প্রবন্ধ

পবিত্র ঐশী বিবাহ

পবিত্র ঐশী বিবাহ,দুলহা জন্ম খোদ আল্লাহর ঘর পবিত্র কাবার এক্কেবারে অভ্যন্তরে,যিনি স্বয়ং জান্নাত ও জাহান্নাম বন্টনকারী। দুলহান জন্ম খোদ রাসুলের (ﷺ)-এঁর পবিত্র ঘরে,যিনি স্বয়ং জান্নাতের সম্রাজ্ঞী।এই বিবাহের প্রধান ঘটক স্বয়ং মহান আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত।আর শাদী মুবারক আরশে আজিমে।আজ পবিত্র পহেলা জিলহজ্ব, মাওলায়ে কায়নাত হযরত আলী ইবনে আবী তালিব (আলাই‌হিস সালা‌মের) ও নবী-নন্দিনী হযরত ফাতিমা জাহরা (সালামুল্লাহি আলাইহা) এর ঐতিহাসিক পবিত্র ঐশী বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে যুগের ইমাম হযরত মাহদী আঃ সহ সবাইকে জানাচ্ছি প্রাণঢালা মুবারকবাদ ও মহান সত্তার শানে পেশ করছি অশেষ দরুদ ও সালাম ।

ইসলাম ধর্ম পরিবার গঠন ও পরিবার রক্ষার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ইসলামের দৃষ্টিতে মহানবীর পরিবারের পর আলী ও ফাতিমার পরিবার হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ পরিবার। বিশ্বনবী (সা)’র বংশধারা রক্ষাকারী এই মহতী পরিবারে জন্ম নিয়েছেন মানবজাতির শেষ ত্রাণকর্তা হযরত ইমাম মাহদী আল মন্তাজার (.)সহ  মোট পবিত্র ১১ জন ইমাম পাক।

মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করার পর দু’বছরে সময়সীমার মধ্যে,হযরত ফাতেমা যাহরা (সাঃ আঃ)-এর অতুলনীয় ফজিলতপূর্ণ বৈশিষ্ট্য এবং অপর দিকে রাসূল (ﷺ)-এর সাথে সম্পৃক্ততা ও বংশীয় শ্রেষ্ঠতার কারণে রাসূল (ﷺ)-এর অনেক খ্যাতনামা সাহাবীগণ তাঁর কাছে বিবাহের প্রস্তাব দেন।এরমধ্যে হযরত আবু বকর, ওমর, উসমান এই তিনজনও পাত্র হিসাবে প্রস্তাবকারী ছিলেন। মহানবী কারও প্রস্তাবেই রাজী হননি। তিনি আল্লাহর সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছিলেন।কেননা এ ঐতিহাসিক বিবাহ সম্পর্কিত রাসূল (ﷺ)-এর সিদ্ধান্ত ছিল ওহি নির্দেশিত।উনারা যখন নবীকন্যাকে বিবাহ করার ব্যাপারে সম্পূর্ন হতাশ হয়ে গেলেন তখন আওস গোত্রের প্রধান সাদ ইবনে মুআযের সাথে আলোচনা করলেন ।অতঃপর তারা বুঝতে পারলেন যে,আলী (আঃ) ব্যতীত অন্য কেউই হযরত যাহরার (সাঃআঃ) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ব হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না এবং নবীজীর (সাঃ) নিজের মতও এর বাইরে নয়।ফলে তারা একত্রিত হয়ে হযরত আলীর (আঃ) খোজে বের হলেন । অবশেষে আলীকে (আঃ) একজন আনসারের সাথে খেজুর বাগানে পানি দেয়ারত অবস্থায় পেলেন।তারা আলীকে (আঃ) উদ্দেশ্য করে বললেনঃ “কুরাইশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা নবীকন্যার পানিপ্রার্থনা করেছিলেন।মহানবী (ﷺ) তাদেরকে বলেছেন,যাহরার বিবাহের বিষয়টি মহান আল্লাহর অনুমতির সাথে সম্পর্কযুক্ত।ফলে আমরা আশা করি যে,তুমি যদি নবীকন্যার পানিপ্রার্থনা কর তাহলে তুমি ইতিবাচক ফল পাবে।এক্ষেত্রে যদি তোমার সম্পদ কম থাকে,আমরা তোমাকে সাহায্য করতে প্রস্তত”।এ কথাগুলো শুনে হযরত আলী (আঃ) দুচোখ আনন্দাশ্রুতে ভরে গেল । তিনি বললেনঃ “আমি রাসুলের কন্যাকে পছন্দ করি এবং তাঁকে বিবাহ করতে ইচ্ছুক”।তিনি একথা বলে হাতের কাজ বন্ধ করে নবীগৃহের দিকে রওয়ানা হলেন।মহানবী (ﷺ) তখন উম্মে সালমার গৃহে অবস্থান করছিলেন।মওলা আলী (আঃ) নবীগৃহের দরজাতে টোকা দিতেই মহানবী (ﷺ) উম্মে সালমাকে বললেন, “ওঠো , দরজা খোল।এ হল সেই ব্যক্তি যে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে নিজের প্রানের চেয়েও অত্যাধিক ভালবাসেন”।উম্মে সালমা (রাঃ) বলেন,মহানবী (ﷺ) যাঁর এত প্রশংসা করলেন, সে ব্যক্তিকে চেনার আগ্রহ আমাকে এতটাই আছন্ন করেছিল যে,দ্রুত হাটার জন্য আমি পা পিছলে পড়ে যাচ্ছিলাম।দরজা খুলে দিলাম,আলী (আঃ) সালাম দিয়ে নবীগৃহে প্রবেশ করলেন এবং নবীজীর (সাঃ) সামনে গিয়ে বসলেন।হযরত আলী (আ), মহানবীর সামনে শ্রদ্ধার কারণে ও  লজ্জায় তাঁর চেহারা মোবারক গোলাপী বর্ণ ধারণ করেছিল।তাই মুখ ফুটে কিছু বলতে পারলেন না,মাথা অবনত করে চুপচাপ বসে ছিলেন।রাসূল (ﷺ) এরূপ অবস্থা দেখে মুচকি হেসে বলেনঃ আমার নিকট কি কাজে এসেছ ? কিন্তু আলী (আঃ) রাসূল (ﷺ)-এর ফজিলতপূর্ণ গাম্ভীর্যের কারণে নিজের আকাংখা ব্যক্ত করতে পারলেন না বরং নীরবই থাকলেন।এ অবস্থায় মহানবী (ﷺ) আঁচ করতে পারেন যে আলী ফাতিমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে এসেছেন। তবুও তিনি বিষয়টা নিজেই উল্লেখ করে তা-ই কিনা জানতে চাইলে আলী (আ) জবাবে বললেনঃ ‘জী, এ উদ্দেশ্য নিয়েই এসেছি।রিসালতের পরিবারের সাথে আমার আত্মীয়তার বন্ধন এবং দ্বীনের পথে আমার দৃঢ়তা , জিহাদ ও ইসলামের অগ্রগতিতে আমার প্রচেষ্টা সম্বন্ধে আপনি অবগত আছেন।মহানবী (ﷺ) বললেনঃ  হে আলী , তুমি যা বলছ , তোমার অবস্থান তার চেয়েও বহুগুন উপরে।আলী (আঃ) বললেনঃ ফাতেমার সাথে আমার বিবাহ হওয়ার বিষয়টিকে আপনি কি মঙ্গলজনক মনে করেন ? 

এরইমধ্যে অবশেষে আল্লাহ্ জিব্রাইলের (আঃ) মাধ্যমে হযরত ফাতেমা যাহরা (সাঃ আঃ) বিয়ের প্রস্তাব পাঠান।তাই এই প্রস্তাবে মহানবী (ﷺ) অতি খুশী হলেন, কারণ আল্লাহর ইচ্ছা ছিল আলীর সাথে ফাতেমার বিয়ে।তবুও মহানবী (সা) নারী জাতির প্রতি শ্রদ্ধার আদর্শ তুলে ধরার জন্যে আনুষ্ঠানিকভাবে হযরত ফাতিমার মতামত জানতে চান।রাসূল (সাঃ) বলেন, ” হে আলী! তোমার পূর্বেও অনেকে ফাতেমার প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। কিন্তু যখনই আমি তাদের প্রস্তাব ফাতেমার (আঃ)-এর কাছে উপস্থাপন করেছি,কিন্ত তাদের সম্পর্কে তাঁর চেহারায় গভীর অনাগ্রহের ছাপ ফুটে উঠেছিল। এখন তোমার বিষয়টিও তাঁর কাছে তুলে ধরব।অতঃপর তার ফলাফল তোমাকে জানাব।”

