প্রবন্ধ

হযরত সোলাইমান আঃ এর রৌপ্য ফলকে প্রাচীন ইব্রানী ভাষায় পাক‑পাঞ্জাতনের পাক পবিত্র নাম লিপিবদ্ধ আছে।

১৯১৬ খৃঃ সংগঠিত প্রথম মহা যুদ্ধ পৃথিবীর মানুষের জন্য কেয়ামত স্বরূপ ছিল। সে সময় বায়তুল মােকাদ্দাস হইতে কয়েক মাইল দূরে এক সৈন্যদল তার প্রতিপক্ষকে প্রতিহত করার অভিপ্রায়ে সম্মুখে তীব্র বেগে অগ্রসর হইতেছিল। পথিমধ্যে উনাত্রা নামক একটি ছােট গ্রামের ১টি টিলা হইতে অন্ধকার রাত্রে একটি আজব আলােরশ্মি বাহির হইতে দেখিল। এই আজব আলাের রশ্মি দেখিয়া সৈন্যদল থমকিয়া দাড়াইল এবং কিছুসংখ্যক সৈন্য ব্যাপারটা অনুধাবন করার জন্য ঐ আলাে রশ্মির নিকটে গেল। তাহারা দেখিল যে ঐ আশ্চর্যজনক আলােরশ্মি মাটি ও পাথরের টিলার ফাটল দিয়া বাহির হইতেছে। তখন তাহারা উহা খনন করিতে লাগিল। মাটি খুঁড়িয়া প্রায় ৪ গজ নীচে একটি রৌপ্যের ফলক আবিষ্কার করিল যাহা হইতে ঐ আলােরশ্মি বাহির হইতেছিল। পৌনে একগজ লম্বা ও আধাগজ চওড়া ফলকটি যখনই তাহারা হাতে নিল তখনই আলাে বিচ্ছুরণ বন্ধ হইয়া গেল। উহা পাইয়া সৈন্যদল খুবই আনন্দিত হইল কিন্তু আলােরশ্মি বন্ধ হইয়া যাওয়াতে দুঃখিত হইল এবং শঙ্কিত হইল। অবশেষে তাহার ঐ ফলকটি তাহাদের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নিকটে নিয়া গেল। তিনি ছিলেন একজন ইংরেজ যার নাম ছিল মিঃ এ. এন, গ্র্যান্ডেল । তিনি টর্চ লাইটের আলােতে ফলকটি দেখিয়া হতভম্ব হইয়া গেলেন। উহার চারিদিকে অত্যন্ত মূল্যবান পাথর দিয়া বাঁধানাে ছিল এবং মাঝখানে স্বর্ণাক্ষরে অত্যন্ত পুরাতন ভাষায় কিছু লেখা ছিল। অতএব ঐ লেখা তিনি বুঝিতে পারিলেন না। অবশ্য তার ধারণা হইল যে উহা একান্ত সাধারণ জিনিস নয়। তিনি ইহাও বুঝিতে পারিলেন যে, এ লেখা অত্যন্ত সম্মানীয় ও গােপনীয় এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অবশেষে উহা বহু অফিসারদের হাত বদল হইয়া তাহাদের সর্বাধিনায়ক লেঃ জেঃ ডি. ও. গ্লাডষ্টোন‑এর হাতে পৌছিল। তিনি উহা বৃটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদদের হাতে পৌছাইয়া দিলেন।

