নসবনামা সুলতানশী

ঐতিহাসিক সুলতানসী হাবিলীর নসবনামা,হবিগঞ্জ

  • ইমাম আলী ইবনে আবি তালিব (.)
  • ইমাম হুসাইন বিন আলী (.)
  • ইমাম আলী বিন হুসাইন আল যয়নুল আবেদীন (.) 
  • ইমাম মুহাম্মদ বিন আলী আল বাকের (.) 
  • ইমাম জাফর বিন মুহাম্মদ আল সাদিক (.) 
  • ইমাম মুসা বিন জাফর আল কাযিম (.) 
  • ইমাম আলী বিন মুসা আল রেজা (.) 
  • ইমাম মুহাম্মদ বিন আলী আল তাকী (.) 
  • ইমাম আলী বিন মুহাম্মদ আল নাকী (.) 
  • ইমাম হাসান বিন আলী আল আসকারী (.) 
  • ইমাম মুহাম্মদ বিন হাসান আল মাহদী মন্তাজার (.)
  • সৈয়দ আবুল নাছরা (রহ)
  • সৈয়দ আবুল ফাজল (রহ)
  • সৈয়দ আবুল ফারাহ (রহ)
  • সৈয়দ আবুল ফাত্তাহ (রহ)
  • সৈয়দ দাউদ আতায়ী (রহঃ)
  • সৈয়দ হাসান আরাবী (রহঃ)
  • তরফ  সিলেট রাজ্য বিজয়ী,সিপাহসালার সৈয়দ নাছির উদ্দিন (রহঃ)(১৩০৩ খ্রিঃ)।[embed­doc url=“https://sipahsalar-syed-nasiruddin-rh-institution.org/wp-content/uploads/2023/01/সুলতানশী-নসবনামা-.pdf”]

নসবনামা বিবরণীঃ

 সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন (রহ:)

ইতিহাস বিশ্লেশনের ভিত্তিতে তাঁর জন্মসন খ্রিষ্টীয় ১২৫০ সনের পূর্বাপর। আব্বাসিয় খেলাফতের ক্রান্তিয়লগ্নে তাঁর বাগ্মী পিতা সৈয়দ হাসান আরাবী (র.) তৎকালীন খলিফার রোষানলের শিকার হয়ে বাগদাদ থেকে স্বপরিবারে হিন্দুস্থানে হিজরত করেন। পরিণত বয়সে উপনীত হলে সৈয়দ নাসির উদ্দীন সালতানিয়াতে দিল্লি’র সেনাবাহিনীতে সৈনিকের পদে চাকুরী গ্রহন করেন। পড়ে একটি বিশেষ ঘটনা বশত সিপাহসালার পদ প্রাপ্ত হয়ে তিনি গৌড় ও তুঙ্গাচল রাজ্যে সেনা অভিযান পরিচালনা করেন এবং এই রাজ্যদয় বিজয়ত্তর তরফ রাজ্যের শাসনভার গ্রহন করেন। উল্যেখ্য যে হযরত শাহ জালাল (র.) ও ত্বদীয় আউলিয়াকুল সঙ্গী সহ পরিচালিত এই অভিযানে বিজিত হওয়ার পর তুঙ্গাচল রাজ্যই তরফ রাজ্য নাম ধারন করে।

সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন (রহ:) তাঁর পুর্বপুরুষদের মতই নসবী শাজরা সংরক্ষণ করতেন। তাঁর নসবনামা অনুযায়ী তিনি মাওলা আলী আঃএর ১৭ তম এবং ইমাম মাহদী আঃএর ৭ম অধস্থবন ফরজন্দ। তিনি এ দেশের অতি উচ্চমান আধ্যাত্নিক ব্যক্তিদের অন্যতম।পুত্র সৈয়দ সিরাজ উদ্দীন’এর হাতে রাজ্যের শাসনভার সমর্পণ করে পরলকগত হন। হবিগঞ্জ জেলার মুরারবন্দ নামক স্থানে তাঁর নিজ দরবারেই পূর্বপশ্চিমে শায়িত তাঁর মাজার সরক্ষিত রয়েছে।হবিগঞ্জ জেলার মুরারবন্দ নামক স্থানে তাঁর নিজ দরবারেই পূর্বপশ্চিমে শায়িত তাঁর মাজার সরক্ষিত রয়েছে।


প্রথম পুরুষঃ- সৈয়দ সিরাজ উদ্দিন (রহঃ)

তরফ অভিযানের অব্যাবহিত পরে বর্তমানে কোটান্দর নামক গ্রামের পার্শ্বস্থ খোয়াই নদীর তীরে এক আচমকা খণ্ডযুদ্ধে তাঁর এবং সিকান্দর শাহর পুত্র কালু শাহ্‌’র বীরোচিত ভুমিকায় আচক নারায়ন স্বদলে নিশ্চিহ্ন হয়। উল্যেখ্য যে এই যুদ্ধে গেছুদারাজ খ্যাত আহ্যাত্নিক পুরুষ সৈয়দ আহমদ (কল্লাশহিদ) শাহাদাত প্রাপ্ত হন। অতঃপর দীর্ঘকাল রাজ্য শাসনান্তে সৈয়দ শাহ সিরাজ উদ্দিন (র.)  সৈয়দ মুসাফির  ও  সৈয়দ ফকির নামক দুই পুত্র রেখে পরলোক গমন করেন।পিতার মাজারের পাশেই তিনি সমাহিত আছেন।


দ্বিতীয় পুরুষঃ- সৈয়দ শাহ মুসাফির (রহ:) 

পিতার মৃত্যুর পরে পৈত্রিক রাজত্ব শাসনের ভারপ্রাপ্ত হন। উল্যেখ্য যে তাঁর ভ্রাতা সৈয়দ শাহ ফকির (রহ:) বাল্যকাল থেকেই আধ্যাত্মিক সাধনা ও ধ্যানমগ্নতায় সর্বদা ব্যাস্ত থাকতেন এবং অতি সাদাসিদা জীবন যাপন করতেন।তিনি ফকিরাবাদ গ্রামের প্রতিষ্ঠাতা, সেখেনেই তাঁর মাজার অবস্থিত।

সৈয়দ সিরাজ উদ্দীন পিতার মতই একাধারে একজন সুযুগ্য শাসক এবং সাধকপুরুষও ছিলেন। দীর্ঘদিন রাজ্য পরিচালনা করে সৈয়দ খোদাওন্দ, সৈয়দ ইসমাঈল, সৈয়দ সুলাইমানসৈয়দ ইব্রাহিম নামিয় চার পুত্র রেখে মুরারবন্দেই তিনি ইহধাম ত্যাগ করেন।

তৃতীয় পুরুষঃ- সৈয়দ শাহ খোদাওন্দ (রহ:) 

পিতার ইনতেকালের পরে জ্যেষ্ঠপুত্র সৈয়দ খোদাবন্দ পিতার স্থলাভিষিক্ত হন।তাঁর মধ্যেও পিতৃপুরুষগণের ধার্মিকতা ও ইবাদাতগারী পূর্ণরূপেই বিদ্ধমান ছিল। জানা যায় যুবা বয়সে তিনি এক কুলীন ব্রাহ্মন কন্যাকে পছন্দ করে তার পিতা আদিত্য নারায়নের কাছে বিবাহের প্রস্তাব করায় সঙ্গত কারনেই এই ব্রাহ্মমন সবিনয়ে খোদাবন্দের প্রস্তাব অগ্রাহ্য করে উপরন্তু কন্যার বিবাহের তারিখ নির্ধারণের পানের খিলি খোদাবন্দকে খেতে দেন, খোদাবন্দও সেই খিলি মুখে পুরে উচ্চকণ্ঠেই বলেছিলেন- “যাও বিবি আমানত, আও বিবি সালামত”। অতঃপর বরযাত্রার বর পথিমধ্যেই রক্তবমি করে মারা যাওয়ার ঘটনায় ভীত হয়ে ব্রাহ্মমন আদিত্য নারায়ণ নিজেই এসে তার কন্যাকে খোদাবন্দের হাতে সপে দিয়েছিলেন।

সৈয়দ খোদাবন্দের পাঁচ পুত্র সৈয়দ সয়েফ উদ্দীন, সৈয়দ বরকত উদ্দীন, সৈয়দ ইসরাঈল, সৈয়দ মিকাঈলসৈয়দ জিব্রাঈল।তন্মধ্যে সৈয়দ সয়েফ উদ্দিন দাউদনগরে ও সৈয়দ ইসরাইল ঘরগাঁও’এ নিজ নিজ হাবেলি স্থানান্তর করেছিলেন।মৃত্যুকালে খোদাবন্দের আওলিয়া পর্যায়ের তিন জ্যেষ্ঠ পুত্রের মধ্যে তিনজনেই রাজ্য পরিচালনার দায়িত্বভার নিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বিদ্যুতসাহী চতুর্থপুত্র সৈয়দ মিকাঈলকে রাজ্য শাসনের দায়িত্ব দিয়ে পরলোক গমন করেন।


চতুর্থ পুরুষঃ-   সৈয়দ শাহ মিকাঈল (রহঃ) (লস্করপুর আদি)

সৈয়দ শাহ মিকাঈল (রহঃ) মুরারবন্দ থেকে লস্করপুের নিজ হাবেলি স্থানান্তর করেছিলেন।তার পাঁচ পুত্র  সৈয়দ নাজির খাঁ (রহঃ) [নরপতি আদি],সৈয়দ আব্বাস ওরফে দরওয়া খাঁ, সৈয়দ শাহ মুসা (রহঃ),সৈয়দ মীনা ওরফে সুলতান (রহঃ) [সুলতানশী আদি] ও সৈয়দ শাহ তাহের (রহঃ)।


পঞ্চম পুরুষঃ- সৈয়দ মীনা ওরফে সুলতান (রহঃ)[আনু.১৫৫০-১৬৪৮ খ্রিঃ,মধ্যযুগীয় মহাকবি,সুলতানশী আদি]

সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দীন (রঃ)-এর সুযোগ্য উত্তরসূরী ঐতিহাসিক সুলতানসী হাবেলীর প্রতিষ্ঠাতা,ইসলামী রেনেসাঁর অন্যতম দিশারী, খ্যাতিমান সাধক,বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগীয় মহাকবি সৈয়দ মীনা ওরফে সুলতান (রহঃ) কাহিনীকাব্য ও শাস্ত্রকাব্য রচয়িতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর বাংলা ভাষার উপর বিশেষ দখল ছিল। তিনি একাধারে ফার্সী ও উর্দু ভাষায় কাব্য রচনা করেন।তিনি  অন্যদিকে তরফের শাসকও ছিলেন। তিনি হবিগঞ্জ জেলার হবিগঞ্জ সদর উপজেলার (প্রাচীন তরফ রাজ্যের রাজধানী) লস্করপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ইনি সৈয়দ মুসার কনিষ্ঠ ভ্রাতা।পরিণত বয়সে  তিনি স‑পরিবারে দিল্লীতে রাজ পরিবারের আদলে বসবাস করতেন।১৫৮১ খ্রিষ্টাব্দে সৈয়দ শাহ মুসা’র হারানো রাজত্ব আরাকান পতির সহযোগিতায় পুনরায় ফেরত পাওয়ার পর দুই ভাইয়ের মধ্যে বিভিন্ন কারণে মনোমালিন্য দেখা দেয় ।সৈয়দ সুলতান (র:) লস্করপুর থেকে প্রায় তিন মাইল দূরে গিয়ে বাড়ি নির্মাণ করে সেখানে অবস্থান করেন। তখন তরফ দুই ভাগে বিভক্ত হয়। নবনির্মিত সেই বাড়িতে থেকে সাহিত্য চর্চার মধ্যদিয়ে শেষ জীবন কাটিয়ে যান।তিনি বহু পরমার্থ বিষয়ক সংগীত রচয়িতা। তার রচিত জ্ঞান প্রদীপ গ্রন্থে গভীর সাধনতত্ত্ব আলোচিত হয়েছে।তাঁর বাংলা ভাষার উপর বিশেষ দখল ছিল। তিনি একাধারে ফার্সী ও উর্দু ভাষায় কাব্য রচনা করেন। তাঁর বাংলা ভাষায় রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্য হলো নবীবংশ, জ্ঞানপ্রদীপ ও জ্ঞানচৌতিশা।তার অন্যান্য গ্রন্থ হচ্ছে ‘ জয়কুম রাজার লড়াই এবং শবে মেরাজ। তার শবে মেরাজ গ্রন্থটির আনুমানিক রচনাকাল ১৫০০ সালের শেষভাগ।নবী বংশ’ কাব্যের ভাষার সৌন্দর্য ও ভাবের মনোহারিত্বের কারণে ড. মুহাম্মদ এনামুল হক কাব্যটিকে ‘ম্যাগনাস ওপাস’ (Mag­nus Opus) বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, ‘ইহা বিষয়-বৈচিত্র্যে ও আকারে সপ্তকান্ড রামায়ণকেও হার মানাইয়াছে।নবী বংশ দ্বিতীয় খন্ডের পংক্তি সংখ্যা পনেরো হাজারেরও বেশি । কাব্যে কাহিনীর যেহেতু নবীগণ নিয়ে, এর জন্য শেষ নবী মোহাম্মদ(সাঃ) পর্যন্ত এসে কাব্যের কাহিনী সমাপ্ত করেছেন । সৈয়দ মিনা উরফে সৈয়দ সুলতান(রঃ) এর ৩ জন পুত্র সন্তান ছিলেন।সৈয়দ শাহ গোয়াস (রঃ) ওরফে কিবরিয়া [মসাজান আদি] সৈয়দ শাহ ইউনুছ (রঃ)[সুলতানসী হাবেলী], সৈয়দ শাহ জিকরিয়া(রঃ)[সুলতানসী হাবেলী] ও  ।সৈয়দ সুলতান (র.)- এর অধঃপতন পুরুষরা জ্ঞানচর্চা ও আধ্যাত্মিক সাধনায় গৌরবোজ্জ্বল অবদান রাখেন। এই বংশে অগণিত জ্ঞানী, গুণী, সূফী, দরবেশ, পীর ফকির, কবি-সাহিত্যিক, সমাজ ও কওমের খেদমতগার জন্ম নিয়ে স্ব স্ব ক্ষেত্রে রেখেছেন উল্লেখযোগ্য অবদান।সৈয়দ সুলতান (র.)- এর বংশে যে সকল নবী বংশধরগণ এসেছেন, তারা পরবর্তীকালে সুলতানশী থেকে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কারণে গমন করেন।অতঃপর তারা, মসাজান, দাউদনগর হাবেলী, হিয়ালা সাহেব বাড়ি,চন্দ্ৰচুড়ি সাহেব বাড়ি, কমিল্লা সৈয়দ বাড়ি, রূপসা জমিদার বাড়ি, কমিল্লা রুপসা হাউস, গোবিন্দ শ্রী সৈয়দ বাড়ি, হয়বত নগর দেওয়ান বাড়ি, হয়বত নগর মাষ্টার সাহেব বাড়ি,অষ্টগ্রাম হাউলি বাড়ি, ভাগলপুর দেওয়ান বাড়ি, ইত্যাদি অঞ্চলে বসবাস করেন।সৈয়দগণ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়লেও সবার সাথে সবার যােগাযােগ রয়েছে।প্রত্যেকটি বাড়িই ইতিহাস প্রসিদ্ধ।মহাকবি ও মধ্যযুগের সাধক, সৈয়দ সুলতান (রঃ) নামানুসারে অদ্যাবধি নবনির্মিত বাড়ি সুলতানসী হাবেলী নামে পরিচিত হচ্ছে। তার মাজার সুলতানশী হাবিলীতে অবস্থিত।


ষষ্ঠ পুরুষঃ-  সৈয়দ শাহ জিকরিয়া (রহঃ)

সৈয়দ মিনা উরফে সৈয়দ সুলতান (রহঃ) সহোদর ভাই তরফের অধিপতি,আরাকান রাজ্যের রাজ দরবারী সৈয়দ শাহ মুসা (রহঃ)’র পর তার পুত্র সৈয়দ আদম তরফ রাজ্যের একাংশের এবং অপরাংশে সৈয়দ সুলতান (রহঃ) পুত্র সৈয়দ ইউনুস (রহঃ) শাসন কার্যে মনোনিত হন। এ সময় দিল্লীর সম্রাট কর্তৃক সৈয়দ আদমকে তরফের ফৌজদারী বিচার ভার ও সৈয়দ ইউনুস (রহঃ) কে দেওয়ানী বিচার ভার প্রদত্ত করা হয়। সৈয়দ ইউনুস (রহঃ)   অল্প বয়সে পরলোকগমন করলে তার কনিষ্ঠ ভ্রাতা সৈয়দ শাহ জিকরিয়া (রহঃ) ‘সুলতানশী’ রিয়াসতের উত্তরাধিকারী হন। তার একমাত্র পুত্র সন্তান সৈয়দ শাহ আহমদ (রহঃ)-এর বংশধরগনই সুলতানশী হাবলীতে  আজ অদ্যাবদী আছেন। সৈয়দ শাহ জিকরিয়া (রহঃ) অধঃস্থন বংশধরদের মধ্য থেকে খ্যাতনামা ব্যক্তিত্যের আবির্ভাব ঘটে। তার মাজার সুলতানশী হাবিলীতে অবস্থিত। অপরদিকে সৈয়দ সুলতান (রহঃ) এর জ্যৈষ্ঠ পুত্র সৈয়দ শাহ গোয়াস (রহঃ) ওরফে কিবরিয়া লস্করপুর হাবেলী হতে তাঁর সহোদর দু’ভাইকে সুলতানসী (সাত আনী অংশ) হাবিলীতে রেখে,সুলতানসী হতে ২ কিলোমিটার পশ্চিমে শ্রদ্ধেয় চাচা সৈয়দ শাহ মুসা (রহঃ) নামে প্রতিষ্ঠিত “মসাজান” এ বসতি স্থাপন করেন। হবিগঞ্জ জেলা শহর থেকে প্রায় ৫ কি.মি. দূরত্বে ১০ নং লস্করপুর ইউনিয়নের মশাজান গ্রামের অবস্থান। বর্তমান তার বংশধর গনই মসাজান‑এ আছেন। প্রচীরঘেরা দীঘির পশ্চিম‑দক্ষিণকোনে হোসাইনী মোকামের পার্শ্বে আল্লাহর এই ওলী শুয়ে আছেন।  দীঘিটি তার অমর কীর্তি।