মহানবী () হযরত যাহরার (সাঃআঃ) গৃহে প্রবেশ করলেন ।নবীকন্যা উঠে দাঁড়ালেন এবং পিতার কাধ থেকে রেদা (পোষাক বিশেষ) নামিয়ে রাখলেন , তাঁর পায়ের জুতা খুলে দিলেন ও তাঁর পবিত্র পদদ্বয় মোবারক নিজ হাতে পানি দিয়ে ধুয়ে দিলেন । অতঃপর ওযু করে পিতার পাশে বসলেন ।অতঃপর রাসূল (ﷺ) আমিরূল মুমিনীন আলী (আঃ)-এর ফজিলত নিজ কন্যার নিকট বর্ণনা করে বলেনঃ “হে ফাতেমা! আল্লাহ তায়ালা জমিনের বুকে দৃষ্টি নিপে করলেন এবং সেখান থেকে তোমার স্বামীকে মনোনীত করেন। তিনি আমাকে ওহীর মাধ্যমে জানালেন যে আমি যেন তোমাকে আলীর সাথে বিয়ে দেই। তুমি কি জান যে আল্লাহ্ তোমার মর্যাদা ও সম্মানের দিকে তাকিয়ে তোমাকে এমন ব্যক্তির সাথে বিয়ে দিলেন যিনি সবার আগে ইসলাম ধর্মের ঘোষণা দিয়েছেন এবং যার ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা সবচেয়ে বেশী আর জ্ঞান সকলের চেয়ে অধিক।”

অতঃপর জিজ্ঞেস করলেন, মা তুমি কি আলীকে বিয়ে করতে রাজী আছো ? হযরত ফাতেমা যাহরা (সাঃ আঃ) এ কথা শুনে খুবই আনন্দিত হলেন। তিনি লজ্জায় মুখ ফুটে কিছু বলতে পারলেন না। মাথা নিচু করে সম্মতি জানালেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেয়ের সম্মতি জানতে পেরে খুশীতে আল্লাহু আকবার বলে তকবীর দিলেন।

হযরত ফাতেমা ছিলেন নবুওয়াতী ধারায় নারীদের জন্য আদর্শ। অন্যদিকে হযরত আলী (আঃ) ছিলেন নবুওয়াতী মিশনের পর প্রথম উলিল আমর বা ইমাম। তাঁরা ছিলেন উত্তম দম্পতির এক অনন্য উদাহরণ।নিঃসন্দেহে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির সাথে নারীকুলের শিরোমণি নবী নন্দিনী হযরত ফাতেমা যাহরা (সাঃ আঃ)-এর বিবাহ সার্বিক বিবেচনায় দৃষ্টান্তনীয় হওয়া বাঞ্ছনীয় । সকল যুগ ও শতাব্দীতে তা হবে এক অনুপম আদর্শ ।

অতঃপর মেয়ের সম্মতি নিয়ে ফিরে এসে রাসূল (ﷺ) আলী (আঃ)-এর দিকে তাকিয়ে বললেন,“এমন কিছু কী আছে যা দ্বারা তোমার স্ত্রীর দেন মোহর প্রদান করবে ? ” আলী (আঃ) বলেন,“আমার পিতা-মাতা আপনার প্রতি উৎসর্গিত হোক। আপনি আমার জীবন‑যাপন সম্পর্কে ভালভাবেই অবগত আছেন। আমার নিকট একটি তরবারী, একটি ঢাল ও একটি উট ছাড়া আর কিছুই নেই।”
রাসূল (ﷺ) বলেন, “ঠিক আছে, ইসলামের শত্রুদের সাথে যুদ্ধের সময় তোমার তরবারী প্রয়োজন হবে। তাছাড়া উঠটি দিয়ে খেজুর বাগানে পানি দিতে এবং সফরের সময়ও তোমার উঠের প্রয়োজন হবে। অতএব, অবশিষ্ট থাকে শুধুমাত্র ঢালটি, আর তা দিয়েই তোমার স্ত্রীর দেন মোহর প্রদান করবে। ”

উল্লেখ্য যে,এ দম্পতির বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা ছিল খুবই সাধারণ। হযরত ফাতেমা যাহরা (সাঃ আঃ)‘র বিয়ের জন্য আলী (আঃ) এর ঢালকে মোহরানা ধার্য করা হয়। অবশ্য ইতিহাসে এ ঢালটির সর্বোচ্চ যে মূল্যটি উল্লেখ করেছে তা হচ্ছে পাঁচ শত দিরহাম। রাসূলে খোদা (ﷺ),আলী (আঃ)-কে ডেকে তাঁর ঢালটি বিক্রি করে বিয়ের জন্য অর্থ যোগাড় করার পরামর্শ দেন। হযরত আলী (আঃ) ঢালটি বিক্রি করে হযরত ফাতেমার দেনমোহর পরিশোধ করেন।অপর দিকে হাদীসে উল্লেখ আছে যে, ফাতিমা জাহরা বাবাকে অনুরোধ করেন যে, তার দেন‑মোহরকে কিয়ামতের দিন রাসূেলর (ﷺ) উম্মতের পাপী বান্দাহদের মুক্তির জন্য নির্ধারণ করা হোক। তাঁর এ আবেদন আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে বলে ওহির ফেরেশতা জিবরাইল সুসংবাদ নিয়ে আসেন।