প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের শেষে ১৯১৮ খৃঃ বৃটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, ও অন্যান্য দেশের প্রাচীন ভাষার পণ্ডিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তাহার দীর্ঘ কয়েক মাস কঠিন পরিশ্রম ও গবেষণা করিয়া তাহারা উহার রহস্য উদ্ঘাটন করিতে সক্ষম হন। ইহাতে জানা যায় যে, উক্ত রৌপ্য ফলকটি হযরত সোলাইমান আঃ এর ছিল এবং উহার লেখাগুলি প্রাচীন ইব্রানী ভাষার, যে ভাষায় ‘যবুর ও গজলুল গজলাত লেখা। গবেষণা কমিটির সদস্যগণ ফলকে লেখা হযরত আহম্মদ, আল বতুল, হাসান ও হােসেনের নাম পড়িয়া আশ্চর্য্য হইয়া গেলেন। তাহারা একে অন্যের দিকে তাকাইতে লাগিলেন। অবশেষে উহা বৃটেনের রাজকীয় যাদুঘরে রক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু লর্ড পাদ্রী এই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১লা মার্চ ১৯২৩ খৃঃ একটি গােপনীয় আদেশ। জারী করিলেন, উহা নিম্নরূপঃ “যদি এই ফলক কোন যাদুঘরে রাখা হয় অথবা এমন কোন জায়গায় যেখানে জনসাধারণ অবাধ চলাফেরা করে, তবে খৃষ্টান ধর্মের ভিত অত্যন্ত দুর্বল হইয়া পড়িবে এবং উহা চিরতরে পৃথিবী হইতে বিলুপ্ত হইয়া যাইবে। সুতরাং উক্ত ফলককে ইংলণ্ডের গিজার একান্ত গােপনীয় কক্ষে রাখাই শ্রেয়, যেখানে জনসাধারণের অবাধ একান্ত যাতায়াত নাই।“আজ পর্যন্ত এ ফলকটি ইংলণ্ডের রাজকীয় যাদুঘরের গােপন কক্ষে রক্ষিত আছে। 

দেখুন ঐতিহাসিক গ্রন্থ সূত্রঃ (১) ওয়াণ্ডার ফুল ষ্টোরীজ অব ইসলাম, লেখকঃকর্ণেল পি, সি, ইমপ্লে,লণ্ডন, পৃষ্ঠা ২৪৬ (২) রিছালে হাকিকাতে গারাবিয়া। লেখকঃ আবুল হাছান সিরাজী,পৃঃ ২১-২৪।

বরফ জমিলেও পানি-আবার গলিয়া গেলেও পানি।সত্য লােহার সিন্দুকে আটকাইয়া রাখা যায় না।হযরত ছােলায়মান (আঃ)-এর রূপার ফলক গবেষক ও বিশপগণ আপ্রান চেষ্টা করিয়াও লুকাইয়া রাখিতে ব্যর্থ হইয়াছে। এই খবর আজ দুনিয়ার মানুষ জানিতে পারিয়াছে।কারণ এমন কোন শক্তি নাই যে হযরত মােহাম্মদ (দঃ) ও হযরত আলী (আঃ)-এর নূরে কোন বাধার সৃষ্টি করিতে পারে; পাক পাঞ্জাতনের নুরকে নিবাইয়া দিতে পারে।

উদাহরণ স্বরূপ ঐ রৌপ্য ফলক সম্মন্ধে একটি গল্প প্রচলিত ছিল যাহা নিম্নরূপঃ

টমাসঃ ওহে উইলিয়াম! তুমি কি রৌপ্যফলক সম্বন্ধে কিছু শুনিয়াছ? 

উইলিয়ামঃ হ্যা, আমি ঐ আশ্চৰ্যজনক খবর শুনিয়াছি।

টমাসঃ এখন তুমি কি সিদ্ধান্ত নিয়াছ? 

উইলিয়ামঃ  ইহা অত্যন্ত সংকটজনক ব্যাপার? আমাদের ধর্মীয় নেতাগণ এ সম্বন্ধে মতানৈক্য করিতে পারেন। কিন্তু আমি .….….…।

টমাসঃ হা হা! বল।থামিয়া গেলে কেন? প্রত্যেক ব্যক্তির ভালমন্দ বিচার করার স্বাধীনতা আছে। এটা কোন রাজনীতির সমস্যা নয় যে উহা প্রকাশ করিলে রাজদণ্ডের ভয় আছে। তুমি নিশ্চিত ও নিঃসংকোচে বলিতে পার।

উইলিয়ামঃ ভাই টমাস।আমার আত্মবিশ্বাস যে ইসলামই একমাত্র সত্য ধর্ম এবং শেষ পর্যন্ত ইসলামই বলবৎ থাকিবে।টমাস তুমি চিন্তা করিয়া দেখ যে অতীতের সমস্ত নবীপয়গম্বরগণ হাজার হাজার বৎসর পূর্বে শেষ নবী হযরত মােহাম্মদ (দঃ)-এর আগমনের ভবিষ্যত্বাণী করিয়াই ক্ষান্ত হন নাই বরং তাঁহার উছিলা ধরিয়া সাহায্যও প্রার্থনা করিয়াছেন।তুমি যদি কিছু মনে না কর, তবে আমি সত্য কথাই বলি।আমাদের বাইবেলেও অগণিত ইঙ্গিত আছে যে হযরত মােহাম্মদ শেষ নবী হইবেন এবং তাঁর বংশধরগণও এক সম্মানিত অবস্থা প্রাপ্ত হইবেন। 