সপ্তম পুরুষঃ-সৈয়দ শাহ আহমদ (রহঃ)

সৈয়দ শাহ জিকরিয়া (রঃ) ইন্তেকালের পর তার একমাত্র পুত্র সন্তান সৈয়দ শাহ আহমদ (রঃ)‘সুলতানশী’ রিয়াসতের উত্তরাধিকারী হন।রিয়াসতের পাশাপাশি ইলমে দীনের শিক্ষা ও আধ্যাত্মিক সাধনা ছিলেন অনেকটা পারিবারিক উত্তরাধিকার তথা বংশগত উত্তরাধিকারের সহজাত প্রবৃত্তি। এই পবিত্র সম্পদ তাঁর জীবনে এমন ভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল যে তিনি জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নিজ সাধনা-আরাধনায় অটল ও অবিচল থেকে তা বজায় রাখতে সক্ষম হয়ে ছিলেন।তার তিন পুত্র-সৈয়দ হেদায়ত উল্লাহ (রঃ),সৈয়দ মোহাম্মদ ফাত্তাহ (রঃ),সৈয়দ আতাউল্লাহ (রঃ)। উল্লেখ যে,সৈয়দ আতাউল্লাহ (রঃ) নিঃসন্তান ছিলেন।সৈয়দ শাহ আহমদ (রহঃ) মাজার সুলতানশী হাবিলীতে অবস্থিত।


অষ্টম পুরুষঃ-সৈয়দ হেদায়ত উল্লাহ (রঃ) | সৈয়দ মোহাম্মদ ফাত্তাহ (রঃ) 

সৈয়দ হেদায়ত উল্লাহ (রঃ)ঃ-তিনি অকুতোভয় বীর, প্রজাদরদি বিজ্ঞ জমিদার ছিলেন।তার দুই পুত্র সৈয়দ হবিব উল্লাহ ও সৈয়দ আতাউল্লাহ (রহঃ)।উল্লেখ যে, তার কনিষ্ট পুত্র সৈয়দ হবিব উল্লাহ হবিগঞ্জ বাজারের প্রতিষ্টাতা।

সৈয়দ মোহাম্মদ ফাত্তাহ (রঃ)ঃ-শৈশব থেকেই তাঁর আচরণে আধ্যাত্মিকতার প্রভাব পরিলক্ষিত হবার কারণে  খ্যাতি লাভ করেছিলেন বাল্যকালেই।সাংসারিক জীবনে দুই পুত্রের জনক সৈয়দ শাহ মোহাম্মদ (রঃ) ও সৈয়দ শাহ নাছির (রঃ) ।উল্লেখ যে,সৈয়দ শাহ মোহাম্মদ (রঃ) নিঃসন্তান ছিলেন।


নবম পুরুষঃ-সৈয়দ হবিব উল্লাহ(রহঃ) |  সৈয়দ আতাউল্লাহ(রহঃ) | সৈয়দ শাহ নাছির (রঃ) ।

সৈয়দ হবিব উল্লাহ(রহঃ) [হবিগঞ্জ বাজারের প্রতিষ্টাতা]ঃ- সৈয়দ নাছির উদ্দিন (রঃ) এর পূণ্যস্মৃতি বিজড়িত খোয়াই, করাঙ্গী সুতাং, বিজনা, রত্না প্রভৃতি নদী বিধৌত হবিগঞ্জ একটি ঐতিহাসিক জনপদের নাম ।ঐতিহাসিক সুলতানসী হাবেলীর প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ সুলতান (রহঃ)’র অধঃস্তন পুরুষ সৈয়দ হেদায়েত উল্লাহ (রহঃ)’র পুত্র সৈয়দ হবিব উল্লাহ খোয়াই নদীর তীরে একটি গঞ্জ বা বাজার প্রতিষ্ঠা করেন । হবিগঞ্জ জেলা শহরের প্রতিষ্ঠাতা  সৈয়দ হবিবুল্লাহ নামানুসারে হবিবগঞ্জ থেকে কালক্রমে তা হবিগঞ্জে পরিণত হয় ।১৭৭৮ খ্রিঃ হবিগঞ্জ মহকুমা শহর হিসাবে প্রতিষ্টা লাভ করে অতঃপর ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ জেলায় উন্নীত হয় । এছাড়া এই বংশের অপরাপর কীর্তিমান পুরুষ শায়েস্তাগঞ্জ বাজারের প্রতিষ্ঠাতা (বর্তমানে রেলওয়ে জংশনসহ) সৈয়দ শায়েস্তা মিয়া।সৈয়দ হবিব উল্লাহ(রহঃ) একমাত্র পুত্র সন্তান সৈয়দ গোলাম আলী।তার মাজার সুলতানশী হাবিলীতে অবস্থিত।

সৈয়দ আতাউল্লাহ(রহঃ)ঃ-ঐতিহাসিক সুলতানসী হাবেলীর প্রজাদরদি বিজ্ঞ জমিদার সৈয়দ হেদায়েত উল্লাহ (রহঃ)’র কনিষ্ঠ পুত্র সৈয়দ আতাউল্লাহ একজন বহুমুখী ও সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী জমিদার ছিলেন।সাংসারিক জীবনে তিনি একমাত্র পুত্র সন্তানের জনক।পুত্রঃ সৈয়দ কোরবান আলী।তার মাজার সুলতানশী হাবিলীতে অবস্থিত।

সৈয়দ শাহ নাছির (রঃ)ঃ-সৈয়দ সুলতানের অধঃস্তন বংশধরের মধে তিনি ধর্মপ্রচার ও শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে মুসলিম সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।তার দুই পুত্র সৈয়দ শাহ বাছির (রঃ) ও সৈয়দ শাহ আছির (রঃ)।উল্লেখ যে,সৈয়দ শাহ বাছির (রঃ) নিঃসন্তান ছিলেন।সৈয়দ শাহ নাছির (রঃ) দরগাহ মুরারবন্দে অবস্থিত।


দশম পুরুষঃ-সৈয়দ গোলাম আলী  |  সৈয়দ কোরবান আলী  | সৈয়দ শাহ আছির (রঃ) ।

সৈয়দ গোলাম আলীঃ তিনিও তার পিতার ন্যায় বহুমুখী ও সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী জমিদার ছিলেন।সাংসারিক জীবনে তিনি একমাত্র পুত্র সৈয়দ হোবরে আলী (রঃ) রেখে পরলোক গমন করেন।সুলতানসী হাবিলীর পারিবারিক গোরস্তানে তিনি সমাহিত আছেন।

সৈয়দ কোরবান আলীঃ- তিনি প্রখ্যাত জমিদার ও বুজুর্গ ব্যক্তি ছিলেন।যুবক বয়স থেকেই পিতার জমিদারীর সকল কাজ কর্ম দেখাশুনা করতেন।সাংসারিক জীবনে তিনি এক পুত্র রেখে পরলোকে গমন করেন।তিনার পুত্র সৈয়দ ফজলে আলী।

সৈয়দ শাহ আছির (রঃ)ঃ-তার সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না, তবে বেশি ভাগ সময়ই তিনি নিজ বাড়ির নিভৃতে কাটিয়েছেন।তার দুই পুত্র সৈয়দ শাহ নাজির (রহঃ) ও সৈয়দ শাহ নাছির (রহঃ)।উল্লেখ যে,সৈয়দ শাহ নাছির (রহঃ)বাল্যকাল থেকেই আধ্যাত্মিক সাধনা ও ধ্যানমগ্নতায় সর্বদা ব্যাস্ত থেকে অবিবাহিত জীবন কাটিয়েছেন।


১১তম পুরুষঃ- সৈয়দ হোবরে আলী (রঃ) |  সৈয়দ ফজলে আলী  |  সৈয়দ শাহ নাজির (রহঃ) ।

সৈয়দ হোবরে আলী (রঃ)ঃ-তিনি একজন পরহেজগার ও আল্লাহওয়ালা লােক ছিলেন।।একজন কামেল বুজুর্গ ও সাদামনের জমিদার হিসেবে সমাজে ছিলেন অতিব সম্মানিত।সাংসারিক জীবনে দুই পুত্রের জনক।তাঁর সন্তাগণের নাম যথাক্রমেঃ সৈয়দ সাদত আলী (রঃ) ও সৈয়দ মুহিব্বে আলী (রঃ)।সুলতানসী হাবিলীর পারিবারিক গোরস্তানে তিনি সমাহিত আছেন।

সৈয়দ ফজলে আলীঃ-তিনি একজন জমিদার ও সাধক সিদ্ধ পুরুষ ছিলেন।।সাংসারিক জীবনে তিনি একমাত্র পুত্র সৈয়দ আরজুমান্দ আলী (রঃ) রেখে পরলোক গমন করেন।সুলতানসী হাবিলীর পারিবারিক গোরস্তানে তিনি সমাহিত আছেন।

সৈয়দ শাহ নাজির (রহঃ)ঃ-তার দুই পুত্র সৈয়দ নাতির (রঃ) ও সৈয়দ বাতির (রঃ)।


১২তম পুরুষঃ- সৈয়দ সাদত আলী (রঃ) | সৈয়দ মুহিব্বে আলী (রঃ) | সৈয়দ আরজুমান্দ আলী | সৈয়দ নাতির (রঃ) |  সৈয়দ বাতির (রঃ)।

সৈয়দ সাদত আলী (রঃ)ঃ-কামেল বুজুর্গ ও জমিদার সৈয়দ হোবরে আলী (রঃ) এর জ্যেষ্ঠপুত্র সৈয়দ সাদত আলী (রঃ)।তিনি ধর্মীয় শিক্ষায় সুপণ্ডিত ও জমিদার ছিলেন।সাংসারিক জীবনে একমাত্র পুত্র সৈয়দ রিয়াসত আলী রেখে পরলোক গমন করেন।মুড়ারবন্দে পারিবারিক গোরস্তানে তাকে সমাহিত করা হয়।

সৈয়দ মুহিব্বে আলী (রঃ)ঃ-পুর্বপুরুষের ধারায় তিনি যেমন প্রখ্যাত জমিদার ছিলেন তেমনি ধর্মীয় শিক্ষায় সুপণ্ডিত পাক পান্জাতনের আশেক ও সাধক  ছিলেন।তার বহু অলৌকিকতা আজও লোকমুখে শোনা যায়।এই বুজুর্গ জীবন যাপন করতেন অত্যন্ত সাধাসিধেভাবে।রিয়াসতের পাশাপাশি ইলমে দীনের শিক্ষা ও আধ্যাত্মিক সাধনা ছিলেন অনেকটা পারিবারিক উত্তরাধিকার তথা বংশগত উত্তরাধিকারের সহজাত প্রবৃত্তি।সাংসারিক জীবনে একমাত্র পুত্র সৈয়দ আওলাদ আলীকে রেখে পরলোক গমন করেন।মুড়ারবন্দে হযরত সৈয়দ মহিব্বে আলী (রঃ) এর মাজার অবস্থিত। 

সৈয়দ আরজুমান্দ আলীঃ-তিনি একজন ছালেকে মজ্জুব, কামেল বুজুর্গ ছিলেন।তার দুই পুত্র সৈয়দ ইবনে আলী ও সৈয়দ ইমদাদ আলী।

সৈয়দ নাতির (রঃ)ঃ-তার দুই পুত্র সৈয়দ ওয়াতির (রঃ) ও সৈয়দ ছাবের (রঃ)।

সৈয়দ বাতির (রঃ)ঃ- তার দুই পুত্র সৈয়দ ছাতির (রঃ) ও সৈয়দ ছাবিদ (রঃ)।উল্লেখ যে,সৈয়দ ছাবিদ (রঃ) নিঃসন্তান ছিলেন।


১৩ তম পুরুষঃ-সৈয়দ রিয়াসত আলী  [গোবিন্দ শ্রী আদি,সুলতানশী থেকে গোবিন্দ শ্রী সৈয়দ বাড়ি] | সৈয়দ আওলাদ আলী(রঃ) [সুলতানশী মুল হাবেলী থেকে সুলতানশী পুর্ব হাবেলী]  |  সৈয়দ ইবনে আলী  | সৈয়দ ইমদাদ আলী |  সৈয়দ ওয়াতির (রঃ)  |   সৈয়দ ছাবের (রঃ)  |  সৈয়দ ছাতির (রঃ) 

সৈয়দ রিয়াসত আলী [গোবিন্দ শ্রী আদি,সুলতানশী থেকে গোবিন্দ শ্রী চৌধুরী বাড়ি]ঃ-সুলতানশীর সুপণ্ডিত ও জমিদার সৈয়দ সাদত আলী (রঃ) সুযোগ্য পুত্র সৈয়দ রিয়াসত আলী গত শতাব্দীতে ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে জন্মগ্রহণ করেন।সৈয়দ রিয়াসত আলী মৌলভীবাজার জেলার প্রসিদ্ধ গােবিন্দ শ্রী চৌধুরী বাড়ির মৌলভী সৈয়দ কুদরত উল্লাহ সাহেবের মেয়ের দিকে নাতিনের ঘরের পতিন সৈয়দা হাবিবুন্নেসাকে বিবাহ করে বৈবাহিক সূত্রে জমিদারী পেয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।বর্তমানে তার বংশধরগণ তার প্রতিষ্টিত গোবিন্দ শ্রী সৈয়দ বাড়িতে বসবাস করছেন।

সৈয়দ আওলাদ আলী(রঃ) [সুলতানশী মুল হাবেলী থেকে সুলতানশী পুর্ব হাবেলী]ঃ-কামেল বুজুর্গ ও জমিদার সৈয়দ মুহিব্বে আলী (রঃ) একমাত্র সুযোগ্য পুত্র মাওলানা সৈয়দ আওলাদ আলী (রঃ) গত শতাব্দীতে সুলতানশী হাবেলীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি টাইটেল মাওলানা এবং বহু বৎসর আরবে ছিলেন। সুলতানশী মূল হাবেলী হতে  অর্ধ মাইল পূর্ব দিকে তিনি আলাদা হয়ে পূর্ব হাবেলী প্রতিষ্ঠা করেন।তার বংশধরগণ বর্তমানে সুলতানশী পূর্ব হাবেলী বসবাস করছেন।সৈয়দ আওলাদ আলী জমিদারীর আয় হতে লংগর খানা প্রতিষ্ঠা করেন।সাংসারিক জীবনে একমাত্র পুত্র সৈয়দ আবুল ইকবাল কে রেখে পরলোক গমন করেন।সৈয়দ আওলাদ আলী (রঃ)– দরগাহ পূর্ব সুলতানসীতে।

সৈয়দ ইবনে আলীঃ-তদানিন্তন কালে একজন পরহেজগার ব্যক্তি ছিলেন।।তার ৫ পুত্র সৈয়দ আবদুল জব্বার ‚সৈয়দ আঃ রহিম ‚সৈয়দ আঃ সাত্তার,সৈয়দ আঃ রহমান,সৈয়দ আঃ মোতালেব।তন্মধ্যে সৈয়দ আবদুল জব্বার বৈবাহিক সূত্রে উত্তরাধিকারী হিসেবে কুমিল্লা সৈয়দ বাড়িতে ও সৈয়দ আঃ রহিম হয়বত নগর নিজ নিজ হাবেলি স্থানান্তর করেছিলেন।সুলতানসী  হাবিলীর পারিবারিক গোরস্তানে তিনি সমাহিত আছেন।

সৈয়দ ইমদাদ আলীঃ-কামেল বুজুর্গ সৈয়দ আরজুমান্দ আলীর কনিষ্ঠ পুত্র সৈয়দ ইমদাদ আলী ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলী তে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি তার পিতার খুব আদরের পুত্র ছিলেন।তার পুত্র সৈয়দ আঃ মজিদ।সুলতানসী হাবিলীর পারিবারিক গোরস্তানে তিনি সমাহিত আছেন।

সৈয়দ ওয়াতির (রঃ)ঃ-তিনি তবে বেশি ভাগ সময়ই স্বীয় পূর্বপুরুষের দরগাহ মুড়ারবন্দে নিভৃতে সময় কাটাতেন।তিনি  কঠোর তপশ্চর্যা করতেন এবং সৃষ্টির্কতার সান্নিধ্য লাভের আশায় দুনিয়ার সকল আনন্দ‑ফুর্তি থেকে নিজেকে দূরে রাখতেন।তার দুই পুত্র সৈয়দ আব্দুস সোবহান (রহঃ) ও সৈয়দ আরিজ (রহঃ)।এই মহান ওলীর দরগাহ মুড়ারবন্দে।