সেদিন ছিল শুক্রবার,নবী করীম (ﷺ) এর চেহারা মোবারক খুশীতে চকচক করছিল। তিনি হযরত বেলাল (রাঃ) কে ডেকে বললেন, আনসার ও মুহাজিরদের জমায়েত কর।হযরত বেলাল (রাঃ)  এর আমন্ত্রনে সাহাবায়ে কেরাম জামাত হলেন । এ বিবাহ অনুষ্ঠানে সকল আনসার ও মুহাজির উপস্থিত ছিলেন।নবী করীম (ﷺ) মিম্বারে ওঠে বিয়ের অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে মহানবী সঃ সাহাবীদের উদ্দেশ্যে বলেন:-

“মুসলিম বন্ধুগণ!  আল্লাহর ফেরেশতা আমার নিকট এসে বলল,আল্লাহ আপনাকে সালাম জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে, আল্লাহ তা‘আলা বায়তুল মামুরের কাছে সকল ফেরেশতাকে জমায়েত করে বলেছেন,  তোমরা  স্বাক্ষী থাকো আমি ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ (ﷺ)এর সাথে হযরত আলী (আঃ) এর বিয়ে করিয়ে দিয়েছি। তিনি আমাকে নির্দেশ করেছেন, যমীনেও যেন আমি আমার মেয়ের বিয়ে পড়িয়ে দিই । তোমরা সকলে এই বিয়ের স্বাক্ষী করছি ।আল্লাহর আদেশে আমি ফাতেমার সাথে আলীর বিয়ে দিচ্ছি এবং তাদের বিয়ের মোহরানা বাবত ধার্য করেছি চারশ মিসকাল রৌপ্য”।

অতঃপর মহানবী (ﷺ) হযরত আলী (আঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন, “হে আলী তুমি কি এতে রাজী আছো ?” হযরত আলী (আঃ) সম্মতি জানিয়ে বললেন, “আমি রাজী”। দ্বিতীয় হিজরীর ১ লা জিলহাজ্জ রোজ শুক্রবার হযরত আলী আ:এর সাথে হযরত ফাতেমা সাঃএর সুমহান ফজিলতপূর্ণ বিবাহ সুসম্পন্ন হয়। তখন নবীজী দুহাত তুলে তাঁদের জন্য এবং তাঁদের অনাগত বংশধরদের সার্বিক কল্যাণের জন্য দোয়া করলেন।

বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা শেষে লজ্জার কারণে আলী তা বলতে পারছেন না নববধূ হযরত ফাতেমা যাহরা (সাঃ আঃ) কে নিজ ঘরে উঠানোর কথা।এরপর ফাতিমাকে আলীর ঘরে পাঠানোর জন্য অনুমতি চান হযরত উম্মে সালামাহ।এ অবস্থায় মহানবী তাঁকে আসতে বললেন। আলী (আ) মহানবীর সামনে এসে মাথা নিচু করে রাখলেন। নবী করীম (ﷺ) তাকে বললেন, তুমি কি তোমার স্ত্রীকে ঘরে নিয়ে যেতে চাও? আলী মাথা নিচু রেখেই বললেন: জি, আমার মা-বাবা আপনার জন্য কোরবান হউক। সে রাত বা তার পরের দিনই এ জন্য ব্যবস্থা করবেন বলে মহানবী জানান।

হযরত আলী জানান এ বিয়ের উৎসবের জন্য বর্ম বিক্রির অর্থ থেকে কিছু অর্থ সংরক্ষণের জন্য আলাদা করে উম্মে সালামাহ’র কাছে দেয়া হয়েছিল। নবী করীম (ﷺ) তার থেকে দশ দিরহাম নিয়ে আমায় বলেন: কিছু তেল, খেজুর ও ‘কাশ্ক’ (‘কাশ্ক’ হচ্ছে দুধ বা দই থেকে তৈরি করা বিশেষ খাদ্য) কিনে আন এই অর্থ দিয়ে। সেসব আনা হলে মহানবী তাঁর জামার হাতাগুলো গুটিয়ে সেগুলো মেশানো শুরু করেন নিজ হাতে। ওই তিন খাদ্যের মিশ্রণে তৈরি হল বিয়ের অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য হালুয়া জাতীয় বিশেষ মিষ্টি খাবার।

