জীবনবৃত্তান্ত

সৈয়দ আব্দুল আজিম আল হোসাইনী(জলাই মিয়া) সাহেবের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

সৈয়দ আব্দুল আজিম আল‑হোসাইনী রহ. হরফে সৈয়দ জলাই মিয়া সাহেব, পিতা সৈয়দ শাহ সাবের রহ.।জলাই মিয়া সাহেব ছিলেন সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেবের কনিষ্ঠ ভ্রাতা। তিনি বাংলা ১২২৪ সালে হবি ঐতিহাসিক সুলতানশী হাবেলিতে জন্ম গ্রহন করেন। সৈয়দ জলাই মিয়া সাহেব একজন কামেল বুজুর্গ ও সাধক পুরুষ ছিলেন। তিনি নিজেকে গুপ্ত রেখে ছদ্দবেশে চলাফেরা করতে পছন্দ করতেন এবং বড় ভাই সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেবের একান্ত অনুগত্ ছিলেন।তিনি প্রচার বিমোখ ছিলেন বলেই তাঁর পরিচিতি বিশেষ ভাবে প্রসিদ্ধি লাভ করেনি।

সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেব জীবিত থাকা কালিন সময়েই সৈয়দ জলাই মিয়া সাহেব বাংলা ১২৯৯ সালের ফালগুন মাসে অষ্টগ্রাম হাবেলীতেই পরলোক গমন করেন।উনাকে নয়কোষা জমিদারগনের পারিবারিক কবরস্থানে নানী চাঁনবিবি ও মাতা জিনাত চাঁনবিবির পাসেই সমাহিত করাহয়।যা কুতুব মসজিদ এরিয়ায় আবদ্ধ বর্তমানে সরকার কর্তিক পত্রতান্ত্রীক বিভাগের নিয়ন্ত্রনাধীন। সৈয়দ জলাই মিয়া সাহেবের তিন পুত্র ছিল  ১/ সৈয়দ আহমদ কবির আল‑হোসাইনী উরফে আমুদ মিয়া সাহেব(সুলতানশী), ২/সৈয়দ রছাই মিয়া সাহেব তিনি বাল্য বয়সেই পরলোকগমন করেন, ৩/সৈয়দ শাহ আবদুল হেকিম আল‑হোসাইনী  সাহেব (অষ্টগ্রাম)।

সৈয়দ আহমদ কবির আল‑হোসাইনী উরফে আমুদ মিয়া সাহেব (সুলতানশী)মজ্জুবিয়ত‑ই তার মধ্যে প্রবল ছিলো তিনির দুকণ্যা ও দুই পুত্র সৈয়দ আব্দুর রহিম আল‑হোসাইনী উরফে ডুগা মিয়া সাহেব(সুলতানশী) ও সৈয়দ আব্দুন নঈম উরফে লাল সাহেব (অষ্টগ্রাম)।

সৈয়দ ডুগা মিয়া সাহেব, তিনি ধর্মীয় শিক্ষায় সুপণ্ডিত ও সুফী ছিলেন তিনি সুলতানশীতে বসবাস করতেন সেখানেই ইন্তেকাল করেন তার এক কন্যা ও একপূত্র রয়েছে। ২য় পুত্র সৈয়দ আব্দুন নঈম উরফে লাল সাহেব একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি অষ্টগ্রাম থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন মৃত্যু পর্যন্ত।তিনি অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন প্রায় ৩৩ বছর।তিনি দুই পূত্র ও চার কণ্যা ও অসংখ্য গুনাগ্রহী রেখে পরলোক গমন করেন।

আর সৈয়দ জলাই মিয়া সাহেবের কনিষ্ঠ পূত্র সৈয়দ শাহ আব্দুল হেকিম আল ‑হােসাইনী (রঃ) একজন সুপ্রসিদ্ধ আলেমেদ্বীনও সুফি সাধক ছিলেন।তিনি সৈয়দ আলাই মিয়া রহঃ এর গদ্দিনিশীন হয়ে অষ্টগ্রাম হাবেলীতে থেকেই তরিকার কাজ করতেন।তিনি ইশাখাঁ বংশীয় অষ্টগ্রাম ভুইয়া বাড়ীর জনাব ফাজিল ভুইয়া সাহের কন্যাকে বিবাহ করেন।তিনি ১৩৫৫ বাংলা ১৯ জৈষ্ঠ ইন্তেকাল করেন এবং সৈয়দ আলাই মিয়া সাহেবের পাশেই সমাহিত হন।প্রতিবছর ১৯ জৈষ্ঠ ওরস পালিত হয়।

