প্রবন্ধ

আজ ৭ ই জিলহজ্ব নবী বংশের নক্ষত্র পঞ্চম ইমাম মুহাম্মদ বিন আলী বাকের (আ.)এর শাহাদাত দিবস।

(ওহাবী‌দের হা‌তে ধ্বং‌সের পর ইমাম হাসান, ইমাম জয়নুল আ‌বেদীন, ইমাম বা‌কের ও ইমাম জাফর সা‌দেক আলাই‌হিমুস সালা‌মের মাযার, জান্নাতুল বাকী, মদীনা শরীফ)

আজ ৭ ই জিলহজ্ব নবী বংশের নক্ষত্র পঞ্চম ইমাম মুহাম্মদ বিন আলী বাকের (আ.)এর শাহাদাত দিবসে সকল অনুসারীদেরকে জানাই আন্তরিক শোক‑সমবেদনা ও মহান সত্তার শানে পেশ করছি অশেষ দরুদ ও সালাম।মওলা ১১৪ হিজরি সনের ৫৭ বছর বয়সে  উমাইয়া খলিফা হিশাম বিন আব্দুল মালেক বিষপ্রয়োগে শাহাদাত বরণ করেন।মদীনায় পবিত্র জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে পিতার রওজার পাশেই তাঁকে দাফন করা হয়। প্রায় একই স্থানে রয়েছে ইমাম হাসান মুজতবা (আ.) ও ইমাম বাক্বির (আ.)‘র পুত্র তথা বিশ্বনবী (সা.)‘র পবিত্র আহলে বাইতে জন্ম‑নেয়া ষষ্ঠ ইমাম হযরত ইমাম জাফর সাদিক্ব (আ.)‘র রওজা মোবারক। এখানে তাঁদের সবার রওজা মোবারকের ওপর ছিল সুদৃশ্য গম্বুজ। কিন্তু প্রায় ১২/১৩ শত বছর ধরে এইসব মাজার টিকে থাকা সত্ত্বেও এখন থেকে প্রায় ৯০ বছর আগে ধর্মান্ধ ওয়াহাবিরা এই পবিত্র মাজারগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। 

আল্লাহুম্মা লা‘আন আউয়ালা জালামা মুহাম্মাদ ওয়া আলে মুহাম্মাদ।আল্লাহুমা সাল্লে ‘আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলে মুহাম্মাদ আত তাইয়েবিন আত তাহেরিন ওয়াল মাসুমিন আল মজলুমিন ওয়া লা‘নতুল্লাহে ‘আলা আদাইহিম।আল্লাহুমা সাল্লে আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলে মুহাম্মাদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম।

উল্লেখ্য, ইমাম মুহাম্মদ বিন আলী বাকের (আ.) কারবালার  মহা-ট্র্যাজেডি ও মহা-বিপ্লবের সময় তিনি পিতা ইমাম সাজ্জাদ (আ.) ও দাদা ইমাম হুসাইন (আ.)‘র সঙ্গে ছিলেন। এ সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র চার বছর।আল্লাহর রাসূল (সা.) তাঁর সাহাবি জাবের (রা.)-কে বলেছিলেন যে তুমি আমার বংশধর বাক্বিরকে দেখতে পাবে এবং তাঁর কাছে আমার সালাম পৌঁছে দিও। জাবের (রা.) সেই দায়িত্ব পালন করেছিলেন। 

ইমাম মুহাম্মদ বিন আলী বাকের (আ.) হ‌তে ব‌র্ণিত, এক‌দিন জা‌বের ইব‌নে আব্দুল্লাহ আনসারী (রাঃ) কে দেখলাম এবং সালাম দিলাম। তি‌নি আমার সালা‌মের উত্তর দি‌য়ে জান‌তে চাই‌লেন, তু‌মি কে? (হযরত জা‌বের এসম‌য়ে দৃ‌ষ্টিশ‌ক্তি হা‌রি‌য়ে ফে‌লে‌ছি‌লেন) বললাম, আলীর পুত্র মোহাম্মদ আর আলী হোসাইনের পুত্র। বল‌লেন, মওলা! আমার নিকটবর্তী হওন। যখন অ‌া‌মিনিকটবর্তী হলাম তি‌নি আমার হাতে চু‌মো দি‌লেন এবং পাঁ‌য়ে চুমু দেয়ার জন্য ঝুঁক‌লেন কিন্তু আ‌মি তাঁর কা‌জে বাধা দিলাম। অতঃপর জা‌বের বল‌লো, রাসূ‌লে খোদা আপনা‌কে সালাম জা‌নি‌য়ে‌ছেন। জি‌জ্ঞেস করলাম, হে জা‌বের! এটা কীভা‌বে? এক‌দিন তাঁর স‌া‌থে ছিলাম, তি‌নি বল‌লেন : হে জা‌বের! আ‌মি আশাবাদী তু‌মি সেসম‌য় পর্যন্ত থাক‌বে, যে পর্যন্ত না আমার বংশধরের ঐ ব্য‌ক্তি‌কে দেখ‌বে, যে আলীর পুত্র মোহাম্মদ আর আলী হোসাইনের পুত্র। আল্লাহ তায়ালা তা‌কে জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দান কর‌বেন। অতএব তা‌ঁকে আমার সালাম পৌঁ‌ছে দিও।(আল-ইরশাদ, পৃষ্ঠা-৩৮২ )।


সিপাহসালার | ইনস্টিটিউশনজুলাই ২০২০এস এইচ হক

 

 

 

মতামত দিন