খাবার তৈরির পর নবী করীম (ﷺ) আলীকে বললেন, দাওয়াত দাও যতজনকে তুমি ইচ্ছে করছ! আলী বললেন, আমি মসজিদে গিয়ে দেখলাম সেখানে অনেক সাহাবি সমবেত রয়েছেন। আমি তাদের বললামঃ আল্লাহর নবী (ﷺ)‘র দাওয়াত কবুল করুন। তারা রওনা দিলেন মহানবীর (ﷺ) দিকে। আমি নবী করীম (ﷺ) বললামঃ মেহমানের সংখ্যা তো বিপুল। তিনি বিশেষ খাবারটি ঢাকলেন একটি শিট দিয়ে এবং বললেন: তাদেরকে আসতে বল একসাথে দশ-দশ জন করে। হযরত আমীর হামজা ও আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুমা খাবার পরিবেশনের দায়িত্ব দিলেন।ফলে দশ জনের এক একটি গ্রুপ এসে খেয়ে বেরিয়ে গেলে দশ জনের অন্য গ্রুপ আসছিল। এভাবে বহু মেহমান এসে খাবার খাওয়া সত্ত্বেও তা যেন মোটেও কমছিল না। এভাবে তিনদিন তিন রাত পর্যন্ত মওলা আলী এবং মা ফাতেমা আলাইহিমাস সালামের বিয়ের খানাপিনা খেয়ে সমস্ত মদিনাবাসি তৃপ্ত হলেন।সাতশত নারী-পুরুষ মহানবীর (ﷺ) বানানো সেই বরকতময় মিষ্টি খাবার খেয়েছিলেন।

মেহমানরা সবাই চলে গেলে নবী করীম (ﷺ) আলীকে ডানে ও ফাতিমাকে নিজের বাম দিকে বসিয়ে তাঁদের জন্য দোয়া করেন। তিনি নিজের মুখ থেকে কিছু লালা বের করে তা ফাতিমা ও আলীর ওপর ছড়িয়ে দেন। এরপর বর-কনেকে বললেন: ওঠো এবং ঘরে যাও। তোমাদের ওপর মহান আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক।গৃহস্থালী ও সাংসারিক দায়িত্ব ছাড়াও সব ধরনের সামাজিক দায়িত্বও পুরোপুরি পালন করে গেছেন হযরত জাহরা (সা.আ)। তাই হযরত আলী (আঃ) বলেছিলেনঃ “আল্লাহর শপথ! আমি কখনও ফাতিমাকে অসন্তুষ্ট করিনি অথবা তাকে কোনো কাজ করতে বাধ্য করিনি। অন্যদিকে ফাতিমাও আমাকে কখনও রাগিয়ে দেয়নি বা আমাকে অমান্য করেনি। বস্তুত যখনই আমি তাঁর দিকে তাকাতাম আমার অন্তর থেকে সব বেদনা বা দুঃখ দূর হয়ে যেত।“হযরত ফাতেমা যাহরা সাঃএর সন্তান ইমাম হাসান আ:, ইমাম হোসাইন আ:, হযরত জয়নাব সা: ও হযরত উম্মে কুলসুম সা: ছিলেন মুসলিম উম্মার সর্বোত্তম সন্তান। ধার্মিকতায়, সৎ কাজে এবং উদারতায় তাঁরা ছিলেন অতুলনীয় । তাঁদের চরিত্র মাধুর্য এবং কর্মশক্তি ইতিহাসের গতিধারাকেই পাল্টে দিয়েছে এবং ইসলামের আদর্শকে মানবজাতির উদ্দেশ্যে চিরকালের জন্য সমুন্নত রেখেছে।

তাদের এই বিয়ের অনুষ্ঠানটি কিন্তু খুবই সাদামাটা ছিল।হযরত জাবের (রাঃ) বর্ননা করেন যেঃ  হযরত উম্মে আয়মন এসে মহানবীর কাছে দুঃখ করে বললেন, সেদিনও তো আনসারদের এক মেয়ের বিয়ে হল। সে অনুষ্ঠানে কত জাঁকজমক ও আনন্দ ফুর্তি হল! অথচ জাহানের বাদশাহের একমাত্র কন্যার  বিয়ে কিনা এতো সাদাসিধেভাবে হচ্ছে! উম্মে আয়মনের কথা শুনে রাসুল (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহর শপথ করে বলছি, এ বিয়ের সাথে পৃথিবীর কোন বিয়ের তুলনাই হয় না। পৃথিবীতে এ বিয়ের কোন জাঁকজমক না হলেও আল্লাহর আদেশে আরশে মোয়াল্লার এ বিয়ে উপলক্ষে ব্যাপক জাকজমক হচ্ছে। বেহেশতকে অপুর্ব সাজে সাজানো হয়েছে।জান্নাতের সকল হুর‑গেলমানগন সুসজ্জিত পোষাক পরিধান করে আনন্দ উল্লাসে মাতোয়ারা রয়েছে।জান্নাতের বিখ্যাত তুবা বৃক্ষ থেকে উজ্জল মনি মুক্তো চর্তুদিকে ঝরছে!মহান আল্লাহ জান্নাতের প্রধান তত্বাবধায়ক রেজওয়ান ফেরেশতাকে আদেশ করলেন,চতুর্থ আসমানে বাইতুল মামুরের তোরন দ্বারে একটি বেদী নির্মান করে,রাহিল নামক ফেরশতাকে তোরন নির্মানের উদ্দেশ্য ব্যক্ত করবার জন্য নির্দেশ দিলেন।রাহিল ফেরেশতা সর্বপ্রথম মহান আল্লাহর প্রসংশা পাঠ করে ঘোষনা করলেন যে, “হে স্বর্গ ও মর্তবাসী সৃৃষ্টিকুল ! তোমরা জেনে রাখো , আজ দয়াময় আল্লাহর ইচ্ছায় ও অনুমতিতে ওনার প্রিয় নবী মুহাম্মাদের () একমাত্র কন্যা খাতুনে জান্নাত ও আল্লাহ সবচে প্রিয় বান্দা হযরত আলীর শুভ বিবাহ সুসম্পন্ন হইল”।একথা শুনে বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের মুখ খুশীতে ভরে উঠল।

