নামাজ

প্রাত্যহিক বিশেষ নফল নামাজ

শনিবার দিনের বিশেষ নফল নামাজঃ

যে ব্যক্তি নিম্ন নিয়মে চার রাকাত নামাজ শনিবারের দিনে আদায় করবে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত তাকে নবী, নেককার বান্দা ও শহীদদের সমমর্যাদা দান করবেন।

‎‎নিয়মঃ- দই দুই রাকাত করে প্রতি রাকাতে সূরা ফাতেহার পর একবার সূরা ইখলাস ও একবার আয়াতুল কুরসী তিলাওয়াত করবে।

সূত্রঃ-মাফাতিহুল জিনান, শনিবারের নামাজ অধ্যায়।

রবিবার দিনের বিশেষ নফল নামাজঃ

যে ব্যক্তি রবিবারের দিন ‎-নিম্ন নিয়মে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে সে দোজখের আগুন ‎থেকে নিরাপদ থাকতে পারবে। ‎

নিয়মঃ-প্রথম রাকাতে সূরা ফাতেহার পর তিন বার সূরা কাওসার তিলাওয়াত করা। ‎দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতেহার পর তিনবার সূরা ইখলাস তিলাওয়াত করা। ‎

‎সূত্রঃ- জামালুল উসবুহ বি-কামালিল আমালিল মাশরুয়’, পৃঃ নং ৫৪।

সোমবার দিনের বিশেষ নফল নামাজঃ

যে ব্যক্তি সোমবারের দিন নিম্ন নিয়মে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে সেদশটা হজ্জ ও দশটা ওমরা হজ্জের সাওয়াব প্রাপ্ত হবে।

নিয়মঃ-প্রতি রাকাতে সূরা ফাতেহার পর একবার আয়াতুল কুরসী, একবার সূরা ইখলাস,একবার সূরা ফালাক্ব ও একবার সূরা নাস তিলাওয়াত করবে। নামাজের সালামের শেষে দশবার “আসতাগ্বফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি” পাঠ করবে।“

সূত্রঃ- জামালুল উসবুহ বি-কামালিল আমালিল মাশরুয়’, পৃঃ নং ৬৪।

মঙ্গলবারের দিনের বিশেষ নফল নামাজঃ

এ নামাজের ফজিলত বিভিন্ন দোয়ার কিতাবে বর্ণিত আছে।

নিয়মঃ-দুই রাকাত নামাজ।প্রতি রাকাতে সূরা ফাতেহার পর একবার করে সূরা ত্বীন, ‎সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস তিলাওয়াত করা।

সূত্রঃ- জামালুল উসবুহ বি-কামালিল আমালিল মাশরুয়’, পৃঃ নং ৭৭। ‎

বুধবারের দিনের বিশেষ নফল নামাজঃ

‎হাজত পূরণ ও অর্থনৈতিক সচ্ছলতা হবার নিয়ত করে বুধবারের দিন দুই রাকাত নামাজ আদায় করবেন।

নিয়মঃ- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর চল্লিশ বার করে সূরা আল কাওসার তিলাওয়াত করবেন। ইনশাআল্লাহ হাজত পূরণ ও অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ফিরে আসবে।

সূত্রঃ-দারমন ব কোরআন, পৃঃ নং ১৬৭।

বৃহস্পতিবার দিনের বিশেষ নফল নামাজঃ
আল্লাহর রাসূল(সা.) বলেনঃ “যদি কোন ব্যক্তি উপরের পদ্ধতিতে নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে যে, পাহাড়গুলো মাটির সাথে মিশে যাক, তাই হবে ‎অথবা বৃষ্টি বর্ষন চায়, তাই হবে। অথবা আল্লাহ ও সেই ব্যক্তির মাঝে অবস্থিত পর্দা উঠিয়ে নেয়া হোক, তাই হবে।আল্লাহ ঐ ব্যক্তির উপর রাগান্বিত হন যে ব্যক্তি উপরের নামাজটি আদায় করার পর তাঁর কাছে কোন হাজত প্রার্থনা করে না।”
নিয়মঃ-বৃহস্পতিবার দিনে দুই দুই রাকাত করে চার রাকাত নামাজ নিচের নিয়ম অনুসারে পড়বেঃ
  • ১ম রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ১১ বার সূরা ইখলাস।
  • ২য় রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ২১ বার সূরা ইখলাস।
  • ৩য় রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ৩১ বার সূরা ইখলাস।
  • ৪র্থ রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ৪১ বার সূরা ইখলাস।
নামাজ শেষ করে ৫১ বার সূরা ইখলাস তিলাওয়াত এবং ৫১ বার দরুদ পাঠ করবে।অতঃপর সেজদায় গিয়ে একশত বার পড়বেঃ “ইয়া আল্লাহু”।সব শেষে দোয়া করবে, যা তুমি কামনা করবে তা-ই আল্লাহ কবুল করবেন।”
সূত্রঃ- ‎কাশকুল উরুমিয়্যেই, পৃঃ নং ৩১৮, বিহারুল আনওয়ার কিতাব থেকে উদ্ধৃত।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতঃ

এই রাতে আমরা ঐ সকল মুসাফিরদের স্মরণ করবো, যারা আমাদের আপনজন ছিলেন,এক সময় আমাদের পাশেই ছিলেন, আমাদের মাঝেই ছিলেন।আর এখন আমাদের অন্তরে তাদের স্মরণ ও স্মৃতিই শুধু রয়ে গেছে। তারা চলে গেছেন।আজ তাদের করার কিছুই নেই!মাটির নীচে (বারযাখের জগতে) তারা কতই না অসহায়।এখন আমাদের দিকে তাঁকিয়ে আছেন তারা।আসুন! এ রাতে তিন বার দরুদ, একবার সূরা ফাতিহা ও তিন বার সূরা ইখলাস পাঠ করে তাদের রুহে হাদিয়া পাঠাই।আর আমাদের মরহুম পিতা-মাতার কাছে খাসভাবে সাওয়াব রেসানির জন্যে দুই রাকাত নামাজ আদায় করি।

নামাজের পদ্ধতি নিম্নরূপঃ
  • প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পর ১০ বার নিচের দোয়াটি তিলাওয়াত করাঃ
رَبِّ اغْفِرْلى وَلِوالِدَىَّ وَ لِلْمُؤْمِنینَ یَوْمَ یَقُومُ الْحِسابُ.
উচ্চারণঃ-“রব্বিগ্ব্ ফির্-লি ওয়ালি-ওয়া-লিদাইয়্যা ওয়া লিল্-মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াক্বুমুল হিসাব।”
 
  • দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহার পর ১০ বার নিচের দোয়াটি তিলাওয়াত করাঃ
رَبِّ اغْفِرْلى وَ لِوالِدَىَّ وَ لِمَنْ دَخَلَ بَیْتِىَ مُؤْمِناً وَ لِلْمُؤْمِنینَ وَالْمُؤْمِناتِ.
উচ্চারণঃ-“রব্বিগ্ব্ ফির্-লি ওয়ালি-ওয়া-লিদাইয়্যা ওয়া লিমান্ দাখালা বাইতিয়া মুমিনান্ ওয়া লিল্ মুমিনিনা ওয়াল মুমিনা-ত্।”
  • নামাজ শেষে ১০ বার নিচের দোয়াটি তিলাওয়াত করাঃ
رَبِّ ارْحَمْهُما کَما رَبَّیانى صَغیراً.
উচ্চারণঃ-“রব্বির্ হাম্-হুমা কামা রব্বাইয়ানি স্বাগ্বিরা।”
শুক্রবার দিনের বিশেষ নফল নামাজঃ
আল্লাহর রাসূল(সা.) বলেনঃ‎“যে ব্যক্তি শুক্রবার দিনে অথবা শুক্রবারের পূর্ব রাতে দুইশত বার সূরা আল ইখলাস চার রাকাত নামাজের মধ্যে তিলাওয়াত করে অর্থাৎ দুই দুই করে চার রাকাত নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা আল ফাতিহার পর পঞ্চাশ বার করে সূরা আল ইখলাস পাঠ করে, তার সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে, সেই গুনাহ সমুদ্র সমান হোক না কেন।”‎

সূত্রঃ-মিসবাহুল মুজতাহিদ, পৃঃ নং ২৬১। 

 

@SHH/SHSNURI/2020

মতামত দিন