সৈয়দ আব্দুল হেকীম আল‑হোসাইনী তিন পূত্র ও দুই কন্যার জনক ছিলেন। বড় ছেলে সৈয়দ আব্দুল আজিজ হোসাইনী প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ছিলেন তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বি আর ডিবি চেয়ারম্যান ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসেবে দির্ঘকাল দায়ীত্ব পালন করেগেছেন।মৃত্যু কালে এক পূত্র ও দু কণ্যাসহ অসংখ্য অনুসারী রেখে যান।দ্বিতীয় পূত্র মাওলানা সৈয়দ কুতুবউদ্দিন আহমদ আল‑হোসাইনী চিশতী রহ. তিনি গাদ্দিনিশিন পীর লেখক ও গবেষক ছিলেন।গত ২০১৬ ইং ৩০ জুলাই মোতাবেক ১৪২৩ বাংলা ১৫ শ্রাবন ইন্তেকাল করেন।তাঁর তিন পূত্র তিন কণ্যা ছিলো এক কণ্যা ও পূত্র কৈশোর বয়ষেই মৃত্যুবরন করেন।

কনিষ্ঠ পূত্র সৈয়দ হাবিবুর রহমানও একজন রাজনৈতিক ব্যাক্তত্ব ছিলেন থানা আওয়ামী লীগের আমরন কোষাধ্যক্ষ ছিলেন।তার লিখা অনেক ধর্মীয় গজল কাসিদা জারি মর্সিয়া এলাকার মানুষের মুখে মুখে সুনা যায়। তিনির এক ছেলে (আমেরিকা প্রবাসী)রেখে পরলোক গমন করেন।সৈয়দ আব্দুল হেকীম সাহেবের ১ম কণ্যা সৈয়দা আবেদা সুলতানা অমৃত বিবি একজন জ্ঞান পিপাসু মহিয়সী নারী চিলেন। উনাকে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মোগরাপারা সাহেব বাড়ীর ইতিহাস প্রসিদ্ধ হযরত সৈয়দ শামসুদ্দিন আবু তয়ামা র. এর অধনস্ত পূরষ সৈয়দ মকবুল হোসাইন কাদেরীর নিকট বিবাহ দেন।ছোট কণ্যা সৈয়দা তাহমিনা সুলতানা বাচ্ছুকে সুলতানশী হাবেলীর সৈয়দ গোলাম চিশতী  নিলু মিয়া সাহেবের নিকট বিবাহ দেয়।

@sfhb

মন্তব্য

  • ভালো উদ্যোগ।

  • 51.আগে জনতাম যদি প্রেমের এতই জ্বালা গো কেন মন সপিলাম তারে
    অনল ঘষিয়া ঘষিয়া জ্বলে, আমায় রইতে না দেয় ঘরে
    গ কেন মন সপিলাম তারে।

    ১.মরমে মরমে দুঃখ সহিতে না পারি গ, দরদী কি আছে এই সংসারে
    আমি প্রেম করিলাম সুখের লাগি আমার দুঃখ রাএ দিনে গ

    ২.যার লাগী প্রাণটি আমার কান্দে দিবা নিশি গো দয়া বুঝি নাই তার অন্তরে
    সইগো আমি তারে পাশরি না সে আমারে পাশরে কেমনে গো

    ৩.বন্ধু যদি পাখী হইতো ধরিতাম যতনে তা রাখতাম পাখি হৃদয় পিঞ্জরে
    অধীন বলে মনের আশা, আশা মরলে যেন পুড়ে গো।

  • عن ابي هريرۃ رضي الله عنه قال قال رسو ل الله صلي الله عليه و سلم ان الله قال من عاد لي و لي فقد اذنته با الحرب
    হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসুল সা. ইরশাদ করেন, নিশ্চয় আল্লাহ বলেন
    , যারা ওলীদের বিরুদ্ধাচারন করেন আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলা।
    সহীহ বুখারী, কিতাবুল আহকাম।