হযরত ফাতেমা যাহরা (সাঃ আঃ)‘র বিয়ে উপলক্ষে নব-দম্পতির জন্য যেসব উপহার কেনা হয়েছিল মোহরানার অর্থ দিয়ে সেসব ছিলঃ একটি আতর, কিছু জামা-কাপড় ও কিছু গৃহস্থালি সামগ্রী। বর্ণনা থেকে জানা যায় যে মোট ১৮টি উপহার কেনা হয়েছিল। এসবের মধ্যে ছিলঃ চার দিরহাম দামের মাথা ঢাকার একটি বড় রুমাল বা স্কার্ফ। এক দিরহাম দামের একটি পোশাক‑সামগ্রী। খেজুর পাতা ও কাঠের তৈরি একটি বিছানা। চারটি বালিশ। বালিশগুলো ছিল আজখার নামক সুগন্ধি ঘাসে ভরা। পশমের তৈরি একটি পর্দা। একটি ম্যাট বা পাপোশ। হাত দিয়ে গম পেশার একটি যাঁতাকল। খাবার পানি রাখার জন্য চামড়ার তৈরি একটি মোশক। তামার তৈরি একটি বেসিন বা হাত ধোয়ার পাত্র। দুম্বা বা উটের দুধ দোহনের জন্য একটি বড় পাত্র। সবুজ রং-করা একটি বড় মাটির পাত্র বা জগ।

আমীরুল মুমিনিন হযরত আলী (আঃ)‘র সঙ্গে তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে এক দরিদ্র মহিলা তাঁর কাছে পোশাক চাইলে তিনি তার বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য কেনা নতুন জামাটি উপহার দেন। তিনি ইচ্ছে করলে তার পুরনো জামাও দিতে পারতেন। কিন্তু নবীনন্দিনী এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনের একটি আয়াতের কথা স্মরণ করেন, যাতে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোনো কিছু দান করার ক্ষেত্রে ও তা কবুল হবার জন্য সবচেয়ে প্রিয় বস্তুটি দান করার কথা বলা হয়েছে।

এই পবিত্র বিবাহ সম্পর্কে ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) থেকে রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেছেন: “যদি হজরত আলী (আঃ) এর জন্ম না হতো তাহলে সারা পৃথিবিতে হজরত ফাতেমা যাহরা (সা.আ.)কে বিবাহ করার মতো কোন উপযুক্ত ও যোগ্য পাত্র পাওয়া যেত না।”(আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত হযরত মারইয়ামের কোনো সুযোগ্য স্বামী সৃষ্টি করেননি বিধায় তিনি চিরকুমারীই ছিলেন।)

