বাংলা একাডেমীর ফোকলোর উপবিভাগ থেকে অষ্টগ্রামে পবিত্র মহররমের শোকানুষ্টান উদযাপনের উপর একটি তথ্য চিত্র।
কিশোরগঞ্জের হাওর বেষ্টিত এলাকা অষ্টগ্রাম, পুরোনো নয় কোষা জমিদার বাড়ী,দেওয়ান বাড়ী যা পরবর্তীতে -‘হাওলী বাড়ী’ বলে ডাকা হয়। এই হাবেলী বাড়ীকে কেন্দ্র করেই পালিত হয় মহরম । এই নয় কোষা জমিদারির একজন উত্তরাধিকারী সৈয়দ আব্দুল করিম আলহোসাইনী র. উরফে সৈয়দ আলাই মিয়া র. এর সময় জমিদারির খোঁজ খবর না রেখে তিনি সর্বদায় আধ্যাত্মিক ধ্যানে মগ্ন থাকায় ১৮৩৬ইংসালে ইংরেজ সরকার অনাদায়ী খাজনার দায়ে জমিদারী বাজেয়াপ্ত করে।পরবর্তীতে খাজনা পরিশোধের মাধ্যমে জমিদারি ফিরিয়ে নিতে বার বার পত্র দিলেও তিনি তা গ্রহন না করে বলেন আল্লাহ আমায় জমিদারি বা দুনিয়াবি ঝামেলা হতে মুক্ত করেছেন আমি আর সেই ঝামেলায় পূণরায় জরাতে চাইনা, এমনকি পরিবারের অন্যক কাউকেও তা আনতে দেননি। উনার প্রধান বাক্য উক্তি ছিলো “ভোগে নয় ত্যাগেই খোদা প্রাপ্তি হয়“ও “গুরু-শিষ্য লোভি কামি উভয়ই নরক গামী”।তখন হতেই সৈয়দ আলাই মিয়া র. সংসার ত্যাগী ও আধ্যাত্মিক সাধক হিসাবে খ্যাতি লাভ করেছিলেন।
মহরমের চাঁদ উঠার আগে থেকেই অষ্টগ্রাম ও আশেপাশের এলাকায় মহরম পালনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়। শুধু তাই নয় প্রতিটি বাড়িতে সাধ্যমত চাল- চিড়া কুটে রাখা হয়। কারণ চাঁদ উঠার পর বারোদিন পর্যন্ত ঢেঁকিতে চাল কোট নিষিদ্ধ । মহরমের চাঁদ দেখার পর খাট‑পালং কেউ ব্যবহার করেন না, মাটিতেই আসন গ্রহন করেন বা শয্যা পাতেন। শুধু তাই নয় সে দিন থেকে তারা রোজা রাখেন । বয়স্ক পুরুষরা চুল দাড়ি ছাঁটেন না, বা কেউ জুতো খড়ম পায়ে দেন না, নখ কাটেন না, ভালো পোষাক ও পরিধান করেন না । প্রতি রাতে সুর করে শুরু হয় জারি মার্সিয়া। মহরমের মিসিল নিয়ে নিজ গ্রাম প্রদক্ষিন করে নিজ নিজ মহল্লা বা দরগার [ইমামবাড়া]সামনে এসে মার্সিয়া শেষ করেন। মূল অনুষ্ঠান অর্থাৎ আশুরার পূর্ব দিন পর্যন্ত এ ধরনের প্রস্তুতি চলতে থাকে । জারি মার্সিয়ার পাশাপাশি বাঁশ বেত কাগ কাপড় দিয়ে তাজিয়া তৈরী ও শিরনী বিতরণ।অষ্টগ্রামের প্রতিটি মহল্লায় মহরম পালনের জন্য আছে একটি স্থায়ী দরগা । এ দরগা মাটির উচু বেদী, যার ওপর টিনের ঘড় বা পাঁকা করে তুলা হয় । প্রতিটি দরগায় থাকেন একজন খাদেম এবং মহরমের সময় দরগাগুলি সাজানো হয় লাল কালো সবুজ নিশান বা পতাকা দিয়ে । সন্ধ্যায় জ্বালানো হয় মোম বাতি, আর চড়া সুরে বাজানো হয় ডংকা । ডংকার সুর শুনে রোজাদাররা ইফতার করেন ।
দশই মহরম আবার মাতম করতে করতে মধ্যঅষ্টগ্রামের স্থানিয় ‘কারবালা ময়দানে’ তাবুত, দুলদুল, তাজিয়া রেখে আসে। কিন্তু সন্ধ্যার পরই সবাই মাজার ছেড়ে চলে আসেন । মহরমের একাদশ ও দ্বাদশ দিনে মহিলারা মাতম শোঁক জারি মার্সিয়া করে মহরম অনুষ্ঠান শেষ করেন । এখানে উল্লেখ্য যে, মহরমের বার দিন, বিভিন্ন অঞ্চলের সম্প্রদায় নির্বিশেষে কারবালা মাঠের দরগা ও হাওলী বাড়ী দরগায় মনের ইচ্ছা পুরনের আশায় মানত করেন।মানতের মধ্যে আছে, জীবন্ত ঘোড়া, ফল মূল থেকে টাকা পয়সা । যে সব জীবন্ত ঘোড়া উৎসর্গ করা ঘোড়ার পরিচিতি দুলদুল নামে।অষ্টগ্রাম হাবেলীর অনুসারী কিশোরগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও বি-বাড়িয়া জেলার বিভিন্ন অন্চলে মহরমের শোকানুষ্ঠান পালিত হয়ে থাকে।।
পোস্টে দেয়া তাজিয়া গুলো অষ্টগ্রামের নয়„,
অষ্টগ্রামে কোন বোরাক বা ঘোড়া বানানো হয়না„
122.অষ্টগ্রামে আয়রে আশেক অষ্ট্রগ্রামে আয়
বাবা আলাই মিয়া হাট বসাইছেন রত্ন বিলি হয়।
১.মনিমুক্তা গজমতি হিরা চান্দি নানা জাতি
যার যেমন ভাব ভক্তি সেইমতে সে পায়
২.গুণা খাতা মাপ পাবে; ভব জ্বলা দূরে যাবে
কোন চিন্তা নাহি রবে শান্তি পাবে অন্তরায়
৩.মনের মত মন মজাবে কেন্দে কেন্দে বুক ভাসাবে
বিনা মূল্যে রত্ন পাবে তাঁহার কৃপায়
৪.অষ্ট্রগ্রাম প্রেমের বাজার সৈয়দ আলাইমিয়া হয় দোকানদার
সেই দোকানের জিনিষ পএ এক দরে বিক্রি হয়।
লাব্বাইক ইয়া হাসাইন (আঃ)
লাব্বাইক ইয়া হুসাইন(আঃ)
এখন শুধু অষ্টগ্রামের তাজিয়াই রয়েছে। বিভিন্ন মোকামের বিভিন্ন তাজিয়ার প্রচলন দেখাতে সেইটা দেওয়া হয়েছিল।
hai hosain
ইয়া হোসাইন
Hi hosain
এখন ঠিক আছে„, ধন্যবাদ
সৈয়দ হোসাইনুল হক ভাইকে।
লাব্বায়িক মওলা হুসাইন আঃ
মাদাদ কুনে ইয়া শুহাদায়ে কারবালা
[…] জনসমাজে জাগ্রত রাখার উদ্দেশ্যে তিনি মহরম শরীফের অনুষ্ঠানাদি পালন করতেন। তিনি পূর্বেই স্বীয় […]