টমাসঃ বেশ ভাল। বাস্তবিকই তুমি সঠিক কথা বলিয়াছ।যদি আমরা এগুলি ঘৃণা ও স্বার্থ হীন চিত্তে ভাবিয়া দেখি, তাহা হইলে সাম (পুরাতন ধর্ম গ্রন্থ) গ্রন্থে উহা পরিষ্কার ভাবে জানিতে পারিব। তাহাছাড়াও ইসলামের ইতিহাস দেখিতে পারাে,সেখানে আলী ও হােসেনের বীরত্বপূর্ণ ঘটনা লেখা আছে উহা পড়িলেই বােঝা যায় যে তাঁহারা আধ্যাত্মিক শক্তির এমন অধিকারী ছিলেন যাহা সাধারণের পক্ষে সম্ভব নয়। 

উইলিয়ামঃ এ কথা আমিও স্বীকার করি।কারণ ঐতিহাসিক ঘটনা মিথ্যা হইতে পারে না।সুতরাং কেহ মানুক কি না মানুক তাতে কিছু যায় আসে না। স্বয়ং আল্লাহ নিজেই তাঁহাদের প্রশংসা করেন। আমি বহুদিন হইতেই শুনিয়া আসিতেছি যে কোরান পাকে হযরত মােহাম্মদ (দঃ) ও তাঁহার আহলে। বয়াতের শানে অনেক কিছু লেখা আছে। এখন আমাদের চিন্তা করা উচিত যে কোন্ পথ আমরা অবলম্বন করিব।অন্ধের মত খৃষ্ট ধর্মের উপর বলবৎ থাকিব না সত্য সন্ধানে অন্য পথ খুঁজিয়া লইব। 

টমাসঃ ভাই উইলিয়াম। তুমি বিশ্বাস করাে কি না করাে আমি এখন হইতেই মুসলমান হইয়া গেলাম।এ মুহূর্ত হইতেই তুমি আমাকে ইসলামের পাক‑পাঞ্জাতনের গােলাম হিসাবে গণ্য করিতে পারাে। যাহাদের পাক পবিত্র নাম রৌপ্য ফলকে লেখা আছে। 

উইলিয়ামঃ আর দেরী কেন? চল আমরা এখনই কোন ইসলামিক দেশে চলিয়া যাই এবং কলেমা পড়ি। 

টমাসঃ সত্যিই !

উইলিয়ামঃ হাঁ বিশ্বাস করাে। আমি তাে তােমার পূর্বেই মুসলমান হইয়া গিয়াছি।কোন ইসলামিক দেশে যাওয়ার দরকার নাই। ইরানের এক বড় আলেম (মুস্তাহীদ ) নিউ ক্যাসেলে আসিয়াছেন। চল আমরা সেখানে গিয়া বয়াত হই।

এই উভয় ভাগ্যবান ব্যক্তি নিউ ক্যাসেলে গিয়া জনাব মাওলানা হাছান মুস্তবা তেহরাণীর হাতে বয়াত হইয়া ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিলেন। টমাসের নাম বদল করিয়া ফজলে হােসেন এবং উইলিয়ামের নাম করমে হােসেন রাখিলেন। এই ঘটনার ২ বৎসর পরে এই ব্যক্তিদ্বয় ১৯২৫ খৃঃ কাবা ও কারবালায় হজ্জ ও জিয়ারত করিয়াছেন।

From His­tor­i­cal text sources: Mus­lim chron­i­cle Lon­don, 3rd, Decem­ber 1926 & Resalae Al-Islam, Del­hi, feb, 1927.

[প্রবন্ধটি গবেষণামূলক গ্রন্থ “এলীয়া” থেকে সংগৃহীত। মূল বইটি ইব্রানী ভাষায় লিখিত।পর্যায়ক্রমে ইহা আরবী,উর্দু,হিন্দি,ইংরেজী এবং বাংলায় ভাষায় অনুবাদ করা হয়।]

 


সিপাহসালার ইনস্টিটিউশন | সেপ্টেম্বর ২০২০এস এইচ হক

 

মন্তব্য

  • Great read! The clar­i­ty and depth of your expla­na­tion are com­mend­able. For fur­ther read­ing, here’s a use­ful resource: EXPLORE FURTHER. Let’s discuss!