সৈয়দ ছাবের (রঃ)ঃ-সিপাহসালার সৈয়দ নাসিরুদ্দীন রহঃএর ১৩ তম অধস্থনপুরুষ হযরত সৈয়দ ছাবের (রঃ) সাহেবের শিক্ষা-দীক্ষা রিয়াযত‑রিয়াছত সব কিছুই সাধিত হয় তাঁর পিতা আরেক আধ্যাত্নিকপুরুষ সৈয়দ নাতির (রঃ) সাহেবের একান্ত তত্বাবধানে।পুর্বপুরুষের ধারায় তিনি যেমন প্রখ্যাত জমিদার ছিলেন তেমনি আধ্যাত্মিক শিক্ষক ও সাধক ছিলেন।আপাতদৃষ্টিতে সংসারী মনে হলেও মূলত ছিলেন সংসার বিরাগী।তিনি নিজ পিতার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।এই বুজুর্গ জীবন যাপন করতেন অত্যন্ত সাধাসিধেভাবে।পরবর্তিতে তাঁর ধর্মানুরাগ ও জ্ঞান গরিমায় মুগ্ধ হইয়া অনেকেই তাঁর কাছে শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন ।সাংসারিক জীবনে কিশােরগঞ্জ জেলার পূর্ব দক্ষিণে অবস্থিত অষ্টগ্রাম দেওয়ান বংশের আদি পুরুষ দেওয়ান মনােয়ার খা প্রকাশ আজদর খা বংশের মেয়ে জমিদার চান্দ বিবি সাহেবা ও স্বামী ছিলেন দেওয়ান নূর হায়দর দম্পতির একমাত্র কন্যা জিন্নৎচান্দ বিবিকে বিবাহ করেন।তার ঔরসে তিন পুত্র সৈয়দ আঃ করিম হোসাইনী চিশতি ওরফে আলাই মিয়া, সৈয়দ আঃ রহিম হোসাইনী চিশতি ওরফে মলাই মিয়া, সৈয়দ আঃ আজিম হোসাইনী চিশতি জলাই মিয়া  ও সৈয়দ আঃ হেলিম হোসাইনী চিশতি ওরফে কালাই মিয়া সাহেব জন্ম নেয়।তন্মধ্যে সৈয়দ আঃ করিম হোসাইনী চিশতি ওরফে আলাই মিয়া তার ছােট ভাই সৈয়দ আঃ আজিম হোসাইনী চিশতি জলাই মিয়াকে সংগে করে অষ্টগ্রাম হাউলি বাড়িতে স্থানান্তর হন।

সৈয়দ ছাতির (রঃ)ঃ-তিনি খুবই সাধা সিধে ও সাধারণ মানের জীবন জাপন করেগেছেন। একজন কামেল বুজুর্গ ও সাদামনের মানুষ হিসেবে সমাজে ছিলেন অতিব সম্মানিত।তার একমাত্র পুত্র সৈয়দ আবদুল গফুর (রঃ)।


১৪ তম পুরুষঃ সৈয়দ আঃ করিম হোসাইনী চিশতি (রহঃ)  |  সৈয়দ আঃ রহিম হোসাইনী চিশতি (রহঃ)  |  সৈয়দ আব্দুল আজিম হোসাইনী চিশতি (রহঃ) [সুলতানশী হাবেলী থেকে অষ্টগ্রাম হাউলি বাড়ি]  |  সৈয়দ আঃ হেলিম হোসাইনী চিশতি (রহঃ)  |  সৈয়দ আবদুল জব্বার [কুমিল্লা সৈয়দ বাড়ি আদি] | সৈয়দ আঃ রহিম [হয়বতনগর মাষ্টার সাহেব বাড়ি আদি]  | সৈয়দ আঃ সাত্তার  |  সৈয়দ আঃ রহমান  |  সৈয়দ আঃ মোতালেব  | সৈয়দ আঃ মজিদ  | সৈয়দ আবদুল গফুর (রঃ)  |  সৈয়দ আব্দুস সোবহান (রহঃ)  |  সৈয়দ আরিজ (রহঃ) |  সৈয়দ আবুল ইকবাল।  

সৈয়দ আঃ করিম হোসাইনী চিশতি ওরফে আলাই মিয়া (রহঃ)[১২১৪-১৩০৯ বঙ্গাব্দ | অষ্টগ্রাম আদি,সুলতানশী হাবেলী থেকে অষ্টগ্রাম হাউলি বাড়ি আদি]ঃ-বাংলাদেশের যে সব যুগ শ্রেষ্ঠ আউলিয়াগণ ভাষা, ধর্ম, স্থান, কাল, পাত্র নির্বিশেষ প্রাধান্য বিস্তার করে ধন্য হয়েছেন তন্মধ্যে হযরত সৈয়দ শাহ আবদুল করিম আল হোসাইনী (রঃ) উরফে সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেব ছিলেন অন্যতম।তরপের ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে এই মহান সাধক  ১২১৪ বঙ্গাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি প্রখ্যাত জমিদার আধ্যাত্মিক শিক্ষক ও সাধক হযরত সৈয়দ ছাবের (রঃ) ও অষ্টগ্রামের নয়কোষা জমিদার বাড়ির কন্যা জিন্নৎচান্দ বিবি দম্পতির জ্যৈষ্ঠ পুত্র।উত্তরাধিকারী সূত্রে অষ্টগ্রামের নয়কোষা জমিদারী  চান্দ বিবি সাহেবার পরে তার দৌহিত্র সৈয়দ আঃ করিম  ওরফে আলাই মিয়া সাহেবের হাতে চলে আসে।জমিদারী পেয়ে জমিদারী রক্ষণাবেক্ষণের প্রতি তার কোন খেয়াল ছিল না।তিনি পাক পাঞ্জাতনের প্রতি খুবই উদ্ৰগীব, উৎসাহিত প্রাণ ছিলেন। তিনি ‘দেহত্ত্বসার’ নামক গ্রন্থ রচনা করেন। সর্বদাই তিনি ঐশী প্রেমে প্রেমে বিভোর ও বিমোহিত থাকতেন। এ জন্য জমিদারী ক্রমান্বয়ে বিনষ্ট হতে থাকে।১৮৩৬ সালে ইংরেজ সরকার বাকী খাজনার দায়ে জমিদারী বাজেয়াপ্ত করে। আলাই মিয়া তখন সংসার ত্যাগ করে বিবাগী হয়ে গিয়েছিলেন এবং পরবর্তীকালে সাধক হিসাবে খ্যাতি লাভ করেছিলেন। তাঁর প্রধান বাক্য ছিল ’ত্যাগের ভিতরই খােদা প্রাপ্ত হয়„ ভােগের ভিতরে নয়”। সাধক খ্যাতি লাভের পর তিনি ফিরে এসেছিলেন জমিদার বাড়িতে এবং বাড়ির আঙ্গিনায় স্থাপন করেছিলেন একটি ইমামবাড়া। সেই থেকে (আনুমানিক উনিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে) অষ্টগ্রাম ও আশেপাশের এলাকায় মহরমকে কেন্দ্র করে ‘হাবেলী বাড়ী’ বাড়ীতে পবিত্র আশুরা পালিত হয়ে আসছে। 

সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেবের দুই পুত্র ও এক কন্যা ছিল। পুত্র সৈয়দ নওয়াব মিয়া সাহেব ও কন্যাটি বাল্য কালে পরলোক গমন করে। অপর পুত্র সৈয়দ আবুল হাশিম ওরফে লাল মিয়া সাহেবকে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানাধীন ভাগলপুর দেওয়ান বাড়িতে দেওয়ান আহমদ রেজা সাহেবের কন্যা আকিকুন্নেছাকে বিবাহ করে ভাগলপুর দেওয়ান বাড়িতে স্থানান্তর হন। হাজার হাজার হিন্দু, মুসলমান, সাক্ষর, নিরক্ষর, খান্দানী, আখান্দানী লােক তাঁর ধর্মানুরাগ ও জ্ঞান গরিমায় মুগ্ধ হইয়া অনেকেই তাঁর কাছে শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।সেই অলীকুল শিরমনি দেহ ত্যাগের পূর্বাপর অসংখ্য কেরামত ও গুণাবলী প্রবীনদের মুখে শুনা যায়। বাংলা ১৩০৯ সালে ১৮ই বৈশাখ মোতাবেক ২২ শে মহরম পরলোক গমন করেন। তার মাজার শরীফ প্রসিদ্ধ হাওয়েলী বাড়ির সামনে রয়েছে। প্রতি বছর মহা সমারােহে মহররম ও ২২শে  মহরম বাৎসরিক ওরস শরীফ উদযাপিত হয়ে থাকে।

সৈয়দ আব্দুর রহিম হোসাইনী চিশতি ওরফে মলাই মিয়া (রহঃ)ঃ-সৈয়দ আব্দুর রহিম হোসাইনী চিশতী (র:) মলাই মিয়া সাহেব নামেই বেশি পরিচিত। উনি একজন ছালেকে মজ্জুব, কামেল বুজুর্গ ছিলেন। উনার অসংখ্য কেরামতি নিয়ে জনশ্রুতি আছে। এই বুজুর্গ জীবন যাপন করতেন অত্যন্ত সাধাসিধেভাবে। আপাতদৃষ্টিতে সংসারী মনে হলেও মূলত ছিলেন সংসার বিরাগী।মহান সাধক সৈয়দ আব্দুর রহিম আশেকুল্লাহ হোসাইনী চিশতি ওরফে মলাই মিয়া সাহেব ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে  জন্মগ্রহণ করেন।।পুর্বপুরুষের ধারায় তিনি প্রখ্যাত আধ্যাত্মিক সাধক,আহলে বাইতের এবং হজরত আলী মুশকিল কুশার খুব বড় আশেক ছিলেন। তিনি ‘‘হুবের পানজাতন’  নামক গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি সর্বদা আল্লাহর ইবাদতে এতই মশগুল থাকতেন যে নিজের দেহের প্রতি কোনো খেয়ালই করতেন না। নিজের সৌন্দর্য নিয়ে কখনো ভাবতেন না।কোনো সুখ স্বাচ্ছন্দ্য তাকে টানত না। জানা যায়, তিনি দেখতে ছিলেন উজ্জ্বল ফর্সা মাঝারি আকৃতির, নীল সমুদ্রের মতো ছিল চোখ দুটি, মাথার চুল ছিল আলু-থালু, উষ্কখুষ্ক। তিনি দিনরাত এতই ইবাদত করতেন যে খাওয়া, ঘুম বলে কিছু জানতেন না। এত কঠোর ইবাদতের ফলে তার পেট পিঠের সঙ্গে লেগে গিয়েছিল। পুরো শরীর বেঁকে গিয়েছিল ধনুকের মতো। সারা দেহে মাংস বলতে কিছুই ছিল না, ছিল শুধু হাড়। দূর থেকে তার দেহের সব হাড় একটি একটি করে গোনা যেত।তিনি নিজ পিতার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।পরবর্তিতে তাঁর ধর্মানুরাগ ও জ্ঞান গরিমায় মুগ্ধ হইয়া অনেকেই তাঁর কাছে শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন ।মৌলা আলী মুশকিল কুশা (ক:) র নাম উনার জিকিরের মধ্যে প্রতিধ্বনিত হতো। মুশকিল কুশার মহব্বতে বিভোর আল্লাহর এই ওলী জগৎ সংসারের মায়া কাটিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নেন ২১শে রমজান – হজরত আলী (ক:) এর ইন্তেকালের তারিখে। প্রতি বছর মাহে রমজানের ২১ তারিখ সুলতানশীতে দরবারে মোস্তফার উদ্যোগে উনার উরস অনুষ্টিত হয়।সাংসারিক জীবনে তিনার তিন পুত্র সৈয়দ আব্দুন নুর হোসাইনী চিশতি (রহঃ) ওরফে ছকির মিয়া ‚সৈয়দ আঃ সালাম হোসাইনী চিশতি (রহঃ) ওরফে লকির মিয়া,সৈয়দ আঃ এতর ওরফে আছির মিয়া চিশতি (রহঃ)।মলাই মিয়া সাহেব আধ্যাতিক সংগীত রচনা করতেন।পরবর্তীতে এই আধ্যাত্মিক সংগীত রচনার ধারা অব্যাহত রাখেন উনার সুযোগ্য পুত্র তরফের আরেক সুফী সাধক সৈয়দ আব্দুন্ নূর হোসাইনী চিশতী। উনার “দীনহীন” ছদ্মনামটি পিতা সৈয়দ আব্দুর রহিম হোসাইনী চিশতী সাহেবেরই দেয়া।সৈয়দ আব্দুর রহিম হোসাইনী চিশতী (র:)– দরগাহ সুলতানসী হাবিলীতে।

সৈয়দ আব্দুল আজিম হোসাইনী চিশতি (রহঃ) [সুলতানশী হাবেলী থেকে অষ্টগ্রাম হাউলি বাড়ি]ঃ- সৈয়দ আব্দুল আজিম হোসাইনী চিশতি (রহঃ) ওরফে সৈয়দ জলাই মিয়া সাহেব ১২২৪ বঙ্গাব্দে ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে  জন্মগ্রহণ করেন।তিনি তিনি প্রখ্যাত জমিদার আধ্যাত্মিক শিক্ষক ও সাধক হযরত সৈয়দ ছাবের (রঃ) ও অষ্টগ্রামের নয়কোষা জমিদার বাড়ির কন্যা জিন্নৎচান্দ বিবি দম্পতির কনিষ্ঠ পুত্র ।সৈয়দ আঃ করিম হোসাইনী চিশতি ওরফে আলাই মিয়া তার ছােট ভাই সৈয়দ আঃ আজিম হোসাইনী চিশতি জলাই মিয়াকে সংগে করে অষ্টগ্রাম হাউলি বাড়িতে স্থানান্তর হন।সৈয়দ জলাই মিয়া সাহেব একজন কামেল বুজুর্গ ও সাধক পুরুষ ছিলেন।সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেব জীবিত থাকা কালিন সময়েই সৈয়দ জলাই মিয়া সাহেব  ১২৯৯ বঙ্গাব্দে ফালগুন মাসে অষ্টগ্রাম হাবেলীতেই পরলোক গমন করেন।উনাকে অষ্টগ্রামে নয়কোষা জমিদারগনের পারিবারিক কবরস্থানে নানী চাঁনবিবি ও মাতা জিনাত চাঁনবিবির পাসেই সমাহিত করাহয়।যা কুতুব মসজিদ এরিয়ায় আবদ্ধ বর্তমানে সরকার কর্তিক পত্রতান্ত্রীক বিভাগের নিয়ন্ত্রনাধীন। সৈয়দ জলাই মিয়া সাহেবের তিন পুত্রঃ সৈয়দ আহমদ কবির আল‑হোসাইনী উরফে আমুদ মিয়া সাহেব (সুলতানশী ), সৈয়দ রছাই মিয়া সাহেব তিনি বাল্য বয়সেই পরলোকগমন করেন, সৈয়দ শাহ আব্দুল হেকিম আল‑হোসাইনী সাহেব (অষ্টগ্রাম)।

সৈয়দ আঃ হেলিম হোসাইনী চিশতি ওরফে কালাই মিয়া (রহঃ)ঃ-তিনি তিনি প্রখ্যাত জমিদার আধ্যাত্মিক শিক্ষক ও সাধক হযরত সৈয়দ ছাবের (রঃ) ও অষ্টগ্রামের নয়কোষা জমিদার বাড়ির কন্যা জিন্নৎচান্দ বিবি দম্পতির সর্বকনিষ্ঠ পুত্র যতদুর জানাযায় তিনি নিঃসন্তান ছিলেন।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ আবদুল জব্বার [সুলতানশী থেকে  কুমিল্লা সৈয়দ বাড়ি ]ঃআধ্যাত্মিক সাধক সৈয়দ ইবনে আলী (রঃ) জ্যেষ্ঠপুত্র সৈয়দ আবদুল জব্বার ১৮৫১ সালে ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে  জন্মগ্রহণ করেন।তিনি ১৮৭০ সালে কুমিল্লা সৈয়দ বাড়িতে নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানীর দৌহিত্রী,সৈয়দ ওয়াসিরুল হক সাহেবের কন্যা সৈয়দা আমাতুল এলা আফিয়া খাতুনকে  বিয়ে করে  নিজ হাবেলী সুলতানশী হতে কুমিল্লাতে স্থানান্তরিত করে স্থায়ী হন।বর্তমান তার বংশধর গনই কুমিল্লা সৈয়দ বাড়িতে-এ আছেন।সৈয়দ আবদুল জব্বার ১৯৫১ সালে পরলোকগমন করেন।

সৈয়দ আঃ রহিম [সুলতানশী থেকে হরযত নগর মাষ্টার সাহেব বাড়ি]ঃ-আধ্যাত্মিক সাধক সৈয়দ ইবনে আলী (রঃ) ২য় পুত্র সৈয়দ আঃ রহিম ১৮৫৩ সালে ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে  জন্মগ্রহণ করেন।তিনি ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলী থেকে হয়বৎ নগর দেওয়ান বাড়ির অতি নিকটে তাঁর বসতি স্থাপন করেন।যা পরবর্তীতে হয়বৎ নগর মাষ্টার সাহেব বাড়ি প্রসিদ্ধ হয়।সে থেকেই হয়বৎ নগর মাষ্টার সাহেব বাড়ি়তে তার বংশধরগণ বসবাস করছেন।তিনি ১৯৩৯ সালে পরলোকগমন করেন।

সৈয়দ আঃ সাত্তারঃ-[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ আবদুর রহমানঃ-আধ্যাত্মিক সাধক সৈয়দ ইবনে আলী (রঃ) ৪র্থ পুত্র সৈয়দ আবদুর রহমান ১৮৫৪ সালে ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে  জন্মগ্রহণ করেন।তিনি আকু মিঞা সাহেব নামেই বেশী সুপরিচিত ছিলেন।পুর্বপুরুষের ধারায় তিনি আরেফে ইরফান ও আধ্যাত্মিক শিক্ষক ছিলেন।আপাতদৃষ্টিতে সংসারী মনে হলেও মূলত ছিলেন সংসার বিরাগী।তিনি দিবা-রাত বর্তমান সুলতানশি মসজিদে ও মাজারে সারা জীবন অতিবাহিত করেন।আল্লাহ ধ্যানে সারাক্ষণ কাটিয়ে দিতেন, বিশেষ প্রয়ােজন ছাড়া তিনি কখনাে বাড়িতে আসতেন না।তার অনেক অলৌকিক ঘটনার কথা জনশ্রুতিতে আছে ।আকু মিঞা সাহেব সাধ্যমত আধ্যাত্মিক শক্তি দ্বারা সৃষ্টির সেবা করে গেছেন।নােয়াবাদ, চরহামুয়া, বাতাসার, বহুলা ও কাজীহাটা গ্রামে তার অনেক মুরিদ‑ভক্ত ছিল।তিনি ন্যায় পরায়ণতার জন্য সিলেট জজকোর্টে একজন জুরি ছিলেন।সাংসারিক জীবনে তিন পুত্রের জনক ছিলেন।পুত্রঃ সৈয়দ মকসুদ আলী,সৈয়দ হাবিবুর রহমান,সৈয়দ আব্দুর রউফ।আধ্যাত্মিক সাধক সৈয়দ আবদুর রহমান ওরফে আকু মিঞা সাহেবের – দরগাহ সুলতানশী হবিলীতে।