অপর রেওয়ায়েত ইমাম জাফর সাদিক আঃ থেকে বর্নিতঃ “সূরা আর‑রাহমানের ১৯ এবং ২০ নং আয়াতে ঘোষিত“তিনি পাশাপাশি দুই সমুদ্র প্রবাহিত করেছেন। উভয়ের মাঝখানে রয়েছে এক অন্তরাল,যা তারা অতিক্রম করে না।“উক্ত আয়াতের উদ্দেশ্য হযরত আলী (আঃ)এবং হযরত ফাতিমা (সা: আ:)।আর সেই অন্তরাল হলেন রাসূল (ﷺ) নিজে। একই সূরার ২২ নং আয়াতে আবার ঘোষিত হয়েছে, “উভয় সমুদ্র থেকে উৎপন্ন হয় মুক্তা ও প্রবাল।” অর্থাৎ তাদের দু ’ জন থেকে মুক্তা ও প্রবাল নির্গত হবে ।উক্ত আয়াতটির উদ্দেশ্য ইমাম হাসান এবং ইমাম হুসাইন আলাইহিস সাল্লাম।এই দুই সমুদ্র থেকে সৃষ্ট ঝকঝকে আলোকোজ্জ্বল সবুজ আভাময় মুক্তা হলো বিষের অন্য রূপ যা পানে ইমাম হাসান আলাইহিস সালামের শাহাদাতের প্রচ্ছন্ন ইংগিত । আর এই সমুদ্রদ্বয় থেকে উৎপন্ন উন্নত মানের এবং লোহিত বর্ণের প্রবাল হচ্ছে কারবালার ময়দানে ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালামের দেহ থেকে নির্ঝরিত লৌহকণার স্পষ্ট ইংগিত।”

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ) হযরত ফাতিমা (সা.) সম্পর্কে বলেছেনঃ-ফাতিমা আমার দেহের অঙ্গ, চোখের জ্যোতি, অন্তরের ফল এবং আমার রূহস্বরূপ। সে হচ্ছে মানুষরূপী বেহেশতি হুর। প্রসিদ্ধ হাদিস গ্রন্থ বুখারীতে এসেছে, মহানবী (ﷺ) বলেছেন, ফাতিমা আমার অংশ। যে কেউ তাকে অসন্তুষ্ট ও ক্রোধান্বিত করলো সে আমাকেই অসন্তুষ্ট ও ক্রোধান্বিত করলো। আবার হাদিসে এটাও বলা হয়েছে, “যা কিছু ফাতিমাকে অসন্তুষ্ট করে তা সরাসরি আল্লাহকেও অসন্তুষ্ট করে।” হযরত ফাতিমা (সা.আ.)‘র উচ্চতর মর্যাদা উপলব্ধি করার জন্য কেবল এ হাদিসই যথেষ্ট।

মা‘য়ের শান লিখতে বসে ফজরের ওয়াক্ত হয়ে গেল।কি লিখবো কি ছেড়ে কি লিখবো।ভাবতে,ভাবতে শ্রদ্ধেয় ভাব পাগলা আব্দুল্লাহ ভাইয়ের প্রিয় একটি কলাম মনে পড়লো।“নারীর তিনটি রুপ। কন্যা, স্ত্রী এবং মা। আর তিনটি রুপই আল্লাহর রহমত। কন্যা তার পিতার জন্য রহমত। স্ত্রী তার স্বামীর ইমানের সাক্ষ্যদাত্রী এবং মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। শাহজাদী আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আপনার কি গুনগান করব? যেখানে কুল কায়েনাতের কবিগন তাদের কবিতায়, লেখক রা তাদের লেখনীর মাধ্যমে,গবেষক রা আপনার শান আর মর্যাদার গবেষণা করতে গিয়ে সবাই এই বলেই হয়রান যে,বিবি আমরা আপনার পুরোপুরি শান বর্ননা করতে অক্ষম। এরচেয়ে বড় শান আর আর কি হতে পারে ?যার জন্য সমস্ত কুল‑কায়নাত কোরবান, যার খাতিরে কুল‑কায়নাত সৃষ্টি সে মহান নবী যদি বলেন যে, ফাতেমা তোমার জন্য তোমার বাবা কোরবান হ‌উক,আল্লাহ আকবর। সাধারন কন্যা সাধারন পিতার জন্য রহমত। মা ফাতেমা এমন একজনের জন্য রহমত, যিনি নিজেই রাহমাতুল্লিল আলামিন! আল্লাহু আকবার! সাধারণ স্ত্রী সাধারন স্বামীর ইমানের সাক্ষ্যদানকারী, মা ফাতেমা এমন একজনের ইমানের সাক্ষ্যদানকারী যিনি নিজেই কুল্লে ইমান! সাধারন মায়ের পায়ের নিচে সাধারন সন্তানের জান্নাত, মা ফাতেমার পায়ের নিচে এমন সন্তানের জান্নাত যারা নিজেরাই জান্নাতের সর্দার!কিভাবে যে লেখব শাহজাদী আপনার শান এই ভেবে ই হয়রান। আপনার নজর আর করম ভিখারি হয়ে আছি বিবি।”

