প্রবন্ধ

ঐতিহাসিক সুলতানসী হাবিলী,হবিগঞ্জ মাঝার শরীফ

ঐতিহাসিক সুলতানসী হাবিলী,হবিগঞ্জ মাঝার শরীফ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন,জেলা প্রশাসন হবিগঞ্জ।
সুলতানুল বাংলা পীরে কামেল হযরত শাহজালাল মোজররাদে ইয়ামনী (রাঃ) এর সঙ্গী সিলেট ও তরফ বিজয়ী বীর পীরে কামেল হযরত সৈয়দ নাসিরিউদ্দিন সিপাহসালার (রাঃ) এর সুযোগ্য উত্তরসূরী ঐতিহাসিক সুলতানসী হাবিলির প্রতিষ্ঠাতা ইসলামি রেনেসাঁর অন্যতম দিশারী মধ্যযুগের খ্যতিমান মহারত্ন মহাকবি সৈয়দ সুলতান (১৫৫০-১৬৪৮ খ্রি.) ও অধঃস্তন পীরে কামেল সৈয়দ আব্দুর রহিম হোসাইনী চিশতি (রহঃ) ওরফে মলাই মিয়া সাহেব , সৈয়দ আব্দুননূর হোসাইনী চিশতি (রহঃ) উরফে দীনহীন সাহেব ( ১২৬১-১৩২৫ বাংলা ) এবং সৈয়দ গোলাম মোস্তফা হোসাইনী চিশতি (রহঃ) উরফে দরবেশ মিয়া সাহেব ( উফাত ১৩৫৩বাংলা ) তাঁরা প্রত্যেকই ঐতিহাসিক সুলতানসী হাবিলির অন্যতম বিশিষ্ট ওলীআল্লাহ ছিলেন। মহাকবি সৈয়দ সুলতান (রহঃ) এর রসুল চরিত মধ্যযুগের মহাকাব্য আজবদি বিশ্বস্বনামধন্য। তিনি অন্যদিকে জমিদারও ছিলেন। সৈয়দ আব্দুননূর হোসাইনী চিশতি (রহঃ) উরফে দীনহীন সাহেব তাঁর দীনহীন বনিতায় কয়েক হাজার গান রচনা করেছেন তন্মধ্যে দীনহীন রচনাবলী অন্যতম। আজপাশা খেলবরে শ্যাম বিখ্যাত গানটিও দীনহীন সাহবের। তিনি সুলতানসী হাবিলীর বিশিষ্ট ওলীআল্লাহ ছিলেন। তাঁর অনেক কারামত লোকমুখে এখনও বিদ্যমান আছে। সৈয়দ গোলাম মোস্তফা হোসাইনী চিশতি (রহঃ) উরফে দরবেশ মিয়া সাহেব তাঁর অসংখ্য গান, মরছিয়া রচনা করেছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই আরবী, উর্দু,ফার্সী, বাংলা ‚ইংরেজী শিক্ষিত ছিলেন। জমিদারীর পাশাপাশি তাঁরা ছিলেন সুপন্ডিত এবং বিশিষ্ট ওলীআল্লাহ। তাঁদের প্রত্যেকের কারামত লোকমুখে আজও শুনা যায়। এ ধারা আজবদি বিদ্যমান রয়েছে এ পরিবারে। ঐতিহাসিক সুলতানসী হাবিলীর প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ সুলতানের অধঃস্তন পুরুষ সৈয়দ হেদায়েত উল্লার পুত্র সৈয়দ হবিব উল্লাহ খোয়াই নদীর তীরে একটি গঞ্জ বা বাজার প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নামানুসারে এই জনপদ প্রথমে “হবিবগঞ্জ” এবং কালক্রমে তা ‘হবিগঞ্জে’ পরিণত হয়।তারই ধারাবাহিকতায় বংশ পরম্পরায় সে বংশের উজ্জ্বল প্রদীপ গদিনিশিন ও সাজ্জাদানশীন পীরে কামেল হযরতুল আল্লামা সৈয়দ হাসান ইমাম হোসাইনী চিশতি, ইসলামি চিন্তাবিদ, সিাহিত্যিক ও গবেষক, বহু গ্রন্থ প্রণেতা আধ্যত্মিক ব্যক্তিত্ব। তিনি তাঁর কর্মজীবনে শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি জনসেবামূলক ইতিহাস ঐতিহ্যের গবেষণা ও লালনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছেন। তিনি বিভিন্ন উন্নয়ন ও জনসেবামূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তিনি সভাপতি-মহাকবি সৈয়দ সুলতান সাহিত্য ও গবেষণা পরিষদ, সভাপতি সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন (রহঃ) স্মৃতি পরিষদ, মুড়ারবন্দ দরবার শরীফ, উপদেষ্ঠা-কেন্দ্রীয় মহররম উদযাপন কমিটি, সুলতানসী হাবিলী, হবিগঞ্জ, উপদেষ্ঠা- তরফ সাহিত্য পরিষদ,হবিগঞ্জ, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি-হবিগঞ্জ সাহিত্য পরিষদ, হবিগঞ্জ, সিনিয়র সহ সভাপতি ও আজীবন সদস্য- নজরুল একাডেমী, হবিগঞ্জ, আজীবন সদস্য‑নাগরিক কমিটি ‚হবিগঞ্জ, আজীবন সদস্য‑মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেট, একুশে সম্মাননা – রাগীব রাবেয়া ফাউন্ডেশন (২০১০-২০১১) সহ অসংখ্য সামাজিক সংগঠনের কার্যক্রমে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন।তিনির গ্রন্হ রচনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ- শানে পাঞ্জাতন, তরপের ইতিকথা, মহররম পরিচিতি, ইসলামের দৃষ্টিতে বায়আত,তরিকা ও চিল্লা প্রসঙ্গ, ডুব দাও সখা সত্য সিন্ধু জলে, স্মারক গ্রন্থ‑১,২, ইসলামে আলো নামায প্রসঙ্গ,তরপ বিজয়ী সৈয়দ নাসিরউদ্দিন সিপাহসালার (রহঃ) পান্ডুলিপি, দীহীন রচনাবলী সম্পাদনা, সহ মাসিক তরজুমান, মাসিক মিনহাজ, মাসিক মদীনা, সিরাজাম মনীরা, ত্রৈমাসিক প্রত্যয়,হবিগঞ্জ সাহিত্য পরিষদ-এ- নিয়মিত লিখক। এছাড়াও হবিগঞ্জ ইতিহাস প্রণয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রকাশিত “হবিগঞ্জ পরিক্রমা গ্রন্থের মরমী সাহিত্য ও সুফি সাধনা হবিগঞ্জ প্রসঙ্গ” প্রবন্ধ, বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি কর্তৃক প্রকাশিত “সিলেট ইতিহাস ও ঐতিহ্য গ্রন্থে “আরবী ফারসী চর্চায় সিলেট” প্রবন্ধ ও অন্যান্য পবিত্র স্থান সমূহের সংস্কার এবং আরো অনেক জনহিতকর কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তিনি তাঁর বংশের ধারাবাহিকতায় বাংলা, ইংরেজী,আরবী, উর্দু, ফারসী ভাষায় সুপন্ডিত বটেন। উল্লেখ্য যে, ইতোমধ্যে প্রকাশনার অপেক্ষায় রয়েছে তাঁর বেশ কয়েকটি গ্রন্থ তন্মধ্যে-সৈয়দ হাসান ইমাম হোসাইনী চিশতি রচনা সমগ্র‑১ , রচনা সমগ্র‑২ এবং মুআদ্দাত্ আল কুরবা সহ আরো কিছু সংখ্যক গ্রন্থ অল্প কিছুদিনের মধ্যেই প্রকাশিত হবে।

মন্তব্য

  • তথ্যে ভুল আছে,সৈয়দ গোলামমোস্তফা সাহেব কি একা উনার বাবার ঘরের নাকি উনার আরেকজন ভাই আছেন সৈয়দ গোলাম হায়দার রহঃ

  • অবশ্যই তাঁরা দুই ভাই ছিলেন। সৈয়দ গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ গোলাম হায়দার। কিন্তু লেখাটা এই সাইটের না- অন্য একটা সাইটের প্রবম্ধ। যিনি লিখেছেন তিনি না‘ও জানতে পারেন কিংবা ইচ্ছে করেই লেখার প্রয়োজন মনে করেন নি।

মতামত দিন