সৈয়দ আঃ মোতালেবঃ-সৈয়দ ইবনে আলী (রঃ) কনিষ্ঠ পুত্র সৈয়দ আঃ মোতালেব ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে  জন্মগ্রহণ করেন।তিনার দুই পুত্র  সৈয়দ আশ্বব আলী ও সৈয়দ মুস্তমন্দ আলী।

সৈয়দ আঃ মজিদঃ-তার তিন পুত্র সৈয়দ আঃ রশিদ,সৈয়দ আঃ শহীদ,সৈয়দ আঃ ওয়াহেদ।

সৈয়দ আবুল ইকবালঃ-সুলতানশী পূর্ব হাবেলীর জমিদার মাওলানা সৈয়দ আওলাদ আলী (রঃ) সুযোগ্য পুত্র সৈয়দ আবুল ইকবাল ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে জন্মগ্রহণ করেন।তার  পুত্র সৈয়দ আবুল বশির। 

সৈয়দ আবদুল গফুর (রঃ)ঃ-তিনি একজন পরহেজগার ও আল্লাহওয়ালা লােক ছিলেন।তিনার দুই পুত্র সৈয়দ আঃ রহমান (রঃ) ও সৈয়দ আঃ বারী।তন্মধ্যে সৈয়দ আঃ রহমান (রঃ) দাউদনগরে ও সৈয়দ আঃ বারী রুপসা জমিদার বাড়িতে’বৈবাহিক সূত্রে উত্তরাধিকারী হিসেবে নিজ নিজ হাবেলি স্থানান্তর করেছিলেন।

সৈয়দ আব্দুস সোবহান (রহঃ)ঃ-তিনি ধর্মীয় শিক্ষায় সুপণ্ডিত ও সুফী ছিলেন তিনি সুলতানশীতে বসবাস করতেন সেখানেই ইন্তেকাল করেন। তিনার তিন পুত্র  সৈয়দ মোঃ আব্দুল্লাহ (রহঃ), সৈয়দ আব্দুল হেলিম (রহঃ),সৈয়দ মোঃ বাকী(রহঃ)।তন্মধ্যে সৈয়দ মোঃ আব্দুল্লাহ (রহঃ) হয়বতনগরে বৈবাহিক সূত্রে উত্তরাধিকারী হিসেবে নিজ হাবেলি স্থানান্তর করেছিলেন।তার দরগাহ মুরারবন্দে অবস্থিত ।

সৈয়দ আরিজ(রহঃ)ঃ-তিনি সিপাহসালার সৈয়দ নাসিরুদ্দীন রহঃএর ১৪ তম অধস্থনপুরুষ।তার একমাত্র পুত্র সৈয়দ ইব্রাহীম হোসেন (রহঃ)।সৈয়দ আরিজ(রহঃ)-দরগাহ মুরারবন্দে অবস্থিত ।


১৫ তম পুরুষঃ-সৈয়দ আব্দুন নুর হোসাইনী চিশতি  (রহঃ)  [দীনহীন] |সৈয়দ আঃ সালাম হোসাইনী চিশতি (রহঃ) |  সৈয়দ আঃ এতর ওরফে আছির মিয়া চিশতি (রহঃ) |  সৈয়দ আহমদ কবির আল‑হোসাইনী(রহঃ) | সৈয়দ আব্দুল হেকিম আল‑হোসাইনী (রহঃ) [অষ্টগ্রাম়়] |  সৈয়দ রছাই আল‑হোসাইনী [নিঃস্তান]  |  সৈয়দ মকসুদ আলী  |  সৈয়দ হাবিবুর রহমান  |  সৈয়দ আব্দুর রউফ  |  সৈয়দ আশ্বব আলী  | সৈয়দ মুস্তমন্দ আলী  |  সৈয়দ আঃ রশিদ  |  সৈয়দ আঃ শহীদ  |  সৈয়দ আঃ ওয়াহেদ  | সৈয়দ আবুল বশির |  সৈয়দ আঃ রহমান (রঃ)  |  সৈয়দ আঃ বারী |  সৈয়দ মোঃ আব্দুল্লাহ (রহঃ)   সৈয়দ আব্দুল হেলিম (রহঃ)  |  সৈয়দ মোঃ বাকী (রহঃ)  |  সৈয়দ ইব্রাহীম হোসেন (রহঃ)।

সৈয়দ আব্দুন নুর হোসাইনী চিশতি দীনহীন (রহঃ)  ( ১২৬১-১৩২৫ বঙ্গাব্দ/১৮৫৪-১৯১৮ খৃষ্টাব্দ ) ঃ-সিলেট বিভাগের ইতিহাসে সংগীত রচনার দিক দিয়ে দীনহীন সৈয়দ আব্দুন নুর হোসাইনী চিশতি ওরফে ছগির মিয়া (রহঃ) একটি অবিস্মরনী নাম। আজও তাঁর আধ্যাত্নিক ও মরমী সঙ্গীত ও সুরের মূর্ছনায় সিলেট, মোমেনশাহী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ইত্যাদি অঞ্চলের অগণিত ভক্তবৃন্দের আসর বিমোহিত হয়। তাঁর কালজয়ী গানে হৃদয় আকুল করা সমর্পিত আত্নার নিবেদন প্রকাশ পেয়েছে।তিনি একাদারে একজন আরেফে ইরফান,মরমী কবি ও সাহিত্যিক ছিলেন।উর্দু, আরবী ও ফার্সি ভাষায় তার অগাধ জ্ঞান ছিল।সৈয়দ আব্দুন নুর হসাইনী সাহেব ১২৬১ বঙ্গাব্দে বর্তমান হবিগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে জন্ম গ্রহন করেন।সৈয়দ আব্দুন নুর হুসাইনি চিশতী(রঃ), অসংখ্য মরমী সংগীত,মহররমের জারি,মার্সিয়া ও মারেফার কিতাব লিখে গিয়েছিলেন, উনার উল্যেখজগ্য কিতাব এর নাম ছিল “দীন হীন” “মুর্সিয়ায়ে হোসাইন’।সঙ্গীত রচনায় সৈয়দ আবদুন নূর হোসেনী চিশতীর (রঃ) নিজেকে ‘দীনহীন’ ছদ্মনামের আড়ালে লুকিয়ে রেখেছেন।‘দীনহীন’ হচ্ছে তার পীরের দেওয়া তখল্লুছ বা তকমা।তিনার দুই পুত্র সৈয়দ গোলাম মোস্তফা হোসাইনী চিশতি ওরফে দরবেশ মিয়া (রহঃ),সৈয়দ গোলাম হায়দার হোসাইনী চিশতি ওরফে দুদু মিয়া (রহঃ)। ইলমী জগতের এ মহান প্রদীপ ১৯১৮ খৃষ্টাব্দে/৬ই পৌষ ১৩২৫ বঙ্গাব্দে  নির্বাপিত হয়ে হায়াতে জিন্দেগী থেকে পর্দা করে মহান আল্লাহর দিদারে চলেযান।সৈয়দ আব্দুন নুর হোসাইনী চিশতি দীনহীন (রহঃ)- দরগাহ সুলতানসী হাবিলীতে। 

সৈয়দ আঃ সালাম হোসাইনী চিশতি (রহঃ) ওরফে লকির মিয়া ঃ-[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]  

সৈয়দ আঃ এতর ওরফে আছির মিয়া চিশতি (রহঃ) ঃ-[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ আহমদ কবির আল‑হোসাইনী চিশতী (রহঃ)ঃ- সৈয়দ আহমদ কবির আল‑হোসাইনী উরফে আমুদ মিয়া সাহেব হবিগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে জন্ম গ্রহন করেন।তিনি একাদারে আরেফে ইরফান ছিলেন তবে মজ্জুবিয়ত‑ই তার মধ্যে প্রবল ছিলো।তিনির দুকণ্যা ও  দুই পুত্রের মধ্যে সৈয়দ আব্দুন নঈম উরফে লাল সাহেব অষ্টগ্রামে হাবেলি স্থানান্তর করেন ও অপর পুত্র সৈয়দ আঃ রহিম আল হোসাইনী চিশতি (রহঃ) ওরফে ডুগা মিয়া সাহেব সুলতানশী হাবেলীতে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।সৈয়দ আহমদ কবির আল‑হোসাইনী চিশতী (রহঃ)-দরগাহ সুলতানসী হাবিলীতে।

সৈয়দ আব্দুল হেকিম আল‑হোসাইনী (রহঃ)[অষ্টগ্রাম়়]ঃ-বিস্তারিত অষ্টগ্রামের নসবনামায় দেখুন।

সৈয়দ রছাই আল‑হোসাইনীঃ- সৈয়দ আব্দুল আজিম হোসাইনী চিশতি (রহঃ) ওরফে সৈয়দ জলাই মিয়া সাহেবের ২য় পুত্র সৈয়দ রছাই আল‑হোসাইনী সাহেব তিনি বাল্য বয়সেই পরলোকগমন করেন।

সৈয়দ মকসুদ আলী ঃ-আধ্যাত্মিক সাধক সৈয়দ আবদুর রহমান ওরফে আকু মিঞা সাহেবের জৈষ্ঠ পুত্র সৈয়দ মকসুদ আলী ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে জন্মগ্রহণ করেন।সাংসারিক জীবনে তিনি আপন চাচাত বােন সৈয়দা আপছরুন্নেছা খাতুনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হযন।তিনার তিন পুত্র সৈয়দ মোবাশ্বের আলী,সৈয়দ মোবারুল আলী,সৈয়দ শাহজাহান।

সৈয়দ হাবিবুর রহমানঃ-আধ্যাত্মিক সাধক সৈয়দ আবদুর রহমান ওরফে আকু মিঞা সাহেবের মেজো ছেলে সৈয়দ হাবিবুর রহমান (বালুমিয়া) ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে জন্মগ্রহণ করেন। বালুমিয়া সাহেব নামেই তিনি অধিক পরিচিত।তিনি হবিগঞ্জ জেলার প্রসিদ্ধ আইনজীবি হিসেবে  দীর্ঘদিন জেলা বার কাউন্সেলের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। ডাক নামেই তিনি অধিক পরিচিত।সাংসারিক জীবনে তিনি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানাধীন সরমংগল গ্রামের চৌধুরী বাড়ির মেয়ে মিসেস রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর সঙ্গে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হন।তিনার তিন পুত্র সৈয়দ ফজলুর রহমান,সৈয়দ বজলুর রহমান,সৈয়দ মিজানুর রহমান।

সৈয়দ আব্দুর রউফঃ-আধ্যাত্মিক সাধক সৈয়দ আবদুর রহমান ওরফে আকু মিঞা সাহেবের কনিষ্ঠ পুত্র সৈয়দ আব্দুর রউফ ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনার পুত্র সৈয়দ কায়েস [চট্টগ্রাম]।

সৈয়দ আশ্বব আলীঃ-  [প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ মুস্তমন্দ আলীঃ-  [প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ আঃ রশিদঃ-তিনার পুত্র সৈয়দ ফজলুর রহমান।

 সৈয়দ আঃ শহীদঃ-তিনার দুই পুত্র সৈয়দ মুসলেহ উদ্দিন,সৈয়দ মহিউদ্দিন।দরগাহ পূর্ব সুলতানশীতে।

সৈয়দ আঃ ওয়াহেদঃ- [প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ আবুল বশিরঃ-তিনি সুলতানশী পূর্ব হাবেলীর জন্মগ্রহণ করেন।তিনার দুই পুত্র সৈয়দ আঃ কাবির,সৈয়দ আঃ গনি।

সৈয়দ আঃ রহমান (রঃ)[সুলতানশী হাবেলী থেকে দাউদনগর হাবেলী]ঃ হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় দাউদনগরে ’দাউদনগর হাবেলী’ অবস্থিত।সৈয়দ আবদুল গফুর (রঃ) ১ম পুত্র সৈয়দ আব্দুর রহমান (রঃ),সুলতানশী হতে বৈবাহিক সূত্রে উত্তরাধিকারী হিসেবে দাউদ নগরে আগমন করেন। তার বংশধরগণও বর্তমান দাউদ নগরের বসবাস করছেন।সৈয়দ আব্দুর রহমান (রঃ)– দরগাহ সুলতানশী হবিলীতে।অপর অংশে এই বাডির আদি পুরুষ সৈয়দ শাহ সায়েফ উদ্দিন (রঃ)-এর  বংশধরগণও বসবাস করছেন।

সৈয়দ আঃ বারী-[সুলতানশী হাবেলী থেকে রুপসা জমিদার বাড়ি ]ঃ  চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলায় রূপসা গ্রামটি ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ি অবস্থিত।সুলতানশী হাবেলীর সৈয়দ আবদুল গফুর সাহেবের ২ ছেলে মধ্যে ১ ছেলে সৈয়দ আবদুর রহমান তরপের প্রসিদ্ধ দাউদ নগরে হাবেলীতে স্থায়ী হন। অপর জন সৈয়দ আবদুল বারী বিবাহে সূত্রে রূপসায় স্থায়ী হন।তার বংশধরগণও বর্তমান রুপসা জমিদার বাড়িতে বসবাস করছেন।অপর অংশে এই বাড়ির আদি পুরুষ, হবিগঞ্জের দাউদ নগর হাবেলীর বিখ্যাত জমিদার সৈয়দ শাহ কেরামত উল্লাহর ছেলে সৈয়দ হাবিব উল্লাহর ‑এর  বংশধরগণও বসবাস করছেন।

সৈয়দ মোঃ আব্দুল্লাহ (রহঃ)-[হযরত নগর আদি, সুলতানশী হাবেলী থেকে হয়বতনগর দেওয়ান বাড়ি]ঃ-কিশােরগঞ্জ জেলার অন্তরগত কিশােরগঞ্জ পৌরসভার মধ্যে ঐতিহাসিক হয়বতনগর দেওয়ান বাড়ী অবস্থিত।ইতিহাস প্রসিদ্ধ বার ভূঞা প্রধান ঈসা খাঁ মসনদেই আলার ১১ তম বংশধর হয়বত নগর দেওয়ান বাড়ী নিবাসী দেওয়ান এলাহী নেওয়াজ খাঁ সাহেবের ১ম কন্যা দেওয়ান জমিলা খাতুনকে সুলতানশী হাবেলীর সৈয়দ আঃ ছােবাহান সাহেবের বড় পুত্র সৈয়দ মোঃ আব্দুল্লাহ (চান মিয়া )সঙ্গে বিবাহ দিয়েও দেওয়ান বাড়ির ৪ আনা অংশ জমিদারী দান করে হয়বত নগর নিয়ে আসেন।সে থেকেই হয়বত নগরে তরফি সৈয়দগণের অবস্থান শুরু এবং অদ্যাবদী আছে।দেওয়ান জমিলা খাতুন নিঃসন্তান ছিলেন।

সৈয়দ আব্দুল্লাহ ২য় স্ত্রী  দেওয়ান বরজেস্তা আক্তার খাতুনের গর্ভে তিন পুত্র ও দুই কন্যা জন্মগ্রহণ করে।পুত্রঃ- সৈয়দ উবেদ উল্লাহ,সৈয়দ আজিজ উল্লাহ (কুমিল্লার সাহেব),সৈয়দ মােহাম্মদ উল্লাহ টেনু মিয়া (হবিগন্জ),কন্যাঃ- সৈয়দা হাফিজের মা ও সৈয়দা ছামেরা আক্তার খাতুনের বিবাহ হয় সুলতাশী হাবেলীর সৈয়দ আঃ হেলিমের পুত্র সৈয়দ আঃ আলীমের সাথে।।তন্মধ্যে সৈয়দ আজিজ উল্লাহ বৈবাহিক সূত্রে উত্তরাধিকারী হিসেবে কুমিল্লা সৈয়দ বাড়িতে ও সৈয়দ মােহাম্মদ উল্লাহ টেনু মিয়া হবিগন্জে নিজ নিজ হাবেলি স্থানান্তর করেছিলেন।

৩য় স্ত্রী সৈয়দা ফরকুন্দা আক্তার খাতুনের গর্ভে ২ ছেলে — সৈয়দ মােঃ রাজী উল্লাহ ও সৈয়দ মােঃ আতিকুল্লাহ (এডভােকেট)।

সৈয়দ আব্দুল্লাহ ৮৬ বৎসর বয়সে ইন্তেকাল করেন। ছােট ভাই এর অসুখের খবর পেয়ে তিনি নিজ দেশ সুলতানশী যান সেখানে ইন্তেকাল করেন। উনাকে দাফন করা হয় সুলতানশী পারিবারিক কবরস্থানে তাল তলার পুকুরের পার্শ্বে।

