ীর রিসালাতী ওয়া মুখতালাফিল মালায়িকাতি ওয়া মাঅদিনিল ইলমী ওয়া আহলী বাইতিল ওয়াহী। আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া আলি মুহাম্মাদিল ফুলকিল জারিয়াতি ফিল লুজাজিল গামিরাতি ইয়ামানু মান রাকিবাহা ওয়া ইয়াগরাকু মান তারাকাহাল মুতাকাদ্দিমু লাহুম মারিকুঁ ওয়াল মুতাআখখিরু আনহুম যাহিকুঁ ওয়াল আযিমু লাহুম আহিক্বু আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া আলি মুহাম্মাদিল কাহফিল হাসীন ওয়া গ্বিয়াসীল মুযতাররিল মুসতাকিনি ওয়া মালজায়ীল হারিবিনা ওয়া ইসমাতীল মুতাসিমিন। আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া আলি মুহাম্মাদ সালাতান কাসীরাতান তাকুনু লাহুম রিদাও ওয়ালি হাক্কি মুহাম্মাদ ওয়া আলি মুহাম্মাদ আদাআও ওয়া কাযাআ বিহাওলিম মিনকা ওয়া কুওয়্যাতিন ইয়া রাব্বাল আলামীন। আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া আলি মুহাম্মাদিত তাইয়্যিবিনাল আবরারিল আখইয়ারীলল্লাযিনা আউজাবতা হুক্বুক্বাহুম ওয়া ফারাযতা ত্বআতাহুম ওয়া ওয়েলায়াতাহুম। আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া আলি মুহাম্মাদ ওয়া মুর ক্বালবী বিত্বআতিকা ওয়া লা তুখযিনী বিমাঅসীয়াতিকা ওয়ার যুরক্বনী মুওয়াসাতা মান ক্বাত্তারতা আলাইহী মিন রিযক্বিকা বিমা ওয়াসসাঅতা আলা মিন ফাযলিকা ওয়া নাশারতা আলা মিন আদলিকা ওয়া আহইয়াইতানী তাহতায যিল্লিকা ওয়া হাযা শাহরু নাবিয়্যিকা সাইয়্যিদি রুসুলিকা শাবানুল্লাযি হাফাফতাহু মিনকা বিররামাতি ওয়ার রিযওয়ানীলল্লাযি কানা রাসুলুল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম ইয়াদআবু ফি সীয়ামিহি ওয়া ক্বিয়ামিহি ফি লায়ালিহি ওয়া আয়ামিহি বুখুআ লাকা ফি ইকরামিহি ওয়া এঅযামিহি ইলা মাহাল্লি হিমামিহি আল্লাহুম্মা ফাআইন্না আলা ইসতিনানী বি সুন্নাতিহি ফিহি ওয়া নাইলীশ শাফাআতি লাদাইহী। আল্লাহুম্মা ওয়াজআলহু লি শাফিয়ান মুশাফফাআও ওয়া তারিক্বা ইলাইকা মাহইয়াআও ওয়াজ আলনী লাহু মুত্তাবিআন হাত্তা আলকাহু ইয়াওমাল কিয়ামাতি আন্নি রাযিয়ান ওয়া আন যুনুবি গ্বাযিয়ান ক্বাদ আউজাবতা লি মিনকার রাহমাতা ওয়ার রিযওয়ানা ওয়া আনযালতানী দারাল ক্বারারী ওয়া মাহাল্লাল আখইয়ার।



৮. সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াতের আ’মালঃ

শাইখ কাফামী ‘মিসবাহ’ তে সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করার জন্য লিখেছেন তিন বার। একবার দীর্ঘ জীবনের জন্য।একবার সমৃদ্ধির জন্য।দুর্ভাগ্য থেকে সুরক্ষার জন্য একবার।
৯.তাসবিহ হযরত যেহরা (আঃ) পাঠ করা। নিন্মোক্ত তসবিহসমূহ পাঠ করাঃ-
(سُبْحَانَ اللَّهِ) সুবহান আল্লাহ – ১০০ বার।
(الْحَمْدُ لِلَّهِ) আলহামদু লিল্লাহ- ১০০ বার।
(اللَّهُ أَكْبَر) আল্লাহু আকবার – ১০০ বার।
(لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ‏) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ – ১০০ বার।


১৫ই শাবান দিনের আমলসমূহঃ

১৫ই শাবানে ইমাম মাহদী (আ.) জন্মগ্রহণ করেন। সুতরাং এ দিনে যে যিয়ারতটি সামেরাতে ইমাম মাহদী (আ.)-এর জন্য পাঠ করা হয়ে থাকে তা পাঠ করা উত্তম। এছাড়া ইমাম মাহদী (আ.) আবির্ভাব তরান্বিত হওয়ার জন্য সর্বস্থানে দোয়া করা এবং তার যিয়ারতও পাঠ করা মুস্তাহাব। তবে যে স্থান থেকে তিনি পর্দার অন্তরালে চলে গেছিলেন সেখানে যিয়ারতটি পাঠ করার বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
রাসুল (সা.) বলেছেনঃ কেউ যদি শাবান মাসে ১৫ দিন রোজা রাখে তাহলে আল্লাহ বলবেন: আমার ইজ্জতের শপথ আমি তাকে জাহান্নামের আগুনে পোড়াবো না। সূত্রঃ- ইক্ববালুল আমাল, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৯৪২।
এই পদ্ধতিতে রাত্রি জাগরণ, ইবাদত করা, বিশেষ দোয়া তসবিহসমূহ পাঠ করলে আল্লাহ তার পূর্বের কৃত গুনাহসমূহকে ক্ষমা করে দিবেন এবং তার দোয়াসমূহকে কবুল করবেন।

সিপাহসালারইনস্টিটিউশন | এপ্রিল ২০২১এসএইচহক

About the author

Syed Hossain ul Haque

সৈয়দ হোসাইন উল হক তরফ ও শ্রীহট্ট বিজয়ী মহান মনিষী সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন (রহঃ)এর অধস্থন পুরুষ ‘নবী বংশ পরিচিতি ও মহান কোরবানি’ গ্রন্থের লেখক, হবিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সুরাবই সাহেব বাড়ীর সিংহপুরুষ সৈয়দ মোঃ ইসহাক আল হুসাইনী (রহঃ)সাহেবের মেঝ ছেলের ঘরের বড় নাতি।মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাজ্য গমন অতঃপর ইউনিভার্সিটি অফ সান্ডারল্যান্ড থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্টে অনার্স এবং কুইন মেরী ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এন্ড পলিটিক্সের উপর এম এস সি। তারপর ২০১৮ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ইসলামিক স্টাডিজ এন্ড হিস্টোরি’তে এম-ফিল। শিক্ষানবিশ কালে সেই সকল বিশ্ববিদ্যালয় সমুহের বিভিন্ন ছাত্র সংঘটনের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।বর্তমানে লন্ডনে স্থায়ী ভাবে বসবাস করছেন পাশাপাশি লন্ডনের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজারের দায়িত্বরত।তাছাড়াও যুক্তরাজ্যে একটি ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটর লেকচারার ও গবেষনা কেন্দ্রে অবিরাম বিভিন্ন বিষয়ে গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছেন।আল-কোরআন ও হাদীসের আলোকে “যবহে আজিম এবং জিকিরে শাহাদাত”শীর্ষক গ্রন্থখানা তার দীর্ঘ গবেষনা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল।

মতামত দিন