এসব তান্ডবী ওলামাদের রায়! কিন্তু আপনার কি বিবেক নাই!! শুনেন এক ছোট্ট গল্প বলি- এক ওলামার জ্বর হছেছিল, জ্বরের সময় ছাত্রবৃন্দ মিষ্টি এনে দিয়ে জানতে চাইল, হুজুর মিষ্টি কেমন? হুজুর বলল- আহ্ এ মিষ্টি তিতা! তার ছাত্ররা যখন ওলামা হলো তারাও প্রচার করল “মিষ্টি তিতা”!
নিজের জিভ দিয়ে আস্বাদন করার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে।সর্বদা,অন্যকে দিয়ে চেখে দেখে।। যারা এরকম বাজে ওলামাদের রায় মেনে নিলেন! তাদের জন্য আফসুস!! আর ভাল আলেম‑ওলামা আমাদের গর্ব ।
মুসলমানের রূপ ধরে মোনাফেকগণ আরব্য জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করতে তৎপর ছিল। তারা পবিত্র ইসলাম ধর্মকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে। তাদের চরিত্রে, আচার‑আচরণে রাসুলের আদর্শ কিছুই ছিল না। তাদের মুখে ছিল ধর্মের কথা, অন্তরে ছিল মোনাফেকী ভাব। এদের হাতেই শিশু ইসলাম নিয়ন্ত্রীত হয় । ফলে জেহাদী ভাবধারা পরিবর্তন করে যুদ্ধের সৃষ্টি করে। মোজাহেদ বাহিনীর পরিবর্তে সেনাবাহিনীর প্রচলন হয়। এমনিভাবে সালাত , জাকাত, রোজা,হজ্জ, কোরবানী,খুম্স প্রভৃতি আনুষ্ঠানিক বিধানগুলোর পরিবর্তিত ভাব ধারা সমাজে প্রকাশ করে। আর এতেই বিশ্বাস করে মানুষ ধর্ম বিশ্বাসী মুসলামন হয়ে আছে। এই সমস্ত আনুষ্ঠানিক বিধান গুলিতে আধ্যাত্ববাদের ভাব ধারা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করা হয়েছে। রাসুলের (স) বিদায়ের আড়াইশ বছরের পর হাদিস সংগ্রহ করা হয়। এই সমস্ত হাদিসগুলো ও বিভিন্ন প্রকারের যেমন- সহি, জইফ,গরীব, হাসানুন গরীবুন,নাকেস ইত্যাদি। যখন কোন সাহাবী তাবে তাবেয়ীন কেহ জীবিত ছিলেন না তখন হাদিসগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল। রাসুলের (স) নামে বহু মিথ্যা হাদিস রচনা করা হয়। হাদিস গ্রন্থগুলি পর্যালোচনা করলে অসংখ্য মিথ্যা হাদিস পাওয়া যায়। আর এই সমস্ত হাদিস গ্রন্থ শিক্ষা দেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মাদ্রাসা। মাদ্রাসায় শিক্ষা গ্রহণ করে গড়ে উঠেছে মোল্লা, মৌলভীগন এবং তাদের দায়িত্বে মাদ্রাসা ও মসজিদ পরিচালিত হচ্ছে । জন্ম, মৃত্যু এবং বিবাহ তাদের ছাড়া অচল। এক কথায় সমাজের সহজ সরল অর্ধ শিক্ষিত মুসলমানগণ তাদের হাতে বন্ধি। তারা ধর্মীয় বিধানগুলো যেভাবে প্রকাশ করে সমাজ ও তা সহজ ভাবে মেনে নিচ্ছে ।অলি আল্লাহ, সাধক, আল্লাহ প্রেমিকগনের অবস্থান সমাজে থাকেনা। সমাজে তাঁরা থাকতে চাইলে ও হামলা ‚ভাংচুর ‚অত্যাচার নির্যাতনের সম্মুখীন হন। এ সমস্ত অন্যায় কাজে সমাজের বস্তুবাদী মাতব্বরগণ সহযোগিতা করে থাকে। তাদের অন্তরালে নেতৃত্বে থাকে এজিদি শিক্ষায় শিক্ষিত মুসলমানরূপি মোল্লাগন। ইসলামের নামে ধর্মের দোহাই দিয়ে চলছে মানবতাবিরোধী সন্ত্রাস। পাক পাঞ্চাতনের সদস্য এবং আহলে বাইতের অন্যতম সদস্য ইমামগনকে হত্যা, অত্যাচার, নির্যাতনকারীরাই ধর্মীয় প্রচার কেন্দ্র গুলো প্রতিষ্ঠা এবং দখল করে বিকৃত ধর্মীয় বিধান চালু করেছিল। উমাইয়া ও আব্বাসীয় খলিফারাই ইসলামের মধ্যে বিভ্রান্তি,বিকৃত ইতিহাস এবং রাজকীয় তফসির প্রকাশ করে মুসলামান জাতিকে অন্ধকারের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। বহুদলে ও পথে বিভক্ত হয়ে পড়েছে মুসলিম সম্প্রদায়।তাই বর্তমানে মুসলমানগণ বিশ্বে সন্ত্রাসী জাতি হিসেবে চিহিৃত।
সিপাহসালার | ইনস্টিটিউশন | আগস্ট ২০২০| এস এইচ হক
মতামত দিন