সৈয়দ আব্দুল হেলিম ওরফে তারা মিয়া (রহঃ)ঃ-তিনি সিপাহসালার সৈয়দ নাসিরুদ্দীন রহঃএর ১৪ তম অধস্থনপুরুষ সৈয়দ আব্দুস সোবহানের পুত্র সৈয়দ আব্দুল হেলিম ওরফে তারা মিয়া সাহেব। পিতার মতই তিনি ধর্মীয় শিক্ষায় সুপণ্ডিত পাক পান্জাতনের আশেক ও সাধক  ছিলেন।তার আমল সুলতানশী নতুন (দক্ষিণ) হাবেলীতে ওরস ও মহরমে মাতম, মর্সিয়া, তাজিয়া মিছিল ইত্যাদি বিভিন্ন রুসুমের বেপক প্রসার ঘটে।তিনার তিন পুত্র সৈয়দ আঃ আলীম, সৈয়দ আঃ হেকিম, সৈয়দ আঃ করিম (রহঃ)।সৈয়দ আব্দুল হেলিম ওরফে তারা মিয়া (রহঃ)-মাজার সুলতানসী দক্ষিন হাবিলীর পারিবারিক গোরস্তানে অবস্থিত।

সৈয়দ মোঃ বাকী(রহঃ)ঃ-তিনি ধর্মীয় শিক্ষায় সুপণ্ডিত ও পরহেজগার ও আল্লাহওয়ালা লােক ছিলেন। তিনার পুত্র সৈয়দ আঃ মন্নান নিঃসন্তান় ছিলেন।

সৈয়দ ইব্রাহীম হোসেন (রহঃ)ঃ-তিনি সিপাহসালার সৈয়দ নাসিরুদ্দীন রহঃএর ১৫ তম অধস্থনপুরুষ।তিনার দুই পুত্র সৈয়দ আওলাদ হোসন(রহঃ) ও সৈয়দ আমির হোসন(রহঃ)।তন্মধ্যে সৈয়দ আমির হোসন(রহঃ) চন্দনীয়াʼএ নিজ হাবেলি স্থানান্তর করেছিলেন। 


১৬ তম পুরুষঃ- সৈয়দ গোলাম মোস্তফা হোসাইনী চিশতি ওরফে দরবেশ মিয়া (রহঃ)  |  সৈয়দ গোলাম হায়দার হোসাইনী চিশতি (রহঃ)  | সৈয়দ আব্দুন নঈম [সুলতানশী হাবেলী থেকে অষ্টগ্রাম হাউলি বাডি] | সৈয়দ আঃ রহিম আল হোসাইনী চিশতি (রহঃ)  |  সৈয়দ মোবাশ্বের আলী  |  সৈয়দ মোবারুল আলী  |  সৈয়দ শাহজাহান  |  সৈয়দ ফজলুর রহমান  |  সৈয়দ বজলুর রহমান  |  সৈয়দ মিজানুর রহমান  |  সৈয়দ কায়েস [চট্টগ্রাম]  |  সৈয়দ ফজলুর রহমান  |  সৈয়দ মুসলেহ উদ্দিন  |  সৈয়দ মহিউদ্দিন  |  সৈয়দ আঃ কাবির  |  সৈয়দ আঃ গনি  |  সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ(টেনু মিয়া)  |  সৈয়দ আঃ আলীম (রহঃ)  |  সৈয়দ আঃ হেকিম (রহঃ) |  সৈয়দ আঃ করিম (রহঃ)  |  সৈয়দ আঃ মন্নান  |  সৈয়দ আওলাদ হোসন(রহঃ)  |   সৈয়দ আমির হোসন(রহঃ) ।

সৈয়দ গোলাম মোস্তফা হোসাইনী চিশতি ওরফে দরবেশ মিয়া (রহঃ)ঃ-আরেফে ইরফানিয়াত মশহুর পীর সৈয়দ গোলাম মোস্তফা হোসাইনী চিশতি ওরফে দরবেশ মিয়া (রহঃ) ১৩০০ বঙ্গাব্দে বর্তমান হবিগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে জন্ম গ্রহন করেন।কর্মজীবনে তিনি ছিলেন দিনের সংসারী আর রাতে দরবেশ।তিনি একাদারে একজন আরেফে ইরফান,মরমী কবি ও সাহিত্যিক,সংগীত বিশেষজ্ঞ এবং সুরকার ছিলেন।বহুমুখি প্রতিভার এই সাধকপুরুষ অসংখ্য হামদ‑নাত, মরমী সঙ্গিত, বিশেষ করে মহরমের জারী-মর্সিয়া রচনার মাধ্যমে অমর হয়ে আছেন।উর্দু, আরবী ও ফার্সি ভাষায় তার অগাধ জ্ঞান ছিল।সাংসারিক জীবনে তিনার ৫ পুত্রঃ সৈয়দ গোলাম রাব্বানী,সৈয়দ দুলু মিয়া,সৈয়দ হাসান ইমাম হোসাইনী চিশতি (রহঃ),সৈয়দ হোসেন ইমাম হোসাইনী চিশতি,সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া।ইলমী জগতের এ মহান প্রদীপ  ১৩৫৩ বঙ্গাব্দে ৬ই ভাদ্র মোতাবেক ২৫শে রামদান,রোজ শুক্রবার নির্বাপিত হয়ে হায়াতে জিন্দেগী থেকে পর্দা করে মহান আল্লাহর দিদারে চলেযান।সৈয়দ গোলাম মোস্তফা হোসাইনী চিশতি ওরফে দরবেশ মিয়া (রহঃ)- দরগাহ সুলতানসী হাবিলীতে। প্রতিবছর ৬ই ভাদ্র দরবারে মোস্তফাতে ওরস পালিত হয়।

সৈয়দ গোলাম হায়দার হোসাইনী চিশতি ওরফে দুদু মিয়া (রহঃ) ঃ- সৈয়দ গােলাম হায়দার হােছাইনী চিশতী (রহঃ) একজন সাধক সিদ্ধ পুরুষ,আরেফে ইরফান ছিলেন।।ভূমিষ্ট হবার সময় বর্ণনায় যিনি দুধের ন্যায় রঙ্গে মানব পরিলক্ষিত হলেও আসলে স্বর্গীয় দূতের ন্যায়ই দেখা যাচ্ছিল। তার পিতা তাকে দুধের ন্যায় সাদা দেখে তার নাম রাখেন দুদ মিয়া। তার আপন বড় ভাই ও মুর্শেদ কেবলা সৈয়দ গােলাম মােস্তফা হােছাইনী চিশতী (রহঃ)।তিনি আহলে বায়তের খাছ আশেক ছিলেন। তিনি তার পিতার লিখিত ও নিজের লিখিত জারী মার্সিয়ায় সুর সংযােজন করে পাঠ করে কান্নায় বুক ভাসাতেন। সাংসারিক জীবনে তিনি লষ্করপুর হাবেলীর সৈয়দ আব্দুল মুতাকাব্বীর আবুল হাসান (রঃ) এর কন্যা সৈয়দা খায়রুননেছা আক্তারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনার ৪ পুত্র ও ৪ কনা সন্তান ছিল। পুত্রঃ সৈয়দ গোলাম নবী হোসাইনী চিশতি ওরফে দুলাল মিয়া,সৈয়দ গোলাম রাসুল হোসাইনী চিশতি ওরফে ইকবাল মিয়া,সৈয়দ গোলাম হাবীব হোসাইনী চিশতি ওরফে বাদল মিয়া,সৈয়দ গোলাম কাদির হোসাইনী চিশতি ওরফে আফজাল মিয়া।ইলমী জগতের এ মহান প্রদীপ ৮৭ বছর বয়সে ২০ শে পৌষ ১৩৮৮  মােতাবেক ৯ রবিউল আউয়াল সােমবার নির্বাপিত হয়ে হায়াতে জিন্দেগী থেকে পর্দা করে মহান আল্লাহর দিদারে চলেযান।সৈয়দ গোলাম হায়দার হোসাইনী চিশতি (রহঃ)- দরগাহ সুলতানসী হাবিলীতে। 

সৈয়দ আব্দুন নঈম [সুলতানশী হাবেলী থেকে অষ্টগ্রাম হাউলি বাডি]ঃ- তিনি হবিগঞ্জ জেলার অন্তর্গত ঐতিহাসিক তরফ পরগণার প্রসিদ্ধ সুলতানশী হাবিলীর সৈয়দ পরিবারে ১৩১৬ বঙ্গাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সৈয়দ আহমদ কবির আল‑হোসাইনী উরফে আমুদ মিয়া সাহেব কনিষ্ঠ সন্তান।সৈয়দ আব্দুন নঈম উরফে লাল সাহেব প্রথম জীবনে সুলতানশীতে ছিলেন পরে কিশােরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত অষ্টগ্রাম হাবেলীতে বংশানুক্রমে মৌরশী স্বত্বের অধিকারী হয়ে হাবেলি স্থানান্তর করেন। তিনি একজন সমাজসেবী এবং বিশিষ্ট প্রবীণ রাজনীতিবিদ হিসেবে সকলের শ্রদ্ধার পাত্র।৩নং অষ্টগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে একাধারে প্রায় ৩০ বৎসর যাবৎ অধিষ্ঠিত ছিলেন।সাংসারিক জীবনে চার কন্যা ও দুই পুত্রের জনক।তাঁর সন্তাগণের নাম যথাক্রমে ১. সৈয়দ সাঈদ আহমেদুল কবীর প্রিন্স, ২. সৈয়দা সুফিয়া আক্তার মালা, ৩, সৈয়দা সুরাইয়া আক্তার মিতা ৪. সৈয়দা রাবিয়া আক্তার রিতা ৫. সৈয়দা আয়েশা আক্তার রিপা ৬. সৈয়দ গােলাম জিলানী লরেন্স।বিস্তারিত অষ্টগ্রামের নসবনামায় দেখুন।

সৈয়দ আঃ রহিম আল হোসাইনী চিশতি (রহঃ) - তিনি হবিগঞ্জ জেলার অন্তর্গত ঐতিহাসিক তরফ পরগণার প্রসিদ্ধ সুলতানশী হাবিলীর সৈয়দ পরিবারে ১৩০১ বঙ্গাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সৈয়দ আহমদ কবির আল‑হোসাইনী উরফে আমুদ মিয়া সাহেব জৈষ্ঠ পুত্র।ছোটবেলা থেকেই তিনি সর্বসাধারণের কাছে ডুগা মিয়া সাহেব নামে বহুল পরিচিত ছিলেন।হযরত সৈয়দ আব্দুর রহিম আল হােসাইনী চিশতী (রঃ) সৈয়দ বংশের উজ্জ্বলতম শিখা সমূহের মধ্যে একজন। তিনি আধ্যাত্মিকতায় একজন শক্তিশালী পুরুষ ছিলেন। তিনি ধর্মীয় শিক্ষায় সুপণ্ডিত ও একাদারে একজন আরেফে ইরফান,মরমী কবি ও সাহিত্যিক,সংগীত বিশেষজ্ঞ এবং সুরকার ছিলেন। এই মহান সাধক ১৩৮০ বঙ্গাব্দে ২রা ফাল্গুন রােজ শুক্রবার একমাত্র পুত্র সৈয়দ রফিকুল হোসাইন ও দুই কন্যা সন্তান এবং অগণিত ভক্ত রেখে  ইন্তেকাল করেন।তাঁর পিতা হযরত সৈয়দ আহমদ কবীর আল হােসাইনী চিশতী (রঃ) এর মাজারের পার্শ্বে সমাহিত করা হয়। প্রতি বছর ২রা ফাল্গুন সুলতানশীতে তাঁর মাজার শরীফ নিয়মিত ওরস পালিত হয়।

সৈয়দ মোবাশ্বের আলীঃ-সৈয়দ মকসুদ আলী সাহেবের জৈষ্ঠ পুত্র সৈয়দ মোবাশ্বের আলী ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে জন্মগ্রহণ করেন।তিনার দুই পুত্র সৈয়দ মোশারফ আলী ও সৈয়দ মোজাম্মেল আলী।

সৈয়দ মোবারুল আলীঃ- সৈয়দ মকসুদ আলী সাহেবের মেজো ছেলে সৈয়দ মোবারুল আলী সাহেব ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে জন্মগ্রহণ করেন।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ শাহজাহানঃ-সৈয়দ শাহজাহান সুলতানশি উত্তর হাবেলীতে  ১৯৪৫ সালের ২৭ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।তিনি একজন ধার্মিক,সৎ, ন্যায়পরায়ণ ও সরল প্রকতির মানুষ। তিনি বিএ পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। সৈয়দ শাহজাহান ১৯৬৫ সালে সাবেক ইপি ওয়াপদা সচিবালয়ে মতিঝিলস্থ ঢাকায় ওয়াপদা ভবনে চাকুরিতে যােগদান করেন।পরবর্তীতে পানি উন্নয়ন বাের্ডের সচিবালয়ের অধীনে ১৯৮৮ সালে সহকারী পরিচালক হিসেবে ঢাকায় পদোন্নতি পান।পরে ১৯৯৭ সালে তিনি নদী তীর সংরক্ষণ পাউবাে, বগুড়া জেলায় উপ-পরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে বদলী হয়ে যান। সাংসারিক জীবনে ১৯৭৮ সালে হবিগঞ্জ জেলার অধীনে নবীগঞ্জ থানার রাইয়াপুর গ্রামের খ্যাতনামা সমাজকর্মী ও বিখ্যাত ফুটবল খেলােয়াড় জনাব কনা মিঞা চৌধুরীর দ্বিতীয় কন্যা রাবেয়া খাতুন (লাইলী)-এর সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার দুই ছেলে এক মেয়ে। সৈয়দ খলিলুর রহমান ও সৈয়দ শামছুল হক মেহেদী, মেয়ে সৈয়দা তাহমিনা আক্তার (ফারহানা)।

সৈয়দ ফজলুর রহমানঃ- সৈয়দ হাবিবুর রহমান বালুমিয়া সাহেবের জৈষ্ঠ পুত্র সৈয়দ ফজলুর রহমান ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে জন্মগ্রহণ করেন।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে তার পরবর্তী বংশধর ও বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ বজলুর রহমানঃ- সৈয়দ হাবিবুর রহমান বালুমিয়া সাহেবের মেজ পুত্র সৈয়দ বজলুর রহমান ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে জন্মগ্রহণ করেন।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে তার পরবর্তী বংশধর ও বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

প্রফেসর ডাঃ সৈয়দ মিজানুর রহমানঃ-সৈয়দ হাবিবুর রহমান বালুমিয়া সাহেবের কনিষ্ঠ পুত্র সৈয়দ মিজানুর রহমান ১৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৪৮ সালে ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে জন্মগ্রহণ করেন।জনাব সৈয়দ মিজানুর রহমান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বৃত্তি লাভ করে ১৯৬৩ সালে এস, এস. সি প্রথম বিভাগে পাস করেন। ১৯৭২ সালে এম.বি বি এস কোর্স সমাপ্ত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হতে।তিনি মেধানুসারে প্রথম স্থান অধিকার করে ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.এম.আর.ডি কোর্স সমাপ্ত করেন ।১৯৮২ সালে রাজ্যে কমনওয়েলথ বৃত্তি লাভ করেন। (Fel­low Com­mon Walth) ১৯৮৯ সালে ফেলাে মেডিকেল ইমেজিং (জাপান)।জনাব রহমান ১৯৮০-৮৫ সাল নাগাদ পি.জি হাসপাতালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন। অত:পর একই স্থানে ১৯৮৫-৮৬ সালে সহযােগী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন। | ১৯৮৬-৯৮ সাল নাগাদ সহযােগী অধ্যাপক হিসেবে বারডেম হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৯ থেকে অদ্যাবধি প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগ ঢাকা মেডিকেল কলেজ। প্রফেসর ডাঃ মিজানুর রহমান ১৯৭৫ সালে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার কাজির বলশা গ্রাম নিবাসী আলহাজ আঃগফুর সাহেবের কন্যা ডাঃ শরিফুন্নাহারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ডাঃ শরিফুন্নাহার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হতে এম.বি.বিএস কোর্স সমাপ্ত করেন মেডিনােভা মেডিকেল সার্ভিসে কর্মরত রয়েছেন।সাংসারিক জীবনে তারা ১ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তানের  জনক জননী। মেয়ে ডাঃ সৈয়দা নুসরাত রহমান এম.বি.বি এস বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজে গাইনী বিভাগে কর্মরত। ছেলে সৈয়দ নাফিসা শাহরিয়ারর ও পেশায় ডাক্তার।

সৈয়দ কায়েস [চট্টগ্রাম]ঃ- ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীর সৈয়দ আব্দুর রউফ সাহেবের পুত্র সৈয়দ কায়েস।যতদূর জানা যায় তিনি তার পৈত্রিক বাড়ি সুলতানশী হাবেলী থেকে স্থানান্তরিত হয় চট্টগ্রামে বসবাস করছেন।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ ফজলুর রহমানঃ-তিনার দুই পুত্র সৈয়দ লুৎফর রহমান ও সৈয়দ আলতাফুর রহমান।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

 সৈয়দ মুসলেহ উদ্দিনঃ-  [প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ মহিউদ্দিনঃ-  [প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ আঃ কাবিরঃ-  তিনি সুলতানশী পূর্ব হাবেলীর সৈয়দ আবুল বশির সাহেবের জৈষ্ঠ পুত্র।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ আঃ গনিঃ- তিনি সুলতানশী পূর্ব হাবেলীর সৈয়দ আবুল বশির সাহেবের কনিষ্ঠ পুত্র।সৈয়দ মাওলানা আঃগনি প্রাইমারী স্কুলের মাষ্টারীর সাথে সাথে পূর্বপুরুষের ধারাবাহিকতায় পীর মুরীদী করে আসছেন।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ আবুল বশিরঃ-তিনি সুলতানশী পূর্ব হাবেলীর জন্মগ্রহণ করেন।তিনার দুই পুত্র সৈয়দ আঃ কাবির,সৈয়দ আঃ গনি।

সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ টেনু মিয়া [১৮৮৬-১৯৫৬ খ্রিঃ|হয়বতনগর দেওয়ান বাড়ী থেকে সুলতানশী হাবেলী]ঃ-হয়বতনগর দেওয়ান বাড়ীর সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ওরফে সৈয়দ চান মিয়া সাহেবের তৃতীয় ছেলে সুলতানশীর প্রখ্যাত জমিদার সৈয়দ মােহাম্মদ উল্লা ওরফে টেনু মিয়া ১৮৮৬খ্রিঃ হয়বত নগর প্রসিদ্ধ দেওয়ান বাড়ির সৈয়দ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।প্রাপ্তবয়স্ক কালে ১৯১২ খ্রিঃ কিশােরগঞ্জ দেওয়ান বাড়ি হতে হবিগঞ্জ-এর ঐতিহাসিক সুলতানশীতে এসে হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর কোয়ার্টারে দুই হাল জায়গাতে পুকুরসহ বাসাবাড়ি স্থাপন করে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন।উল্লেখ্য যে সুলতানশীর জমিদার সৈয়দ মোঃ আব্দুল্লাহ (রহঃ) বৈবাহিক সূত্রে জমিদারী পেয়ে হয়বতনগরে এ  নিজ হাবেলি স্থানান্তর করেছিলেন।সৈয়দ মােহাম্মদ উল্লা ওরফে সৈয়দ টেনু মিয়া সাহেবের দুই ছেলে আট মেয়ে।পুত্রঃ-সৈয়দ মাহবুব উল্লাহ ওরফে ছােয়াব মিয়া ও সৈয়দ মোহাম্মদ হেলাল ওরফে সাদ উল্লাহ।সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ হবিগঞ্জ জেলার জমিদার ছিলেন।সেই সময় হবিগঞ্জের এসডিও মিঃগেমসন্স, সৈয়দ টেনু মিয়া সাহেবকে “টাইগার অব হবিগঞ্জ” ভূষিত করেন। সেই সময় হতে হবিগঞ্জের জনসাধারণ সৈয়দ টেনু মিয়া সাহেবকে হবিগঞ্জের বাঘ বলে আখ্যায়িত করেন।শায়েশ্তাগঞ্জ হাই স্কুল ও হবিগঞ্জ ঈদগাহ এর প্রতিষ্ঠাতা যদিও কালের বিবর্তনে উনার নাম ঐ দুটি জায়গা থেকে হারিয়ে গেছে।প্রভাবশালী জমিদার ও সমাজ সেবক সৈয়দ মােহাম্মদ উল্লা ওরফে টেনু মিয়া) সাহেব ১৯৫৬ খ্রিঃ নিজ বাড়ি সুলতানশীতে ওফাত হন। উনার মাজার সুলতানশী হাবেলীর মসজিদ সংলগ্ন।

সৈয়দ আঃ আলীম ওরফে ফিরুজ মিয়া (রহঃ)ঃ-পিতার মতই তিনি ধর্মীয় শিক্ষায় সুপণ্ডিত পাক পান্জাতনের আশেক ও সাধক  ছিলেন।তিনি বিবাহ করেন আপন চাচাতো বোন হয়বতনগর দেওয়ান বাড়ি সৈয়দ মোঃ আব্দুল্লাহ (চান মিয়া ) সাহেবের কন্যা সৈয়দা ছায়েরা আক্তার খাতুন কে । উল্লেখ যে,সৈয়দা ছায়েরা আক্তার খাতুন কিশােরগঞ্জের অন্তর্গত ঐতিহাসিক জঙ্গল বাড়ী মসনদে-ই-আলা ঈশা খাঁর অধস্তন পুরুষ দেওয়ান ছােবাহান দাঁদ খাঁর একমাত্র কন্যা দেওয়ান বরজেস্তা আক্তার খাতুনের ছোট মেয়ে ছিলেন।সৈয়দ আব্দুল আলীম সাহেব সুলতানশী কটিয়াদি বাজারের মালিক ছিলেন আর সুলতানশী প্রাইমারী স্কুলেরও প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।সাংসারিক জীবনে তিনি ১ কন্যা ও ৫ পুত্রের জনক।পুত্রঃ সৈয়দ হাফিজ উল্লাহ,সৈয়দ আঃ সালামসৈয়দ আঃ কাদির ‚সৈয়দ আঃ আওয়াল,সৈয়দ আঃ গাফফার।তন্মধ্যে বড় ছেলে সৈয়দ মােঃ হাফিজউল্লা ও ৪র্থ ছেলে সৈয়দ আব্দুল আউয়ালই স্থায়ীভাবে সুলতানশী নতুন (দক্ষিণ) হাবেলীতে বসবাস করেন বাকী সবাই বিয়ের পর নানা বাডি কিশােরগঞ্জের হয়বতনগর গ্রামে চলে যান ও সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন।তিনি ১৩৬৪ বাংলার ২রা ফাল্গুন নিজ হাবেলীতে ইহধাম ত্যাগ করেন।পিতার মাজারের পাশেই সুলতানসী দক্ষিন হাবিলীর পারিবারিক গোরস্তানে তিনি সমাহিত আছেন।

সৈয়দ আঃ হেকিম (রহঃ)ঃ-সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিনের ১৫তম উত্তরসূরী  সৈয়দ আব্দুল হেলিম ওরফে তারা মিয়া সাহেবের পুত্র সৈয়দ আঃ হেকিম (রহঃ)।তিনি ধর্মীয় শিক্ষায় সুপণ্ডিত  বক্তিত্ব ও আশেকে পাক পান্জাতন ছিলেন।তিনি অত্যন্ত সহজ সরল এবং অত্যন্ত ধৈর্য্যের সাথে  জীবন অতিবাহিত করেছেন।উল্লেখ যে,তার কোন সন্তানাদি ছিল নাসুলতানসী দক্ষিন হাবিলীর পারিবারিক গোরস্তানে তিনি সমাহিত আছেন।

সৈয়দ আঃ করিম (রহঃ)ঃ-সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিনের ১৫তম উত্তরসূরী  সৈয়দ আব্দুল হেলিম ওরফে তারা মিয়া সাহেবের খুবই আদরের কনিষ্ট পুত্র সৈয়দ আঃ করিম (রহঃ)।পিতার মতই তিনি ধর্মীয় শিক্ষায় সুপণ্ডিত পাক পান্জাতনের আশেক ও সাধক  ছিলেন।পাক পান্জাতনের প্রতি তিনি অত্যন্ত অনুগত ছিলেন যে প্রথম সারীর আনুগত্যকারীদের অন্তর্ভুক্ত বলা উচিত। আর তিনি শুধু জ্ঞান‑পিপাসুই ছিলেন না বরং একজন মুরব্বীর মাঝে যেসব গুণাবলী থাকা বাঞ্ছনীয় সেসব গুণাবলীও তার মাঝে বিদ্যমান ছিল। তার সন্তানাদি রয়েছে, সৈয়দ ওবেদুল করিম ও সৈয়দ এনামুল করিম।স্ত্রী-পুত্র,পবিবার‑পরিজন, মুরিদান ও অনেক গুণগ্রাহী রেখে পরলােক গমন করেন। তার মাজার সুলতানশী হাবিলীতে অবস্থিত।

সৈয়দ আঃ মন্নানঃ- তিনি সিপাহসালার সৈয়দ নাসিরুদ্দীন রহঃএর ১৫ তম অধস্থনপুরুষ সৈয়দ মোঃ বাকী (রহঃ) একমাত্র পুত্র সন্তান।তিনি নিঃসন্তান ছিলেন।তাকে সুলতানশী পারিবারিক গােরস্তানে দাফন করা হয়।

সৈয়দ আওলাদ হোসন(রহঃ)ঃ-তিনার পুত্র সৈয়দ আকবর হোসন [সুলতানশী হাবেলী থেকে চন্দ্ৰচুড়ি সাহেব বাড়ি]।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ আমির হোসন(রহঃ)[সুলতানশী হাবেলী থেকে চন্দনীয়া থেকে হিয়ালা সাহেব বাড়ি়]ঃহিয়ালা বানিয়াচং থানায় অবস্থিত হবিগঞ্জ জেলা সদরের নিকটবর্তী গ্রাম।সৈয়দ ইব্রাহীম হোসেন (রহঃ), তার ২ পুত্রের মধ্যে  সৈয়দ আমির হোসন(রহঃ) সুলতানশী হাবেলী থেকে চন্দনীয়া বসত বাড়ি স্থাপন করে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন।তিনি চন্দনীয়া আসার অল্প কয়েক বছরের মধে ইন্তেকাল করলে তার একমাত্র পুত্র সৈয়দ আব্দুল আজিম চন্দনীয়া থেকে হিয়ালা সাহেব বাড়ি়তে স্থায়ী হন।উল্লেখ যে, সৈয়দ ইসহাকুল হােসেন সাহেবের  কনিষ্ট পুত্র সৈয়দ রইসুল হােসেন (রঃ) আবরা সাহেবের  প্রথম জীবনে কোন পুত্র সন্তান না থাকায় প্রায় নয়শত বিঘা জমি হেবা করে দান করে আপন বােন, বােনের জামাই, সৈয়দ আব্দুল আজিম সাহেব কে  সন্তানসহ চন্দনীয়া থেকে নিজ বাড়ি হিলায়ায় নিয়ে আসেন।সে থেকেই হিয়ালা সাহেব বাড়ি়তে তার বংশধরগণ বসবাস করছেন।


১৭ তম পুরুষঃ-সৈয়দ গোলাম রাব্বানী  |  সৈয়দ দুলু মিয়া  |  সৈয়দ হাসান ইমাম হোসাইনী চিশতি ওরফে আওলিয়া মিয়া (রহঃ)  |  সৈয়দ হোসেন ইমাম হোসাইনী চিশতি  |  সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া  |  সৈয়দ গোলাম নবী হোসাইনী চিশতি ওরফে দুলাল মিয়া  |  সৈয়দ গোলাম রাসুল হোসাইনী চিশতি ওরফে ইকবাল মিয়া  |  সৈয়দ গোলাম হাবীব হোসাইনী চিশতি ওরফে বাদল মিয়া  |  সৈয়দ গোলাম কাদির হোসাইনী চিশতি ওরফে আফজাল মিয়া  | সৈয়দ রফিকুল হোসাইন | সৈয়দ মোশারফ আলী  |    সৈয়দ মোজাম্মেল আলী  |  সৈয়দ খলিলুর রহমান  |   সৈয়দ শামসুল হক মেহেদী  |  সৈয়দ নাফিস শাহরিয়ার  |  সৈয়দ লুৎফর রহমান  |   সৈয়দ আলতাফুর রহমান  |  সৈয়দ মাহবুব উল্লা ওরফে ছােয়াব মিয়া  | সৈয়দ মোহাম্মদ হেলাল ওরফে সাদ উল্লাহ  |  সৈয়দ হাফিজ উল্লাহ  |  সৈয়দ আঃ সালাম  |  সৈয়দ আঃ কাদির   |  সৈয়দ আঃ আওয়াল  |  সৈয়দ আঃ গাফফার  |  সৈয়দ ওবেদুল করিম   |  সৈয়দ এনামুল করিম  |  সৈয়দ আকবর হোসন ।

সৈয়দ গোলাম রাব্বানীঃ-সৈয়দ গোলাম মোস্তফা হোসাইনী চিশতি ওরফে দরবেশ মিয়া সাহেবের সুযোগ্য জ্যৈষ্ঠ পুত্র সৈয়দ গোলাম রাব্বানী।সাংসারিক জীবনে তিন পুত্রের জনক। পুত্রঃ সৈয়দ লিলু মিয়া,সৈয়দ মিলন মিয়া ও সৈয়দ হিরন মিয়া।

সৈয়দ দুলু মিয়াঃ-সৈয়দ গোলাম মোস্তফা হোসাইনী চিশতি ওরফে দরবেশ মিয়া সাহেবের  ২য় পুত্র সৈয়দ দুলু মিয়া। তিনার একমাত্র পুত্র সন্তান  সৈয়দ সুমন।

সৈয়দ হাসান ইমাম হোসাইনী চিশতি (রহঃ)ঃ-সৈয়দ মিনা ওরফে সৈয়দ সুলতান (রঃ) এর বংশে আর একজন ঐতিহাসিক সৈয়দ হাসান ইমাম হোসাইনী চিশতি (রঃ) আউলিয়া মিয়া সাহেবের জন্ম ১৩৪৩ বাংলা সনের ২৩শে অগ্রাহয়ণ,বর্তমান হবিগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে জন্ম গ্রহন করেন।তিনি একাদারে একজন আরেফে ইরফান,মরমী কবি ও সাহিত্যিক ও গবেষক ছিলেন।তার উল্লেখযোগ্য  বই গুলো হচ্ছেঃ ১.তরফের ইতিকথা যা ইসলামি বিশ্বকোষে অর্ন্তভূক্ত হয়েছে) ২.শানে পাঞ্জাতন  ৩.মহররম পরিচিতি  ৪.ইশকে রাছুল  ৫.ডুব দাও সখা সত্য সিন্ধু জলে  ৬.ইসলামের দৃষ্টিতে বায়ত তরিকা ও চিল্লা প্রসঙ্গ  ৭.ইসলামের আলো নামাজ প্রসঙ্গ  ৮.সৈয়দ হাসান ইমাম হোসাইনী চিশতি রচনা সমগ্র ৯. কদমবুচি প্রসঙ্গ ১০. মুআদ্দাত আল কোরবা ১১. আউলিয়া কিরামের ওসীলা, ফজিলত ও মর্যাদা।তাঁর প্রতিষ্ঠিত মহাকবি সৈয়দ সুলতান সাহিত্য ও গবেষণা পরিষদ থেকে অনেকগুলো স্মারক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।সাংসারিক জীবনে তিন  পুত্রের জনক।পুত্রঃ সৈয়দ মাইনুল হাসান,সৈয়দ হাবিবুল হাসানও সৈয়দ মসিউল হাসান।ইলমী জগতের এ মহান প্রদীপ ২০১৯ ইংরেজী সনের ৪ ঠা মে নির্বাপিত হয়ে হায়াতে জিন্দেগী থেকে পর্দা করে মহান আল্লাহর দিদারে চলেযান।সৈয়দ হাসান ইমাম হোসাইনী চিশতি (রহঃ)- দরগাহ সুলতানসী হাবিলীতে।

সৈয়দ হোসেন ইমাম হোসাইনী চিশতিঃ-সৈয়দ গোলাম মোস্তফা হোসাইনী চিশতি ওরফে দরবেশ মিয়া সাহেবের ৪র্থ পুত্র সৈয়দ হোসেন ইমাম হোসাইনী চিশতি।তিনার একমাত্র পুত্র সন্তান সৈয়দ জিয়াউল হোসাইন।

সৈয়দ গোলাম কিবরিয়াঃ-সৈয়দ গোলাম মোস্তফা হোসাইনী চিশতি ওরফে দরবেশ মিয়া সাহেবের কনিষ্ঠ পুত্র সৈয়দ গােলাম কিবরিয়া ১২ আগস্ট ১৯৪৬ সালে হবিগঞ্জের প্রসিদ্ধ সুলতানশী হাবেলীতে জন্মগ্রহণ করেন।সৈয়দ গােলাম কিবরিয়া ১৯৬১ সালে এস.এস.সি, ১৯৬০ সালে এইচ.এস.সি ও ১৯৬৫ সালে ঢাকা ইউনিভার্সিটি হতে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৮৪ সালে লন্ডন মানচেষ্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডেভেলপমেন্ট এডমিনিষ্ট্রেশন এর উপর পােষ্ট গ্রাজুয়েট ও এম এস ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ২৭ অক্টোবর ১৯৭৪ সালে  সিলেট হযরত শাহ জালাল (রঃ) এর মােতায়াল্লী জনাব আবু জাফর আবদুল্লাহ এর ৪র্থ কন্যা মরেকউম হাজেরা ফয়জুন্নাহার এর সাথে  বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।কর্মজীবনে জনাব কিবরিয়া ১৯৭০ সালে পাকিস্তান সরকারের অধীনে সহকারী সচিব হিসেবে শিল্পমন্ত্রণালয়ে যােগদানের মধ্যেদিয়ে কর্মজীবনের সূচনা করেন।সাংসারিক জীবনে দুই কন্যা ও এক পুত্রের জনক।কন্যাঃ সৈয়দা দূরবে শাহওয়ার ও সৈয়দা দূরবে শারাহাত।পুত্রঃ সৈয়দ হোসনে সাদাব।