  • 122.
    অষ্টগ্রামে আয়রে আশেক অষ্ট্রগ্রামে আয়
    বাবা আলাই মিয়া হাট বসাইছেন রত্ন বিলি হয়।

    ১.মনিমুক্তা গজমতি হিরা চান্দি নানা জাতি
    যার যেমন ভাব ভক্তি সেইমতে সে পায়

    ২.গুণা খাতা মাপ পাবে; ভব জ্বলা দূরে যাবে
    কোন চিন্তা নাহি রবে শান্তি পাবে অন্তরায়

    ৩.মনের মত মন মজাবে কেন্দে কেন্দে বুক ভাসাবে
    বিনা মূল্যে রত্ন পাবে তাঁহার কৃপায়

    ৪.অষ্ট্রগ্রাম প্রেমের বাজার সৈয়দ আলাইমিয়া হয় দোকানদার
    সেই দোকানের জিনিষ পএ এক দরে বিক্রি হয়।

  • লাখো ছালাম জানাই লাখো ছালাম
    পাঞ্জাতনের পাক কদমে অধমের লাখো ছালাম
    দুস্থ জোরে অতি কাতরে অধমের লাখো ছালাম।

    ১.জাতি নূরের জুতি নবী পিয়ারা আল্লার
    যার উপরে দরুদ পড়েন আল্লাহ পরোওয়ার
    সেই নবীর পাক কদমে অধমের লাখো ছালাম ৷

    ২.আমি যার মাওলা আলী তার মাওলা বলেন রাছুলুল্লাহ
    হয়ে গেলেন হযরত আলী জগতের মাওলা
    সেই মাওলার পাক কদমে অধমের লাখো ছালাম ৷

    ৩.বেহেস্তের রাণী মা ফাতেমা নবীর প্রাণের প্রাণ
    ফাতেমাকে ভাল বাসলে তাজা হয় ঈমান সেই ফাতেমার পাক কদমে অধমের লাখো ছালাম

    ৪.বেহেস্তের যুবকদের সরদার ইমাম হাছান ও হোছাইন
    ইসলামের প্রতীক তারা নূরে ঈমান
    সেই ইমামদের পাক কদমে অধমের লাখো ছালাম ৷

    ৫.পীরানের পীর দস্তগীর হযরত পাওছুল আজম
    সকল অলীর কান্দে আছে যাহার পাক কদম
    সেই অলীর পাক কদমে অধমের লাখো ছালাম ৷

    ৬.সুলতানে হিন্দু গরীব নেওয়াজ চিশতিয়ার ইমাম
    যার উছিলায় পাইলাম আমরা পবিত্র ইসলাম
    সেই খাজার পাক কদমে অধমের লাখো ছালাম

    ৭.হযরত সৈয়দ নাসির উদ্দিন সিপাহ সালার
    পূর্ব পশ্চিম হয় যাহার পাক রোওজা
    সেই অলীর পাক কদমে অধমের লাখো ছালাম

    ৮.হযরত সৈয়দ আব্দুল করিম আলাই মিয়া নাম
    তরিকায়ে হুসাইনিয়া করিলেন প্রধান
    সেই অলীর পাক কদমে অধমের লাখো ছালাম।

    ৯.হযরত সৈয়দ আব্দুল হেকিম আশেকে পাঞ্জাতন
    পাঞ্জাতনের মহব্বতে জান করেছেন কুরবান
    সেই অলীর পাক কদমে অধমের লাখো ছালাম।

    ১০.হযরত সৈয়দ কুতুব উদ্দিন মোরর্শীদ ও আমার
    যার কদমে যান মান করিলাম নেছার।
    কুতুব বাবার পাক কদমে অধমের লাখো ছালাম

    ১১.আম্বিয়া আওলিয়া ছুলাহা শুহাদা
    যাদের উছিলায় পাওয়া যায় রহমতে খোদা
    তাঁহাদের পাক কদমে অধমের লাখো ছালাম।

  • Excel­lent arti­cle! The depth of analy­sis is impres­sive. For those want­i­ng more infor­ma­tion, I rec­om­mend this link: FIND OUT MORE. Keen to see what oth­ers think!

মতামত দিন