আরাফার দিবস তথা জিলহজ মাসের নবম দিন। এ দিনটি আল্লাহর কাছে অন্য দিনগুলোর তুলনায় অধিক প্রিয়। বছরের অন্য দিনের আমলের সওয়াবের চেয়ে এদিনের আমলের সওয়াব অনেক বেশি। তেমনিভাবে এদিনের আমলের সওয়াব আল্লাহর রাস্তায় ব্যয়কারীদের (মুজাহিদ) থেকেও উত্তম।
৯ই জিলহজের রাতটি (৮ই জিলহজ দিবাগত রাত) ফযিলতপূর্ণ একটি রাত। এই রাতে দোয়া ও তওবাকে কবুল করা হয়। কেউ যদি এই রাতটিকে ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করে তাহলে তাকে ১৭০ বছরের সমপরিমাণ সওয়াব দান করা হবে।
রাসুল (সা.) বলেছেনঃ আরাফার রাতে সকল ভাল দোয়াকে কবুল করা হয়। কেউ যদি সারা রাত ইবাদত করে তাহলে তাকে ১৭০ বছরের ইবাদতের সমপরিমাণ সওয়াব দান করা হবে। কেউ তওবা করলে তা কবুল করা হয়। [ইক্ববালুল আমাল, খন্ড ২ যিলহজ্ব মাস, পৃষ্ঠা ৪৮, ৪৯।]
আরাফার দিনে আমাদের করণীয়ঃ
১.নামাযে জোহরের পূর্বে গোসল করা।
২.ইমাম হুসাইন (আ.)’র যিয়ারত পাঠ করা।
হাদীসে বর্নিত আছে যে,আরাফার দিনে ইমাম হুসাইন (আ.)এর যিয়ারত পাঠকারীকে হাজার হজ্ব, ওমরা ও জিহাদের চেয়েও বেশী সওয়াব দান করা হয়।
ইমাম বাকির (আ.) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, কেউ যদি আরাফার রাতে ইমাম হুসাইন (আ.)এর যিয়ারত করে তাহলে আল্লাহ তাকে ঐ বছরে সকল প্রকার বীপদ থেকে রক্ষা করবেন।
ইমাম জাফর সাদিক্ব (আ.) বলেছেন যে, কেউ যদি আরাফার দিন (৯ই যিলহজ্ব) ইমাম হুসাইন (অঅ.)এর কবরের যিয়ারত করতে যায় তাহলে তাকে ইমাম মাহদী (আ.)এর সাথে ১০ লক্ষ হজ্বে অংশগ্রহণ করা।
৩.খোলা আকাশের নিচে দোয়ায়ে আরাফা পাঠ করা। জোহর এবং আসরের নামাযের পর খোলা আকাশের নিচে দুই রাকাত নামায পড়া, যার প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে সুরা কাফিরুন পাঠ করতে হবে।তারপর চার রাকাত নামাজ পড়তে হবে প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ৫০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। অবশিষ্ট দুই রাকাত নামাজ উল্লেখিত পদ্ধতিতে পড়তে হবে।
৪.তসবী হযরত মুহম্মাদ (সাঃ) পাঠ করা।
“সুবহানাল্লাযী ফিস সামায়ী আরশুহু সুবহানাল্লাযী ফিল আরয্বী হুকমুহু, সুবহা-নাল্লাযী ফিন নারি, সুলত্বানুহু সুবহানাল্লাযী ফিল জান্নাতি রাহমাতুহু, সুবহানাল্লাযী ফিল ক্বীমাতি, আদলুহু সুবহানাল্লাযী রাফায়াস সামাআ, সুবহানাল্লাযী বাসাতাল আরয্বা সুবহানাল্লাযী লামালজা ওয়ালা মানজামিনহু ইল্লাইলাইহী।
এবং পরে একশতবার- “সুবহানাল্লাহী ওয়াল হামদুলিল্লাহী, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার”।
৫.একশতবার সুরা ইখলাস,একশতবার আয়াতুল কুরসী এবং একশতবার দরুদ শরীফ।
৬.তারপর দশবার- “আসতাগ ফিরুল্লাহিল লাযী লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ুম, ওয়া আতুবু ইলাই”।
৭.দশবার “ইয়া আল্লাহু”, দশবার “ইয়া রাহমান”, দশবার “ইয়া রাহীম” এবং দশবার “ইয়া বাদীয়াস সামাওয়াতি ওয়াল আরয্ব, ইয়া জাল জালালধাবিত ইকরাম”, দশবার “ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম”, দশবার “ইয়া মান্নানু ইয়া মান্নান”, দশবার “ইয়া লা ইলাহা ইল্লা আনত”।
৮.দোয়ায়ে মাশমুল পাঠ করা।
৯.দোয়ায়ে তাওয়াসুল পাঠ করা।
১০.দোয়ায়ে ইমাম জামানা পাঠ করা।
১১.একনিষ্ঠভাবে তওবা করে আল্লাহর দিকে ধাবিত হওয়া।
১২.আরাফাতের (৯ই যিলহজ্ব) দিনে রোজা রাখা মুস্তাহাব। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন রোজা রাখার কারণে দোয়া পাঠের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা পরিলক্ষিত না হয়।
১৩. চোখ, কান ও জিহ্বাকে হারাম কাজ থেকে বিরত রাখা।রসূলুল্লাহ (সাঃ)বলেছেন, “আরাফার দিবসে যে তার কান, চোখ, জিহ্বাকে সঠিক কাজে ব্যয় করবে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে।
১৪. কোরআনে কারিম তেলাওয়াত করা।
তারপর আল্লাহর কাছে দোয়া করলে ইনশাল্লাহ তার দোয়া কবুল করা হবে।
তথ্যসূত্রঃ-মাফাতিহুল জিনান, দ্বিতীয় অধ্যায় জিলহজ্ব মাস।/ইক্ববালুল আমাল, খন্ড ২ যিলহজ্ব মাস।
সিপাহসালার | ইনস্টিটিউশন | আগস্ট ২০১৯| এস এইচ হক
I appreciate the humor in your analysis! For additional info, visit: FIND OUT MORE. What do you think?
Methylation of either the silver salt, or the parent bicycle, led to mixtures of the N and O methylated derivatives 67 and 69 priligy online pharmacy