সৈয়দ গোলাম নবী হোসাইনী চিশতি ওরফে দুলাল মিয়াঃ-পীরে কামেল সৈয়দ গোলাম হায়দার হূসাইনী চিশতী(রহঃ) ওরফে দুদু মিয়া সাহেবের সুযোগ্য জ্যৈষ্ঠ পুত্র সৈয়দ গোলাম নবী হুসাইনী চিশতী  হরফে দুলাল মিয়া সাহেব ১৩৫৪ বাংলার ৬ ভাদ্র সোমবার জন্মগ্রহণ করেন।মাতা লষ্করপুর হাবেলীর সৈয়দ আব্দুল মুতাকাববীর আবুল হাসান (রঃ) এর কন্যা সৈয়দা খায়রুননেছা আক্তার। তিনি ১৯৭০ সালে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজ হতে বি.কম পরীক্ষা দেয়ার পর পিতার আদেশ পালনার্থে তরীকতের কাজে সচেষ্ট হন।তিনি বেশ কয়েকটি পুস্তক রচনা ও সম্পাদনা করেছেন, বর্তমানেও তাঁর দুটি গ্রন্থ প্রকাশিতব্য। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থগুলো হচ্ছেঃ তত্ব সঙ্গীত,  প্রকাশনা ১০/৪/৮০ইং, মুখকুল ইবাদত ফাযায়েলে দুরুদ, প্রকাশনা-১৯৯৪ইংন, এবং পঞ্চতারা জবেহ আজিম‑ইমাম হুসাইন (আঃ)।পারিবারিক জীবনে সৈয়দ গোলাম নবী সাহেব দুই পুত্র ও ২ কন্যা  সন্তানের জনক।পুত্রঃ সৈয়দ গোলাম হাসনাইন উজ্জল ও সৈয়দ গোলাম সারওয়ার রুবেল।কন্যাঃসৈয়দা হাবিবা বেগম দিবাকে  ৮/২/৯১ইং,সুরাবই সাহেব বাড়ির সৈয়দ মােহাম্মদ ইছহাক আল হােসাইনী চিশতী (রঃ) ওরফে মধু মিয়া সাহেবের কনিষ্ঠ পুত্র সৈয়দ সানাউল হক ওরফে ফরহাদ মিয়ার সঙ্গে বিবাহ দেন।  দ্বিতীয় সৈয়দা মাহবুবু বেগম শুভকে বালাগঞ্জ থানার হলিমপুর চৌধুরী বাড়ির মােঃ আলতাফুর রহমান চৌধুরীর প্রথম পুত্র মােহাম্মদ মাহতাবুর রহমান চৌধুরী ফরহাদ মিয়ার সঙ্গে ৭/৩/৯২ইং বিবাহ দেন।তারা ইংল্যান্ডে সপরিবারে বসবাস করছেন।

সৈয়দ গোলাম রাসুল হোসাইনী চিশতি ওরফে ইকবাল মিয়াঃ-পীরে কামেল সৈয়দ গোলাম হায়দার হোসাইনী চিশতী (রহঃ) ওরফে দুদু মিয়া সাহেবের সুযোগ্য ২য় পুত্র সৈয়দ গোলাম রাসুল হোসাইনী চিশতি ওরফে ইকবাল মিয়া সাহেব ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে জন্ম গ্রহন করেন।তিনার একমাত্র পুত্র সৈয়দ গোলাম হাদী জুয়েল।

সৈয়দ গোলাম হাবীব হোসাইনী চিশতি ওরফে বাদল মিয়াঃ-পীরে কামেল সৈয়দ গোলাম হায়দার হোসাইনী চিশতী (রহঃ) ওরফে দুদু মিয়া সাহেবের সুযোগ্য ৩য় পুত্র সৈয়দ গোলাম হাবীব হোসাইনী চিশতি ওরফে বাদল মিয়া সাহেব ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে জন্ম গ্রহন করেন। তিনার ২ পুত্র সৈয়দ গোলাম মোস্তফা মান্না ও সৈয়দ গোলাম মোস্তাকীম শাওন।

সৈয়দ গোলাম কাদির হোসাইনী চিশতি ওরফে আফজাল মিয়াঃ- সৈয়দ গোলাম হায়দার হোসাইনী চিশতী (রহঃ) ওরফে দুদু মিয়া সাহেবের সুযোগ্য কনিষ্ট পুত্র সৈয়দ গোলাম কাদির হোসাইনী চিশতি ওরফে আফজাল মিয়া সাহেব ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে জন্ম গ্রহন করেন। তিনার ৩পুত্র সৈয়দ গোলাম মোক্তাদীর শায়েক,সৈয়দ গোলাম দস্তগীর শাহরুখ ও সৈয়দ গোলাম কবীর শাকিল।

সৈয়দ রফিকুল হোসাইনঃ- আরেফে ইরফান,মরমী কবি ও সাহিত্যিক সৈয়দ আঃ রহিম আল হোসাইনী চিশতি (রহঃ) একমাত্র সুযোগ্য পুত্র সৈয়দ রফিকুল হোসাইন ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে জন্ম গ্রহন করেন।তিনিও তাঁর পিতার স্থলাভিষিক্ত গদ্দীনসীন হয়ে ধর্মপ্রচার ও পূর্ব পুরুষদের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে যাচ্ছেন।তিনি একজন লেখক ও বেতার সঙ্গীত শিল্পী। তিনি পিতার অনুকরণে আধ্যাত্মিক সঙ্গীত জগতে সুনাম অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্রের তালিকাভুক্ত কণ্ঠশিল্পী। বিগত ২৬/০১/১৪০১ বাংলা হতে নিয়মিতভাবে মরমী সঙ্গীত পরিবশেন করে আসছেন।সৈয়দ রফিকুল হােসাইনী চিশতী ২৬ নভেম্বর ১৯৯২ সনে কিশােরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত ঐতিহাসিক অষ্টগ্রাম হাবিলীর জনাব সৈয়দ আব্দুন নঈম সাহেবের ২য় কন্যা সৈয়দা সুরাইয়া আক্তার (মিতার) সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। তাঁর সন্তানগণের নাম যথাক্রমে ১. সৈয়দা খাদিজা বেগম (উঁই), ২. সৈয়দা শাহনাজ ফাতেমা (চামেলী), ৩. সৈয়দা সামিনা আক্তার (দীপ্তি)।

সৈয়দ মোশারফ আলীঃ-সৈয়দ মোবাশ্বের আলী সাহেবের জৈষ্ঠ পুত্র সৈয়দ মোশারফ আলী ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে জন্মগ্রহণ করেন।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে তার পরবর্তী বংশধর ও বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ মোজাম্মেল আলীঃ-সৈয়দ মোবাশ্বের আলী সাহেবেরকনিষ্ঠ পুত্রসৈয়দ মোজাম্মেল আলী ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীতে জন্মগ্রহণ করেন।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে তার পরবর্তী বংশধর ও বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ খলিলুর রহমানঃ-ঐতিহাসিক সুলতানশি উত্তর হাবেলীর সৈয়দ শাহজাহান ও রাবেয়া খাতুন (লাইলী) দম্পতির জৈষ্ঠ পুত্র সৈয়দ খলিলুর রহমান।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে তার পরবর্তী বংশধর ও বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ শামসুল হক মেহেদীঃ-ঐতিহাসিক সুলতানশি উত্তর হাবেলীর সৈয়দ শাহজাহান ও রাবেয়া খাতুন (লাইলী) দম্পতির কনিষ্ঠ পুত্র সৈয়দ শামছুল হক মেহেদী।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে তার পরবর্তী বংশধর ও বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ নাফিস শাহরিয়ারঃ-প্রফেসর ডাঃ সৈয়দ মিজানুর রহমান সাহেবের একমাত্র পুত্র সৈয়দ নাফিস শাহরিয়ার পেশায় একজন ডাক্তার।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে তার পরবর্তী বংশধর ও বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ লুৎফর রহমানঃ-[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ আলতাফুর রহমানঃ- [প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ মাহবুব উল্লা ওরফে ছােয়াব মিয়াঃ- টাইগার অব হবিগঞ্জ ভূষিত সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ টেনু মিয়া সাহেবের প্রথম ছেলে সৈয়দ মাহবুব উল্লা ওরফে ছােয়াব মিয়া সাহেব। তিনার ২ পুত্র সৈয়দ মনসুর ও সৈয়দ তাজমিয়া রেখে ১৯৮৮ ইংরেজীতে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন।

সৈয়দ মোহাম্মদ হেলাল ওরফে সাদ উল্লাহঃ-হবিগঞ্জ জেলার জমিদার সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ টেনু মিয়া সাহেবের দ্বিতীয় ছেলে সৈয়দ মোহাম্মদ হেলাল ওরফে সাদ উল্লাহ ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে বিখ্যাত সুলতানশী হাবেলীর জমিদার পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। পিতার ন্যায় প্রাক্তন পৌর কমিশনার হেলাল সাহেব ও তেজস্বী ও সমাজসেবক জনদরদী। তিনি হবিগঞ্জ পুরান মুন্সেফ কোয়ার্টারে বসবাস করতেন।  তিনি ১৯৬৮ সালে শায়েস্তাগঞ্জ দাউদ নগর শেখের বাড়ির ফিরোজ মিয়া শেখের ২য় মেয়ের শেখ বাহার বেগম সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।সাংসারিক জীবনে এক কন্যা ও তিন পুত্র সন্তানের জনক।তাঁর সন্তাগণের নাম যথাক্রমেঃ ১.সৈয়দ মোহাম্মদ বেলাল ২.সৈয়দ মোঃ জালাল ৩.সৈয়দ মোহাম্মদ দিলাল ৪.সৈয়দা সুলতানা। সৈয়দ মোহাম্মদ হেলাল ওরফে সাদ উল্লাহ সাহেব ২০১৫ সালের ২১ জুলাই পুরান মুন্সেফ কোঃ হবিগঞ্জে নিজ বাস ভবনে ৮০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।সুলতানশী হাবেলীর মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে পিতার পাশে ওনাকে দাফন করা হয়।

সৈয়দ হাফিজ উল্লাহঃ-সুলতানশীর জমিদার ও সুপণ্ডিত পাক পান্জাতনের আশেক ও সাধক সৈয়দ আঃ আলীম ওরফে ফিরুজ মিয়া সাহেবের জ্যৈষ্ঠ পুত্র সৈয়দ হাফিজ উল্লাহ।তিনি স্থায়ীভাবে সুলতানশী নতুন (দক্ষিণ) হাবেলীতে বসবাস করেন। তিনার পুত্র সৈয়দ ইয়াহিয়া।

সৈয়দ আঃ সালাম [সুলতানশী হাবেলী থেকে হয়বতনগর] ঃ-তিনি বিয়ের পর নানা বাডি কিশােরগঞ্জের হয়বতনগর গ্রামে চলে যান ও সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন।

সৈয়দ আঃ কাদির [সুলতানশী হাবেলী থেকে হয়বতনগর]ঃ-তিনি বিয়ের পর নানা বাডি কিশােরগঞ্জের হয়বতনগর গ্রামে চলে যান ও সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন।তার বংশধরগণ বর্তমান হয়বতনগর বসবাস করছেন।

সৈয়দ আঃ আওয়াল [১৯১২-১৯৯১]ঃ- তিনি সিপাহসালার সৈয়দ নাসিরুদ্দীন রহঃএর ১৭ তম অধস্থনপুরুষ  সৈয়দ আব্দুল আউয়াল ১৯১২ সালের ২রা মে তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম সৈয়দ আব্দুল আলীম ওরফে ফিরুজ মিয়া ও মাতার নাম সৈয়দা ছায়েরা আক্তার খাতুন।সৈয়দ আব্দুল আলীম সাহেব তার ছেলে সৈয়দ আব্দুল আউয়ালকে স্থলাভিষিক্ত গদ্দীনসীন করে যান।সৈয়দ আব্দুল আউয়াল সাহেব পিতার জমিদারীর সকল কাজ কর্ম দেখাশুনা করতেন। তিনি দীর্ঘদিন লস্করপুর ইউনিয়নের সরপঞ্চ (চেয়ারম্যান) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ইউনিয়নের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে সনদও লাভ করেন। তিনিই তাঁর পিতার প্রতিষ্ঠিত সুলতানশী প্রাইমারী স্কুলের জমি রেজিষ্টারী করে দেন যার ফলে স্কুলটি ডেভেলপমেন্টে যায় ও ঘরটি পাকা হয়।সৈয়দ আব্দুল আউয়াল সাহেব বিয়ে করেন কিশােরগঞ্জের ৩কালীন ডেপুটি ম্যজিষ্ট্রেট ইসমাইল ভূঞা ও দেওয়ান খয়রুন্নেছার কন্যা মােসাম্মত খাদিজা আক্তার খাতুনকে। তাদের দুই ছেলে ও সাত মেয়ে।পুত্রঃ সৈয়দ আবু সালেক ও সৈয়দ আবু  সাদেক। ছােট ছেলে সৈয়দ আবু সাদেক স্থায়ীভাবে লণ্ডনে বসবাস করতন ও দুই মেয়ে লন্ডনে, এক মেয়ে কানাডায় ও বাকী ৪ মেয়ে দেশেই অবস্থান করছেন।তিনি ১৯৯১ সনের ২২ শে অক্টোবর স্ত্রী, দুই ছেলে, সাত মেয়ে, অনেক নাতি-নাতনী, মুরিদান ও অনেক গুণগ্রাহী রেখে পরলােক গমন করেন। তাঁকে তাঁর পিতার মাজারের দক্ষিণ পার্শে তাদেরই পারিবারিক গােরস্তানে দাফন করা হয়।

সৈয়দ আঃ গাফফারঃ- তিনি সিপাহসালার সৈয়দ নাসিরুদ্দীন রহঃএর ১৭ তম অধস্থনপুরুষ।তার ২ পুত্র সৈয়দ সুমন(২) ও সৈয়দ নোমান।

সৈয়দ ওবেদুল করিমঃ-সিপাহসালার সৈয়দ নাসিরুদ্দীন রহঃএর ১৭ তম অধস্থনপুরুষ সৈয়দ ওবেদুল করিম সাহেবের শিক্ষা-দীক্ষা রিয়াযত‑রিয়াছত সব কিছুই সাধিত হয় তাঁর পিতা আধ্যাত্নিকপুরুষ সৈয়দ আঃ করিম (রহঃ)- একান্ত তত্বাবধানে।তিনার ৫ পুত্র সৈয়দ আবু সালেহ,সৈয়দ আবু ফয়েজ,সৈয়দ আবু সাহিদ,সৈয়দ আবু হারেস ও সৈয়দ আবু খায়ের।

সৈয়দ এনামুল করিমঃ- তিনিও তাঁর পিতা আধ্যাত্নিক পুরুষ সৈয়দ আঃ করিম (রহঃ)- একান্ত তত্বাবধানে ধর্মীয় শিক্ষা-দীক্ষা রিয়াযত‑রিয়াছত সব কিছুই সাধিত হয়।পিতার মতই তিনি ধর্মীয় শিক্ষায় সুপণ্ডিত পাক পান্জাতনের আশেক  ছিলেন। তিনার ৩ পুত্র সৈয়দ নুরুল করিম,সৈয়দ আমিরুল করিম ও সৈয়দ আশরাফুল করিম।বর্তমানে বড ছেলে সৈয়দ নুরুল করিম স্থলাভিষিক্ত গদ্দীনসীন হয়ে ধর্মপ্রচার ও পূর্ব পুরুষদের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে যাচ্ছেন ও মেঝু ছেলে সৈয়দ আমিরুল করিম স্থায়ীভাবে লণ্ডনে বসবাস করছেন।তার মাজার সুলতানশী হাবিলীতে অবস্থিত।

সৈয়দ আকবর হোসন [সুলতানশী হাবেলী থেকে চন্দ্ৰচুড়ি সাহেব বাড়ি]ঃচন্দ্রচরী হবিগঞ্জ জেলার অন্তগর্ত বাহুবল উপজেলায় অবস্থিত।ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলীর  সৈয়দ ইব্রাহীম হোসেন (রহঃ), তার বড ছেলে সৈয়দ আওলাদ হোসন (রহঃ) তার পুত্র সৈয়দ আকবর হোসন সুলতানশী হাবেলী থেকে চন্দ্ৰচুড়ি সাহেব বাড়ির সৈয়দ আবুল হুসেন সাহেবের কন্যা সৈয়দা আনজুমান নেছাকে বিয়ে করে চন্দ্রচুড়ি সাহেব বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।তার বংশধরগণও বর্তমান চন্দ্রচুড়ি সাহেব বাড়িতে বসবাস করছেন।


১৮ তম পুরুষঃ-সৈয়দ লিলু মিয়া  |  সৈয়দ মিলন মিয়া   |  সৈয়দ হিরন মিয়া  |  সৈয়দ সুমন  | সৈয়দ মাইনুল হাসান  | সৈয়দ হাবিবুল হাসান | সৈয়দ মসিউল হাসান  |  সৈয়দ জিয়াউল হোসাইন |  সৈয়দ হোসনে সাদাব  |  সৈয়দ গোলাম হাসনাইন উজ্জল   |  সৈয়দ গোলাম সারওয়ার রুবেল  |  সৈয়দ গোলাম হাদী জুয়েল  |  সৈয়দ গোলাম মোস্তফা মান্না   |  সৈয়দ গোলাম মোস্তাকীম শাওন  |  সৈয়দ গোলাম মোক্তাদীর শায়েক  |  সৈয়দ গোলাম দস্তগীর শাহরুখ   |  সৈয়দ গোলাম কবীর শাকিল  |  সৈয়দ মনসুর  |  সৈয়দ তাজমিয়া  |  সৈয়দ মোহাম্মদ বেলাল  |  সৈয়দ মোহাম্মদ জালাল  |  সৈয়দ মোহাম্মদ দিলাল  |  সৈয়দ ইয়াহিয়া  |  সৈয়দ আবু সালেক  |  সৈয়দ আবু  সাদেক  |  সৈয়দ সুমন  |  সৈয়দ নোমান  | সৈয়দ আবু সালেহ  |  সৈয়দ আবু ফয়েজ  |  সৈয়দ আবু সাহিদ  |  সৈয়দ আবু হারেস   |   সৈয়দ আবু খায়ের  |  সৈয়দ নুরুল করিম  |  সৈয়দ আমিরুল করিম  |  সৈয়দ আশরাফুল করিম।

সৈয়দ লিলু মিয়াঃ- বর্তমান পুরুষ।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ মিলন মিয়াঃ- বর্তমান পুরুষ।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ হিরন মিয়াঃ-বর্তমান পুরুষ।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ সুমনঃ-  বর্তমান পুরুষ।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ মাইনুল হাসানঃ-বর্তমান পুরুষ।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ হাবিবুল হাসানঃ-বর্তমান পুরুষ।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ মসিউল হাসানঃ- বর্তমান পুরুষ।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ জিয়াউল হোসাইনঃ-বর্তমান পুরুষ।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ হোসনে সাদাবঃবর্তমান পুরুষ।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ গোলাম হাসনাইন উজ্জলঃ- সৈয়দ সৈয়দ গোলাম নবী হুসাইনী চিশতী  ওরফে দুলাল মিয়া সাহেবের সুযোগ্য জ্যৈষ্ঠ পুত্র সৈয়দ গোলাম হাসনাইন উজ্জল সুলতানশী হাবেলীতে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্য জীবন হতেই তিনি শান্তশিষ্ট, বিনয়ী, নম্র মানুষ।বিবাহের পর তিনি ইংল্যান্ডে সপরিবারে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।তিনার পুত্র সৈয়দ তাজওয়ার হাসান।