  • Still, bit­coin has been on an incred­i­ble tra­jec­to­ry that’s out­paced oth­er invest­ments. So far in 2021 alone, the cryp­tocur­ren­cy has surged more than 63%, after qua­dru­pling in val­ue in 2020. Although Bit­coin should­n’t account for a large por­tion of the val­ue of your port­fo­lio, a small invest­ment in the cryp­tocur­ren­cy is worth con­sid­er­ing. The key is to main­tain a bal­anced, diver­si­fied port­fo­lio. If you choose to invest in Bit­coin and oth­er cryp­tocur­ren­cies or cryp­tocur­ren­cy stocks, you will be well posi­tioned to ben­e­fit if Bit­coin ris­es in val­ue, but you won’t be putting all of your eggs in one very volatile bas­ket. $ You can email the site own­er to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloud­flare Ray ID found at the bot­tom of this page.
    https://source-wiki.win/index.php?title=When_is_crypto_market_open
    Because bit­coin trans­ac­tions require so much com­put­ing pow­er to ver­i­fy, the hard­ware for bit­coin min­ing has to be cooled con­stant­ly by spe­cial fans. Your aver­age cell phone, desk­top, or lap­top com­put­er does not have the cool­ing capa­bil­i­ties to keep the CPU from over­heat­ing. As a result, when a com­put­er is hijacked for cryp­tocur­ren­cy min­ing, it often over­heats and burns up. Cer­tain cryp­to­min­ing scripts have worm­ing abil­i­ties that let them infect oth­er servers and devices on a tar­get net­work. This also makes them dif­fi­cult to iso­late and remove—maintaining per­sis­tence on a net­work is in the best finan­cial inter­est of a cryp­to­jack­er. The crash of cryp­to is bound to hap­pen for the same rea­son that all Ponzi schemes even­tu­al­ly crum­ble: There is not an infi­nite sup­ply of new peo­ple will­ing to pay ever-increas­ing prices for the stuff that you cur­rent­ly own. The more inter­est­ing ques­tion is not whether many small-time investors will lose a lot of mon­ey on their cryp­to invest­ments, but what will hap­pen when they do? 

  • The Nation­al Bas­ket­ball Asso­ci­a­tion (NBA) has become one of the biggest bet­ting mar­kets in the thriv­ing US sports bet­ting indus­try. There are sev­er­al great ways to bet on the NBA, but NBA prop bet­ting is one of the lat­est trends that is start­ing to become more pop­u­lar. Once the reg­u­lar sea­son is over the NBA tends to resem­ble the nation­al foot­ball league in many ways. Bet­tors have much more time to make their NBA play­off picks as teams trav­el to each oth­er’s are­nas and rest between series. Mak­ing suc­cess­ful NBA play­off pre­dic­tions is as much about when you bet as it is who you bet on. A series might not start for days. That means an NBA spread may move quite a few points espe­cial­ly as the pub­lic bets clos­er to the action. If we see val­ue in a play­off pre­dic­tion it will rely heav­i­ly on get­ting the line we are quot­ing in said NBA pick. In the words of the great Tony George, “We are bet­ting num­bers, not teams!” That may not be more rel­e­vant than when mak­ing picks on the NBA play­off games.
    https://golf-wiki.win/index.php?title=Best_picks_for_nba_today
    The 2024 Wyn­d­ham Cham­pi­onship is the final PGA Tour event before the start of the FedEx­Cup Play­offs, and it takes place at Sedge­field Coun­try Club, near Greens­boro, North Car­oli­na. This course has been a reg­u­lar Tour stop since 2008 and… Since becom­ing the FedEx St. Jude Cham­pi­onship in 2019, TPC South­wind has proven to be a ball-strik­ers par­adise. Prime Will Zala­toris, a red-hot Lucas Glover and ball-strik­ing wiz­ards Justin Thomas and Brooks Koep­ka are among the win­ners here. I empha­size that because I’m focused on shots-gained off-the-tee, shots-gained tee-to-green and shots-gained approach cou­pled with course his­to­ry per­for­mance and recent form in my hand­i­cap­ping. The five-time Mas­ters win­ner has not played since Feb. 16 after with­draw­ing ear­ly in the sec­ond round of the Gen­e­sis Invi­ta­tion­al at Riv­iera Coun­try Club in Los Angeles.

মতামত দিন