আসুন পরিশেষে আবার সূরা আর‑রাহমানের সেই আয়াতগুলোর দিকে নজর দেইঃ-“তিনি পাশাপাশি দুই সমুদ্র প্রবাহিত করেছেন।উভয়ের মাঝখানে রয়েছে এক অন্তরাল, যা তারা অতিক্রম করে না।অতঃপর তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নেয়ামত অস্বীকার করবে?উভয় সমুদ্র থেকে উৎপন্ন হয় মোতি ও প্রবাল।” -(সূরা আর‑রাহমানঃ ১৯-২২)।সত্যিই আল্লাহ পাকের কোন কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবেন।আর এই আয়াতসমুহে ইঙ্গিতবহ আহলে বায়েতের কারো অবদানই আমরা অস্বীকার করতে পারবো না। কেননা, আহলে বায়েত হলেন নূহ আলাইহিস সালামের কিস্তির মতো, এতে যারা অবতরণ করেছে তারা মুক্তি পেয়েছে। আর যারা তা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে তারা চিরবঞ্চিত হয়েছে।

হে আমাদের মহান রব তুমি আহলেবাইত (আঃ)‘এর অনুসারীদেরকে আহলেবাইত (আঃ)‘দের সঠিকভাবে অনুসরণ করার তৌফিক দান করুন । আবারও আহলে বাইত প্রেমিক সকল মুসলমান দের প্রতি মাওলায়ে কায়নাত হযরত আলী ইবনে আবী তালিব (আলাই‌হিস সালা‌মের) ও নবী-নন্দিনী হযরত ফাতিমা জাহরা (সালামুল্লাহি আলাইহা) এর ঐতিহাসিক পবিত্র বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে জানাচ্ছি প্রাণঢালা মুবারকবাদ ও শানে পেশ করছি অশেষ দরুদ ও সালাম।আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আলে মুহাম্মদ।

তথ্যসূত্রঃ

সুনানে ইবনে মাজাহ(ওয়ালিমা অধ্যায়) | কাশফুল গুম্মাহ্, খন্ড- ১ম , পৃ — ৫০,২য় খণ্ড | বিহারুল আনওয়ার, ৪৩তম খণ্ড, পৃ. ১৯- ২৬,৩৬ | আমালী, মুফিদ, পৃ. ৫৬ | আমালী, তুসী (নাজাফ থেকে প্রকাশিত), ২য় খণ্ড,  | আমালী, সাদুক্ব, পৃ. ৩১৪ | মানাকিবে শাহরে আশুব, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১০৬,১০৭ | উয়ূনু আখবারির রিযা (আ.), ২য় খণ্ড, পৃ. ২৬, ৪৬, ৪৭ | । মানাকিবে শাহরে আশুব, ৩য় খণ্ড,পৃ. ১০৫ | মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া | রিয়াজুুন নাজরাহ ফী মানাকিবিল আশরাতিল মুবাশশারাহ’-আল্লামা মুহিবুদ্দিন বিহারী | আখতাবে খারজামী | বাশারাতুল মোস্তফা, পৃষ্ঠা ২৬৭ |তাতেম্মাতুল মুনতাহা পৃষ্ঠা ১৩৭ | মেসবাহে কাফআমি, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৬০০ | মানলা ইয়াহ যারুহুল ফাকিহ, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ৩৯৩। কাফি, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৩৬১। | বেলায়েতের দ্যুতি,-আয়াতুল্লাহ জাফর সোবহানী | খাতুনে জান্নাত ফাতেমা যাহরা,পৃ-৪৫ (রহমানীয়া লাইব্রেরী) | হযরত ফাতেমা যাহরা ‚পৃ-৩৯,৪০ (তাজ কোং) | হযরত ফাতেমা যাহরা , পৃ-৮৬ (হামিদিয়া) | হযরত আলী ‚পৃ-৩৪ (তাজ কোং) | আরজাহুল মাতালেব,পৃ-৪৩৬-৪৩৯ | তাফসীরে মাযহারি , খন্ড‑২,পৃ-২৭২-২৭৭ (ইঃফাঃ) |জাখায়েরুল উখরা , পৃ-৩১ | কানজুল উম্মাল ‚খন্ড‑৬,পৃ- ১৫৩ ‚হাঃ — ২৫৪৩ | মুস্তাদরাক হাকেম , খন্ড‑৩,পৃ-১২৯ | নাহাজ আল বালাগা ‚খন্ড‑২, পৃ-৪৫১ | মাদারেজন নবুয়ত ‚খন্ড‑২,পৃ-১৩১ | আরজাহুল মাতালেব ‚পৃ-৪৯ | মুসনাদে আহম্মদ,খন্ড‑৫,পৃ-৩১,৩৯ ।

সৈয়দ হোসাইন উল হক
এম‑ফিল,ইসলামিক স্টাডিজ এন্ড হিস্টোরি,অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি।


সিপাহসালার | ইনস্টিটিউশনজুলাই ২০২০এস এইচ হক

মতামত দিন