সৈয়দ গোলাম সারওয়ার রুবেলঃ-সৈয়দ সৈয়দ গোলাম নবী হুসাইনী চিশতী  ওরফে দুলাল মিয়া সাহেবের সুযোগ্য কনিষ্ট পুত্র  সৈয়দ গোলাম সারওয়ার রুবেল সুলতানশী হাবেলীতে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি ধর্মীয় শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষিত।তার পুত্র সৈয়দ জুলফিকার হায়দার।

সৈয়দ গোলাম হাদী জুয়েলঃ-বর্তমান পুরুষ। [প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ গোলাম মোস্তফা মান্নাঃ- বর্তমান পুরুষ। [প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ গোলাম মোস্তাকীম শাওনঃ- বর্তমান পুরুষ। [প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ গোলাম মোক্তাদীর শায়েকঃ-বর্তমান পুরুষ।  [প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ গোলাম দস্তগীর শাহরুখঃ- বর্তমান পুরুষ। [প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ গোলাম কবীর শাকিলঃ- বর্তমান পুরুষ।  [প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ মনসুরঃ-বর্তমান পুরুষ।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ তাজমিয়াঃ- বর্তমান পুরুষ।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ মোহাম্মদ বেলালঃ-সৈয়দ মোহাম্মদ হেলাল সাহেবের পুত্রদের মধ্যে ১ম পুত্র সৈয়দ মোহাম্মদ বেলাল  ১৯৭৩ ইং মে মাসের ৩ তারিখ হবিগঞ্জে পুরান মুন্সেফ কোয়ার্টারে নিজ বাসভবনে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি ১৯৯৪ সালে হবিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস,এস,সি এবং ১৯৯৭ সালে বৃন্দাবন সরকারী কলেজ হতে এইচ,এস,সি পাশ করেন।বর্তমানে কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা করছেন।সংসার জিবনে তিনি এক ছেলে এক মেয়ের জনক।ছেলে সৈয়দ মোঃ ইশফাক(রাতুল) ২০০৪ ইং মার্চের ১৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন।সে ২০২০ সালে হবিগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস এস সি পাশ করে ও এক মেয়ে সৈয়দা নুসরাত তাবাসসুম অহনা ২০১২ ইং নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। সে কিন্ডারগার্টেন এ লেখা পড়া করছে।

সৈয়দ মোহাম্মদ জালালঃ-সৈয়দ মোহাম্মদ হেলাল সাহেবের ২য় ছেলে সৈয়দ মোঃ জালাল ১৯৭৪ ইং ফেব্রুয়ারি মাসের ০৯ তারিখ হবিগঞ্জে পুরান মুন্সেফ কোয়ার্টারে নিজ বাসভবনে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি ১৯৯১ সালে হবিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস,এস,সি এবং ১৯৯৪ সালে বৃন্দাবন সরকারি কলেজ হবিগঞ্জ হতে এইচ,এস,সি পাশ করে বর্তমানে হবিগঞ্জ পৌরসভায় স্বাস্থ্য পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। ব্যক্তি জিবনে এক ছেলে সৈয়দ মোঃ ইত্তেহাদ (রাতিন) ২০১২ ইং নভেম্বর মাসের ০৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। সে বর্তমানে কিন্ডারগার্টেনে পড়ছে।

সৈয়দ মোহাম্মদ দিলালঃ- সৈয়দ মোহাম্মদ হেলাল সাহেবের ৩য় ছেলে সৈয়দ মোহাম্মদ দিলাল ১৯৭৭ ইং ফেব্রুয়ারি মাসের ০৯ তারিখ হবিগঞ্জে পুরান মুন্সেফ কোয়ার্টারে নিজ বাসভবনে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি ১৯৯৩ সালে হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস,এস,সি। ১৯৯৬ সালে বৃনদাবন সরকারী কলেজ হবিগঞ্জে হতে এইচ,এস,সি এবং সিলেট এমসি কলেজ হতে বাংলায় সাহিত্যে যথাক্রমে ২০০১সালে অনার্স ও ২০০২ সালে এম,এ পাশ করেন। তিনি কিছুদিন হবিগঞ্জ আজমিরিগঞ্জ পাহাড়পুর আইডিয়াল কলেজে প্রভাষক হিসেবে চাকুরী করেন। পরবর্তিতে ২০০৭ সাল হতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগে সেকশন সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন।তিনি ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কর্মকর্তা কর্মচারী কল্যান ট্রাস্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পদে জয়ী হন। বর্তমানে সৈয়দ মোঃ ইত্তেসাফ (ফারহান) নামক এক পুত্র ২০১৭ ইং ১৯ শে ফেব্রুয়ারি  জন্মগ্রহণ করে। 

সৈয়দ ইয়াহিয়াঃ- [প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ আবু সালেকঃ-সুলতানশী নতুন হাবিলীতে সৈয়দ আব্দুল আউয়াল ও  মােসাম্মত খাদিজা আক্তার খাতুন দম্পতির ঘরে সৈয়দ আবু সালেক  ১৯৫২ সালের ১২ জানুয়ারী জন্মগ্রহণ করেন।তিনি এসএস এন্টারপ্রাইজের প্রােপ্রাইটর হিসেবে স্বাধীনভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে থাকেন আর এখনও ঢাকাতে এ ব্যবসাই করে যাচ্ছেন।তিনি ১৯৮৩ সালে সিলেট তেলিরাই সাহেব বাড়ির জনাব কাজী মাহবুব আলীর ৩য় মেয়ে ফাহমিদা খানমকে বিয়ে করেন।সাংসারিক জীবনে ১ কন্যা ও ২ পুত্রের জনক।পুত্রঃ সৈয়দ আরেফিন ও সৈয়দ আবেদিন।

সৈয়দ আবু  সাদেকঃ-তিনি সিপাহসালার সৈয়দ নাসিরুদ্দীন রহঃএর ১৭ তম অধস্থনপুরুষ  সৈয়দ আব্দুল আউয়াল সাহেবের ছােট ছেলে সৈয়দ আবু সাদেক স্থায়ীভাবে লণ্ডনে বসবাস করতেন।তিনি লন্ডনে ২ পুত্র সৈয়দ সামিন ও সৈয়দ হামিন রেখে পরলােক গমন করেন।

সৈয়দ সুমন(২)ঃ- বর্তমান পুরুষ।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ নোমানঃ- বর্তমান পুরুষ।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ আবু সালেহঃ-বর্তমান পুরুষ।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ আবু ফয়েজঃ-বর্তমান পুরুষ।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ আবু সাহিদঃ-  বর্তমান পুরুষ।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ আবু হারেসঃ- বর্তমান পুরুষ।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ আবু খায়েরঃ- বর্তমান পুরুষ।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।]

সৈয়দ নুরুল করিমঃ- তিনিও তাঁর পিতার স্থলাভিষিক্ত গদ্দীনসীন হয়ে ধর্মপ্রচার ও পূর্ব পুরুষদের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে যাচ্ছেন।

সৈয়দ আমিরুল করিমঃ- পরিবার‑পরিজন নিয়ে স্থায়ীভাবে লন্ডনে বসবাস করছেন।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ আশরাফুল করিমঃ-অধায়নরত।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 


১৯ তম পুরুষঃ সৈয়দ তাজওয়ার হাসান  |  সৈয়দ জুলফিকার হায়দার  |  সৈয়দ আরেফিন  |  সৈয়দ আবেদিন  |  সৈয়দ সামিন  |  সৈয়দ হামিন। সৈয়দ মোঃ ইশফাক(রাতুল)  |   সৈয়দ মোঃ ইত্তেহাদ (রাতিন)  |  সৈয়দ মোঃ ইত্তেসাফ (ফারহান)

সৈয়দ আরেফিনঃ-বর্তমান পুরুষ।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ আবেদিনঃ-।[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ সামিনঃ-বর্তমান পুরুষ।ওনারা স্থায়ীভাবে ইংল্যান্ডে বসবাস করছেন।

সৈয়দ হামিনঃ-বর্তমান পুরুষ।ওনারা স্থায়ীভাবে ইংল্যান্ডে বসবাস করছেন।

সৈয়দ তাজওয়ার হাসানঃ-বর্তমান পুরুষ।

সৈয়দ জুলফিকার হায়দারঃ-বর্তমান পুরুষ।

সৈয়দ মোঃ ইশফাক(রাতুল)ঃ-[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ মোঃ ইত্তেহাদ (রাতিন)ঃ-[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

সৈয়দ মোঃ ইত্তেসাফ (ফারহান)ঃ-[প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ক্ষমা প্রার্থী।] 

বিঃদ্রঃ ‑সালামুন আলাইকুম। আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে ‚আমাদের web­site এর কাজ চলমান। চলমান এই কার্যপ্রণালী সম্পুর্ন করণে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। এতে নতুন প্রজন্মের কারও নাম ভুল,সম্পুর্ন নাম না থাকলে,অথব কেউ বাদ পড়লে বা বিস্তারিত বিবরণ না থাকলে পোষ্টে কমান্ট বা ই‑মেইল করে জানাতে পারেন,তাহলে পরবর্তিতে আমরা সংশোধন করে নিব।তাছাডা web­site এর জন্য তথ্য প্রয়োজন, প্রত্যেক হাবেলীর আদী প্রতিষ্ঠাতার এবং বিশেষ উল্যেখ যোগ্য ব্যক্তিবর্গের পরিচিতি ও জীবন বৃত্তান্ত (Biograf)এবং সেই হাবেলীর নসবনামা প্রদান করার অনুরধ করা যাচ্ছে। ধন্যবাদ

ই‑মেইলঃ- info@sipahsalar-syed-nasiruddin-rh-institution.org

মন্তব্য

  • সৈয়দ আক্রামুজ্জামান নাদিম, বেঞ্চ অফিসার, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগ, ঢাকা। says:

    অনেক অনেক ধন‍্যবাদ আপনাকে।
    চমৎকার হয়েছে
    লস্করপুর পশ্চিম হাবিলীর নসবনামা দেখার অপেক্ষায় রহিলাম ভাইজান।

  • সালামুন আলাইকুম। আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে ‚আমাদের web­site এর কাজ চলমান। চলমান এই কার্যপ্রণালী সম্পুর্ন করণে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। এতে নতুন প্রজন্মের কারও নাম ভুল,সম্পুর্ন নাম না থাকলে,অথব কেউ বাদ পড়লে বা বিস্তারিত বিবরণ না থাকলে পোষ্টে কমান্ট বা ই‑মেইল করে জানাতে পারেন,তাহলে পরবর্তিতে আমরা সংশোধন করে নিব।তাছাডা web­site এর জন্য তথ্য প্রয়োজন, প্রত্যেক হাবেলীর আদী প্রতিষ্ঠাতার এবং বিশেষ উল্যেখ যোগ্য ব্যক্তিবর্গের পরিচিতি ও জীবন বৃত্তান্ত (Biograf)এবং সেই হাবেলীর নসবনামা প্রদান করার অনুরধ করা যাচ্ছে। ধন্যবাদ

    ই‑মেইলঃ- info@sipahsalar-syed-nasiruddin-rh-institution.org

  • Col­lect com­ments on Facebook-
    সৈয়দ আব্দুল হেকীম সৈয়দ আব্দুল আজিম আল‑হোসাইনী রহঃ উরফে সৈয়দ জলাই মিয়া এর কনিষ্ঠ পূত্র। তিনি বাংলা ১২৯৪ সালে সুলতানশী হাবেলীতে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি আরবী উর্দু ফার্সীর সুপান্ডিত্ব অর্জন করার পর
    তরীকতের কাজে মনোনিবেশ করেন। তিনি মাঝেমধ্যে সুলতান হতে অষ্টগ্রাম এসে তরকতের কাজ করতেন। সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেবের একমাত্র সন্তান বৈবাহিক সূত্রে ভাগলপুল দেওয়ান বাড়িতে স্থানান্তর হন। পরবর্তীতে তরিকতের কাজের অন্জাম দিতে অনুজ সৈয়দ জলাই মিয়া সাহেবের এই কনিষ্ঠ পূত্র মাওলানা সৈয়দ আব্দুল আল‑হোসাইনী চিশতি রহঃ (ভাতিজা)কে সুলতানশী হতে অষ্টগ্রাম নিয়ে আসেন এবং তরিকতের তালিম দিয়ে উনার স্থলাভিষিক্ত করেন। উনার ১ম বিবি (মডুরার বন্দ) নিঃসন্তান থাকায় ১ম বিবি নিজেই অষ্টগ্রাম ভূঁইয়া বাড়ীর ইশাখার বংশীয় জনাব ফাজিল ভুইয়ার কন্যা জুবেদা আক্তারকে বিয়ে করান। সেই বিবির গর্বে তিন ছেলে যথাক্রমে সৈয়দ আব্দুল আজিজ হোসাইনী, সৈয়দ কুতুব উদ্দিন আহমদ আল‑হোসাইনী চিশতী, সৈয়দ হাবিব আল হোসাইনী, দুই কন্যা সৈয়দা আবেদা সুলতানা অমরিত বিবি (সোনারগাঁও মোগড়া পড়া সাহেব বাড়িতে বিয়ে হয়) ও সৈয়দা তাহমিনা সুলতানা ( সুলতানশী হাবেলীতে বিয়ে হয়)।
    অদ্যাবধি সৈয়দ আব্দুল হেকীম আল‑হোসাইনী রহ. এর আওলাদগন পর্যায়ক্রমে এই দায়ীত্ব শুনামের সহিত পালন করে আসছেন। তিনি ১৯ জৈষ্ঠ্য ১৩৫৫ বাংলায় ইন্তেকাল করেন। সৈয়দ আব্দুল করিম আল‑হোসাইনী উরফে সৈয়দ আলাই মিয়ার পাসেই দাফন করা হয় এবং প্রতি বছর ১৯ জৈষ্ঠ্য উরস পালিত হয়।।

  • ১৭তম পুরুষ সৈয়দ রফিকুল হুসাইন উনার ছেলে
    ১৮তম পুরুষ।
    সৈয়দ আজিমুল হুসাইন সানি।

  • Col­lect com­ments on Facebook-
    সৈয়দ আব্দুল হেকীম সৈয়দ আব্দুল আজিম আল‑হোসাইনী রহঃ উরফে সৈয়দ জলাই মিয়া এর কনিষ্ঠ পূত্র। তিনি বাংলা ১২৯৪ সালে সুলতানশী হাবেলীতে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি আরবী উর্দু ফার্সীর সুপান্ডিত্ব অর্জন করার পর
    তরীকতের কাজে মনোনিবেশ করেন। তিনি মাঝেমধ্যে সুলতান হতে অষ্টগ্রাম এসে তরকতের কাজ করতেন। সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেবের একমাত্র সন্তান বৈবাহিক সূত্রে ভাগলপুল দেওয়ান বাড়িতে স্থানান্তর হন। পরবর্তীতে তরিকতের কাজের অন্জাম দিতে অনুজ সৈয়দ জলাই মিয়া সাহেবের এই কনিষ্ঠ পূত্র মাওলানা সৈয়দ আব্দুল আল‑হোসাইনী চিশতি রহঃ (ভাতিজা)কে সুলতানশী হতে অষ্টগ্রাম নিয়ে আসেন এবং তরিকতের তালিম দিয়ে উনার স্থলাভিষিক্ত করেন। উনার ১ম বিবি (মডুরার বন্দ) নিঃসন্তান থাকায় ১ম বিবি নিজেই অষ্টগ্রাম ভূঁইয়া বাড়ীর ইশাখার বংশীয় জনাব ফাজিল ভুইয়ার কন্যা জুবেদা আক্তারকে বিয়ে করান। সেই বিবির গর্বে তিন ছেলে যথাক্রমে সৈয়দ আব্দুল আজিজ হোসাইনী, সৈয়দ কুতুব উদ্দিন আহমদ আল‑হোসাইনী চিশতী, সৈয়দ হাবিব আল হোসাইনী, দুই কন্যা সৈয়দা আবেদা সুলতানা অমরিত বিবি (সোনারগাঁও মোগড়া পড়া সাহেব বাড়িতে বিয়ে হয়) ও সৈয়দা তাহমিনা সুলতানা ( সুলতানশী হাবেলীতে বিয়ে হয়)।
    অদ্যাবধি সৈয়দ আব্দুল হেকীম আল‑হোসাইনী রহ. এর আওলাদগন পর্যায়ক্রমে এই দায়ীত্ব শুনামের সহিত পালন করে আসছেন। তিনি ১৯ জৈষ্ঠ্য ১৩৫৫ বাংলায় ইন্তেকাল করেন। সৈয়দ আব্দুল করিম আল‑হোসাইনী উরফে সৈয়দ আলাই মিয়ার পাসেই দাফন করা হয় এবং প্রতি বছর ১৯ জৈষ্ঠ্য উরস পালিত হয়।।

  • ভাইজান আপনার একান্ত সহযোগিতা কামনা করছি।হাবেলীর আদী নসবনামা অনুলিপি ও তথ্য ও উপাত্ত প্রদান করার অনুরোধ করছি।

    ই‑মেইলঃ- info@sipahsalar-syed-nasiruddin-rh-institution.org

Leave a Reply to Syed Hossain Ul Haque