প্রবন্ধ

উসীলা

উসীলা

লেখক:-সৈয়দ হোসাইন উল হক

আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে যারা মাধ্যম বা উসীলা অস্বীকার করে, তারা নাবী রাসূলদের অস্বীকার করল, যারা নাবী রাসূলদের অমান্য করে, তারা মূলত কাফের। নাবী রাসূলগণ আল্লাহ প্রাপ্তির পথে আল্লাহর উসীলা। মানুষের গুরু মানুষই হয়। এটা চরম সত্য যে, পৃথিবীর সকল মানুষ কোন না কোন গুরুর অনুসরণ করে। যারা যাকে মানে সেই হচ্ছে তার পীর।

আপনি সালাত আদায় করবেন, আপনাকে কেবলা মূখী হয়ে কাবাঘর বায়তুল্লাহ কে সামনে রেখে সালাত আদায় করতে হবে। তা না হলে আপনার সালাত আদায় হবে না। এই কাবাঘর সৃষ্টি, স্রষ্টা নয়। যুগে মানুষেই এটা তৈরী করেছে। সালাত আদায়ে কাবাঘর হচ্ছে উসীলা। সালাত এর মত প্রধান এবাদতেও যদি উসিলা প্রয়োজন হয়, তবে যারা সরসরি আল্লাহর এবাদতের কথা বলে মাধ্যমকে অস্বীকার করেন পক্ষান্তরে তারা আল্লাহর আইনের বিরোধীতা করেন। আপনাদের নিকট প্রশ্ন কে শ্রেষ্ঠ? কাবাঘর না মানুষ? যদি কাবাঘর মানুষের চেয়ে শ্রেষ্ঠ হয় তবে আল্লাহ তাআলা মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত ঘোষনা করলেন কেন? এর জবাব আমাদের আঁকা হযরত মোহাম্মদ সঃ হাদীস শরীফে এভাবে দিয়েছেন.…

আল মোমিনু কুরমাতিন মিনাল কাবাতি, একজন মোমিন ব্যক্তি (নবী, রাসূল, ইমাম,ওলীগণ) কাবার চেয়েও শ্রেষ্ঠ।

সেজদার একমাত্র মালিক আল্লাহ। কিভাবে আল্লাহকে সেজদা করেন? সরাসরি না সৃষ্টির মাধ্যমে? অবশ্য সৃষ্টির মাধ্যমে। যেমন সালাতে সেজদা করতে গিয়ে মাটির উপর কপাল রাখি। এখানে মাটি সৃষ্টি এবং সেজদার উসিলা। সরাসরি আল্লাহকে সেজদা করা যায় না। সৃষ্টির মাধ্যম ব্যতীত সরাসরি আল্লাহকে সেজদা করার প্রক্রিয়া কারো জানা থাকলে লিখে জানাবেন।
দেখুন এই বোকার দলেরা আল্লাহর বিধানকে অস্বীকার করে। সূরা কাসাস পডুন। এক পবিত্র খেজুর বৃক্ষ মূসাকে ডেকে বললেন, ” হে মূসা, আমি আল্লাহ! এই বিশ্ব জগতের প্রভু। তুমি তোমার হাতের লাঠি ফেলে দাও। আর তখনি মূসা গাছের হকুমে হাতের লাঠি ফেলে দিল। আর যদি সেখানে বর্তমান যুগের কোন মোল্লাকে এই হকুম দেয়া হতো, তাহলে মোল্লা লাঠি না ফেলে গাছ কাটার হকুম দিত। আর চিৎকার দিয়ে বলতো শির্ক, শির্ক।

মন্তব্য

মতামত দিন